একটি ফ্রি ব্লগ থেকে আয় কিভাবে করবেন?

কিভাবে ব্লগারে একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করতে হয় এ বিষয়ে উপরে আপনাদের ভালোভাবে দেখিয়ে দিয়েছি।

এখন ফ্রিতে ব্লগ তৈরি করার পর টাকা আয় কিভাবে করবেন এ বিষয়ে আপনার জেনে নেওয়া খুবই জরুরি।

আমি আগেই আপনাদের বলেছি যে, একটি অনলাইন ব্লগ থেকে ঘরে বসে টাকা আয় করা যায়।

আর ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার জন্য আপনি ফ্রি ব্লগ তৈরি করছেন নাকি পেইড ব্লগ তৈরি করছেন সেটা কোন বিষয় নয়।

তবে আপনি যদি ফ্রি অথবা পেইড ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে চান, তাহলে আপনাকে আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই জানতে হবে।

একটি ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য নিচের বিষয়গুলোর উপর অধিক গুরুত্ব দিন।

SEO Friendly কনটেন্ট লেখা শুরু করুন।

যদি আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভালো পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর্স পেতে হবে।

যত বেশি ট্রাফিক আপনার ব্লগে আসবে, আপনার দেখানো advertisements গুলোতে তত বেশি ক্লিক পড়বে, এতে এডসেন্স একাউন্টে আপনার ইনকামও বেড়ে যাবে।

কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত, যদি আপনি ব্লগিং সেক্টরে একদম নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে google search থেকে আপনার ব্লগে ট্রাফিক পাওয়াটা আপনার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

এ জন্য আপনাকে SEO বা Search Engine Optimization এর সাথে জড়িত সকল বিষয়গুলো নিজে নিজে শিখতে হবে এবং ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য সেই নতুন নতুন SEO strategy বা technique গুলো আপনার ব্লগে প্রয়োগ করতে হবে।

নিচে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য কিছু সহজ টিপস দেওয়া হলো, যেগুলো আপনার ফ্রি ব্লগে ট্রাফিক বাড়াতে অধিকতর সাহায্য করবে।

✔ Internal linking এর ওপর অধিক গুরুত্ব দিন। এর মানে হলো, যখন আপনি নতুন একটি ব্লগ পোস্ট লিখবেন, তখন সেই পোস্টে আগের লেখা পোস্টগুলোর link যুক্ত করবেন।

এতে আপনার ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তাড়াতাড়ি প্রাধান্য পাবে।

✔ আপনার ব্লগ পোস্টের টাইটেল 70 characters এর বেশি লম্বা করবেন না।

কেননা বেশি বড় টাইটেল এসইও ফ্রেন্ডলি হিসেবে গণ্য হয়না এবং গুগল সার্চে show হয়না। তাই পোস্ট এর টাইটেল ছোট রাখার চেষ্টা করুন।

✔ সব সময় পাঠককে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখুন। তারপর আর্টিকেলকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য optimize করুন।

Targeted keyword আর্টিকেলে বারবার ব্যবহার করবেন না।

এটাকে keyword stuffing বলা হয়। এর জন্য গুগল আপনার ব্লগকে penalty দিতে পারে।

✔ আপনার ব্লগের loading speed ফাস্ট রাখার চেষ্টা করুন।

কেননা, গুগল একটি slow loading ব্লগের চেয়ে fast loading ব্লগকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং লোডিং স্পিড ফাস্ট থাকা ব্লগগুলোকে সার্চ রেজাল্টে সবার উপরে rank দিয়ে থাকে।

একটি নির্দিষ্ট ব্লগিং নিশ সিলেক্ট করুন।

ব্লগিং নিশ (blogging niche) মানে হলো, আপনি যে বিষয়ের ওপর আপনার ব্লগে লেখালেখি করবেন, সেই বিষয়টি আগে বাছাই করে নিতে হবে।

আপনি যে কোনো বিষয়ের ওপর ব্লগিং করতে পারেন।

যে বিষয়ে আপনার ভালো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে, সে বিষয়টিকে আপনি ব্লগের নিশ হিসেবে সিলেক্ট করতে পারেন।

বিভিন্ন বিষয়ে আপনি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। যেমন: fashion blog, real estate blog, book blog, food blog, sport blog, technology blog ইত্যাদি।

অর্থাৎ আপনি যেই বিষয়ে expert, সেটাকে আপনার ব্লগের main topic হিসেবে select করতে পারেন এবং সেই টপিকের সাথে related আর্টিকেলগুলো আপনার ব্লগে publish করতে পারেন।

আপনি চাইলে একটি ব্লগে একাধিক বিষয় নিয়েও আর্টিকেল লিখতে পারেন।

তবে যে কোনো একটি বা দুইটি বিষয়ে লেখালেখি করা সব থেকে ভালো।

আপনার ব্লগ গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ইন্ডেক্স (index) করান।

একটি নতুন ব্লগ তৈরি করার পর আপনাকে অবশ্যই গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ব্লগকে জমা দিতে হবে।

কেননা, যতক্ষণ আপনি একটি নতুন ব্লগকে গুগলে submit করবেন না, ততক্ষণ গুগল আপনার ব্লগের বিষয়ে জানবে না এবং আপনার ব্লগকে সার্চ রেজাল্টে শো করবে না।

আপনি Google search console tool এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ব্লগকে গুগলের কাছে জমা দিতে পারবেন।

ব্লগের একটি sitemap তৈরি করে সেটা গুগলে সাবমিট করতে পারবেন।

যখন আপনি গুগলে আপনার ব্লগটিকে সাইটম্যাপসহ জমা দিবেন, তখন ধীরে ধীরে গুগল আপনার ব্লগের আর্টিকেলগুলোকে index করতে শুরু করবে এবং তার search result এ show করবে।

এভাবে bing সার্চ ইঞ্জিনেও আপনার ব্লগকে সাবমিট করতে পারবেন।

ব্লগে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল নিন।

যখন আপনি আপনার ব্লগে SEO friendly এবং high quality content পাবলিশ করা শুরু করবেন, তখন আপনার ব্লগে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

কেনন, অধিকাংশ লোকেরাই এটির জন্য ব্লগার ব্যবহার করে তাদের ফ্রি ব্লগ তৈরি করে থাকেন।

আপনিও যদি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ফ্রি ব্লগ বানিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে বেশি দেরি করতে হবে না।

আপনি চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেই আপনার ব্লগে google adsense approval পেয়ে যেতে পারবেন।

তবে এ জন্য আপনার ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অবশ্যই ভালো পরিমাণে ট্রাফিক আসতে হবে।

যদি আপনি প্রতিদিন একটি করে আর্টিকেল নিজের ব্লগে পাবলিশ করেন, তাহলে চার মাসে কমেও ১০০ টি আর্টিকেল আপনার ব্লগে পাবলিশ করা হয়ে যাবে।

প্রতিটি আর্টিকেল SEO Optimized হলে প্রতিদিন গুগল সার্চ থেকে ৫০০ ইউনিক ভিজিটর্স আপনার ব্লগে অবশ্যই আসবে।

আর তখনই আপনি গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে যেতে পারবেন এবং আপনার ফ্রি ব্লগ থেকে আয় করা শুরু করে দিতে পারবেন।

ফ্রি ব্লগস্পট ব্লগের জন্য ৫টি দরকারি SEO টিপস।

একটি ব্লগ তৈরি করার পর আপনার করণীয় কি এ বিষয়ে উপরে আশা করি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগে গুগল সার্চ ইঞ্জিন প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর্স পাওয়ার জন্য কোন কাজগুলো করতে হবে।

০১. On-page SEO এর ওপর অধিক গুরুত্ব দিন।

আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগে ভালো পরিমাণে traffic পেতে চান, তাহলে আপনার আর্টিকেলগুলো On-page optimization খুব ভালোভাবে করতে হবে।

যে কিওয়ার্ড টিকে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখবেন সেটা অবশ্যই আর্টিকেলের title, image alt text, internal links, h2 h3 subheadings এসব জায়গায় ব্যবহার করতে হবে।

এভাবে আপনি একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর দ্বারা আপনার আর্টিকেলকে SEO optimize করতে পারবেন, ফলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অধিক ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ থাকবে।

০২. কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখুন।

সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগে ভিজিটর্স আনার জন্য keyword research করে আর্টিকেল লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি ahrefs, google keyword planner, keyword intent, SEMrus ইত্যাদি keyword research tool এর সাহায্যে সহজে এবং ফ্রিতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপ, “ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি” এটা হলো একটা কিওয়ার্ড।

এখন এই কিওয়ার্ডটি টার্গেট করে যদি আপনি একটি আর্টিকেল লিখতে চান, তাহলে এই কিওয়ার্ডটি নিয়ে লোকেরা গুগলে সার্চ করছে কিনা অথবা কতজন লোক এই বিষয়ে সার্চ করে থাকে, এই কিওয়ার্ডের competition কেমন এই বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।

যদি একটি কিওয়ার্ড নিয়ে লোকেরা গুগলে সার্চ না করে, অথবা কোনো কিওয়ার্ডের যদি search volume না থাকে, তাহলে সেই কিওয়ার্ড নিয়ে আপনি যত ভালো আর্টিকেলই তৈরি করেন না কেন, সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার সেই আর্টিকেলে ট্রাফিক আসবে না।

সুতরাং ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ভূমিকা অপরিহার্য।

০৩. কপিরাইট কনটেন্ট পাবলিশ করবেন না।

অধিকাংশ নতুন ব্লগাররা তাদের ব্লগে copyright content পাবলিশ করে থাকে।

আমি অনেক নতুন ব্লগারকে দেখেছি যারা ব্লগার প্লাটফর্মে একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করে এই কাজটি করে থাকে।

কিন্তু তারা জানেনা যে, গুগলের অ্যালগরিদম অনেক চালাক।

Google algorithm সহজেই copyright content চিহ্নিত করতে পারে।

আর যারা তাদের ব্লগের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত অন্যের কপি করা কনটেন্ট ব্লগে পাবলিশ করে থাকে, গুগল সেই ব্লগগুলোর search ranking ধীরে ধীরে কমিয়ে দিয়ে থাকে।

এমনকি গুগল যে কোনো সময় আপনার ব্লগকে ডিলিট করে দিতে পারে।

তাই কপিরাইট কনটেন্ট পাবলিশ না করে কিছুটা সময় ও শ্রম দিয়ে রিসার্চ করে ইউনিক কনটেন্ট লিখুন।

০৪. সার্চ ইঞ্জিনের জন্য image optimization
করুন ।

একটি সুন্দর এবং উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হলে কনটেন্টে অবশ্যই ছবি বা images যুক্ত করতে হয়।

আর্টিকেলে পিকচার বা ইমেজ যুক্ত করলে সেটা Google image search থেকে ট্রাফিক আনতে সক্ষম।

তবে মনে রাখবেন, ব্লগে কখনোই কপিরাইট ইমেজ আপলোড করবেন না।

গুগল থেকে সরাসরি ডাউনলোড করা ছবি ব্লগের আর্টিকেলে ব্যবহার করা যাবেনা।

কপিরাইট ইমেজ ব্লগে ব্যবহার করলে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।

আর্টিকেলে ছবি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সেটা নিজে বানানোর কিংবা editing করার চেষ্টা করবেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে free stock images website গুলো থেকে প্রয়োজনীয় ছবিগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। যেমন: pixabay, pixels ইত্যাদি।

০৫. আপনার ব্লগ promote করুন

একটি ব্লগ তৈরি করে সেখানে সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পাবলিশ করার পাশাপাশি আপনার ব্লগটি মানুষের কাছে প্রোমোট করতে হবে।

এতে লোকেরা আপনার ব্লগের বিষয়ে জানতে পারবে এবং ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে।

এটি হলো ব্লগে ট্রাফিক পাওয়ার আরেকটি কৌশল। কিভাবে আপনার ব্লগ প্রোমোট করবেন এ বিষয়ে নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে বলা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ব্লগটি শেয়ার করুন।

আপনার blog topic এর সাথে রিলেটেড অন্য ব্লগগুলোতে guest post করুন এবং আপনার ব্লগকে link করুন।

অনলাইনে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর ওয়েবসাইট বা discussion forum গুলোতে আপনার ব্লগের আর্টিকেলগুলো শেয়ার করুন।

অনেক বেশি followers থাকা ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপে ব্লগের আর্টিকেলগুলো শেয়ার করুন।

একটি ফ্রি ব্লগ থেকে আয় করা সম্ভব কিনা?

হ্যাঁ অবশ্যই free blog থেকে টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যদি ফ্রিতে একটি ব্লগ তৈরি করে সেখানে ভালো মানের আর্টিকেল লিখে থাকেন, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অবশ্যই ভালো পরিমাণে ট্রাফিক পাবেন।

এরপর ব্লগে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

ফ্রি ব্লগ ভালো নাকি পেইড ব্লগ?

যদি আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি কিছু ইনকামের জন্য কিংবা শখের বশে বা ব্লগিং শেখার ক্ষেত্রে ব্লগ তৈরি করতে চাইছেন, তাহলে blogger.com এর মতো free blogging platform গুলোকে আপনি বেছে নিতে পারেন।

কিন্তু, যদি আপনি professional ভাবে blogging করতে চাইছেন বা blogging কে নিজের career হিসেবে নিতে চাইছেন, তাহলে নিজের হোস্টিং কিনে self hosted WordPress blog তৈরি করাটা উত্তম।

ফ্রি ব্লগ থেকে ইনকাম কিভাবে এবং কখন হয়?

যখন ব্লগে নিয়মিত traffic / visitors আসতে শুরু করে, তখন বিভিন্ন monetization techniques ব্যবহার করে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়।

যেমন, গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, Paid promotion এর মাধ্যমে, Affiliate marketing করে, নিজের online course বা e-book বিক্রি ইত্যাদি উপায়ে ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

ফ্রি ব্লগ এবং পেইড ব্লগের মধ্যে পার্থক্য কি?

ফ্রি ব্লগের ক্ষেত্রে,

— আপনার ব্লগের মালিক আপনি নিজে হলেও ব্লগের সম্পূর্ণ অধিকার আপনার থাকেনা।

যে কোনো সময় যে কোনো ধরনের ভুল কাজের জন্য আপনার ব্লগ ডিলিট হয়ে যেতে পারে।

– ফ্রি ব্লগের প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা বা functions উপলব্ধ নেই। অর্থাৎ ফ্রি ব্লগের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

অন্যদিকে পেইড ব্লগের ক্ষেত্রে,

– পেইড ব্লগে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। সব ধরনের functions আপনি পেয়ে যাবেন এবং নিজের মতো করে setup করতে পারবেন।

— Advanced SEO করতে পারবেন।

— বিভিন্ন tools এবং plugins গুলোর সাহায্যে ব্লগের আকর্ষণীয় ডিজাইন করতে পারবেন।

— ব্লগের মালিক আপনি নিজেই। আপনার ব্লগের উপর অন্য কারো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

আমার শেষ কথা

তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে একটি ফ্রি ব্লগ থেকে আয় করার উপায় আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি আপনারা একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি এবং এর থেকে ইনকাম করার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আপনারা অবশ্যই বুঝে গেছেন যে, একটি ব্লগ থেকে ইনকাম করার জন্য ট্রাফিক এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক থাকলে আপনার ব্লগ ফ্রি মাধ্যমে তৈরি নাকি পেইড মাধ্যমে তৈরি এটা কোন বিষয় না।

যদি আপনি ব্লগিং সেক্টরে কিংবা অনলাইনে একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে প্রথমে আপনি blogger.
com ব্যবহার করে ফ্রিতে একটি ব্লগ তৈরি করে আপনার blogging journey start করে দিতে পারেন।

এরপর প্রয়োজন হলে আপনি self hosted WordPress এ আপনার ব্লগকে migrate করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস হলো বিশ্বের সেরা একটি ব্লগিং প্লাটফর্ম। এখানে একটি ব্লগের জন্য যা যা দরকার, সকল tools, plugins, functions উপলব্ধ রয়েছে।

যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই শেয়ার করবেন।

আর আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন।

Abu Shafiq

আমি মোহাম্মদ সফিক, একজন ফুল-টাইম ব্লগার এবং কনটেন্ট রাইটার, পাশাপাশি Trusted Income Ways এর প্রতিষ্ঠাতা। আমি ৪ বছর ধরে এই সেক্টরে কাজ করছি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *