ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর সেরা ৫ টি উপায়
টেকটিউনস এর নতুন আরো একটি টিউনে স্বাগতম।
আশাকরি সকলেই অনেক ভালো আছেন।
আজকাল আমরা কম বেশি সবার অনলাইন থেকে ইনকামের এক দারুন ইচ্ছা কাজ করে।
আর সেই ইচ্ছার জোরেই আমি যদি ইনকামের সেরা উপায় ভাবি তাহলে সর্ব প্রথম আমাদের সামনে ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও কন্টেট মেকিং এর কাজটাই বিশ্বস্থ ভাবে সবার আগে উঠে আসবে।
কারন অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য এর থেকে সেরা উপায় আর হতেই পারে না।
বর্তমানে অনেকেই ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করে সফল ও হয়েছেন। কিন্তু তাদের এই সফলতার পিছনে অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে।
আপনি কি সেটা জানেন? হয়তো জানেন না। কারণ আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যই আপনার চ্যানেলে বা ভিডিওতে হাজার হাজার ভিউ আর চ্যানেলে মিলিয়ন মিলিয়ন ফলোয়ার আসলে তবেই আপনি সফল।
এছাড়াও আপনি ভিডিও কন্টেন্ট মেকিং এ প্রতিযোগিতায় থাকবেন।
ইউটিউবে কন্টেন্ট মেকিং এর উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক তরুন ই যাত্রা শুরু করে কিন্তু গন্তব্য না আসতে তার সমাপ্তি ঘটে কেনো জানেন?
কারণ কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে অফলতা। অনেক কষ্টে ভিডিও মেক করে, কিন্তু সেই ভিডিওতে কোন ভিউ নাই। চ্যানেলে কোন সাবস্ক্রাইবার নাই।
যার কারণে অল্প কিছুদিনেই হতাশ হয়ে কন্টেন্ট মেক করা ছেড়ে দেয়। ফলাফল হিসাবে সে অসফল।
এই করুন কাহিনি হাজারো তরুন ইউটিউবারদের কাছ থেকে শুনতে পারবেন, জানতে পারবেন।
তো আজকে আমি আপনাদের ইউটিউবে ভিডিও মেকিং এ সফলতা পাওয়ার সেরা ৫ টি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আশাকরি সবগুলো পদ্ধতি সঠিক ভাবে মেইনটেইন করলে আপনার চ্যানেলেও হাজার হাজার ভিউ আর হাজার হাজার সাবস্ক্রাইব থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের সফলতার মোট ৫ টি বিষয় ধাপে ধাপে আলোচনা করবো তাই ধৈয্য ধরে সম্পূর্ণ টিউন টি পড়ার চেষ্টা করবেন।
নয়তো কোন একটি বিষয় মিস হয়ে গেলে আপনার লস হবেই। তো আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন আলোচনায় যাওয়া যাক।
১. কন্টেন্ট বিষয় নির্ধারণ করা :
তো আপনার ইউটিউব চ্যানেল টির সাবস্ক্রাইব ভিউ বেশি করার জন্য আপনাকে সবার প্রথম বে বিষয় টি মানতে হবে তা হলো কন্টেন্ট এর বিষয় নির্ধারন করা।
মানে আপনি আপনার চ্যানেলে ঠিক কি বিষয় নিয়ে ভিডিও ছাড়বেন তা নির্ধারন করা।
একটি চ্যানেলে নানান রকম ভিডিও ছাড়া ঠিক নয়। এতে চ্যানেল রিচ করে যায়। মনে করুন আপনি একটি টেক বিষয়ক চ্যানেল খুললেন।
তারপর কয়েকটি টেক ভিডিও ছাড়লেন, আবার ওয়াজ ছাড়লেন, আবার টিকটক ভিডিও ছাড়লেন আরো নানান কিছু।
এতে কিন্তু আপনি আপনার চ্যানেলে টার্গেট অডিয়েন্স পাবেন না। এতে আপনার ভিডিওতে ভিউ কম হবে।
চ্যানেল রিচ বাড়বে না যার ফলে চ্যানেল সাবস্ক্রাইব হবে না চ্যানেল বড়ো হবে না। তাই চ্যানেল বড়ো করার লক্ষ থাকলে কন্টেন্ট এর বিষয় নির্ধারন করা অত্যান্ত জরুরি। এতে চ্যানেল এর রিচ অনেক অংশে বেড়ে যায়।
২. ভিডিও আপলোড সময় নির্ধারন করা :
চ্যানেল বড়ো করার সার্থে কিংবা ভিডিও ভিউ বেশি করার সার্থে ভিডিও আপলোড এর সময় নির্ধারন করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কারন আপনি ঠিক কখন ভিডিও আপলোড করবেন তা আপনার অডিয়েন্স দের আগে থেকেই জানানো ভালো।
এতে ভিডিওতে খুব কম সময়ে অনেক বেশি ভিউস পাওয়া সম্ভব। মনে করুন আপনি প্রতিদিন রাত ১০ টায় ভিডিও আপলোড করেন।
যারা আপনার সাবস্ক্রাইবার আছে কিংবা ভিউস আছে তারা সবাই জানে আপনি রাত ১০ টায় ভিডিও আপলোড করেন।
এর আগে করেন না। তাই আপনার ভিউসরা কিন্তু জানে আপনি রাত ১০ টায় ভিডিও ছাড়বেন।
তারা কিন্তু দিনে আপনার চ্যানেলে আসবে না। তারা নিয়ম করে প্রতিদিন রাত ১০ টায় আপনার চ্যানেল সার্চ করেই আপনার ভিডিও দেখবে।
কারণ তাদের বিশ্বাস আছে আপনি রাত ১০ টায় ভিডিও ছাড়েন। এজন্য আপনি ভিডিও ছাড়ার পর কয়েক মিনিটেই হাজার হাজার ভিউ পেয়ে যাবেন।
ফলে আপনার সেই ভিডিও টি খুব সহজেই ভাইরাল হয়ে যাবে। যার ফলে আপনি খুব অল্প সময়েই অনেক বেশি সাবস্ক্রাইবার পাবেন।
৩. ভিডিওতে ডিটেইলস আলোচনা করা :
আপনি যে বিষয়েই ভিডিও বানান না কেনো, সবসময় চেষ্টা করবেন আপনি যতোটা পারেন ভিডিওতে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবেন।
অবশ্যই সেগুলো জরুরি কথা হলে বলবেন। অযথা বেশি কথা বলে ভিডিও টাইম বেশি করার চিন্তা মোটেও করবেন না।
এতে আপনার ভিউসদের আপনার প্রতি একটা নেগেটিভ মনোভাব চলে আসবে। যার ফলে আস্তে আস্তে আপনার অডিয়েন্স কমতে থাকবে।
তাই যতোটা সম্ভব কাজের কথা বলার চেষ্টা করবেন। আর অবশ্যই সত্য ভিডিও বানানোর চেষ্টা করবেন। নিজের উদ্দেশ্য হাসিল এর জন্য কখনো ভিডিও বানাবেন না।
নিজের অডিয়েন্স দের ভালোর দিক খেয়াল করেই ভিডিও বানাবেন। ভূয়া ভিডিও বানানো থেকে দূরে থাকবেন।
এতে আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার ও ভিউস দুটোই কমতে থাকবে। তাই সাবধান।
৪. ভিউসদের টিউমেন্ট রিপেলে করা :
আপনি যদি একজন সেরা, সফল, আর সবার প্রিয় ইউটিউবার হতে চান তাহলে আপনার ভিউস দের টিউমেন্ট রিপেলে করা সেরা একটি উপায় হতে পারে।
মনে করুন আপনার কোন একটি ভিডিওতে আপনার ভিউস ১ টি টিউমেন্ট করলো আপনি সেখানে সুন্দর আরো একটি রিপেলে দিলেন তাহলে সর্বোমোট টিউমেন্ট হলো ২ টি এইভাবে আপনি যদি ৫০ টি টিউমেন্ট রিপেলে করেন তাহলে মোট টিউমেন্ট হলো ১০০ টি।
আর ভিডিওতে টিউমেন্ট সংখ্যা বাড়লে আমরা জানি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার চাঞ্চ হাজার গুনে বেড়ে যায়।
এছাড়াও আপনার প্রতি আপনার ভিউস দের একটা ভালোবাসা জন্মে। ফলে আপনার চ্যানেল দিন দিন গ্রো হতে থাকবে।
তাই বলা যায় চ্যানেল গ্রো করতে ভিউসদের টিউমেন্ট রিপেলে করা কার্যকর একটি উপায়।
৫. ধৈর্য্য ধরে ভিডিও আপলোড করা :
আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হতে চান তাহলে ধৈয্য ধরে ভিডিও আপলোড করার বিকল্প আর কিচ্ছু নেই।
আপনি যখন একজন নতুন ইউটিউবার হবেন তখন ভিডিও ছাড়ার সাথে সাথে আপনি মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পাবেন না।
মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ আনতে হলে আপনাকে আগে তার পিছে কঠিন পরিশ্রম দিতে হবে। যখন আপনি কঠিন পরিশ্রম দিবেন কেবল মাত্র তখনই আপনি সফল হবেন।
এবার আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে যে কিভাবে সেই পরিশ্রম দিবো?
উত্তরে আমি বলবো আপনি নিয়মিত ভিডিও ছাড়ুন। মানে আপনি যদি ১ দিন পর পর ভিডিও দেন তো নিয়মিত ১ দিন পর পর ভিডিও দিতে থাকুন।
যদি ২ দিন পর পর ভিডিও দেন তো নিয়োমিত ২ দিন পর পর নিয়োমিত ভিডিও দিতে থাকুন।
আর সব সময় ইউনিক টপিক নিয়ে ভিডিও বানানোর চেষ্টা করুন। প্রথম প্রথম হয়তো আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বা ভিডিওতে ভিউ থাকবে না কিন্তু এতে হতাশ হবেন না।
নিয়মিত কাজ চালিয়ে যান দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার চ্যানেলেও পরিবর্তন চলে আসবে।
আস্তে আস্তে সাবস্ক্রাইব ভিউ সব বেড়ে যাবে। এর মূল কারণ হলো আপনার কঠোর পরিশ্রম।
তো উপরের এই ৫ বিষয় আপনারা সঠিকভাবে মেনে চললে ৪/৫ মাসের মধ্য ইনশাআল্লাহ আপনারা আপনাদের চ্যানেলের অবশ্যই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
আপনাদের চ্যানেলে ভিউ বাড়বে সাথে সাবস্ক্রাইব ও বাড়বে। মনে রাখবেন সব কাজেই শুরুতে একটু কষ্ট হবেই।
সেটা আপনাকে মেনে নিতে হবে। এই কষ্ট মেনে নিতে পারলে তবেই আপনি সফল।
এই ছিলো আজকের টিউন ❝ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর সেরা ৫ টি উপায়। ❞
আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও কাজে আসবে।
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী কোন টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে ততোক্ষন অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।