আপওয়ার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত আরও কিছু তথ্য :

আপওয়ার্ক -এ আপনি প্রত্যেক স্কিলের জন্য আলাদা Specialized Profile করতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনি মার্কেটিং করেন।

এতে আপনার মূল প্রোফাইলে মার্কেটিং থাকলেও সম্পূর্ণ আলাদা কোনো স্কিলের জন্য পাশেই একই প্রােফাইলে Specialized Profile তৈরি করতে পারবেন।

নতুন স্কিলের জন্য আপনাকে এখন আর নতুন প্রােফাইল তৈরি করতে হবে না।

আপওয়ার্ক বা অন্য যে কোনাে প্লাটফর্মে আপনি একের অধিক প্রােফাইল করতে পারবেন না। 

আপওয়ার্কে ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার প্রােফাইলের নাম ও ভােটার আইডির নাম অবশ্যই এক হতে হবে।

Rising Talent, Top rated, Top rated plus, Expert- Vetted এগুলাে আপওয়ার্ক -এর কিছু ব্যাজ।

আপনি যখন কাজ করবেন এবং ক্লায়েন্ট আপনাকে ফিডব্যাক দেবে, তখন আস্তে আস্তে আপনি এই ব্যাজগুলো পেতে প্রয়োজনীয় ক্রাইটেরিয়াগুলো পার করে যাবেন।

বাংলাদেশ থেকে আপওয়ার্ক -এ কাজ করতে গেলে অনেকেই ভাবে প্রােফাইল অ্যাপ্রুভ করানাে কঠিন।

কিন্তু না, আপনি যে কাজ পারেন তা যদি সুন্দর করে আপনার প্রােফাইলে উপস্থাপন করেন, তাহলে কাজ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।

যে কোনো বিষয়ে সমস্যায় পড়লে আপনি আপওয়ার্ক কমিউনিটিতে সার্চ করে নিতে পারেন।।

এখানে আপনি সব গাইডলাইন পাবেন। আর তাও না পেলে আমাদের কোর্স তাে আছেই।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ২: ফাইভার (Fiverr)

অনলাইনে নানান কাজ করে অর্থ উপার্জন করার একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হলো ফাইভার।

লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিকেল লেখা, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এস.ই.ও, এন্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, গ্রাফিকস ডিজাইন ইত্যাদি কাজ এখানে করতে পারবেন।

এখানে যে কোনো কাজ করানোর জন্য সর্বনিম্ন ৫ ডলার পেমেন্ট করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সার কাজ সম্পন্ন করে জমা দেওয়ার পরে ফাইভার থেকে পেমেন্ট পেয়ে যাবে।

এর জন্য ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার নিয়ে থাকে।

প্রতিদিন হাজার হাজার বায়ার ফাইভারে তাদের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন।

আপনার যদি ভালো কিছু দক্ষতা থাকে এবং একাউন্টে ভালো রেটিং ও রিভিউ জমাতে পারেন তাহলে ফাইবারেই ক্যারিয়ার গড়া যুক্তি সঙ্গত।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত নাম ফাইভার (Fiverr)। ধরুন, আপনি একদম নতুন।

আপনি কিছু ছােটো ছোটো কাজ পারেন। হতে পারে শুধু আপনি ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) জানেন।

ফাইভারে আপনার জন্যেও কাজ আছে। ফাইভার হচ্ছে গিগ বেজড প্লাটফর্ম।

এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে গিগ বানাতে হবে।

ফাইভার -এর গিগ কী? (What is a Fiverr gig?)

আপনি যখন কোনাে দোকানে যান এবং দোকানে অনেক রকমের আইটেম সাজানাে দেখেন।

তারপর সেখানকার পণ্য বা সার্ভিস পছন্দ হলে আপনি কেনেন।

ফাইভারের গিগ অনেকটা দোকানের মতোই। আপনাকে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে একটি গিগ বানাবেন।

সম্ভাব্য ক্রেতার যদি আপনার গিগ দেখে পছন্দ হয়, তবে তিনি আপনাকে কাজ দেবেন।

আপনি ইউটিউব দেখে খুব সহজেই গিগ বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

ফাইভার সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য :

ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য গিগ এবং Buyer Request নামে দুইটি অপশন থাকে। গিগ সম্পর্কে তো আগেই বলা হয়েছে।

বায়ার রিকোয়েস্ট অপশনে বায়ার কী ধরনের কাজ প্রয়োজন সে সম্পর্কে লিখে দেয়, এই ব্রিফ পড়ে ফ্রিল্যান্সারকে কাজটির জন্য অ্যাপ্লাই করতে হয়।

কোনো বায়ার আপনাকে মেসেজ পাঠালে তা মেসেজ অপশন থেকে, অর্ডার করলে তা অর্ডার সেকশনে এবং আপনার পারফরম্যান্স মেট্রিকস অ্যানালিটিকস সেকশনে দেখতে পারবেন।

কমিউনিটিতে আপনি নানা রকমের তথ্য, ব্লগ এবং কোর্স দেখতে পাবেন।

গিগ বানানাের সময় মনে রাখতে হবে, কীওয়ার্ড ও কভার ইমেজ যাতে সুন্দর হয়। এতে করে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আপনি চাইলে আপনার গিগ এ আপনার পাের্টফলিও প্রােফাইল যোগ করে রাখতে পারেন।

যেমন, অনেক ডিজাইনার তাদের গিগে তাদের বিহ্যান্স প্রোফাইল লিংক করেন, অনেক কনটেন্ট রাইটার তাদের পোর্টফোলিও ব্লগ লিংক করে রাখেন।

কোনাে প্লাটফর্মেই আপনি আপনার ক্লায়েন্টকে প্ল্যাটফর্মের বাইরে যোগাযোগ করতে বলতে পারবেন না এবং যােগাযােগের কোনাে তথ্য শেয়ার করতে পারবেন না। তাহলে আপনি ব্যান হয়ে যেতে পারেন।

Data Entry দিয়ে Freelancingকোর্সটি করে যা শিখবেন :

আপওয়ার্ক নাকি ফাইভার?

ফাইভার ও আপওয়ার্ক দুটোই ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস হলেও, দুইটার মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে।

এই পার্থক্যগুলোই আপনাকে বলে দিবে যে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার কোন মার্কেটপ্লেসে যাওয়া উচিত।

ফাইভার

আপওয়ার্ক 

পেমেন্ট অনুযায়ী কাজের ধরন :

ফিক্সড প্রাইস (Fixed Price) কাজ ঘণ্টা ভিত্তিক (Hourly) কাজ এবং ফিক্সড প্রাইস (Fixed Price) কাজ মেম্বারশিপ ফি ফ্রিবেসিক (ফ্রি) ও প্লাস (প্রতি মাসে ১৪.৯৯ ডলার)সার্ভিস চার্জপ্রতি ট্রানজিকশনের জন্য ২০%লাইফটাইম বিল হিসেবে প্রতি ক্লায়েন্টের জন্য:

প্রথম ৫০০ ডলারে: ২০%

৫০০.০১ থেকে ১০,০০০ ডলারে: ১০%

১০,০০০ এর বেশি ডলারে: ৫%

আকর্ষণীয় ফিচার

ইন-হাউজ কোর্স এবং ব্যাজ

এডভান্সড অপশন

কাস্টমাইজেবল অতিরিক্ত গিগ

ওয়ার্ক ডায়েরি

প্রজেক্ট ক্যাটালগ

বিল্ট-ইন রেফারেল (বেটা ফিচার)

কাস্টমার সাপোর্ট 

কমিউনিটি ফোরাম

ইমেইল সাপোর্ট

কমিউনিটি ফোরাম (সাথে থাকবে আপওয়ার্ক মডারেটর)

ইমেইল সাপোর্ট

ফোন সাপোর্ট (এন্টারপ্রাইজ ক্লায়েন্টদের জন্য)

পেমেন্ট প্রটেকশন

চার্জব্যাক এবং সেলার প্রটেকশন

ঘন্টাপ্রতি এবং ফিক্সড প্রাইস পেমেন্ট প্রটেকশন

ফ্রিল্যান্সার প্রোগ্রাম

নতুন সেলার

লেভেল ১

লেভেল ২

টপ রেটেড সেলার

ফাইভার প্রো

রাইজিং ট্যালেন্ট

এক্সপার্ট-ভেটেড

টপ রেটেড

টপ রেটেড প্লাস।

ট্যালেন্ট স্কাউট (নতুন) :

যাদের জন্য ভালো যেসব ফ্রিল্যান্সাররা অন-ডিমান্ড সার্ভিস, ফিক্সড রেট পেমেন্ট এবং কাজের প্রতি সম্পূর্ণ দখল রাখতে চান।

যেসব ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের সাথে দীর্ঘ মেয়াদি সম্পর্ক রাখতে চান, ঘন্টা এবং ফিক্সড রেট পেমেন্ট পেতে চান, ভালো ক্লায়েন্ট কোলাবোরেশান এবং রেসপন্সিভ কাস্টমার সাপোর্ট পেতে চান।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ৩: ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com):

এই ওয়েবসাইটটি ছোট ব্যবসার জন্য সেরা।  যাদের ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, লোগো ডিজাইনিং, লেখা এবং বিপণন সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে দক্ষতা আছে বা সাহায্যের প্রয়োজন তারা এখানে এসে খোঁজ করেন।

ফ্রিল্যান্সার ডটকম একটি প্রথম সারির অনলাইন ভিত্তিক জব মার্কেটপ্লেস।

এখানে ফিক্সড প্রাইস প্রজেক্টের পাশাপাশি আওয়ারলি রেটের প্রজেক্ট পাওয়া যায়।

এখানে প্রায় সব ধরনের অনলাইন জব রয়েছে, এবং প্রচুর ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন।

ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনাকে কেবল পূর্ববর্তী কাজের উদাহরণ আপলোড করতে হবে, কাজের জন্য বিড করতে হবে এবং এরপরে আপনি নিয়োগকারীদের সাথে চ্যাট করতে পারবেন।

তবে নতুনদের কাছে এই ওয়েবসাইটটিতে কাজ করা একটু কঠিন মনে হতে পারে।

কারণ প্রথম অবস্থায় প্রজেক্ট শেষ করার পর এখানে অতিরিক্ত কিছু ফি প্রদান করতে হয়।

কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০% টাকা কোম্পানী নিজে নিয়ে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট ৪: পিপল পার আওয়ার (People Per Hour):

অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হলো পিপল পার আওয়ার। এটি লন্ডন, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান।

এখানে ঘন্টা প্রতি রেটের পাশাপাশি ফিক্সড প্রাইস প্রজেক্ট পাওয়া যায়।

এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতা খুব বেশি। প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়।

আয় করা টাকার ১৫% থেকে ২০% প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে নেয়।

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট ৫: নাইনটি নাইন ডিজাইনস (99designs):

যারা ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান, তাদের কাছে ৯৯ডিজাইনস খুবই প্রিয় একটি ওয়েবসাইট।

ক্লায়েন্টরা এখানে পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছে থেকে অর্থের বিনিময়ে লোগো, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করিয়ে নেন।

এখানে ডিজাইন কিনতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা তাদের কেমন ডিজাইন লাগবে, তা বিস্তারিতভাবে লিখে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।

ডিজাইনাররা ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণ করার জন্য সেই অনুযায়ী ডিজাইন সাবমিট করেন।

ক্লায়েন্ট তার পছন্দসই ডিজাইনটি কিনে নেয় এবং ডিজাইনারকে পূর্ব নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন।

ফ্রিল্যান্সিং সাইট ৬: গুরু ডটকম (Guru.com):

গুরু ডটকম একটি অ্যামেরিকান ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট।

এখানে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের ভেতর হয়ে থাকে।

প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪.৯৫% হতে ৮.৯৫% টাকা প্লাটফর্মটি কেটে নেয়।

ফ্রিল্যান্সিং সাইট ৭: বিল্যান্সার (Belancer):

বিল্যান্সার বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এখানে বিভিন্ন ধরণের দেশি প্রজেক্ট পাওয়া যায়।

বায়ার এখানে পোস্ট দিবেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা সে কাজের জন্য বিড করবেন।

আবেদনের তালিকা থেকে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পোর্টফোলিও দেখে সেরা কর্মী বাছাই করবেন নিয়োগদাতা।

নতুন কোনো কাজ পোস্ট করার সময় নিয়োগদাতার কাছ থেকে মোট কাজের সমপরিমাণ টাকা তাঁর বিল্যান্সার অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়।

কাজ বুঝে পেলে তিনি কর্মীকে তার কাজের জন্য সেখান থেকে টাকা পরিশোধ করে দিতে পারেন।

এতে কর্মী ও নিয়োগদাতা, উভয়ই আর্থিক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পান।

বিল্যান্সারে আয়ের উৎস দুই পক্ষই। কর্মী ও নিয়োগদাতা উভয়ের কাছ থেকে ৫ শতাংশ কেটে রাখা হয়।

ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সুবিধা অনেক। যখন-তখন কাজে বসা যায়, প্যারা নাই চিল একদম!

কিন্তু যদি নিজের গড়িমসি স্বভাবের কারণে ক্লায়েন্ট হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু প্যারা আছে!

এরকম ঘটনা এড়ানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট -এ এখনই নিজের কাজগুলো তুলে ধরুন।

যত বেশি মানুষ আপনার কাজ সম্পর্কে জানবেন, আপনি তত বেশি কাজের অর্ডার পাবেন।

এসব মার্কেট প্লেসে নিজের মার্কেটিং করার কিছু সুনির্দিষ্ট উপায় আছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *