ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস কি?
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিন নামের একটি হরমোন আমাদের রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই হরমোনটি পাকস্থলীর পেছনে থাকা অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস নামের একটি গ্রন্থি থেকে তৈরি হয়। যখন খাবার পরিপাক হয়ে আমাদের রক্তে প্রবেশ করে, তখন এই ইনসুলিন রক্ত থেকে সুগার (গ্লুকোজকে) কোষের ভেতরে ঢুকিয়ে সেটাকে ভেঙ্গে শক্তি উৎপাদন করে। কিন্তু ডায়াবেটিস হলে আমাদের দেহ সুগার তথা গ্লুকোসকে ভেঙ্গে এভাবে শক্তি উৎপাদন করতে পারে না।
ডায়াবেটিসকে প্রধান দুই ভাগে ভাগ করা হয়:
টাইপ ১ ডায়াবেটিস
গ্লুকোজকে কোষের ভেতরে সরিয়ে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন আমাদের দেহে থাকে না। টাইপ ১ ডায়বেটিসে এমনটি হয়, কারণ এতে দেহের নিজস্ব রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলোকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
দেহে যে ইনসুলিন তৈরী হয়েছে তা সঠিকভাবে কাজ করছে না। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে এটি দেখা যায়, কারণ এতে দেহে পর্যাপ্ত পরিমানে ইনসুলিন তৈরি হয় না, অথবা পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হলেও দেহের কোষগুলো সেই ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীল থাকে না।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের তুলনায় টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সচরাচর ডায়াবেটিস বলতে টাইপ ২ ডায়াবেটিসকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
এই দুটি প্রকার ছাড়াও ডায়াবেটিসের আরও প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes)। গর্ভবতী নারীদের অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় রক্তে সুগারের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে, তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দেহে যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন তৈরী হয় না, তখন এই ডায়াবেটিস দেখা দেয়।
অনেকেই নিজের অজান্তে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগেন। প্রায়ই দেখা যায়, ভিন্ন ধরনের কোনো অসুখ বা সমস্যার জন্য যখন রক্ত কিংবা প্রস্রাব পরীক্ষা করানো হয় তখন এই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।
কারও ডায়াবেটিস থাকলে সেটা দ্রুত সনাক্ত করা প্রয়োজন, কারণ সময়মতো ডায়াবেটিস ধরা না পড়লে অর্থাৎ চিকিৎসা না নিলে এটি দিন দিন শরীরকে আরও বেশি অসুস্থ করে ফেলবে। শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিস হলে আপনার অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক সময় নীরবে, কোন লক্ষণ ছাড়াই এমন কিছু রোগ শরীরে বাসা বাঁধে যা আপনি বুঝতে পারেন না। এজন্যই ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত।
প্রি-ডায়াবেটিস (Pre-Diabetes)
অনেকেরই রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকে, কিন্তু এতটাও বেশি না যে, তাদের ডায়াবেটিস রোগী বলা যায়। এই অবস্থাকে বলে প্রি-ডায়াবেটিস।
রক্তে সুগারের মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। তাই রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে রাখতে এখনই ব্যবস্থা নিন।
সাধারণত একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনি প্রি-ডায়াবেটিস থেকে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করতে পারেন। কারও কারও ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ডায়াবেটিস -এর মূল লক্ষণগুলো দেখা দিলে অতি দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
অতিরিক্ত পিপাসা লাগা
স্বাভাবিকের চেয়ে ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতের বেলা।
অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করা ওজন কমে যাওয়া ও শরীর শুকিয়ে যাওয়া
কাটা-ছেঁড়া বা অন্য কোন ক্ষত শুকাতে অনেক সময় লাগা
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক দিনের ব্যবধানেও দেখা দিতে পারে ও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে তেমন নির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে না, বা সেগুলো শুরুতে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। এর ফলাফল হিসেবে অনেকে না বুঝেই এই রোগ নিয়ে বছরের পর বছর পার করে দেন। আপনার লাইফস্টাইল বা জীবনধারার পরিবর্তন করলেও টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে না। তবে স্বাস্থ্যকর, সুষম খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে শরীর সচল রেখে স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখার মাধ্যমে আপনি টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
ডায়াবেটিস ধরা পড়লে রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ও সুগারের পরিমাণ ঠিক আছে কি না দেখার জন্য নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। ডায়াবেটিসের চেকআপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
এসব নিয়মকানুন মেনে চললে আপনি সারাজীবন ওষুধের সাহায্য ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। টাইপ ১ ডায়াবেটিস থাকলে এগুলোর পাশাপাশি আজীবন নিয়মিত ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়।
যেহেতু টাইপ ২ ডায়াবেটিস ডায়েট এবং ব্যায়ামের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না হলে এর চিকিৎসায় ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত ট্যাবলেট দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়, পরে প্রয়োজনে ইনসুলিন ইনজেকশন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা, সারা জীবনের জন্যে বয়ে বেড়াতে হয় এবং সারা বিশ্বে এর কারণে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে।
এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি এবং অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে।
সারা বিশ্বেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি- এই হিসাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
চিকিৎকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এতো ঝুঁকি থাকার পরেও যতো মানুষ এই রোগে আক্রান্ত তাদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন নয়।
তবে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস কেন হয়?
আমরা যখন কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে।
শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না অথবা এটা ঠিক মতো কাজ করে না তখনই ডায়াবেটিস হয়। এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।
ডায়াবেটিস হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা ভালো। শুরু থেকেই চিকিৎসা নিলে ডায়াবেটিসের সাথে অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় কি?
ডায়াবেটিস সারাতে হলে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা মেনে চলতে হবে এবং পর্যাপ্ত শরীরচর্চা করতে হবে। এতে যদি ডায়াবেটিস কমানো না যায়, তাহলে ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে।
খাবার: স্বাস্থ্যকর ও সুষম ডায়েটের জন্য আপনাকে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যকর খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। একই সাথে কিছু খাবার অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে, যেমন চিনি, লবণ ও চর্বিজাতীয় খাবার। এসব খাবার যতটুকু না খেলেই নয় ঠিক ততটুকুই খাওয়া উচিত। খাবার সময়মত খাবেন, কোনো বেলার খাবার যেন বাদ না পড়ে।
ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম রক্তে সুগারের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
ওষুধ: যদি পর্যাপ্ত ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্য তালিকা মেনেও ডায়াবেটিস কমানো না যায়, তাহলে আপনার ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে একেকজনের একেক ধরনের এবং একেক ডোজের ওষুধ খেতে হয়, এমনকি একাধিক ওষুধ সমন্বয় করে সেবন করতে হতে পারে। আবার অনেকের ডায়াবেটিস সারানোর জন্য ইনসুলিনের প্রয়োজন হতে পারে। আপনার জন্য কোন ওষুধটি সঠিক তা ডাক্তার আপনাকে জানাবেন।
ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?
রক্তে সুগারের মাত্রা কত হলে স্বাভাবিক তা কোন পদ্ধতিতে মাপছেন তার উপরে নির্ভর করে। সাধারণত বাড়িতে কিংবা ফার্মেসিতে গ্লুকোমিটারের সাহায্যে আঙ্গুলের ডগায় থাকা রক্তনালী থেকে ডায়াবেটিস মাপা হয়। অন্যদিকে হাসপাতালের ল্যাবে শিরা থেকে রক্ত নিয়ে ব্লাড সুগার মাপা হয়। হাসপাতালের রিপোর্টের তুলনায় গ্লুকোমিটারে মাপা ব্লাড সুগারের পয়েন্ট সামান্য বেশি আসতে পারে।
গ্লুকোমিটারে ডায়াবেটিস মাপা
যদি একজন সুস্থ মানুষ গ্লুকোমিটারে ডায়াবেটিস মাপেন, তাহলে রক্তে সুগারের মাত্রা খাবার আগে ৪-৬ পয়েন্ট (mmol/l) এবং খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে ৮ পয়েন্টের নিচে হলে তা স্বাভাবিক ধরা হয়।
হাসপাতালের ল্যাবে ডায়াবেটিস মাপা
খালি পেটে: খালি পেটে আপনার শিরা থেকে নেওয়া রক্তে সুগারের মাত্রা ৫.৫ পয়েন্ট (mmol/l)-এর আশেপাশে থাকা ভালো। সুগারের মাত্রা যদি ৬.১ থেকে ৬.৯ পয়েন্ট (mmol/l)-এর মধ্যে থাকে, তাহলে এই অবস্থাকে বলে প্রি-ডায়াবেটিস। প্রি-ডায়াবেটিস বলতে এমন অবস্থাকে বোঝায় যখন আপনার টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হয় এবং হৃদরোগসহ অন্যান্য বিভিন্ন রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই অবস্থাকে আপনি সতর্কবার্তা হিসেবে ধরে নিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে মনযোগী হতে পারেন।
ভরা পেটে: ভরা পেটে বা খাবারের পরে রক্তে সুগারের মাত্রা কিছুটা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে এই মাত্রা ৭.৮ পয়েন্টের (mmol/l) বেশি বেড়ে গেলে তাকে প্রি-ডায়াবেটিস ধরা হয়। আর ১১.১ পয়েন্টের বেশি হলে তা ডায়াবেটিসের মাত্রায় চলে যায়। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা ভালো। শুরু থেকেই চিকিৎসা নিলে ডায়াবেটিসের সাথে অন্যান্য রোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
সুগারের মাত্রা কত হলে বুঝবেন ডায়াবেটিস?
সাধারণত রক্তে সুগারের মাত্রা যদি ৭ পয়েন্টের (mmol/l) উপরে চলে যায়, আমরা তাকে ডায়াবেটিস বলি। তবে এই হিসেবটা খালি পেটের। ভরা পেটে বা খাবার ২ ঘণ্টা পরে রক্তে সুগারের মাত্রা ১১.১ পয়েন্টের বেশি হলে তাকে ডায়াবেটিস ধরা হয়। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।
ডায়াবেটিস কি চিরতরে নিরাময় হয়?
স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা মেনে চলা এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করার মাধ্যমে রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় এনে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তখন আর ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে একথা মনে রাখা প্রয়োজন যে, সকলের পক্ষে ডায়াবেটিসের ডায়েট এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় আনা সম্ভব হয় না।
সুগার কেন বেশি হয়?
অতিরিক্ত ওজন,
শারীরিক পরিশ্রমের অভাব,
পরিবারের কোন সদস্য যেমন বাবা, মা, ভাই বা বোনের টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকা।
সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায় কী?
এমন কোন নির্দিষ্ট একটি খাবার নেই যা আপনাকে ডায়াবেটিস থেকে সারিয়ে তুলবে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় অতিরিক্ত ওজন এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের সাথে ডায়াবেটিসের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। তাই ওজন কমানো হতে পারে ঘরোয়াভাবে ব্লাড সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আনার প্রথম ধাপ।
এখনও ডায়াবেটিসকে পুরোপুরি নির্মূল করার নতুন কোন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয় নি। ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা মেনে চলা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং প্রয়োজনবোধে ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।