একটি ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করা যায় ?
এখানে আমি আপনাদের এমন ১৪ টি উপায় এর বিষয়ে বলবো, যে গুলোর ব্যবহার করলে নিজের ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করাটা সম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
তবে মনে রাখবেন, Website থেকে টাকা আয় করার এই প্রত্যেকটি উপায় গুলো কাজ করতে কিছুটা সময় অবশ্যই নিয়ে থাকে।
তাই, ধৈর্য্য ধরে এবং মন দিয়ে কাজ করতে হবে। সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে, আপনি এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে প্রচুর ইনকাম অবশ্যই করতে পারবেন।
নিজের একটি website তৈরি করে নেওয়ার পর, যখন ওয়েবসাইটে ভালো পরিমানে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসা শুরু হবে।
তখন নিচে দেওয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
চলুন, আমরা নিচে প্রত্যেকটি প্রক্রিয়া ও উপায় জেনেনেই।
ওয়েবসাইটে ফ্রি ট্রাফিক কিভাবে আনবেন ?
০১. Affiliate marketing
যখন আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এবং যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর visitors বা traffic প্রত্যেক দিন আসতে থাকবে।
তখন আপনি “এফিলিয়েট মার্কেটিং” এর দ্বারা নিজের website থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এই মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন digital products company বা e-commerce ওয়েবসাইট গুলোর সাথে সংযুক্ত হয়ে তাদের পণ্য ও সেবা গুলোকে নিজের ওয়েবসাইটে প্রচার বা মার্কেটিং করতে পারবেন।
কোম্পানি গুলোর products বা services প্রচার করার জন্য, আপনাকে কিছু বিশেষ link দেওয়া হবে যে গুলোকে বলা হয় “affiliate links“.
যখন আপনার website থেকে visitors রা প্রচার করা সেই affiliate link গুলোর মাধ্যমে কোনো products বা service কিনে নিবেন “ তখন আপনাকে কিছু commission দেওয়া হবে“।
আর এভাবেই, আপনি নিজের ওয়েবসাইটে অসংখ্য products এবং services গুলোকে প্রচার করে সেগুলোকে বিক্রি করাতে পারবেন।
প্রত্যেক বিক্রির বিপরীতে আপনি আয় করবেন “commission income”. এমনিতে, website বানিয়ে টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়া গুলোর মধ্যে “affiliate marketing” সব থেকে সেরা।
তবে, এই মাধ্যমে অধিক কমিশন ইনকাম করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে অধিক traffic/ views অবশ্যই থাকতে হবে।
ইন্টারনেটে সক্রিয় যে কোনো paid বা premium service গুলোর affiliate program অবশই রয়েছে।
তাই আপনি বিভিন্ন digital products যেমন,
Domain
Web Hosting
e-book
WordPress themes
e-Commerce products
ইত্যাদি আরো হাজার রকমের products এর affiliate links নিজের ওয়েবসাইটে দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
Affiliate marketing এর মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনারা নিচে দেওয়া affiliate programs গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
Commission Junction
ShareASale
Amazon Associates
Click Bank
০২. ওয়েবসাইটে Google adsense বিজ্ঞাপন দেখিয়ে :
ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে “গুগল এডসেন্স” সব থেকে সহজ তবে লাভজনক উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়ে এসেছে।
যখন আপনার ওয়েবসাইটে কিছু পরিমানে traffic আসা শুরু হবে, তখন, Google AdSense এর জন্য register করে apply করতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইট যদি গুগল এডসেন্স এর দ্বারা approve করে দেওয়া হয়, তাহলে আপনি AdSense এর বিজ্ঞাপন গুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইটে দেখানো এডসেন্স বিজ্ঞাপন গুলো যখন website visitors দের দ্বারা ক্লিক করা হবে তখন আপনি সেই প্রত্যেক বিজ্ঞাপন ক্লিক এর জন্য কিছু টাকা পাবেন।
এভাবেই, এডসেন্সের দ্বারা দেখানো প্রত্যেক বিজ্ঞাপনে যত বেশি ক্লিক হবে ততটাই বেশি ইনকাম আপনি করতে পারবেন।
এমনিতে, Google AdSense যে কোনো ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে টাকা আয় করার সবচেয়ে প্রথম এবং প্রিয় মাধ্যম।
কিভাবে দ্রুত গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাবেন ?
মনে রাখবেন, গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে একটি ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যেক মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।
অনেক ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের মালিকেরা আয় করছেন।
কিন্তু, এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যাবে, সেটা বিভিন্ন আলাদা আলাদা বিষয়ের ওপর হয়ে থাকে।
যেমন, প্রত্যেক ad click এর বিপরীতে আপনাকে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে (CPC), আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কোন দেশ থেকে আসছে ইত্যাদি।
০৩. Ad space sell করুন :
উপরে আমি আপনাদের বললাম যে, গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করাটা অনেক সহজ ও লাভজনক উপায়।
তবে অনেক সময়, AdSense এর তরফ থেকে approval পেতে অনেক ঝামেলা হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে approval পাওয়ার জন্য বছর কে বছর অপেক্ষা করতে লাগতে পারে।
এই ক্ষেত্রে, Google AdSense ছাড়াও আপনারা directly নিজেদের ওয়েবসাইটের কিছু অংশতে অন্যান্য বিভিন্ন কোম্পানি গুলোর বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন।
মানে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কিছু অংশ বিভিন্ন company গুলোকে ভাড়াতে (rent) দিতে পারবেন।
ভাড়াতে নেওয়া আপনার ওয়েবসাইটের অংশ গুলোতে company গুলো তাদের হিসেবে বিজ্ঞাপন (ads) দেখাবে। এই ধরণের বিজ্ঞাপন গুলোকে বলা হয় “sponsored ads”.
এই ধরণের sponsored ads গুলোর ক্ষেত্রে আপনি ভালো পরিমানের টাকা company গুলোর থেকে নিতে পারবেন।
যতটা বেশি traffic বা visitors আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে, ততটাই বেশি টাকার চাহিদা আপনি রাখতে পারবেন।
আপনি, “buysellads.com” ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্যদের জানিয়ে দিতে পারবেন যে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কিছু অংশ ভাড়া দিতে বা বিক্রি করতে চাইছেন।
০৪. Direct sponsored articles
এরকম অনেক ওয়েবসাইট আমি দেখেছি যেগুলোতে কোনো ধরণের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়না।
তাহলে সেই ওয়েবসাইট গুলো ইনকাম করে কিভাবে ?
এর উত্তর হলো, direct sponsored articles বা posts publish করে।
এ ক্ষেত্রে, company গুলো কিছু websites বা blogs গুলোকে তাদের products এবং services এর সাথে জড়িত আর্টিকেল লিখার জন্য বলেন।
তারপর ওয়েবসাইট গুলোতে কোম্পানির products গুলোর বিষয়ে তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখা হয়।
আর এই আর্টিকেল গুলো লিখার বিপরীতে, ওয়েবসাইটের মালিকেরা ভালো পরিমানের টাকা কোম্পানি গুলোর থেকে আদায় করে নিতে পারেন।
এই প্রক্রিয়াটিকেই বলা হয় direct sponsored articles বা sponsorship.
০৫. Paid reviews করে আয় :
Direct sponsored articles এর মতোই paid reviews এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট থেকে ভালো পরিমানে ইনকাম করাটা সম্ভব।
নানান কোম্পানি গুলোর বিভিন্ন products এবং services গুলোর বিষয়ে নিজের ওয়েবসাইটে reviews লিখুন।
এবং, কোম্পানি গুলোর সাথে সংযুক্ত হয়ে তাদের থেকে প্রত্যেক paid reviews এর বিপরীতে টাকা আদায় করে নিতে পারবেন।
ইন্টারনেটে এরকম অনেক website রয়েছে যেখানে গিয়ে আপনারা paid reviews এর কাজ অবশ্যই পাবেন।
০৬. ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন :
যদি আপনি WordPress ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট / ব্লগ তৈরি করতে পারেন
তাহলে নিজের তৈরি করা ওয়েবসাইট গুলো বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন।
যেমন, বর্তমান সময়ে প্রত্যেক কোম্পানি গুলোর একটি portfolio website এর প্রয়োজন।
তাই, আপনি বিভিন্ন company গুলোর সাথে সংযুক্ত হয়ে তাদের জন্য portfolio website বা brand website তৈরি করতে পারবেন।
তাছাড়া, আপনারা flippa ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে নিজের তৈরি করা ওয়েবসাইট গুলোকে সোজা ভাবে বিক্রি করতে পারবেন।
০৭. e-book বিক্রি করে ইনকাম করুন
বর্তমান সময়ে e-book এর প্রচলন অনেক বেশি। আর তাই, নিজের ওয়েবসাইটে e-book বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হলো, কোথায় পাবেন e-book গুলো ? আপনি নিজেই কিছু আর্টিকেল গুলোকে e-book বানিয়ে তারপর সেগুলো নিজের ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারবেন।
তবে হে, যে কোনো সাধারণ e-book লোকেরা কিনবেননা।
তাই, নিজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং দক্ষতার ব্যবহার করে, একটি ভালো বিষয়ে e-book তৈরি করতে হবে।
তাহলেই, e-book গুলো বিক্রি হওয়ার সুযোগ থাকবে।
০৮. Online courses বিক্রি করুন :
নিজের একটি Online Course Website তৈরি করে সেখানে video courses এবং e-book courses বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে courses তৈরি করে নিজের ওয়েবসাইটে সেই course গুলো upload করতে পারবেন।
এবং, নিজের অনুভব, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মাধ্যমে তৈরি করা কোর্স গুলোকে premium charge এর বিপরীতে বিক্রি করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে, online courses এর চাহিদা কিন্তু প্রচুর।
আর তাই, একটি online course website তৈরি করে কিন্তু অধিক টাকা আয় করা যেতে পারে।
ধরুন আপনি ওয়েব ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রে একজন এক্সপার্ট।
এই ক্ষেত্রে, আপনি সম্পূর্ণ web designing এর video course তৈরি করে নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেগুলোর premium access দিতে পারবেন।
এবং, যদি আপনার সম্পূর্ণ web designing course এর মূল্য মাত্র ৩০০ টাকা থাকে, তাহলে ৩০০ জন সেই কোর্স গ্রহণ করলেও ৩০০*৩০০ = ৯০,০০০ টাকা ইনকাম আপনার হচ্ছে।
তাছাড়া, কেবল একবার তৈরি করা ভিডিও কোর্স গুলোর মাধ্যমেই বার বার নতুন নতুন students এর মাধ্যমে ইনকাম হতেই থাকবে।
তাই, একটি অনলাইন কোর্স ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে আয় করার সম্ভাবনা প্রচুর থাকছে।
০৯. e-Commerce website শুরু করুন :
বর্তমান সময়ে, অনলাইনে বেচা কেনা করার প্রচলন প্রুচুর এগিয়ে রয়েছে।
তাই, আপনিও এই সুযোগের লাভ অবশ্যই নিয়ে নিতে পারেন।
যদি আপনি একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা আরম্ভ করতে চান ,
তাহলে “e-commerce business” শুরু করতে পারবেন।
আপনি যে কোনো একটি বা একাধিক products নিয়ে একটি online shopping website চালু করতে পারবেন।
এবং, যখন আপনার shopping website এর বিষয়ে লোকেরা জানতে পারবেন,
তখন আপনি আপনার shopping website এর মাধ্যমে প্রচুর products বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
১০. Affiliate website তৈরি করুন :
আমি উপরে আপনাদের বলেছি যে, “affiliate marketing” হলো একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার সব থেকে লাভজনক উপায়।
তাই, একটি specific affiliate website তৈরি করে এই মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
যেমন ধরুন,
আপনি “domain & hosting” এর বিষয়ে একটি website তৈরি করেছেন।
এখন যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটে আসা traffic ও visitors গুলো স্পষ্টতই domain & hosting কেনা কাটা নিয়ে রুচি রাখছেন।
এক্ষেত্রে, আপনি domain এবং hosting এর সাথে জড়িত বিভিন্ন কোম্পানি / ওয়েবসাইট গুলোর সাথে সংযুক্ত হয়ে তাদের products & services গুলোকে নিজের ওয়েবসাইটের ভিসিটর্স দের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
এবং এভাবেই, যে কোনো বিশেষ product & services এর সাথে জড়িত একটি website তৈরি করে সেই products গুলোকে affiliate এর মাধ্যমে বিক্রি করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
আর এরকম অনেক ধরণের affiliate website যেমন,
Amazon affiliate website,
WordPress theme affiliate website,
WordPress plugin affiliate website,
Travel agency affiliate website,
e-Commerce affiliate website,
ইত্যাদি তৈরি করে affiliate marketing করে ইনকাম করতে পারবেন।
১১. Graphic & image selling website
যদি আপনার photography বা graphic design নিয়ে অভিজ্ঞতা, অনুভব এবং রুচি থাকে , তাহলে একটি graphic & image selling website তৈরি করতে পারবেন।
আপনি নিজের camera ব্যবহার করে প্রচুর ছবি তুলতে পারবেন এবং সে গুলোকে নিজের ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারবেন।
এই ধরণের ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট গুলোকে বলা হয় “স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট“. এবং, WordPress এর মাধ্যমে অনেক সহজেই এই ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।
ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করুন :
তাছাড়া, আপনি চাইলে একটি logo & graphic designing website তৈরি করতে পারবেন।
কিছু টাকা নিয়ে company এবং business গুলোর জন্য logo এবং graphic design করতে পারবেন।
১২. Sell services online
আপনি নিজের একটি online service website তৈরি করে সেখান থেকে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন, services বলতে যে কোনো ধরণের সেবা হতে পারে। যেমন, কাজ করার লোকের জোগাড় করে দেওয়ার সেবা, electrician বা plumber জোগাড় করার সেবা, online booking services, car booking services, food ordering services, second hand products selling service ইত্যাদি।
আপনি প্রথমে ভালো করে সার্ভে করে দেখতে হবে যে, “কোন ধরণের সেবার (services) চাহিদা প্রচুর কিন্তু সহজেই সেই সেবা গুলো হাতের কাছে পাওয়া যায়না”।
সেই হিসেবেই লাভ এবং চাহিদা দেখে একটি online services website তৈরি করতে হবে।
বর্তমান সময়ে, uber, swiggy, ola, jugnoo, cardekho.com ইত্যাদি আলাদা আলাদা ধরণের services প্রদান করেন এবং এই online services platform গুলো প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৩. Sell your website traffic
যদি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর traffic ও visitors চলে আসে , তাহলে অন্যান্য ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুলোকে নিজের ওয়েবসাইট থেকে visitors পাঠিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
এ রকম অনেক website বা blog site রয়েছে, যারা কিছু ভিসিটর্স পাওয়ার জন্য অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলোকে টাকা দেন।
টাকা দেওয়ার বিপরীতে, ওয়েবসাইট গুলো থেকে কিছু ট্রাফিক নিয়ে নেন।
তাই, আপনিও এরকম ০৪ থেকে ০৫ টি ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর সাথে সংযুক্ত হয়ে টাকার বিনিময়ে তাদেরকে নিজের ওয়েবসাইট থেকে ভিসিটর্স দিয়ে আয় করতে পারবেন।
১৪. Donations
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে donation বা please donate button ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন।
আসলে, যখন আপনার ওয়েবসাইটের content বা service লোকেদের পছন্দ হবে, তখন ওয়েবসাইট ভিসিটর্সরা চাইলে এই donate button ব্যবহার করে, নিজের ইচ্ছে হিসেবে আপনাকে কিছু টাকা দিয়ে দিতে পারবেন।
এবং এভাবেই, donation button এর মাধমেও নিজের website থেকে টাকা আয় করা সম্ভব।
ওয়েবসাইট বানাতে কি কি লাগে ?
একটি ওয়েবসাইট বানাতে আপনার বিশেষ করে প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন, ওয়েব হোস্টিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর।
আপনি অনেক সহজেই GoDaddy বা এই ধরণের সাইট থেকে সর্বনিম্ন চার্জ দিয়ে একটি ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিং কিনে নিতে পারবেন।
ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ?
একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে অনেক তাড়াতাড়ি ও সহজ ভাবে টাকা ইনকাম করার উপায় হলো, নিজের ওয়েবসাইটে “Google AdSense” বিজ্ঞাপন দেখানো এবং বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করা।
ওয়েবসাইট খুলতে কত টাকা লাগে ?
একটি ওয়েবসাইট বানাতে শুরুতে প্রায় ১০০০ টাকা খরচ করলেই কাজ হয়ে যাবে।
তবে, ইনকাম বাড়ার সাথে সাথে কিছু প্রিমিয়াম সার্ভিস গুলো আপনাকে নিতে হবে যেগুলির জন্যে বছরে ৩ থেকে ৭ হাজার খরচ হবে।
তবে, চাইলে কেবল ৫০০-১০০০ টাকা মাসে মাসে ওয়েব হোস্টিং এর জন্যে খরচ করে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি যে, একটি ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করা যায় তার ১৪ টি উপায় ও প্রক্রিয়া গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করার এমনিতে আরো অনেক উপায় গুলো অবশ্যই রয়েছে।
তবে আমরা কেবল সেই উপায় গুলোর বিষয়ে বললাম যেগুলো ব্যবহার করে সহজে ও অনেক তাড়াতাড়ি ইনকাম করা সম্ভব।