এন্টি-ভাইরাস এবং এন্টি-স্পাইওয়্যার টুল ইন্সটল করুনঃ

কম্পিউটার ব্যবহারকারী হিসেবে ভাইরাসের সাথে আমরা যেমন সবাই পরিচিত।

তেমনি ভাইরাস প্রতিরোধে এন্টি-ভাইরাসের সাথেও আমরা পরিচিত।

বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য অনেক কম্পিউটার ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ভাইরাস, স্পাইওয়্যারজনিত আক্রমণে কম্পিউটার ব্যবহারে আমাদেরকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।

বিভিন্ন ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগাম যেমন- ভাইরাস, ওয়ার্ম, অ্যাডওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার থেকে আপনার সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখতে আপনি এন্টি-ভাইরাস এবং এন্টি-স্পাইওয়্যার টুল ব্যবহার করতে পারেন।

নিয়মিত আপনার কম্পিউটারের সম্পূর্ণ সিস্টেমের স্ক্যান সম্পাদন করতে এই টুলগুলো কনফিগার করতে পারেন।

সর্বশেষ হুমকি থেকে আপনার সিস্টেমকে রক্ষা এবং বিভিন্ন রকম আক্রমণ সনাক্ত করতে এই টুলগুলো সক্ষম।

এমনকি টুলগুলো সর্বশেষ ভাইরাসকে সংজ্ঞায়িত এবং নিরাপত্তা আপডেট করতেও সক্ষম।

যদিও ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবেনর নানা কার্যক্রম সহজ হয়েছে তবুও আপনার কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা গ্রহণ করতে সতকর্তা অবলম্বন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এন্টি-স্পাইওয়্যার টুলের ব্যবহার আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যার মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।

আপনার কম্পিউটারকে স্পাইওয়্যার, মালওয়্যার, অ্যাডওয়ার, ভাইরাস এবং অন্যান্য কম্পিউটার আক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে ভাইরাস এন্টি- স্পাইওয়্যার প্রোগ্রাম কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

স্পাইওয়্যার প্রতিরোধ এবং রিমুভ করতে আপনি http://www.sywarefixpro.com এই ওয়েব সাইটটি থেকে বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।

আপনার ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখার টিপসঃ

সাইবার আক্রমণ থেকে আপনার নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখতে অবশ্যই কিছু কলাকৌশল প্রয়োগ করতে হবে এবং এ বিষয়ে ধারণা থাকাও আবশ্যক।

কোন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অনেক সময় আপনি মুক্ত অনিরাপদ ওয়্যারলেস অ্যাকসেস সনাক্ত করতে পারেন।

ফ্রিলোডার, ক্ষতিকর কার্যক্রম যেমন এটা হতে পারে পাসওয়ার্ড স্নিফ করার জন্য খোলা অনিরাপদ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কগুলো খুবই সংবেদনশীল।

আচ্ছা ধরুন বাইরের কেউ একজন অবৈধভাবে কপিরাইট ম্যাটেরিয়াল ডাউনলোড করছিল এবং তদন্তে অবৈধ এই কার্যক্রমের সূত্র খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল এই অপরাধ আপনার রাউটার থেকে হয়েছে।

ভেবেছেন এ রকম কোনো ঘটনার সম্মুখীন হলে কি ধরনের বিপদের মুখে আপনি পড়তে পারেন?

এ জন্যই ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ক সর্বদাই নিরাপদ রাখা প্রয়োজন।

সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে আপনার ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ককে রক্ষা করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

সৌভাগ্যবশত সম্প্রতি সহজলভ্য কনজ্যুমার গ্রেইড রাউটারগুলো এখন সর্বোচ্চ শক্তিশালী এবং সহজেই প্রদান করছে ওয়্যারলেস নিরাপত্তা সম্বলিত নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য।

আপনার হোম ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখতে বেশকিছু টিপস্‌ অনুসরণ করতে পারেন যা আপনার নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

আপনার রাউটারের এসএসআইডি (সার্ভিস সেট আইডেন্টি ফায়ার) দুবৃত্তদের ল্যাপটপ অথবা ওয়্যারসে এনাবল ডিভাইসের সনাক্তকরণ সহজেই প্রতিরোধ করতে পারে।

সাধারণভাবে একটি নন-ব্রডকাস্টিং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে এই অপশনটি ওয়্যারলেস ডিভাইসের উপর চাপ প্রয়োগ করে থাকে।

সম্পূর্ণভাবে এসএমআইডি সংযুক্ত করার নিয়ম-কানুন ওয়্যারলেস ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জানা উচিত।

আপনার এসএসআইডি ব্রডকাস্ট করতে আপনি যদি অধিকর শ্রেয় মনে করেন তবে যে কোনোভাবে আপনি অস্পষ্ট নাম ব্যবহার করবেন যেন কেউ চিহ্নিত করতে না পারে যে আপনি কে।

ম্যাক আড্রেস ফিল্টারিং করতে সক্ষম। একটি ম্যাক অ্যাড্রেস হচ্ছে ইউনিক আইডেন্টিফায়ার বিভিন্ন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দ্বারা নেটওয়ার্ক ডিভাইস সম্পাদন করে।

একমাত্র অনুমোদিত ম্যাকঅ্যাড্রেস গ্রহণ করতে ওয়্যারলেস রাউটার কনফিগার করতে পারে।

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কার্ডের ডিভাইস প্রোপাটিজ দেখার দ্বারা সহজেই কম্পিউটারের ম্যাক অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

ওয়াই-ফাই প্রোটেক্টড এ্যাকসেস (ডব্লিউপিএ) অথবা ডব্লিউপিএ২ (ভার্সন২) এর সাথে টেমপোরাল কী ইন্টিগ্রিটি প্রোটকল (টিকেআইপি) অথবা অ্যাডভান্সড এনক্রেপশন স্ট্যান্ডার্ড (এইএস) বাস্তবায়নের দ্বারা এনক্রেপশন করা সম্ভব।

যদি আপনার ওয়্যারলেস ডিভাইস ইহা সাপোর্ট করে, তবে ডব্লিউপিএ২-এর সাথে এইএস হবে অধিকতর শ্রেয় এনক্রেপশন মেথড।

আরেকটি অন্যতম সেরা বিকল্প হচ্ছে ডব্লিউপিএ যা টিকেআইপি’র সমন্বয়ে।

যা বেশ পুরনো দিনের ওয়্যারলেস ডিভাইসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা ডব্লিউপিএ২ এইএস সাপোর্ট নাও করতে পারে।

দীর্ঘদিন নির্ভরযোগ্যভাবে নিরাপদ বিবেচনা হিসেবে ডব্লিউইপি বর্জন করা ভাল।

এনক্রেপশন মেথড এর উপর অবিচল থাকার পর পাশ ফ্রেইজ হচ্ছে সর্বশেষ পদক্ষেপ।

শক্তিশালী পাশ ফ্রেইজের সাথে ছয় অথবা তার চেয়ে বেশি আপার এবং লোয়ারকেস লেটার এবং নম্বারের নূন্যতম ব্যবহার।

যদিও দুর্বল প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য রাউটারের নিরপত্তা অপশনগুলো সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হতে পারে।

বেশিরভাগ রাউটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যে কাউকে সহজেই সেটআপ, কনফিগার এবং ওয়্যারলেস অ্যাকসেসের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে সহজে সাহায্য করে থাকে বিস্ময়কর ক্ষমতাসম্পন্ন নিরাপত্তা প্রোসেস প্রদান করে।

আপনার ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ককে রক্ষা করে নিরাপদ রাখার বিষয়টি গুরুত্বের বিবেচনায় উপেক্ষা না করে প্রোঅ্যাকটিভ হবেন।

আপনার পার্সোনাল আইডেনটিটি নিরাপদ রাখার টিপসঃ

অনলাইনে নানারকম অপরাধ বৃদ্ধি পাবার ফলে আপনার পার্সোনাল আইডেনটিটি নিরাপদ রাখার কলাকৌশলগুলো আপনার নখ দর্পনে থাকা উচিত।

বিশ্বে প্রতিনিয়তই সাইবার অপরাধ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে।

নিজের প্রয়োজনের তাগিদে অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে আপনাকে বেশ সচেতন হতে হবে।

কারণ আপনার আইডেনটিটির সঙ্গে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত।

এ বিষয়ে অবহেলা করলে আপনাকে হয়ত বড় ধরনের মাশুল দিতে হতে পারে।

পার্সোনাল আইডেনটিটি চুরির ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে।

২০০৩ সালে এ বিষয়ে দুটি অনুসন্ধান হয়েছিল। যার মধ্যে একটি গ্রাটনার রিসার্স এবং অন্যটি ছিল হাররিস ইন্টারঅ্যাকটিভ নামক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক।

অনুসন্ধান থেকে জানা যায় যে ঐ সময় ১২ মাসে ৭-১০ মিলিয়ন লোক তাদের আইডেনটিটি চুরি হওয়া নিয়ে অভিযোগ করেছিল।

তবে এ বিষয়ে একটা ব্যাপার সহজেই অনুমেয় যে আইডেনটিটি চুরির ঘটনা বেড়েই চলছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নিজেকে রক্ষা করতে আপনি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন?

এই ধরনের অপরাধীরা সাধারণত চুরি করা তথ্য দিয়ে নতুন ক্রেডিট কার্ড এ্যাকাউন্ট খুলে থাকে এবং তারা দ্রুত বড় ধরনের কেনাকাটা করে ফেলে তাদেরকে ধরার আগেই।

প্রাথমিকভাবে তাদেরকে খুজে পাওয়া কষ্টকর হতে পারে অনেক আইডেনটিটির সাথে।

আপনি এই ধরনের ভয়াবহ অপরাধ হ্রাস করতে বা আংশিক হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারেন।

কিন্তু প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে? উত্তরে হয়তো বলা যেতে পারে বায়োমেট্রিক ফ্ল্যাশ ড্রাইভের সাহায্যে।

ফ্ল্যাশ ড্রাইভে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন স্টোর করতে, এনক্রেপট ফাইল নিরাপদ রাখতে আপনার ফিংগার প্রিন্ট অ্যাকসেস প্রদান করবে।

আপনার সকল পার্সোনাল ইনফরমেশন পাসওয়ার্ড, ইউজার নেম, অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য একটি নিরাপদ ফ্ল্যাশ ড্রাইভে রাখতে পারেন, পরবর্তীতে একমাত্র আপনি যখন চাইবেন তখন এতে প্রবেশ করবেন।

এই তথ্যগুলো আপনি আপনার হার্ড ড্রাইভে ব্যাকআপ সিস্টেমে নিতে পারেন এবং এগুলো আপনার সাথে নিরাপদে রাখতে পারেন।

যদি তথ্যগুলো কখনোও হারিয়ে যায় চুরি হয়ে যায় তখন আপনার ফিংগার প্রিন্ট ডাটাগুলোকে রক্ষা করবে।

বহুমুখী ব্যবহার হিসেবে কমার্শিয়াল সেটিং এ আপনি এই ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন।

কারো নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির ইনফরমেশন জানার প্রয়োজন নেই সেখানে কাজ করার জন্য।

ফ্ল্যাশ ড্রাইভের সাহায্যে আপনি সর্বোচ্চ দশ জন ব্যবহারকারীকে প্রবেশের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, কোন ক্ষেত্রে তাদের প্রবেশ যদি প্রয়োজন হয়ে থাকে।

নিরাপত্তার লেভেল পূর্বের মত একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনাকে প্রদান করবে।

আলাদা আলাদাভাবে একেকজন কোম্পানির তথ্য সম্পর্কে জানার অনুমতি পাবে এবং এক্ষেত্রে তারা নীতিগতভাবে দায়ী থাকবে।

তাদের ফিংগার প্রিন্ট প্রদান করবে তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা এমনকি যদি ইহা চুরিও হয়ে থাকে।

অনেক কোম্পানিতে চুরির ঘটনায় ফিংগার প্রিন্ট টেকনোলজি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

যদি মাত্র পাঁচ জন চাকরিজীবি কোন প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্য সম্পর্কে সবকিছু জানে বা জানার অধিকার দেওয়া হয়।

তবে তারাও তো তথ্য চুরির সুযোগ নিতে পারে। আপনার কোম্পানি তথ্যসমূহ ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ রাখা প্রয়োজন।

বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে আপনার তথ্য কে বা কারা চুরি করেছে তা বের করা সম্ভব এবং কোথা থেকে কখন তা চুরি হয়েছে তাও বের করা সম্ভব।

ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পাসওয়ার্ড হ্যাকিং প্রতিরোধে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন, ছবি, অন্যান্য সব তথ্য নিরাপদ রাখতে এটি বেশ কার্যকরী।

সর্বোপরি বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি, ফিংগার প্রিন্ট ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহারে আপনি অধিকতর নিরাপদভাবে আপনার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *