ইন্সটাগ্রামে সফল হওয়ার টিপস :

ইন্সটাগ্রাম এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া যা খুব দ্রুত একটি টপ লেভেলের সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিনত হয়েছে।

এই সোশ্যাল মিডিয়াতে ফলোয়ারা এঙ্গেজও হয় অনেক দ্রুত।

তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইন্সটাগ্রামকে ব্যবহার না করা একটি বড় ধরনের বোকামী।

ইন্সটাগ্রামে মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে শুধু ইন্সটাগ্রামে পোষ্ট করলেই মার্কেটিং এ সফলতা পাওয়া যাবে না।

ইন্সটাগ্রামে মার্কেটিং করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বা কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

ইন্সটাগ্রামে মার্কেটিং এ সফল হওয়ার ৫ টি গুরুত্বপূর্ন পদ্ধতি নিয়ে আজ লিখব।

অবশ্যই একটি স্ট্র্যাটেজি  অবলম্বন করুনঃ

ইন্সটাগ্রামে ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুত পোষ্ট করে এবং ইচ্ছেমত যে কোন ছবি পোষ্ট করে।

কিন্তু যখন আপনি একজন মার্কেটার আপনার পণ্য মার্কেটিং করার জন্য পোষ্ট করবেন তখন অবশ্যই প্রতিটি পোষ্ট কোন স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে বা কৌশল অনুসারে পোষ্ট করবেন।

ভালো ফলাফল পেতে আপনার পোষ্টে সৃজনশীলতা রাখতে হবে।

যাতে ফলোয়ারা আপনার সৃজনশীলতা দেখে আকৃষ্ট হতে পারে।

তাহলে সেই পোষ্ট দ্রুত অন্যের কাছে পৌচ্ছে যাবে এবং এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি পাবে।

স্ট্র্যাটেজি অনেক ধরণের হতে পারে, যেমন- আপনি কি উদ্দেশে পোষ্ট করছেন, ব্রান্ডিং অথবা বিক্রয় মূল উদ্দেশ্য, কাদের জন্য পোষ্ট করছেন, প্রতিদিন কয়টা পোষ্ট হবে, কোন সময়ে পোষ্ট হবে, ছবির ডিজাইন কেমন হবে, মার্কেটিং কিভাবে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি ।

আপনার অডিয়েন্স কে জানুনঃ

ইন্সটাগ্রামের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি হল আপনার কি পোষ্ট করা উচিত।

আপনি যদি জানতে চান আপনার কি পোষ্ট করা উচিত, কি পোষ্টের মাধ্যমে আপনি বেশি বেশি লাইক শেয়ার পাবেন তাহলে সর্ব প্রথম আপনার অডিয়েন্সকে চিনুন।

দেখুন কোন ফলোয়ার গুলো বেশি এঙ্গেজ হয়, কোন কন্টেন্ট গুলোতে সবচেয়ে বেশি এঙ্গেজমেন্ট হয়েছে এবং কেন হয়েছে।

এই রকম সকল তথ্য গুলো বিশ্লেষণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন ধরনের কন্টেন্ট আপনার শেয়ার করা উচিত।

হ্যাস(#) ট্যাগ ব্যবহার করুনঃ

হ্যাস(#) ট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক মানুষকে পোষ্ট দেখানো এবং অরগানিকভাবে অডিয়েন্স বৃদ্ধি করার একটি জনপ্রিয় এবং প্রমানিত পদ্ধতি।

তাই সকল মার্কেটারই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। হ্যাসট্যাগ ব্যবহারের আগে আপনাকে কিছু জনপ্রিয় হ্যাসট্যাগ সংগ্রহ করতে হবে আপনার মার্কেট/প্রোডাক্ট/সার্ভিস সম্পর্কিত।  

হ্যাসট্যাগ খোজার ক্ষেত্রে যেকোন জনপ্রিয় হ্যাসট্যাগ ব্যবহার না করে আপনার কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করেন

সার্চের সাথে সাথে দেখতে পারবেন জনপ্রিয়তা অনুসারে হ্যাসট্যাগ গুলো। সেখান থেকে হ্যাসট্যাগ নিয়ে পোষ্টে ব্যবহার করুন।

প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণঃ

প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ করা ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন।

বিশেষ করে যখন নতুন ইন্সটাগ্রামে মার্কেটিং শুরু করবেন তখন এটা করা উচিত।

প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে যে বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে তা হলঃ

কি ধরনের ছবি বা ভিডিও প্রতিযোগিরা শেয়ার করে।

কোন হ্যাস(#) ট্যাগ ব্যবহার করে।

তারা কখন পোষ্ট করে।

তারা কাকে ফলো করে।

কিভাবে তারা তাদের ক্যাপশন তৈরি করে।

অনেকে প্রতিযোগিদের সরাসরি কপি করে যা মার্কেটিং দীর্ঘ সময়ের জন্য কোন সফলতা নিয়ে আসে না।

চেষ্টা করুন তাদের কপি না করতে। তাদের থেকে ধারনা নিয়ে নিজের মত করে স্ট্রেটেজি তৈরি করতে।

এঙ্গেজমেন্টঃ

ইন্সটাগ্রামে সফল হওয়ার সবে চেয়ে গুরুত্বপূর্ন চাবি হল এঙ্গেজ থাকা।

তাই আপনাকে বিভিন্ন ভাবে এঙ্গেজ থাকতে হবে। চেষ্টা করুন ফলোয়ারদের প্রতিটি কমেন্টে উত্তর দিতে।

উত্তর বা সাড়া দেওয়ার মাধ্যমে ফলোয়ারদের সাথে অনেক বেশি এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়।

এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে শুধু আপনার পোষ্টে উত্তর দিলে হবে না।

বিভিন্ন টার্গেটেড ফলোয়ারদের ছবিতে কমেন্ট করতে হবে, লাইক দিতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন অপ্রাসঙ্গিক কোন ছবি তে লাইক দিবেন না। তাহলে ব্রান্ড প্রচার হবে না।

এই কাজ গুলো ছোট এবং খুবই কম সময় লাগে কিন্তু এই কাজ গুলো দ্বারা অনেক এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়।

তাই এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য অবশ্যই করা উচিত। কারণ এঙ্গেজমেন্ট ছাড়া ইন্সটাগ্রাম কেন কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে সফল হওয়া সম্ভব নয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *