ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর উপায়
যেহেতু আপনি এই আর্টিকেলে ক্লিক করেছেন ৷ সেহেতু ধরে নেয়া যায়, আপনার একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল আছে ৷ এবং আপনি সেই চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়াতে চাইছেন।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো যায়- এই প্রশ্নটি সব ইউটিউবারের মনেই জেগে থাকে।
কারন ইউটিউব চ্যানেল যদি বৃক্ষ হয়, তাহলে সেই বৃক্ষের শিকড় হলো Subscriber.
ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর উপায়
1.Maintain Regularity
2.Make Valuable Content
3.Continue With Same Niche
4.Make Video With Face
5.Announced Giveaway
ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায় :
সাবস্ক্রাইবার হলো একটি ইউটিউব চ্যানেল এর প্রাণ। যে চ্যানেলে যতো বেশি Subscriber থাকে, সেই চ্যানেল ততো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
কিন্তুু প্রশ্ন হলো, “কিভাবে আপনার চ্যানেল এর সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করবেন”?
Subscriber বৃদ্ধি করার বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। যে কৌশল গুলো অবলম্বন করে আজ অনেক ইউটিউবার সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
যদি আপনিও সেই কৌশল গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলের প্রতিটা পয়েন্ট মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আজকের এই আর্টিকেলটি লেখার পূর্বে আমি বিভিন্ন চ্যানেল নিয়ে যথেষ্ট রিসার্চ করেছি।
যে চ্যানেল গুলো শূন্য থেকে শুরু করে আজকে মিলিয়ন মিলিয়ন Subscribers এর গন্ডি পেরিয়ে গেছে।
সেই সফল চ্যানেল গুলো রিসার্চ করে যে তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে পেরেছি। সেগুলো আজকে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করার চেস্টা করবো।
ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার কি?
যখন আপনার একটি YouTube Channel থাকবে। তখন আপনার চ্যানেলকে কিছু সংখ্যক মানুষ ফলো করবে।
যেন, আপনার সেই চ্যানেলের সকল আপডেট তাদের কাছে অটোমেটিক পৌঁছে যায়। ইউটিউব এলগরিদম এর ভাষায় তাকে বলা হয়, Subscribe.
আর সে জন্যই প্রত্যেকটা YT Channel এর ডানপাশে একটি লাল বক্সে Subscribe লেখা দেখতে পাওয়া যায়। যাকে বলা হয়, Subscribe Button.
ইউটিউবের নানা রকম আপডেটের ফলে সেই Button কে আরও ভিন্নভাবে কাস্টমাইজড করা হয়েছে।
আগেকার দিনে কোনো চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করলে, সেই চ্যানেলের যাবতীয় নোটিফিকেশন গুলোর আপডেট পাওয়া যেত।
কিন্তুু বর্তমানে সেটিকে আরও আপডেট ও কাস্ট- মাইজ করে Bell নামের নতুন আরেকটি icon যুক্ত করা হয়েছে।
যেখানে আপনি কোনো চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করার পরে যদি উক্ত Bell icon এ ক্লিক না করেন।
তাহলে আপনি উক্ত চ্যানেল থেকে কোনো প্রকার Notification পাবেন না।
চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা হয় কেন?
আমরা যখন টিভি দেখি, তখন অনেক গুলো Channel আমাদের সামনে চলে আসে ৷
কোনো চ্যানেলে শুধুমাএ News প্রচার করে, আবার কোনো চ্যানেলে Movie দেখানো হয়।
কিন্তুু একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, সব- গুলো চ্যানেলের মধ্যে কিছু চ্যানেল আমাদের কাছে ভালো লাগে।
বাকি সবগুলো Channel এর মধ্যে আমরা শুধুমাএ আমাদের পছন্দের চ্যানেল গুলো বেশি সময় ব্যয় করি।
ঠিক একই ঘটনা ঘটবে, যখন আপনি একটি YouTube Channel তৈরি করবেন।
তবে টিভিতে অনেক চ্যানেল থাকলেও কিন্তুু সেগুলোর মধ্যে একটা সীমাবদ্ধতা থাকে।
অপরদিকে যদি ইউটিউব এর দিকে তাকাই, তাহলে আপনি এখানে হাজার হাজার Channel দেখতে পারবেন।
এখন এই হাজার হাজার YouTube Channel এর মধ্যে আপনার প্রিয় চ্যানেলকে খুজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
কারন আপনি ইচ্ছে করলেও ইউটিউবে টিভির মতো রিমোট দিয়ে কন্ট্রোল করতে পারবেন না।
আর সেজন্যই YouTube নতুন একটি ফিচার যুক্ত করেছে, যার নাম Subscribe. এই ফিচারের মাধ্যমে একজন দর্শক তার প্রিয় চ্যানেলটিকে সহজেই খুজে পাবে।
এ ছাড়াও একজন দর্শক যখন কোনো YT Channel কে সাবস্ক্রাইব করবে। তখন সেই চ্যানেলের সমস্ত আপডেট সবার আগে তার News feed এ পৌঁছে যাবে।
কেন আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ছে না?
যদি আপনি নতুন ইউটিউবিং শুরু করেন। তাহলে আপনি একটা কমন Problem দেখতে পারবেন।
সেটি হলো, আপনার চ্যানেলে View হচ্ছে, পর্যাপ্ত Watch Time আসছে কিন্তুু আশানুরুপ Subscriber বাড়ছে না।
এই সাবস্ক্রাইবার না বাড়ার কারন আসলে কি?
এর প্রধান কারন হলো, আপনি যথাযথভাবে YouTube SEO করতে ব্যর্থ।
যার কারনে ইউটিউব এটা বুঝতে পারছে না যে, আপনি আসলে কোন টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করছেন।
এবং আপনার তৈরি করা ভিডিও গুলো কোন ধরনের Audience এর কাছে পৌঁছাতে হবে।
যার কারনে ইউটিউব আপনার ভিডিওকে Randomly Promote করছে।
এই Random প্রোমোটের কারনে আপনার ভিডিওতে শুধু ভিউ এবং ওয়াচটাইম আসছে, কিন্তুু আপনার আশানুরূপ সাবস্ক্রাইব বাড়ছে না।
তো আপনাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি ইউটিউব এসইও নিয়ে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করেছি।
যেখানে এই সমস্যার সমাধান গুলোকে স্পষ্টভাবে আলোচনা করার চেস্টা করেছি।
আশা করি, আপনি যদি ইউটিউব এসইও নিয়ে এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন ৷ তাহলে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন।
কিভাবে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়ানো যায়?
যখন আপনি একটি নতুন YouTube Channel তৈরি করবেন। তখন আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট শ্রম দিতে হবে।
কারন আমি শুরুতেই একটা কথা বলেছি যে, “একটি চ্যানেল যদি বৃক্ষ হয়, তাহলে সেই বৃক্ষের শিকড় হলো তার Subscribers”.
তো আমার এই কথার সাথে দ্বিমত পোষন করার চেয়ে বরং এটা ভাবুন যে, ” কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল এর Subscribe বাড়ানো যায়”?
আমি এই আর্টিকেলটি লেখার আগে বেশ কিছু জনপ্রিয় চ্যানেলকে রিসার্চ করেছি।
যে চ্যানেল গুলো শূন্য সাবস্ক্রাইব থেকে শুরু করলেও আজকের দিনে তারা মিলিয়ন মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারে পৌঁছে গেছে।
তো এই চ্যানেল গুলোর কিভাবে এতো দ্রুত সফলতা পেয়েছে৷ তারা কি কি টেকনিক অবলম্বন করেছে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আমি গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছি।
সবশেষে বেশ কিছু টেকনিক সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
যা আজকের এই আর্টিকেলে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।
তাই আপনি যদি শুরু থেকে এই আর্টিকেলটি স্কিপ করে থাকেন। তাহলে এখন থেকে একটু মনোযোগ সহকারে পড়ার চেস্টা করুন ৷
ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর উপায় :
একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর জন্য আপনাকে অনেক গুলো টেকনিক অবলম্বন করতে হবে।
তবে আমার উল্লেখ করা সবগুলো টেকনিক অবলম্বন করলেই যে আপনি সফলতা পাবেন, বিষয়টা এমন নয়।
কিন্তুু আমার বিশ্বাস আছে যদি আপনি আজকের এই আর্টিকেলে উল্লেখ করা টেকনিক গুলো ফলো করার চেস্টা করেন।
তাহলে আপনার চ্যানেল পূর্বের তুলনায় অনেক ভালো পারফরম্যান্স লক্ষ্য করতে পারবেন।
তো চলুন এবার আমরা জানবো, “কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানো যায়”।
1.Maintain Regularity
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রেগুলারিটি মেইনটেইন করা। যা একটি ইউটিউব চ্যানেল এর Growth এ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।
সবসময় আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে একটি TV Channel এর সাথে কম্পেয়ার করবেন।
টিভি চ্যানেল গুলো যেমন নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর একটি করে Programme দেখায়।
ঠিক তেমনি আপনাকেও এরকম রেগুলারিটি মেইনটেইন করতে হবে। আপনি যদি প্রতিমাসে ১০ টি করে ভিডিও আপলোড করেন।
তাহলে সেই ভিডিওগুলো আপলোড করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন বা সময়কে বেছে নিতে হবে।
যেমন ধরুন, আপনি চলতি সপ্তাহের শুক্রবারে ভিডিও আপলোড করছেন।
সেহেতু চেস্টা করবেন পরবর্তী সপ্তাহের শুক্রবারে আরও একটি ভিডিও আপলোড করার ৷
হয়তবা আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ” এই রেগুলারিটি মেইনটেইন করে লাভ কি”?
লাভ আছে , যখন আপনি Video Upload করার জন্য নির্দিষ্ট একটা সময়কে বেছে নিবেন।
তখন আপনার চ্যানেলের দর্শকরা আগে থেকেই জানতে পারবে যে, আপনার চ্যানেলে ঠিক সেই সময়ে ভিডিও পাওয়া যাবে।
এবং সেই দিনটির জন্য দর্শকরা অপেক্ষাও করবে। যেমনটা টিভি চ্যানেল গুলোতে হয়ে থাকে।
2.Make Valuable Content
একটি চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, Valuable Content তৈরি করা। আপনার চ্যানেলের Growth এর জন্য অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
তাই যদি আপনার একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল থাকে। তাহলে আপনাকেও ভ্যালুয়েবল কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।
যেন দর্শকরা আপনার তৈরি করা ভিডিও থেকে নতুন কিছু জানতে পারে। আপনার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারে। তাহলে আপনার চ্যানেলেও আশানুরুপ Subscribers আসবে।
3.Continue With Same Niche
ইউটিউব সেক্টরে টিকে থাকতে হলে, অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট একটি নিশকে কেন্দ্র করে সামনে এগুতে হবে।
কিন্তুু আপনি যদি বারংবার আপনার চ্যানেলের নিশ পরিবর্তন করেন। তাহলে ইউটিউব সেক্টর থেকে ঝরে পড়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে।
দেখুন, আপনি একজন দর্শক হয়ে চিন্তা করুন। আপনি Funny Video দেখতে পছন্দ করেন ৷
এখন কোনো একটি চ্যানেলের ভিডিও গুলো আপনার কাছে খুব ভালো লাগলো। সে জন্য আপনি সেই চ্যানেলটিকে Subscribe করলেন।
এখন কিছুবদিন পর দেখলেন যে, উক্ত চ্যানেলে আর ফানি ভিডিও আপলোড করা বন্ধ হয়ে গেছে। এবং সেই চ্যানেলে News Video আপলোড করা হচ্ছে।
এখন আপনি কি সেই চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করতে চাইবেন? – না, কখনোই না।
কারন আপনি সেই চ্যানেলে নিউজ দেখার জন্য তো আর সাবসক্রাইব করেনি, তাইনা?
তো এজন্যই আপনাকে শুরু থেকে নির্দিষ্ট একটি নিশকে টার্গেট করতে হবে। এবং সেই নিশে কাজ করে যেতে হবে ৷
তাহলে আপনি এক সময় আপনার কাঙ্খিত অডিয়্যান্সের কাছে পৌঁছাতে পারবেন ৷ পাশাপাশি আপনার চ্যানেল এর Subscribe increase হবে।
4.Make Video With Face
সত্যি বলতে ইউটিউবের কোথাও লেখা নেই যে, আপনার ভিডিওতে বাধ্যতামূলক চেহারা দেখাতে হবে।
কিন্তুু আপনি যদি ভিডিওতে আপনার মুখমন্ডল প্রদর্শন করেন। তাহলে আপনি অনেক বেশি বেনিফিট পাবেন।
ইউটিউব রিলেটেড যেসব Facebook Group আছে। সেই গ্রুপ গুলোতে অনেকেই একটা প্রশ্ন করে যে,”ভিডিওতে ফেস না থাকলে কি মনিটাইজেশন পাওয়া যায় কিনা “।
এই প্রশ্নের উওর হলো, আপনার ভিডিওতে ফেস না থাকলেও আপনি আপনার চ্যানেলকে মনিটাইজ করতে পারবেন।
কিন্তুু আপনার ভিডিওতে ফেস থাকলে একটু বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
প্রশ্ন হলো, “ভিডিওতে ফেস থাকলে কি সুবিধা পাওয়া যায়? “
দেখুন, আপনি যখন আপনার ভিডিওতে মুখমণ্ডল প্রদর্শন করবেন ৷
তখন আপনার চ্যানেলের Audience এর সাথে আলাদা রকমের একটা কম্বিনেশন তৈরি হবে ৷
দর্শকরা যখন ভিডিওতে আপনাকে দেখবে, তখন আপনার ভিডিও এর প্রতি তাদের বিশ্বাস জাগতে শুরু করবে ৷ অর্থ্যাৎ, আপনি যে টিপস & ট্রিকস গুলো শেয়ার করবেন।
সে গুলো তারা একটু হলেও বিশ্বাস করবে। এটা একটা সাইকোলোজিক্যাল ফ্যাক্ট, যা আপনিও প্রয়োগ করতে পারবেন।
আর এটা সত্যি যে, আপনি আপনার Audience এর কাছে যতো বেশি বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন ৷ আপনার চ্যানেল ঠিক ততো দ্রুত Grow করবে।
যদি আপনার YouYube Channel টি নতুন হয়ে থাকে। এবং সেই চ্যানেলে অনেক বেশি পরিমানে সাবস্ক্রাইব নিয়ে আসতে চান। তাহলে অবশ্যই এই টেকনিকটি ফলো করতে পারেন।
5.Announced Giveaway
কোনো একটি চ্যানেল এর ভিউ এবং সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর দারুন টেকনিক হলো, Giveaway. যা অনেক বড় বড় YouTuber রা করে থাকে।
দেখুন, আপনার চ্যানেলে যে সব দর্শক আছে। আপনি তাদেরকে ছোট খাটো কিছু পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে পারেন ৷
এতে করে যখন দর্শকরা আপনার চ্যানেলে আসবে ৷ তখন পুরস্কারের লোভে আপনার ভিডিও গুলো একটু হলেও মনোযোগ সহকারে দেখবে।
যেমনটা আপনি Mobile Review করা চ্যানেল গুলোর দিকে তাকালেই দেখতে পারবেন ৷ তারা কিছুদিন পর পর এমন Giveaway এর আয়োজন করে থাকে।
এই গিভওয়েতে তারা সরাসরি তাদের দর্শকদের কোনো একটা মোবাইল ফোন পুরস্কার হিসেবে দিয়ে থাকে।
“কি এই টেকনিকটা দারুন না? “
আর যদি আপনার সামর্থ্য থাকে। তাহলে আপনি আপনার ইচ্ছামতো Giveaway এর আয়োজন করতে পারবেন।
তবে আমার দৃষ্টি অনুযায়ী, কোনো চ্যানেলের Subscribe বৃদ্ধি করার জন্য এই টেকনিকটি দারুন কাজ করবে।
চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর ভুল ধারনা :
আমরা বেশিরভাগ সময় আমাদের YouTube Channel কে জনপ্রিয় করার জন্য ভুল পন্থা অবলম্বন করে থাকি।
যখন আমরা ভুল পথে পা বাড়াই, তখন সফলতা তো দুরের কথা । উল্টো ইউটিউব সেক্টর থেকে ছিটকে পড়তে হয়।
প্রশ্ন হলো, ” Subscribe বাড়ানোর সেই ভুল পথ গুলো কি কি? ” তাহলে শুনুন…..
আমরা যারা ইউটিউব সেক্টরে নতুন যুক্ত হই। তারা খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করতে চাই।
যখন বড় বড় চ্যানেল গুলোকে দেখি। তখন নিজের সদ্য তৈরি হওয়া চ্যানেলটিকে জনপ্রিয় করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
কিন্তুু আপনার জানা উচিত যে, ইউটিউব সেক্টরে সফলতা পাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয়।
তার মধ্যে প্রথম ধাপ হলো, ধৈর্য। অর্থ্যাৎ YouTube সবার আগে একজন Content Creator এর ধৈর্য পরীক্ষা করে।
কিন্তুু সমস্যা হলো, আমাদের মধ্যে সেই ধৈর্যের কোনো মূল্যায়ন থাকে না। আমরা খুব দ্রুত অন্যদের মতো সফলতা পেতে চাই।
যার কারনে আমরা বেশিরভাগ সময় ভুল পথ অবলম্বন করে থাকি। তার মধ্যে অন্যতম ভুল হলো, Subscriber কিনে নেয়া।
হ্যাঁ! বর্তমানে অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। যেখান থেকে সাবস্ক্রাইবার কিনে নেয়া যায়।
কিন্তুু আপনার জানা উচিত যে, টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া Subscriber গুলো আপনার কোনো কাজে আসবে না। মূলত এগুলো Dead সাবস্ক্রাইবার।
আর যখন আপনি এইসব Wrong Way তে আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে Grow করতে চাইবেন।
তখন ইউটিউব খুব সহজেই তা ডিটেক্ট করতে পারবে৷ আর ইউটিউব যখন আপনাকে ডিটেক্ট করতে পারবে। তখন ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেলকে Freeze করে রাখবে।
তাই কখনই এসব ভুল পন্থা অবলম্বন করতে যাবেন না। যদি এমনটা করেন, তাহলে আপনাকে ইউটিউব সেক্টর থেকে ছিটকে পড়তে হবে।
শেষকথা :
দেখুন একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর জন্য আপনাকে যে টেকনিক গুলো অবলম্বন করতে হবে।
তার সবগুলোই এই আর্টিকেলে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি আপনি আজকের আলোচিত প্রত্যেকটি স্টেপ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
তবে এরপরও যদি আপনার কোনো সমস্যা হয় কিংবা কোথাও বুঝতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই ছোট্ট করে একটা Comment করবেন।