ট্রেডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর পার্থক্যঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং পার্থক্য ”
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে? এদের মধ্যে পার্থক্য কি?

মার্কেটিং(Marketing) হচ্ছে একটি ইংরেজী শব্দ | আমরা যদি এর বাংলা অর্থ জানতে চাই, তাহলে মার্কেটিংয়ের বাংলা হল প্রচার করা |

যে কোনো পণ্য ও সেবা বা অন্যান্য বিষয় বস্তুর সম্পর্কে জনগণকে জানাতে বা পরিচিত করাতে চাইলে মার্কেটিং করতে হবে |

আর এ মারকেটিং আমরা অনেক ভাবে করতে পারি | এ পদ্ধতি গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে |

০১. ট্রেডিশনাল মার্কেটিং (Traditional Marketing)

০২.ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কাকে বলে? (What is traditional marketing?)

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং (Traditional Marketing) হচ্ছে, আমরা যখন বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন বা প্রচার সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি মাধ্যমে করে থাকি |

এসব মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সেবার পরিচিতি বিশ্বজুড়ে করে
থাকে |

তবে বর্তমানে এ পদ্ধতি অনেকটা কম ব্যবহার করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে ? (What is digital marketing?)

আমরা অনেকেই এই ডিজিটাল মার্কেটিং (digital marketing)শব্দটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে শুনে থাকে |

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে আমরা মূলত বুঝি, যে সমস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি) ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার মার্কেটিং ও প্রচার করা হয় |

এখনকার সময় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান, কম্পানি বা যে কোন ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও সবাই ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে |

এটির জনপ্রিয়তা বা প্রয়োজনীয়তা দিন দিন খুব বেশি হচ্ছে |

কারন এখনকার সময় পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে |

বর্তমান সময়ে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এই দুই পদ্ধতিতেই মার্কেটিং করা হয় |

এখন আমি আপনাদের এদের মধ্যে পার্থক্য গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

পদ্ধতিঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং হচ্ছে মার্কেটিং করার একটি পুরাতন পদ্ধতি |

অন্যদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে বর্তমান সময় একটি আধুনিক ও অতি জনপ্রিয় মার্কেটিং মাধ্যম |

খরচঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এ তুলনামূলক খরচ বেশি হয় |

কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং(digital marketing) এ সময় সুযোগ বুঝে তুলনামূলক খরচ কম হয় |

লাভঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের ব্যয় এর সমপরিমাণ লাভ আশঙ্কা করা যায় না |

অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং যে পরিমাণ ব্যয় করা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা থেকে লাভ আশা করা যায় |

মাধ্যমঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমগুলো হচ্ছে টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা, ব্যানার ইত্যাদি |

ডিজিটাল মার্কেটিং (digital marketing)এর মাধ্যম হচ্ছে এসইও, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, এসইএম ইত্যাদি |

গ্রাহক বাছাইঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ে (traditional marketing) পণ্য বা সেবার প্রয়োজন অনুযায়ী অডিয়েন্স বা গ্রাহক বাছাই করার কোন অপশন নেই |

অন্যদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ পণ্য বা সেবার প্রয়োজনীয় গ্রাহক বাছাই করার অনেক অপশন মাধ্যম রয়েছে |

দীর্ঘস্থায়িত্বতাঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং হচ্ছে একটি ক্ষণস্থায়ী পদ্ধতি |

অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং(digital marketing) হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি বা দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতি |

জনপ্রিয়তাঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং(traditional marketing) এর জনপ্রিয়তা এখন খুবই কম বা বিলুপ্তপ্রায় |

কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে |

প্রযুক্তির ব্যবহারঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয় খুবই কম |

অন্যদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং(digital marketing) এ প্রযুক্তির ব্যবহার পুরোপুরি ভাবে করা হয় |

সময়ঃ

ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের (traditional marketing) সময়ের সাথে সাথে তাৎক্ষণিক গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা যায় না |

কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এ সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে তাৎক্ষণিক যে কোনো গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করা যায় ।

সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে,

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে(What is traditional and digital marketing)।

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং- এর
মধ্যে আমরা কি কি পার্থক্য খুঁজে পাই |

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *