ডিজিটাল মাকেটিং কি, কেন দরকার আপনার ব্যবসার জন্য?

ডিজিটাল পৃথিবীতে মাকেটিংয়ের বিকল্প নেই। তাই এখনকার অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই তাদের বিপণন কৌশলে ডিজিটাল মাকেটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে শুরু করেছে।

সত্যিকার অর্থে, ডিজিটাল মাকেটিং অন্যান্যা মাকেটিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি দূত, বহমুখী বাস্তব সম্মত ।

ডিজিটাল মাকেটিং একই সাথে ভোক্তা এবং বিপণন কারী উভয়েরই সমান উপকার আসে।

ডিজিটাল মাকেটিং কি? সহজ ভাষার বলতে গেলে ডিজিটাল মাকেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য ব্যন্ডের প্রচারকে বুঝায়।

ডিজিটাল মাকেটিং সনাতন মাকেটিং থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে রিয়েল টাইমে চ্যানেল ও বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে বিপণন প্রচারাভিযানের বিশ্লেষণ করতে এবং তা কাজ করছে কি করছে না তা বুঝতে সক্ষম করে।

ইন্টারনেট ডিজিটাল মাকেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত।

সুতরাং ডিজিটাল হচ্ছে আধুনিক স্বযং ক্রিয় প্রযুক্তিগত পরিবেশ আর মার্কেটিং হচ্ছে ক্রেতা ভ্যালু সৃষ্টি এবং গ্রাহকদের কাছে তা পৌঁছে দেওযার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানিক মুনাফা অর্জন প্রক্রিয়া।

ডিজিটাল মাকেটিংয়ের ধরনঃ

✔️ ফেইসবুক পেইড স্পন্সর এড্স ,

✔️ সার্চ ইজ্ঞিন অপটিমাইজেশন (এস ই ও) ,

✔️ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ,

✔️ গুগল ডিসপ্লে ব্যানার এড্স ,

✔️ টার্গেটেড ইমেইল মার্কেটিং ,

✔️ ইউটউব চ্যানেল মার্কেটিং ,

✔️ ভিডিও মেকিং এবং মার্কেটিং ,

✔️ ডিজিটাল গ্রাফিক ব্যানার এড্স ,

✔️ ব্র্যান্ড এস এম এস মার্কেটিং ,

✔️ ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট ,

✔️ লোকাল ওয়েবসাইট ব্যানার এড্স ।

ডিজিটাল মাকেটিং এ মাকেটিং প্রসারের জন্য রয়েছে নানা মাধ্যাম।

এ পর্যায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মার্কেটিং মাধ্যম গুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলঃ

সার্চ ইজ্ঞিন অপটিমাইজেশন এর (এস ই ও) গুরুত্ব- পূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

এস ই ও এর মাধ্যামে ই আপনি আপনার পণ্যকে সহজে গুগলের সব চাইতে উপরে নিয়ে আসতে পারছেন।

যার ফলে আপনার পণ্যের বিক্রিও বৃদ্ধি পাবে কারন বর্তমান সময়ে মানুষ কোন কিছু কেনার আগে সার্চ ইজ্ঞিনের সহায়তা নিয়ে থাকেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং : আপনার ব্যবসা প্রচার প্রচারণার জন্য এর থেকে আর ভাল কোন মাধ্যম আর নেই।

আপনি অতি সহজে কোন খরচ ছাড়াই এই মাধ্যম গুলোতে প্রাথমিক প্রচার চালাতে পারবেন।

এসএমএস, এমএমএস এর মাধ্যামে যে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে তাকে মোবাইল মার্কেটিং বলে।

কেন ডিজিটাল মার্কেটিং ?

প্রথমত, ডিজিটাল মার্কেটিং প্রথাগত অফ লাইন মার্কেটিং পদ্ধতির চেয়েও আরও বেশি সাশ্রয়ী হয়।

ই-মেইল বা একটি সোস্যাল মিডিয়া অ্যাড একটি টিভি বিজ্ঞাপন বা সংবাদপএ অ্যাড এর চেয়ে কম খরচ।

তাছাড়া সোস্যাল মিডিয়া অ্যাড পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বহু সংখ্যক সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটি ধাপ ও পর্যায় আপনি পরিমাপ করতে পারেন।

কোন ডিজিটাল মিডিয়া আপনার কতটা কাজে আসছে? কতজন প্রতিদিন অ্যাড হচ্ছে? কতজন লাইক দিচ্ছে?

ওযেব সাইটে কতজন প্রতিদিন ভিজিট করছে প্রতিটা কার্যক্রম পরিমাপযোগ্য, সংবাদপত্র বা টিভি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

আপনার যদি ওযেবে উপস্থিতি না থাকে, কিভাবে আপনি সম্ভাব্য গ্রাহকদের বা ক্রেতাদের আপনাকে খুঁজে পাবে বলে আপনি আশা করেন?

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের এবং সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকেন, তাদের প্রশ্নের উওর দেন তাহলে, আপনি তাদের সঙ্গে বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারবেন আর তখন তারা আপনার কাছে আসবে।

অনলাইন পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৯২% ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই যারা ব্লগিং ক্রেতারা অনলাইন নতুন গ্রাহক পায়, প্রায় প্রতি দিন।

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রায় ১০০% বেশি লিড আসে অন্যান্যা মার্কেটিং এর তুলনায়, প্রায় ৭৭% ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন গ্রাহক পায় ফেসবুক থেকে।

মনে রাখবেন আপনার গ্রাহকরা বেশির ভাগ সময় আছেন অনলাইনে এবং এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সুতরাং আপনি একজন ব্রান্ড ম্যানেজার বা মাকেটিং প্রফেশনাল হয়ে খুঁজবেন অনলাইনে। 

অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনাকে এমন নতুন কোন চমৎকার কৌশল ধরে রাখতে হবে, যা সর্বদা আপনাকে আপনার প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রাখবে।

আপনার ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজনঃ 

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্য বা ব্রান্ড প্রচার করার একটি পদ্ধতি।

এর মাধ্যামে আপনি আপনার কাস্টামার এর পছন্দ অপছন্দ, দূরের অবস্থিত ব্যক্তিকে কাস্টমারে রুপান্তর করা, কাস্টমার এর সাথে সম্পর্ক তৈরি করার জন্য ডিজিটাল মাকেটিং প্রয়োজন।

ডিজিটাল মাকেটিং এর সুবিধা সমূহঃ

  • অনেক কাস্টামরের কাছে পণ্য সম্পর্কে জানানো যায়
  • অনেক কাস্টমার টার্গেট করা যায়
  • কম ব্যয় সুলভ
  • ব্যবসার গতিবিধি সহজে বুঝা যায়
  • কম খরজে অধিক মুনাফা।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন : 

  1. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ,
  2. কন্টেন্ট মার্কেটিং ,
  3. ইমেইল মার্কেটিং ,
  4. ওয়েবসাইট ,
  5. সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন ,
  6. এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সময়ের প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড আছে আপনার পাশে।

যে কোনো ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *