কিভাবে নতুন Youtube Channel থেকে সাফল্য লাভ করবেন :
একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
প্রথমদিকে কোন ভিউ থাকে না, সাবক্রাইবারস থাকে না, চ্যানেল পপুলারিটি থাকে না। তাই এটি আরো জটিল হয়ে পড়ে।
এ ক্ষেত্রে দরকার প্রচুর ধৈর্যশক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা। কিছু বিষয় মাথায় রেখে মেনে চললে এই কাজটার কষ্ট অনেকটা কমে যায়।
প্রথমত যা লাগবেঃ
০১. Screen Video Recording Software
ভিডিও রেকর্ডিং সফটওয়্যার হিসেবে আমি Suggest করব আপনাদের Camtasia ব্যবহার করার জন্য।
htt//goo.gl/ttnfwD এখান থেকে এর Trial ডাউনলোড করতে নিতে পারেন।
০২. Video Editing Software
শুরুর দিকে এডিটিংও Camtasia দিয়েই করতে পারেন। এ ছাড়া এর চেয়ে ভালো এডিটিং এর জন্য Windows Movie Maker রয়েছে।
Advance Editing এর জন্য Adobe Premiere Pro এবং Adobe After Effects সবচেয়ে ভালো হবে।
০৩. Photo Editing Software
বিশেষ করে Thumbnail তৈরি করার জন্য একটি Photo Editing Software দরকার। Photo Editing এর জন্য Adobe Photoshop এর জুড়ি নেই।
০৪. ক্যামেরা
ক্যামেরা থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু ভিডিও এর আরো মান বাড়ানোর জন্য ক্যামেরা ব্যাবহার করা সবচেয়ে ভালো।
একজন ভিউয়ার একটি ভিডিওতে একজন মানুষের শুধু কথার তুলনায় তার চেহেরা সহকারে বর্ণনাকে বেশি বিশ্বাস করেন।
তাই এর ফলে খুব দ্রুত আপনার Subscriber ও ফলোয়ার বাড়বে।
০৫. একটি ইউটিউব চ্যানেল
এরপর শুধু একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে আপনাদের এই ডকুমেণ্টটি সাহায্য করবে, https://bn.rubelsbs.com/archives/132
আকর্ষণীয় চ্যানেলের নাম :
চ্যানেলেরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চ্যানেলের নাম ভালো না হলে আপনার চ্যানেল সে রকম কোন ভালো পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়তে পারে।
সবার থেকে আলাদা নাম রাখুন। যার নামে এর আগে কোন চ্যানেল তৈরি হইনি।
না পেলে সময় নিন, ধীরে সুস্থে ভাবুন। এমন চ্যানেলের নাম রাখুন যা মানুষের জন্য কিছু অর্থ রাখবে এক কথাতেই আপনার পুরো চ্যানেলের বিষয় বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলবে।
কখনই চ্যানেলের নাম কিওয়ার্ড এর সাথে পুরোপুরি মিলিয়ে রাখবেন না। এতে আপনার তেমন কোন বেশি একটা লাভ হবে না।
আমার একটা চ্যানেল আমার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর নাম দিয়ে বানানো হয়েছিল। ঐটার সাবসক্রাইবার এখন বর্তমানে 400+।
এই একই কিওয়ার্ড এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আর একটি চ্যানেলের একটি Unique নাম রেখেছিলাম।
বর্তমানে সেখানে এখন 7000+ Subscriber আছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি আপনার চ্যানেলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
অনন্য :
চ্যানেলের কভার, Profile Picture, Description, Home Customization অবশ্যই উন্নত করে রাখবেন।
যাতে চ্যানেলের নাম এবং এর প্রতিটি বস্তু একে অপরের সাথে সম্পূর্ণভাবে খাপ খায় এবং সুন্দর দেখায়।
প্রচুর ভিডিও :
ভিউ নেই বলে থেমে যাবেন না। ভিডিও আপলোড করতে থাকুন এবং তা অবশ্যই ভালো মানের ভিডিও হতে হবে।
সময় নষ্ট করবেন না :
ভিডিও তৈরির প্রতিটি সেকেন্ডই মূল্যবান। কখনই একটি সেকেন্ড এর জন্যও আপনার ভিউয়ারসদের বিরক্ত হতে দিবেন না।
একটুখনের জন্য তারা বিরক্ত হয়ে গেলেই তারা বাউন্স করবে। বাউন্স রেট 70% এর নিচে থাকলেই তা নেগেটিভ হিসেবে ধরা হয়।
Social Media এর সঠিক ব্যাবহার :
বর্তমানে আধুনিক জীবনে মানুষ Google, Youtube থেকে আরো বেশি Facebook, Twitter, Instagram ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া বেশি চালায়।
তাই অবশ্যই প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ফ্যান পেজ তৈরি করুন।
ঐখান থেকে আপনার চ্যানেলের ব্রান্ডিং করুন। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, এটি অ্যাডসেন্স তাই নিজের অফিশিয়াল পেজ ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
ভিডিও প্রকাশ করার সঠিক সময় :
একটি নির্দিষ্ট সময় চ্যানেলে ভিডিও ছাড়লে Audience এর সর্বচ্চ Engagements পাওয়া যায়।
এর ফলে সাধারন ভিউ থেকে শতকরা 40%+ এর চেয়ে বেশি ভিউ পাওয়া সম্ভব।
চ্যানেলের ভিউয়ারস এর স্থান, ভাষা ও ইন্টারেস্ট এর উপর এই সময় নির্ভর করে।
উদাহরণ হিসেবে আমার চ্যানেলের কথা বলি, আমার চ্যানেলের বেশিরভাগ ভিসিটর US, Canada এবং India থেকে আসে।
তাই আমি আমার বেশিরভাগ ভিডিও প্রতি সাপ্তাহের রবিবার একটি ও মঙ্গলবারে আর একটি ভিডিও পাবলিশ করি এবং Extra সময় পেলে শুক্রবারে আর একটি ভিডিও ছাড়ি।
এভাবে আপনিও আপনার নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করে নিতে পারেন।
সঠিক ভিডিও SEO
চ্যানেলের পপুলারটির 60%+ নির্ভর করে ভিডিও এস.ই.ও এর উপর।
ভিডিওতে ভালো ভিউ আনতে হলে অবশ্যই ভালো SEO করতে হবে। বাকিসব কন্টেন্ট এর কোয়ালিটির উপর নির্ভরশীল।
Thumbnails
ইউটিউব এর ভিডিও দেখার আগে ভিউয়ারস তার Thumbnail দেখে বিবেচনা করে সেই ভিডিও দেখে।
এই Thumbnail সে সর্বচ্চ ১-২ সেকেন্ড দেখে থাকে(আমি এই সময়ই দেখি :P)।
এই ১-২ সেকেন্ডে যার Thumbnail যত ভালো হয় তত ভিউ পড়ে।
তাই Thumbnail যত ভালো হবে ভিউ তত বেশি পড়বে। Thumbnail বানাতে Adobe Photoshop এর সাহায্য নিতে পারেন।
Secret Tips
এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, “রাঙ্কিং এ তো সবার শুরুতে First Viewers পেতে হয়। এই First Viewers পাব কোথা থেকে?
শত SEO করেও তো পারছি না।” এর জন্য আপনাদের জন্য বিশেষ Tips। এটি হচ্ছে “COMMENTS”। অন্য একই টপিক রিলেটেড ভিডিওতে গিয়ে কমেন্ট করুন।
কিন্তু আপনার ভিডিও এর লিঙ্ক দিয়ে স্প্যাম কমেন্ট নয়। মানসম্মত কমেন্ট লিখুন। যেমন Nice, Awesome, I like this video, Thank u for the tips. একটি মান সম্মত উদাহরণ এমন হতে পারে, Your video is really helpful. Hope my videos can also help people like that.
কিন্ত এমনি যে লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। অনেকেই এমন করতে গিয়ে স্প্যাম কমেন্ট করে ফেলে। তার থেকে শুধু “Very helpful, thanks” লিখে দেয়াটাই ভালো।
এর ফলে যখন ঐ ভিডিও যখন কোন মানুষ দেখতে যাবে, তখন আপনার চ্যানেলের কমেন্ট দেখবে।
অফিশিয়াল নাম এবং Profile Picture তাকে ঐ চ্যানেলে কি আছে তা দেখতে উৎসাহিত করবে। এতে আপনার নিজের বিনোদনও হবে আর কাজও হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :
ভিডিও এর মানের উপর আর কোন ঔষুধ নেই। ভিডিও এর মান ভালো হলে একবার Top 20 ranking এ আসতে পারলে ইনশাল্লাহ উপরে উঠতে আপনাকে কেউ থামাতে পারবে না।
–> ইউটিউবের Content ID সিস্টেমে অ্যাপ্লাই করার নিয়মাবলী ও গাইডলাইন :
বর্তমানে ইউটিউব প্রতি মিনিটে প্রায় ৩০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড হয়, ঐ ভিডিওতে ৪ বিলিয়ন ভিউ হয়, যার মধ্যে ৩ বিলিয়ন ঘন্টা মানুষ ভিডিও দেখে।
এতো বড় সিস্টেমে বিভিন্ন দুই নাম্বারি হওয়া তো স্বাভাবিক কিন্তু ইউটিউব সব কিছুই নিয়ন্ত্রনে রাখছে।
আসলে এর পিছনে মূল পদ্ধতি হচ্ছে Content ID। সবাই আপনারা এটা জানেন, কিন্তু এই পর্যন্ত কেউ Content ID সিস্টেমে এপ্লাই করার ধারের কাছেও গিয়েছিলেন নাকি সন্দেহ।
খুবই কম মানুষ এই নিয়ে সতর্ক। বিশেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশে। বড় বড় পপুলার চ্যানেলও কন্টেন্ট আইডিতে নিজের চ্যানেল আওতাভুক্ত করেনি।
যার পরিণাম একটাই, তার ভিডিও অন্যরা কপি মারে। আর সে সারাদিন বসে বসে একটা একটা করে রিপোর্ট মারে। তবুও কিছু হয় না।
দেখেন Content ID আপনার ভিডিওকে কি কি জিনিস হতে বাচাতে পারে। সাথে কোন কোন জিনিসে কপিরাইট ধরতে পারে।
যে কোনো ভিডিও এর Mashup বা Compliation
এমনকি রিমিক্স করা গানেও Content ID match হয়
গেম খেলার ভিডিও
মিউজিক বা ভিডিও
কোন stage performance এর ভিডিও
এমনকি কনসার্ট এবং বিভিন্ন শো পারফারমেন্সও ।
এখন বুঝতেই পারছেন এই জিনিসটা কতটা জরুরী। কিন্তু Content ID সিস্টেমে এপ্লাই করার জন্য কিছু নিয়মাবলি আছে, সাথে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এগুলোতে ভুল হলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যানও হতে পারে, আর বড় সড় কিছু হলে আপনাকে কোর্টেও যাওয়া লাগতে পারে।
তাই সব কিছু বুঝে শুনে করবেন। Content ID তে এপ্লাই করার জন্য অবশ্যই আপনার চ্যানেলের এই জিনিসগুলো অবশ্যই থাকতে হবে।
আপনার সব ভিডিও এর মালিক আপনাকে হতে হবে। এমনকি ভিডিওতে ব্যাবহার করা মিউজিকেরও।
লাইসেন্স করা ভিডিও বা মিউজিক হলে অবশ্যই তার সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং তা এপ্লাই করার সময় ইউটিউবে জমা দিতে হবে।
আপনার চ্যানেলের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে এবং ওয়েবসাইটের ভালো ডিজাইন ও নেভিগেশন থাকতে হবে।
চ্যানেলে ওয়েবসাইট ভেরিফাই করা থাকতে হবে।
চ্যানেলের বয়স কমপক্ষে এক মাস হতে হবে।
চ্যানেলে সর্বনিন্ম ৫টি ভিডিও থাকতে হবে (যত বেশি হবে তত ভালো)।
ভিডিও যে আপনার এর সঠিক কোন প্রমাণ, যেমন ভিডিওতে আপনার চেহারা, লিখিত কোন তথ্য যা দেখে ইউটিউব নিশ্চিত হতে পারে যে আপনার চ্যানেলের সকল ভিডিও এর মালিক আপনি নিজে।
এ গুলোই লাগতে পারে। যদি আপনি আপনার চ্যানেলের সকল ভিডিও স্বত্বাধিকার হিসেবে কোন প্রমাণ না দিতে পারেন, তাহলে ইউটিউব আপনার আপ্লিকেশন রিজেক্ট করবে।
কিন্তু হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তারা যদি মনে করে আপনাকে content id এর অন্য কোন টুলস দেয়া যেতে পারে, তাহলে তারা আপনার ভিডিও কপি হলে তা আপনাকে নটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয় দেবে।
কিন্তু তারা এটি খুবই কমই দিয়ে থাকে। এই পর্যন্ত এ রকম কাউকে দেখিনি।
এখন দেখা যাক কিভাবে Content ID তে আপ্পলাই করবেন।
আপনার যেই চ্যানেল দিয়ে কন্টেন্ট আইডির জন্য আপ্পলাই করতে চান সেই চ্যানেলে লগিন করুন।
এখানে যান youtube.com/content_id_signup
সকল ইনফরমেশন পূরণ করুন।
এইবার উপরের সকল তথ্য পূরণ করার পর নিচে দুইটা বক্স দেখবেন
প্রথমটি আপনি কেন Content ID Verfication Program এ এপ্লাই করতে চান তার কারণ বিস্তারিত বলুন। 100-200 words দিলেই যথেষ্ট।
এরপরের বক্সে আপনার ভিডিও এর একটি লিস্ট দিবেন, যেই ভিডিওতে আপনার স্পেশাল অধিকার রয়েছে (কিছু প্রমাণআদি দিতে পারলে আরো ভালো)।
এখন সাবমিট করুন।
ইউটিউব আপনাকে একটা ফিরতি মেইল পাঠিয়ে দিবে। যার মধ্যে এপ্লাই করার কনফারমেশন পাবেন।
এখন অপেক্ষা করুন যতক্ষণ পর্যন্ত না ইউটিউব কপিরাইট সেন্টারের মেইল থেকে এপ্রুভ হওয়ার মেইল আসছে।
আপনার কাজ শেষ হয়ে যায়নি, যদি আপনার ভিডিও Content id program এ এপ্রুভ হয়েও যায় তবুও আরো কাজ আছে।
আপনাকে আপনার ভিডিও নিয়ে ইউটিউবে একটি এগ্রিমেন্ট দিতে হবে, যার মধ্যে আপনাকে দেখিয়ে দিতে হবে কোন ভিডিও এর উপর আপনি অফিশিয়ালি অধিকারের মালিক।
আপনার চ্যানেলের ৫০%+ ভিডিও এর উপর আপনার সম্পূর্ণ কপিরাইট থাকতে হবে।
আর যদি আপনার ভিডিও এর উপর অধিকার পুরো বিশ্বব্যাপী না হয়, তাহলে আপনাকে বাংলাদেশের জন্য Ownership prove করতে হবে।
যদি কন্টেন্ট আইডি এপ্রুভ হয় তাহলে আপনার ভিডিও কেউ কপি করলে আপনি তার বিরুদ্ধে এই অ্যাকশনগুলো নিতে পারবেন
ভিডিও বিশ্বব্যাপী ব্লক করা :
ভিডিও তার বিরুধে মনেটাইজ করা। তার মানে ঐ ভিডিও এর অ্যাড রেভিনিউ থেকে যত টাকা আসবে সব আপনি পাবেন।
ভিডিও মিউট করা :
এতো কিছুর পর যে কেউ ভাবতেই পারে, কন্টেন্ট আইডি না থাকলে কপিরাইট ধরবে না। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কপিরাইট অবশ্যই ধরবে।
কিন্তু Content ID এর মত এতো কঠোর ভাবে ধরতে পারবে না। আর কপিরাইট না আসলে অবশ্যই commercial use rights চাইবে।
–> জেনে নিন কিভাবে ইউটিউব ভিডিও র্যাঙ্ক করবেন :
গুগলের সার্চ রেজাল্টে কোনও ওয়েবসাইট বা নির্দিষ্ট পেজকে প্রথমে আনতে চাইলে যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে হয় ঠিক তেমনি ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টে কোনও ভিডিও কে প্রথমে আনতে হলে ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন করতে হয়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নতুন কোনও ভিডিও পাবলিশ করার কিছুক্ষণ পরেই সেটা গুগলের সার্চ রেজাল্টে টপ শো করছে কিন্তু সেখান থেকে আবার খুব দ্রুত হারিয়েও যাচ্ছে, সেটা হয় শুধু মাত্র প্রপার অপ্টিমাইজেশনের অভাবে।
আমি ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন নিয়ে খুব ভাল জানি না,নিজের কাজের জন্য স্টাডি করছি আর তাই সেখান থেকে কিছুটা সবার জন্য শেয়ার করছি।
আশা করি আপনাদের উপকারে লাগবে। যে কোনো পরামর্শ সমাদরে গ্রহণ করা হবে।
ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন টিপস (Youtube Video Optimization Tips):
নিম্নোক্ত ফ্যাক্টগুলো তখনই কাজে লাগবে যখন আপনার ভিডিওটি ভিওয়ারকে ভ্যালু দিতে পারবে। ভিডিওটি হতে হবে সুন্দর আর ইনফরমেটিভ।
ইউটিউব ভিডিও র্যাঙ্কে আনতে “ অনপেজ অপটিমাইজেশন ” আর “অফপেজ অপটিমাইজেশন” দুটোর গুরুত্ব রয়েছে। চলুন দেখা যাক ইউটিউব অপ্টিমাইজেশন কিভাবে করতে হয়।
অনপেজ অপটিমাইজেশন (On Page Optimization):
–> রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসঃ
একটি ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডেরস মতই একটি ভিডিওর কিছু রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডস থাকবে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ!
রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসের ভিডিও গুলোই সবসময় ইউটিউব সার্চে সবার উপরে প্রদর্শিত হয়।
ভিডিও ডেসক্রিপশনের প্রথম ৫০ শব্দের মধ্যে সবচাইতে রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড উল্লেখ করা জরুরি।
–> ভিডিও টাইটেলঃ
ভিডিওর টাইটেলে সবচেয়ে টার্গেটেড কিওয়ার্ড দিতে হবে। টাইটেলে ভুল করে কোনওভাবেই ভিসিটরকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা!
কিওয়ার্ড দিয়ে টাইটেল শুরু করতে হবে আর খুব বেশি আকর্ষণীয় করতে হবে যেন দেখা মাত্রই বুঝা যায় এটাই সঠিক ভিডিও।
কোনও ধারাবাহিক ভিডিওর ক্ষেত্রে প্রতিটা ভিডিওর টাইটেলে সিরিয়াল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে,এতে এর আগের আর পরের সিরিয়ালের ভিডিওটি ইউটিউবের সাজেস্টেড ভিডিও এ শো করাবে।
–> ভিডিও ট্যাগঃ
রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড দিয়ে ভিডিও ট্যাগ পূরণ করতে হবে যেন ইউটিউব বুঝতে পারে এটা কিসের ভিডিও।
ইউটিউব আপনার এই ট্যাগগুলো দেখেই ভিওয়ারের কাছে আপনার ভিডিও দেখাবে।
–> ভিডিও ডেসক্রিপশনঃ
খুব সুন্দর করে ইউটিউব ভিডিও এর ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। সাধারণত ৩০০+ শব্দের ডেসক্রিপশন ইউটিউব প্রাধান্য দেয়।
ডেসক্রিপশন হতে হবে ইউনিক আর সাজানো যেখানে ভিডিওর ব্যাপারে ইনফরমেশন দেয়া থাকবে। ডেসক্রিপশনে ৪ বার কি ওয়ার্ড উল্লেখ করা ভাল।
— > থাম্বনেলসঃ
থাম্বনেল একটি ভিডিওর প্রথম ইম্প্রেশন তৈরি করে। ভিডিও আপলোডের আর প্রোসেসিং এরপর ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও থেকে ৩টি স্ন্যাপ নিয়ে থাম্বনেল সাজেস্ট করে তবে সব সময়ই কাস্টম থাম্বনলকে ইউটিউব র্যাঙ্ক করার জন্য গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
–> ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্টঃ
ভিডিও র্যাঙ্ক করাতে ট্রান্সক্রিপ্টের গুরুত্ব আছে। সবচেয়ে ভাল কি ওয়ার্ড গুলো দিয়ে ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়।
–> চ্যানেল অথারিটিঃ
ইউটিউব চ্যানেল অথারিটি ভিডিও র্যাঙ্কে ভূমিকা রাখে। চ্যানেল অথারিটি বলতে ভিডিও ভিউ এর সাথে সাথে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি , সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলোর সাথে চ্যানেলের লিঙ্কিং।
মূলত এ গুলোই ইউটিউব ভিডিও র্যাঙ্কিং এর জন্য অনপেজ অপটিমাইজেশন।
চলুন এবার জানা যাক অফপেজ অপটিমাইজেশনে কি কি করা লাগে।
অফপেজ অপটিমাইজেশন (Off Page Optimization):
–> হাই রিটেনশন ভিউসঃ
কতজন মানুষ আপনার ভিডিও দেখলো আর দেখলেও কত সময় দেখলো সেটা অনেক জরুরি।
হাই রিটেনশন ভিউ মূলত ভিডিওর টোটাল লেন্থের অন্তত ৫০%-৬০% পর্যন্ত দেখাকে বুঝায়।
–> ভিডিও কমেন্টসঃ
ভিডিও র্যাঙ্ক এবং চ্যানেল অথারিটি বাড়াতে কমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ!
একটি ভাল ভিডিওতে অনেক পজিটিভ কমেন্ট থাকে, এর মানে ভিওয়ার ভিডিওটি গুরুত্ব দিয়েছে।
কোনও ভাল কমেন্টে ধন্যবাদ কিংবা কারো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানো র্যাঙ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আবার নিজ থেকে বসে বসে কমেন্ট করতে যাবেন না কারণ ইউটিউব স্প্যাম কমেন্ট বুঝতে পারে।
–> সাবস্ক্রাইবারসঃ
ভিওয়ার ভিডিওটি পছন্দ করলে পরবর্তী ভিডিও বা আপডেটের জন্য সাবস্ক্রাইব করবে যেটা শুধু ইউটিউব না বরং গুগলের কাছেও প্রাধান্য সৃষ্টি করবে।
–> ফেভারিটসঃ
ভিডিও র্যাঙ্কের অন্যতম ফ্যাক্ট হচ্ছে কতজন মানুষ ভিডিওটি ফেভারিট করলো আর আর “Watch Later” লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করলো।
–> থাম্বস এপস/ডাউনস বা লাইকস/ডিজলাইকসঃ
ভিডিও লাইক বা ডিজলাইকের উপর ভিডিও র্যাঙ্ক নির্ভর করে। কেউ ভিডিও পছন্দ করলে থাম্বস আপ দিবে আর বিরক্ত হলে থাম্বস ডাউন করবে।
এটা ভিজিটরের কাছে ভিডিও এর ভিডিও কোয়ালিটি আর নির্ভরশীলতাও প্রকাশ করে।
–> ব্যাকলিঙ্কসঃ
ইনবাউন্ড লিঙ্কসমূহকে ইউটিউব ব্যাংকলিঙ্কস হিসেবে গণ্য করে। রিলেভেন্ট ব্যাকলিঙ্কস ইউটিউব ভিডিও র্যাঙ্কের জন্য উপকারী।
–> সোশ্যাল শেয়ারস এবং এম্বেডসঃ
ইউটিউব ভিডিও র্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার এবং ব্লগ পোষ্টে এম্বেডের অনেক অনেক গুরুত্ব আছে।
এগুলোই ইউটিউব ভিডিও র্যাঙ্কিং এর জন্য অফপেজ অপটিমাইজেশনের কিছু কাজ।
কিছু কাজ যা ভুলেও করবেন নাঃ
- অন্য কারো ভিডিও ডাউনলোড করে সেটা আপলোড করবেন না। কিংবা কপিরাইটেড ভিডিও পাবলিশ করবেন না।
- ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর সেইম অ্যাকাউন্ট লগিন করার সময় নিজ থেকে View বাড়ানোর চোরা বুদ্ধি পরিহার করা উচিত। এতে চ্যানেল ব্যান খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে!
- ইউটিউব ভিউ এর সাথে সাথে লাইক/ডিজলাইকের একটা নির্দিষ্ট অনুপাত মেইন্টেইন করে।
ভুলেও নিজ থেকে এগুলো করার চেষ্টা করবেন না। এগুলো করলে ইউটিউব পুরো চ্যানেলকেই ব্যান করে দিতে পারে।