কোলেস্টেরলের প্রয়োজনীয়তা

প্রতিদিনের কার্য সম্পাদনের জন্য শরীরে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল দরকার,

সেই পরিমাণ কোলেস্টেরল আমরা খাবার থেকে গ্রহণ করতে পারি না বলে,

শরীর নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য নিজেই কোলেস্টেরল সংশ্লেষণ করে থাকে।

আমরা কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার থেকে যদি বেশি পরিমাণ কোলেস্টেরল গ্রহণ করি,

তবে শরীর ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য কম পরিমাণ কোলেস্টেরল তৈরি করবে।

ডিম, দুধ, বাটার বা যকৃতের মতো কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ,

খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিলে আমাদের শরীরে ,

অত্যাবশ্যকীয় যৌগটির সংশ্লেষণ বাড়িয়ে দেয়।

৭০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ

খাবার সামান্য পরিমাণ কোলেস্টেরল বাড়ায় বা একদম বাড়ায় না।

বাকি ৩০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার,

কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তবে এ বর্ধিত কোলেস্টেরলের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক বা

স্ট্রোকের কোনো সম্পর্ক আছে বলে বিজ্ঞান সমর্থন করে না।

গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি যে, শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে,

তা স্বাস্থ্যহানির কারণ হবে।স্ট্রোক, হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে,

আমরা কিছু পন্থা অবলম্বন করতে পারি।

০১) খাদ্য তালিকা হতে হবে,

পরিমিত ও সুষম। খাবার নিয়ে বাড়া বাড়ি ভালো নয়।

০২) কার্বো-হাই-ড্রেট-জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে।

আমরা মাত্রা তিরিক্ত পরিমাণে ভাত বা রুটি খাই।

এত ভাত খাওয়ার কোনো দরকার নেই। যারা ভাত বেশি খায়,

তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি। চিনি সমৃদ্ধ খাবার ও কোমল পানীয়,

বর্জন করা দরকার। সাম্প্রতিক কালের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে,

অতিমাত্রায় ‘হাই ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপ’ গ্রহণ করার কারণে,

হৃদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিনি ছাড়াও ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপ ব্যবহার করে,

ইদানীং কোমল পানীয় গুলো প্রস্তুত হচ্ছে। চিনি ভর্তি,

এ সব কোমল পানীয়ের প্রতি অনেকেরই প্রচণ্ড,

আসক্তি রয়েছে। অতি মাত্রায় চিনি, হাই ফ্রুকটোস,

কর্ন সিরাপ, বেশি ভাত-রুটি বা স্টার্চ জাতীয় খাবার,

খেলে বাড়তি কার্বোহাইড্রেট লিভারে চর্বি ও ডায়াবেটিস জাতীয় রোগ তৈরি করে।

ফাইবার বা আঁশ জাতীয় শাক সবজি, ফলমূল,

খোসা যুক্ত আটা ও চাল খাবারের মূল অংশ হতে হবে।

স্বাস্থ্যের উপযোগী চর্বির জন্য অ্যাভাকাডো, অলিভ, নারিকেল, দুধ, ডিম,

বাটার, পনির, মিঠা পানির মাছ খাওয়া আবশ্যক।

তেলে পোড়া খাবার, আগুনে ঝলসানো ও উচ্চ তাপে,

রান্না প্রাণিজ খাবার কম খেতে হবে। প্রতিদিন অন্তত তিন লিটার পানি,

পান অত্যাবশ্যক। বাকি থাকল ব্যায়াম। অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতে হবে।

ব্যায়াম স্ট্রোক, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস সহ বহু জটিল রোগ থেকে,

আপনাকে রক্ষা করতে পারে। সবাই নিয়ম তান্ত্রিক জীবন যাপন করুন ও সুস্থ থাকুন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *