ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করতে থাকুন

ধাপ এক (১) 

জানতে হবে ইউটিউব এর নিয়ম কানুন ।

সব ধরনের প্রতিষ্ঠান এর কিছু কিছু রুলস বা নিয়ম থাকে । ইউটিউব এর কিছু নিজস্ব রুলস বা নিয়ম আছে । 

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে হলে অবশ্যই তাদের রুলস বা নিয়ম সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।

কাজ করার আগে এই রুলস গুলো জানা থাকলে আপনি কখনো হতাশ হবেন না।

এখানে হতাশ হবেন না এই কারনে বলছি যে আপনি যে পরিশ্রম করবেন তা বিফলে যাবে না।

কারন আপনি সঠিক নিয়মের মধ্যে থেকে রুলস গুলো ফলো করে কাজ করছেন ।

আপনার কষ্ট কখনো বিফলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকল না।

আমাদের সাথে ধাকুন আমারা আপনাকে সব সিক্রেট বলে দিব । যা ফলো করতে থাকলে আপনি ইউটিউব ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সময় পাবেন না । 

ইউটিউব এর রুলস গুলো এক নজরে জেনে নিতে পড়ুনঃ-

আপনি যে ভিডিও এর মালিক না তা আপলোড করতে পারবেন না । যদিও এক্ষেত্রে আরও অনেক কিছু জানতে হবে । 

যে কোনো ধরনের বিতর্কিত ভিডিও যেমন ধর্মীয়, রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিস্বার্থে আঘাত হানতে পারে এমন কোন ভিডিও আপলোড করা যাবে না ।

আপত্তিকর ও অশ্লীল বিষয়বস্তু ইত্যাদি ধরনের ভিডিও ইউটিউব এ আপলোড করা যাবে না ।

ইউটিউবে চ্যানেল খোলার আগে ইউটিউব এর পলিসি মেনে চলা একান্ত দরকার ।

 ইউটিউব স্প্যাম, প্রতারণামূলক ভিডিও আপলোড ও অনুশীলনের অনুমতি দেয় না ।

প্রতারিত হতে পারে অথবা পারেন এমন ভিডিও  ইউটিউব এ দেয়া যাবে না ।

কমিউনিটি গাইডলাইন অবশ্যই মেনে চলতে হবে । এ ক্ষেত্রে কমিউনিটি গাইডলাইন সম্পর্কে জানতে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে ।

ভিডিও আপলোড এর ক্ষেত্রে কিডস বা কম বয়সের দের জন্য আলাদা নিয়মে আছে । এটা অবশ্যই মানতে হবে । 

 কপিরাইট আইন যথাযথ ভাবে মানতে হবে । কোন ভাবেই কপিরাইট আইন ভঙ্গ করা যাবে না । 

মনে রাখবেন কোন নিয়ম ভংগ করলেই আপনার চ্যানেল গায়েব বা হাওয়া হয়ে যাবে এক নিমিষে যা ফেরত পাবার খুব কম সম্ভাবনা থাকবে ।

ইংরেজিতে অভিজ্ঞ হলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন এক নজরে ইউটিউব পলিসি ।

ধাপ দুই (২)

আপনার ইউটিউব চ্যানেল সেটআপ করুন এবং তৈরি করুনঃ-

ইউটিউব একাউন্ট খুলতে প্রথমে যে জিনিসটা দরকার সেটা হল আপনার একটি জিমেইল থাকতে হবেই ।

অনেকেরই হয়তো পুরনো জিমেইল খোলা আছে অথবা থাকতে পারে কিন্তু আজকে আমরা একেবারে নতুন ভাবে একটি জিমেইল খুলে তা  দিয়ে ইউটিউব একাউন্ট ওপেন করবো ।

কারণ অনেক সময় দেখা যায় ওই পুরনো  জিমেইলে অনেক ঝামেলা থাকতে পারে ।

তাই কোন রিস্কে আমরা যাব না । একেবারে ফ্রেস একটি জিমেইল দ্বারা  ইউটিউব একাউন্ট খুলব ।

আপনি যদি জিমেইল খুলতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই ।

আর যদি না পারেন তবে কোন সমস্যা নেই শুধু চেষ্টা করুন অথবা আমাদের লেখা দেখে ফলো করুন হয়ে যাবে । এটা কোন ব্যাপারই না ।

প্রথমেই আমরা গুগল ক্রোম ব্রাউজারের সমস্ত হিস্ট্রি ডিলিট করে দিব কারণ আমরা চাই না এই নতুন অ্যাকাউন্ট এতে পুরনো হিস্টরি থেকে কোন কিছু লিঙ্ক হয়ে যাক । 

আপনি একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে জিমেইল খোলার জন্য এখানে থেকে সাহায্য  নিতে ক্লিক করুন সাইন আপ ।

জিমেই গুগল 

জিমেইল খোলা হয়ে গেলে অথবা আপনার কাছে জিমেইল একাউন্ট থাকলে আপনি ইউটিউব এ একাউন্ট খোলার জন্য এখানে  সাইন ইন এ ক্লিক  করুন ।

একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট একটি গুগল অ্যাকাউন্টের মতোই । ইউটিউব অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করতে হলে জিমেইল একাউন্ট দিয়েই করতে হয় ।

আপনার যদি চ্যানেল খুলতে সমস্যা হয় তাহলে এই ভিডিওটির  সাহায্য নিতে পারেন ।

একটি  জিমেইল আপনাকে জিমেইল এবং  গুগল ড্রাইভ ও  ইউটিউব এর মতো অন্যান্য গুগল পণ্যগুলিতে অ্যাক্স  দিয়ে থাকে ।

ইউটিউব চ্যানেলের উপরদিকে ডান পাশে আপনার জিমেইল একাউন্টের লোগো দেখা যাবে যেমন আপনি ছবিতে এখানে দেখতে পাচ্ছেন।

এরপর আপনাকে লোগোটির উপর ক্লিক করতে হবে তারপর ক্রিয়েটর স্টুডিও এর উপর ক্লিক করতে
হবে ।

ক্রিয়েটর স্টুডিও তে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ খুলে যাবে এখানে আপনাকে Create A Channel এর উপর ক্লিক করতে হবে ।

এইভাবে আপনি আপনার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল বানাতে পারবেন ।

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে  শিখুন । মানুষকে আপনার চ্যানেল খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য কীওয়ার্ড যুক্ত করুন।

আপনি আপনার চ্যানেল সেটিংসের কীওয়ার্ড যুক্ত করতে পারেন।

নিশ্চিত করুন যে আপনার কীওয়ার্ডগুলি আপনার আপলোডকৃত ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ 
মানানসই ।

একটি সংক্ষিপ্ত মনে রাখা সহজ এবং মনে রাখার মত নাম দিন ।এতে আপনার চ্যানেল খুঁজে পেতে সহায়তা করবে । 

নতুন চ্যানেল তৈরি করতে ডেক্সটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন।

ধাপ তিন (৩) 

কি ধরনের ভিডিও আপলোড দিবেন ?

এমন ধরনের ভিডিও বানাতে হবে যে ভিডিও গুলো মানুষ দেখার জন্য আগ্রহী থাকবে বা এই ভিডিও এর প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ থাকবে ।

বেশিরভাগ মানুষ এর মনকে জয় করতে পারে এমন ধরনের ভিডিও বানাতে পারলে আপনার সাকসেস খুব তাড়াতাড়ি আসতে বাধ্য ।

এই ব্যাপারে আপনি যদি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তবে তো কোন কথাই নেই আর যদি অভিজ্ঞ না থাকেন বা আইডিয়া না পান কোন সমস্যা নেই । আমরা আপনাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করব ।

প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে আপনি আগে নিজেকে ভাবুন আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী ।

অথবা কোন কাজটি আপনার সবচেয়ে পছন্দের এবং এই কাজটির প্রতি আপনার অনেক ভালোবাসা আছে । 

আপনি যে বিষয়ে সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞ অথবা জানেন আমাদের পরামর্শ আপনি সেই ধরনের কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেন। 

আপনি যদি ভালো রান্না-বান্না করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার উচিত রান্নাবান্না সম্পর্কিত ভিডিও বানানো ।

আপনি যদি অনলাইন ইনকামের উপর অভিজ্ঞ থাকেন তবে এর উপর টিউটরিয়াল বানাতে পারেন ।

আমরা আপনাকে বেশ কিছু আইডিয়া দেবো এই আইডিয়ার মধ্য থেকে আপনার কাছে যেগুলো ভালো মনে হবে সেগুলো নিয়ে একদম চোখ বুজে কাজ করতে পারবেন ।

আইডিয়া নং এক 

টেকনোলজি :

বর্তমান  সময়ে ইন্টারনেট অথবা ইউটিউবে মানুষ সব থেকে বেশি সার্চ করে টেকনোলজি সম্বন্ধে । এখন টেকনোলজি খুব পপুলার একটি বিষয় । 

মানুষ এই বিষয় নিয়ে খুব আগ্রহী তাই এই ধরনের ভিডিও বানালে আপনার ভিডিও অনেক মানুষ দেখবে এবং এর থেকে আপনি ভাল ইনকাম করতে পারবেন ।

আইডিয়া নং দুই

অ্যাপ রিভিউ : 

আজকাল প্রায় সবাই এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন । বেশীর ভাগ মানুষ এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর ব্যবহার জানেন।

বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার অ্যাপস  পাবেন গুগল প্লে স্টোরে । এগুলোর কাজ ও বিভিন্ন ধরনের । 

গেম থেকে শুরু করে লেখাপড়া , কমেডি , হেলথ বিষয় কি নেই এই সব অ্যাপ এ ।

আপনি প্লে স্টোরে থেকে এই সমস্ত অ্যাপসের ইন্সটল থেকে শুরু করে এর ব্যবহার বিধি এর কাজ সব বিষয় এ খুঁটি নাটি রিভিউ করে তার ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন ।

আইডিয়া নং তিন 

মোবাইল ফোন রিভিউ : 

মোবাইল ফোন রিভিউ খুব সোজা একটি কাজ ।
এই কাজ করতে তেমন কিছু লাগে না ।

এটা আপনি আপনার বাসায় বসে যে কোন সময় করে নিতে পারেন ।

এই ক্ষেত্রে কাজ করে আজ অনেকেই ইউটিউব এ সাকসেস ইউটিউবার হয়ে গেছেন। তারা খুব  ভালো টাকা ইনকাম করছেন।

আপনিও চাইলে এই কাজ টি চোখ বুজে অনায়াসে করতে পারেন। এখানে আপনাকে তেমন পরিশ্রম করতে হবে না। 

শুধু নতুন মোবাইল ফোন যেগুলো বাজারে আসবে বা আসছে সেই সমস্ত মোবাইল ফোনের রিভিউ করে আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন ।

আপনি যত ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন আপনার চ্যানেল তত লোক গ্রহন করবে । খুব তাড়াতাড়ি এই খেত্রে সাকসেস পাবেন ।

আইডিয়া নং চার

ফিশিং বা মাছ ধরার ভিডিও :

যদি আপনি গ্রামে থাকেন অথবা আপনি এই মাছ ধরার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকেন বা আপনার মাছ ধরা খুব শখ ।

 তাহলে আমরা বলবো আপনি এই মাছ ধরার ভিডিও গুলো তৈরি করতে পারেন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল এর মাধ্যমে ভিডিও করে আপনার চ্যানেলে আপলোড করে দিতে পারেন।

আপনি যত ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হতে থাকবে ।

এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্নভাবে মাছ ধরার ভিডিও সংগ্রহ করতে পারেন । আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকেও এই মাছ ধরার ভিডিও সংগ্রহ করতে পারেন।

অথবা অন্য কেহ মাছ ধরলে তার ভিডিও নিজে ধারণ করে আপলোড দিতে পারেন ।

এখানে মাছ ধরার বিভিন্ন টেকনিক ও কলাকৌশল অবলম্বনে ভিডিও তৈরী করে আপলোড দিতে
পারেন ।

 বিশ্বে মাছ ধরার চ্যানেলগুলো খুবই জনপ্রিয় । মানুষ এটা খুব আগ্রহের সাথে সব সময় দেখে থাকে । এখান থেকে খুব ভালো ইনকাম করা যায় ।

ধাপ চার (৪)

মনিটাইজেসন অন করা :

মনিটাইজেসন অন করা এর অর্থ হল ভিডিও তে এড দেখান। গুগল ভিডিও তে এড পাবলিশ করার অনুমোদন । 

আর এই এড দেখানো এর মাধ্যমে ভিডিও তে ইনকাম শুরু হবে, যত ভিউ তত ইনকাম ।   চ্যানেলে ভিডিও বৃদ্ধি এর সাথে এর ইনকাম ও বৃদ্ধি পেতে থাকে ।

চ্যানেল যত জন প্রিয়তা লাভ করবে ইনকাম ও তত বেশী হবে  । 

এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে যে এখানে সাবস্ক্রাইব ১০৪০ , যেটা পূরণ করতে দরকার ছিল ১০০০ সেটা কমপ্লিট হয়েছে । 

কিন্তু ওয়াচ টাইম দরকার ছিল ৪০০০ ঘন্টা । এখানে ওয়াচ টাইম টা পূর্ণ না হওয়ার কারণে টিক চিহ্নটা আসে নাই । 

যখনই ৪০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ হবে তখনই মনিটাইজেশন অপশন চালু করা যাবে ।

প্রাথমিকভাবে  গুগল মনিটাইজেস্ন এর খেত্রে ৩ টি নিয়ম বেধে দিয়েছে । 

০১) এক নম্বর ১০০০সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে ।

০২) দুই নম্বর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে ( সর্বশেষ ১২ মাস সময়ের মধ্যে) 

০৩) কোন কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক থাকা চলবে না ।

ধাপ পাঁচ (৫)

এডসেন্স যোগ করা :

ধাপ ছয় (৬)

টাকা হাতে পাওয়া :

হাতে টাকা পেতে হলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনার এডসেন্স একাউন্টের সাথে স্থানীয় বা লোকাল ব্যাংক এর বিবরণ যোগ করতে হবে ।

এডসেন্স একাউন্টে মিনিমাম ১০০ ডলার বা তার বেশী জমা হলে গুগল ই এফ টি এর মাধ্যমে আপনার ব্যাংক একাউন্ট এ পাঠিয়ে দেয় । 

দেশের ব্যাংক এর ডলারের বিনিময় যে অর্থ পাওয়া যাবে সেই হিসাবে আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন ।

ডলারের রেট উঠা নামার কারণে আপনার টাকার পরিমান ও উঠা-নামা করতে পারে । মনে করুন আজকে ডলারের রেট যদি হয় ৮৪ টাকা তাহলে আপনি ১০০ ডলারের বিনিময়ে পাবেন ১০০x ৮৪ = ৮৪০০ টাকা । 

এই ভাবে টাকার সহজ হিসেব করে নিতে পারেন । 

সবশেষে 

আমারা চাই আপনি ও আপনারা গুগল থেকে যত পারেন ইন কাম করুন । এটা একটা সমুদ্র ।

এখানে আপনি যত শ্রম দিবেন আপনি তত ইনকাম করতে পারবেন । শ্রম এর সাথে আপনাকে অনেক টেকনিক জানতে হবে আর এই টেকনিক জানতে আমাদের সাথে থাকুন ।

আমাদের সাথে থাকলে আপনি সফল হবেন ইনশাল্লাহ । 

অনুরোধ :

আশা করি আমাদের এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে । যদি আমরা আপনার সামান্য উপকারে আসি তবে আমাদের এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন ।

অথবা লাইক ,কমেন্ট করে আমাদের সাথে থাকুন । আমরা আরও লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *