থাইর-য়েড ক্যান্সার কোন বয়সের  লোকদের বেশি ঝুঁকি থাকে

থাইর-য়েড ক্যান্সার মূলত দুই ধরণের হয়ে থাকে। 

এক অল্প বয়সে হতে পারে আবার শেষ বয়সেও হতে পারে। 

বয়স্ক অবস্থায় থাইর-য়েড আক্রান্ত হলে-এর অবস্থা খুবই খারাপ হয়। বেশি বয়সের রোগীদের সঙ্গে সঙ্গে  সতর্কতার সাথে
অস্ত্র পাচার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক গণ। 

থাইরয়েড আক্রান্ত ব্যক্তিকে কি কি পরীক্ষা করে থাকেন?

রোগীকে সম্পূর্ণ মূল্যায়নের জন্য এফটি থ্রি, এফপি ফোর, টিএসএইচ, থাইর-য়েড গ্রন্থির আল্ট্রা-সনো- গ্রাম, এফএনএসিও থাইর-য়েড বায়োপসি করার পরামর্শ দিয়ে 
থাকন । 

কিছু ক্ষেত্রে থাইর-য়েড স্ক্যান করার প্রয়োজন হতে পারে। থাইর-য়েড স্ক্যান করার পর যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেডিও আয়োডিন বেশি জমে 
তবে এটাকে বলে হট নোডিউল। যদি রেডিও আয়োডিন অন্যান্য স্বাভাবিক এলাকার চেয়েও কম জমা হয় তবে এটা কোল্ড নোডিউল। এসব কোল্ড নোডিউল গুলোতেই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

কি কারণে থাইরয়েড হয়ে থাকে?

সাধারণতঃ বিভিন্ন অদৃশ্য তেজষ্ক্রি-য়তা বা রেডিয়েশন রেডিও টেলিভিশন টাওয়ারের অস্বাভাবিক পরিমাণ মাইক্রো-ওয়েভ -এর জন্য থাইর-য়েড ক্যান্সার হতে পারে। 
গলা বা থাইর-য়েডের ওপর রেডিয়েশন দিলে বা পড়লে এই ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। কখনো অন্য স্থান থেকে ক্যান্সার সেল এসেও থাইর-য়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত করতে পারে। 

আবার জীবন ধারার স্বাভাবিক গতিতেও এই ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার প্রবণতাও বাড়ে। তবে যে কোনো বয়সেই এ রোগ হতে পারে। সাধারণতঃ পুরুষরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

এই রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার কি?

থাইর-য়েড ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা সময় মতো চিকিৎসা করলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা যায়। 
গলার সামনে ফুলে উঠলে যথা সম্ভব তাড়া তাড়ি একজন ডাক্তার দেখানো উচিত। 

তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন এটা কোন ধরণের রোগ। ক্যান্সার শনাক্ত হলে বা ক্যান্সার আছে এমন সন্দেহ হলে অতি দ্রুত
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ বা গলার অপারেশনে পারদর্শী কোনো সার্জনের কাছে যেতে হবে। থাইর-য়েড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে 
সব চেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন বা সার্জারি করা। 

আক্রান্তের ধরনের ওপর নির্ভর করবে থাইর-য়েড গ্রন্থির কত টুকু কাটতে হবে।
অনেক সময় পুরো থাইর-য়েড গ্রন্থি কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। একে বলে টোটাল থাইরয়ে-ডেক-টমি। অপারেশন করে আক্রান্ত অংশ ফেলে দেওয়ার পর সেখানে আর কোনো ক্যান্সার সেল যেন না থাকে
তার জন্য রেডিও আয়োডিন থেরাপি বা কখনো কখনো রেডিও থেরাপি দেওয়া লাগতে পারে। এর পর কোনো কোনো রোগীকে আজীবন থাইর-য়েড হরমোন সেবন করতে হতে পারে। 

লেভো-থাই-রক্সিন দিয়েও অনেক সময় এর চিকিৎসা করা হয়। অনেক সময় টিএসএইচ হরমোন নোডিউল বা টিউমারের বৃদ্ধিতে
উত্তেজক পদার্থ হিসেবে কাজ করে। তাই এই হরমোনের পরিমাণ কমাতে পারলে
 টিউমার বা ক্যান্সারের আকার আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যায়। 

মনে রাখা ভালো যে, এই থাইর-য়েড হরমোন এর ঔষধ সেবন করা দরকার শুধু হরমোনের ঘাটতি পূরণের জন্য নয়—ইহা  
ভবিষ্যতে থাইরয়েড ক্যান্সার হওয়া থেকেও বাঁচায়।

থাইর-য়েড অস্ত্রো-পচারে কেমন খরচ হয় এবং কোন জায়গায় সব চেয়ে ভাল চিকিৎসা পাওয়া যায়?

থাইর-য়েড অস্ত্রো-পাচারে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ব বিদ্যালয়ে  অস্ত্রো-পাচার করলে
২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এবং বাহিরে কোন প্রাইভেট হাসপাতালে করলে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। বিভাগীয় শহরে এর এখন ভাল চিকিংসা হচ্ছে। 
তবে থাইর-য়েড অস্ত্র পাচার অনেক সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়।  এ বিষয়ে যারা সব চেয়ে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ তাদের দিয়ে অস্ত্র পাচার করাই ভালো।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *