ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,কনটেন্ট মার্কেটিং ও ইনবাউন্ড মার্কেটিং কি ? কিভাবে এ গুলি করতে হয়
ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় মার্কেটিং প্রসেস। এই ইমেইল মার্কেটিং এর একটি অংশ হচ্ছে solo ads! ধরুন কেউ ইমেইল কালেক্ট করে।
হয়তো তার কোন ওয়েটলস্ট রিলেটেড কোন ওয়েবসাইট আছে সেখানে হাজার হাজার ইমেইল কালেক্ট করা হয়েছে। এখন সে তার সেই মেইল গুলো সেল করবে এই প্রক্রিয়াটি হচ্ছে solo ads।
এখানে ইমেইল কেনা বা সেল করা বলতে তার কালেক্ট করা ইমেইল গুলোতে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা। অর্থাৎ তার হয়তো এক লক্ষ ইমেইল রয়েছে সেই ইমেইল গুলোতে একটি নির্দিষ্ট ইমেইল সেন্ড মার্কেটিং করাই হচ্ছে মূলত solo ads.
আমরা যদি আমাদের ওয়েবসাইটের ইন্টার প্রসেস বা অ্যাপসের ইন্টার প্রসেস এর মাধ্যমে ভিজিটরদের কাছ থেকে মেইল কানেক্ট করি এবং পরবর্তীতে তাদেরকে একটা ফলো আপ ইমেইল করি সেটাই হচ্ছে মূলত ইমেইল মার্কেটিং।
ইমেল মার্কেটিং এর জন প্রিয়তার কারণগুলি হল অপেক্ষাকৃত কম খরচে এবং দ্রুত এক বিশাল সংখ্যক সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে দেওয়া যায় ৷ বিনিয়োগের সাফল্যের উপর অনেক বেশি নজর রাখা যায়৷
আর তাই অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইমেল মার্কেটিং সব থেকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় ৷
ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য ইমেল বার্তা গুলিতে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়৷ এমনকি এর উপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নেওয়া সহজ হয়৷
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং :
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন এক ধরনের কর্ম-দক্ষতাভিত্তিক মার্কেটিং প্রক্রিয়া যেখানে এক বা একাধিক মার্কেটাররা একটি নির্দিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত হয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রাহক বা ক্রেতা জোগাড় করেন।
পরবর্তীতে সেই প্রতিষ্ঠান ঐ মার্কেটারকে কিছু অর্থ প্রদান করে থাকেন এই গ্রাহক বা ক্রেতাদের উপর ভিত্তি করে। এই ধরনের মার্কেটিং ব্যবস্থায় চারটি প্রধান ভিত্তি রয়েছেঃ
ব্যবসায়ীগণ (যারা খুচরা বিক্রেতা বা ব্র্যান্ড নামেও পরিচিত),
অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক (যেখানে ব্যবসায় মালিক এবং বিপণনকারী বা অ্যাফিলিয়েটরা এসে মিলিত হয়),
প্রচারক (বিপণকারী বা মার্কেটার) ,
এবং গ্রাহক।
ইমেইল মার্কেটিং ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়েছে মুলত: মাধ্যমিক স্তরের প্রতিযোগী, বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা সংস্থা, সুপার-অ্যাফিলিয়েট এবং বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের উত্থানের ফলে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আমাদের নিজেদের কোন প্রোডাক্ট নেই অথচ আমরা অন্য কারো প্রোডাক্ট সেল করে সেখান থেকে একটা কমিশন পাই, এই কমিশন পাওয়াটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
আমাদের কাছে এটা একটা মানি মেকিং প্রসেস হতে পারে। কিন্তু যারা এটা পরিচালনা করে বা যে কোম্পানিটা প্রোডাক্টগুলো সেল করছে তাদের জন্য এটা একটা ডিজিটাল মিডিয়া। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিংও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ।
অ্যাফিলিয়েড মার্কেটিং কি? কিভাবে আফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়?
কনটেন্ট মার্কেটিং :
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় এবং কার্যকারী মার্কেটিং হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং। one of the most powerful marketing বলা হয় এই কনটেন্ট মার্কেটিং কে।
কনটেন্ট বলতে মূলত: ব্লগ পোস্ট,ইমেজ বা ভিডিও
এ গুলোকেই বুঝিয়ে থাকে। চলুন দেখে নেই জনপ্রিয় কয়েকটি কনটেন্ট মার্কেটিং।
ব্লগপোস্ট,
ইমেজ,
ভিডিও,
ইনফোগ্রাফিক্স।
ব্লগপোস্ট:
ব্লগপোষ্ট হয়তো আমরা সকলেই বুঝি। আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের যে পোস্টগুলো দেখি থাকি সেগুলো হচ্ছে ব্লগপোস্ট।
এমনকি আপনারা যে এই পোস্টটি পড়তেছেন এটিও কিন্তু একটি ব্লগ পোষ্ট। এছাড়াও গেস্ট হিসেবে নিজের ওয়েবসাইট ছাড়াও অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোতে পোস্ট করে মার্কেটিং করাটাই হচ্ছে ব্লগপোস্ট।
ইমেজ:
সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে যে সব ইমেজ ব্যাবহার করতে দেখি বা আমরাই নিজেরা বিভিন্ন পোস্ট করার জন্য যে ইমেজ গুলো কালেক্ট করি বা ব্যবহার করে থাকি সেগুলোই হচ্ছে ইমেজ কন্টাক্ট ।
ভিডিও:
ভিডিও কন্টাক্ট মারকেটিং হচ্ছে ইউটিউবের জন্য
বা অন্যান্য ভিডিও শেয়ারিং সাইট গুলোর জন্য যে ভিডিও গুলো আমরা বানাই সেটাই হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং।
প্রত্যেকটা জিনিস এরি তো একটা কারণ থাকে হয়তো আমরা ভিডিও ক্রিয়েট করছি ভিজিটর কালেক্ট করার জন্য বা কোন প্রোডাক্ট সেল করার জন্য।সে ক্ষেত্রে এই ভিডিওটাই হচ্ছে একটা কনটেন্ট।
ইনফোগ্রাফিক্স:
ইনফোগ্রাফিক্স হচ্ছে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং :
সহজ ভাবে ইনবাউন্ড মার্কেটিং হ’ল সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনার কোম্পানি খুঁজে পেতে সহায়তা করার প্রক্রিয়া।
গ্রাহক কোনো পণ্য ক্রয় করার আগে এটি প্রায়শই ঘটে যে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করা ব্র্যান্ডের পছন্দের পণ্য এবং প্রোডাক্টের ডেলিভারি হওয়ার পর অনেক সময় দেখা যায় যে তিনি যেই পণ্যটি পছন্দ করেছেন সেই পণ্যটি তিনি পাননি।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এমন একটি কৌশল যা সেই ক্রেতাদের সচেতনতা তৈরি করতে এবং কোম্পানির নতুন পন্যের উপর আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরণের পুল মার্কেটিং — সামগ্রী মার্কেটিং, ব্লগ, ইভেন্টস, এসইও, সামাজিক মিডিয়া এবং আরও অনেকগুলি মাধ্যম ব্যবহার করে।
অথবা ক্রেতাদের পছন্দের পণ্যের মান ঠিক রাখতে কাজ করে থাকে।
বহির্মুখী মার্কেটিং গ্রাহকদের সন্ধান করার ক্ষেত্রে, ইনবাউন্ড মার্কেটিং দৃশ্যমানতার দিকে মনোনিবেশ করে, ফলে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতারা আপনার কাছে আসে।
এর পাশাপাশি ক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধি, তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং নেতৃত্ব তৈরির দিকে মনোনিবেশ করার জন্য ইনবাউন্ড মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অনলাইন প্রেস রিলিজ :
অনলাইন প্রেস রিলিজ আপনার ব্যবসাকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, লিঙ্ক বিল্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট কৌশল হিসাবে বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশলগুলির মাধ্যমে প্রচার করতে পারে।
অনলাইনে প্রেস রিলিজ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়ের প্রচার প্রচারণা করার অনেক উপকারীতা রয়েছে।
অনলাইন প্রেস রিলিজ ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত এবং আপনার ব্যবসা থেকে প্রকাশিত তথ্য গুলোর প্রতি বিশ্বাসযোগ্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে ( এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কখনই ভুল তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়)।
আপনার প্রেস রিলিজগুলি অন্যান্য অনলাইন নিবন্ধের বিষয়ের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আপনার প্রেস রিলিজ মিডিয়া আউটলেটগুলি যে উপাদানগুলি তুলে নেয় তা উদ্ধৃত করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
অনলাইন রিলিজ ব্লগার বা সোশ্যাল মিডিয়া উৎসাহীদের লিঙ্ক করার জন্য কাজ করতে পারে।
এটি কেবল অনলাইনে আপনার ব্র্যান্ডের বা পন্যের জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নির্ভরযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করবে না।
বরং অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলি (ব্লগ, নিউজ সাইট, শিল্প সাংবাদিক, ইত্যাদি) যখন তথ্যটি গ্রহণ করে এবং আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, বা প্রেস রিলিজের সাথে এটি লিঙ্ক তৈরি করে, যা আপনার পণ্য বা সংস্থাকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই লিঙ্ক তৈরির ফলে আরও বেশি লোক আপনার ব্যবসার সম্পর্ক গড়ার সুযোগ পাওয়ায় সম্ভাবনা বাড়ছে।
আপনার লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের প্রচেষ্টাগুলি প্রতিবার নতুন সাইটের লিঙ্ক আপনার পন্য এগুলোকে জনপ্রিয় করতে সহায়তা করেছে।
আপনার প্রেস রিলিজটি বড় ফোরাম এবং রেডডিট বা ডিগের মতো তথ্য সাইটে পোস্ট করা যেতে পারে বা ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক মিডিয়া সাইটগুলির মাধ্যমে ভাইরাল হতে পারে এই অনলাইন প্রেস রিলিজ এর মাধ্যমে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা :
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা অনেকটাই বুঝতে পেরেছি যে Digital Markeating সুযোগ সুবিধা কি?
তার পর কিছু উদাহারন তুলে ধরলাম। Digital Marketign এর সুবিধা সমূহ নীচে আলোচনা করা হল:
০১। Digital Marketing এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বাবসা পরিচালনা করা যায়।
০২। মার্কেট রিসার্চ করে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা যায়।
০৩। ঘরে বসেই কাস্টমারের কাছে পণ্য সম্পর্কে জানানো যায়।
০৪। টার্গেট কাস্টমার বের করা যায় এবং প্রোডাক্ট সেল করা যায়।
০৫। অল্প খরচে পণ্যর মার্কেটিং করা যায়।
০৬। ব্যবসার গতিবিধি খুব সহজে বুঝা যায়।
০৭। কম খরচে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
০৮। জন শক্তি কম লাগে। Digital Markeging এর মাধ্যমে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায় এবং ব্যবসায়িক সফলতা পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ের উপর ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব কেমন?
আপনি একটু ভেবে দেখুন তো, আপনি যে Traditional Markeing ( প্রচলিত মার্কেটিং)
যেমনঃ পোস্টার/ব্যানার/লিফলেট/বিলবোর্ড/মাইকিং/টিভি বা রেডিও বিজ্ঞাপন/পত্রিকা বিজ্ঞাপন/দেয়াল লিখন/অফিস ভিজিট ইত্যাদি করছেন এতে কি, আপনি টার্গেট কাস্টমার পাছেন?
অথবা কতটা সময় এবং অর্থ বাঁচাতে পারছেন।লোকবল কতটা কমে এই প্রচলিত মার্কেটিং করতে পারছেন।মোটেই হচ্ছে না, এই প্রচলিত মার্কেটিং এ যেমন খরচ বেশি তেমনি জনশক্তি বেশি লাগে।
ধরুন, আপনি শুধুমাত্র ছেলেদের পণ্য বিক্রি করবেন এবং ২০-২৮ বছর এর বয়সীদের জন্য অথবা একটা রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন উত্তরাতে আপনি মার্কেটিং করেতে চান শুধু উত্তরা এলাকায় সেক্ষেত্রে আপনি Traditional Marketing ( প্রচলিত মার্কেটিং) কতটা সেল করতে পারবেন।
Traditional Marketing পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন এর খরচ অনেক বেশি এবং সব ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এখানে বিজ্ঞাপন দেয়া সম্ভব নয়।
সুতরাং আপনি বুঝতেই পারছেন, প্রচলিত মার্কেটিং এর সমস্যাগুলো কতটুকু। কিন্তু Digital Marketing পদ্ধতিতে, আপনি অনলাইন এ E-Shop খুলতে পারবেন, টার্গেট করে Advertising করতে পারবেন।
দেশের যে কোন প্রান্তের মানুষকে টার্গেট করে পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। Customar Data Collect করতে পারবেন পরবর্তীতে, নতুন নতুন অফারগুলো খুব সহজেই তাদের কাছে ফ্রী Advertising করতে পারবেন।
বর্তমানে ইন্টারনেট সেবা ও স্মার্ট ফোন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়ুয়ে পড়েছে, মানুষ টিভি এখন কমই দেখে, আমার কথাই বলি লাস্ট কবে আমি টেলিভিশন দেখেছি বলতে পারব না তবে ইন্টারনেট তথা Social Media তে দিনে নাও হলে ৩ থেকে ৫ ঘন্টা থাকতে হয়।
দেয়াল লিখন বর্তমান যুগে সেকেলের এটা কম মানুষই দেখে তার উপর দেখা যায় To-Let লাগান। লিফলেট এর কথা যদি বলেন তাহলে দেখবেন হাতে নিয়েই ফেলে দেয়।
সে ক্ষেত্রে একজন মার্কেটার হিসেবে অথবা ব্যবসায় প্রসারের জন্য, আপনাকে অবশ্যই Digital Marketing পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার হিসেবে কেমন :
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা প্রাইভেট কোম্পানি তাদের পণ্য এবং সার্ভিসের প্রচার প্রসারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন্স করে আসতেছে।
এই মার্কেটিং ক্যাম্পেইন্স গুলোর জন্য কোম্পানি- গুলো লক্ষ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। আর এই ক্যাম্পেইন গুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য কোম্পানিগুলোর দরকার হয় প্রচুর পরিমাণে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারের।
বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটা প্রাইভেট কোম্পানির একটি ডিজিটাল মার্কেটিং টিম রয়েছে। এখানে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্কিল গুলো বিল্ডআপ করে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে কাজ করতে পারেন,নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন । এমনকি খুব ভালো পরিমাণের সেলারি দিয়ে কাজ করতে পারেন।
কেননা বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর। আপনি যদি BDJOBS এ গিয়ে সার্চ দেন তাহলে দেখবেন যে 50 টি ক্যাটাগরির মধ্যে প্রায় 20 থেকে 25 টি ক্যাটাগরিতেই ডিজিটাল মার্কেটারদের খুজতেছে। বুঝতে পারতেছেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে।
এটাতো বাংলাদেশের ভিতরে। আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটিং হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ রয়েছে। এখানে নিয়মিত বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটাররা কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করছে। কেউ আর চাকরির পিছনে ছুটছে না।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রচুর ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছে যারা নিজেদেরই ডিজিটাল মার্কেটিং এর এজেন্সি খুলেছে এবং অন্যান্য প্রাইভেট কোম্পানির মার্কেটিং করে দিচ্ছে।
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার খুবই ভালো এবং কার্যকারী একটি ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে।
আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং কি ডিজিটাল মার্কেটিং রিলেটেড আরও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টস এ জানাবেন। আর যদি কথা বুঝতে সমস্যা হয় তাহলেও কমেন্ট করবেন।
আর যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য।