ডিজিটাল মার্কেটিং বনাম অ্যানালগ মার্কেটিংঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধারণাটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য একজন মার্কেটারকে অবশ্যই বেশ কিছু ব্যাপারে দক্ষ হতে হবে।
তার আগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পূর্বসূরি অ্যানালগ মার্কেটিং এর ব্যাপারে একটু জেনে নেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ আমরা ঘরে বসেই নতুন কোনো পণ্যের ব্যাপারে বা কোনো সংগঠনের ব্যাপারে জানতে পারছি।
কিন্তু অ্যানালগ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ততো সহজ ছিলো না।
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানোর বদলে তখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচারণা চালাতে হতো।
বর্তমানে নির্বাচনের সময় যেমন আমরা দেখি প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট চাচ্ছে ব্যাপারটা অনেকটা সে রকম।
এখানে প্রার্থীরা নিজে উপস্থিত থেকে তার সংগঠনের ব্যাপারে সবাইকে জানান দেয়। তারা চায় ওয়ান টু ওয়ান সম্পর্কটাকে গড়ে তুলতে।
অ্যানালগ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই রকম।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে দিলেই একসাথে কয়েক হাজার কিংবা কয়েক লাখ মানুষ জেনে যাচ্ছে।
কিন্তু অ্যানালগ মার্কেটিং -এ একজনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে সেই একজনের মাধ্যমে আরো ১০ জনের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এজন্য এখানে ওয়ান টু ওয়ান সম্পর্কটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এই সম্পর্ক ধরে নিজের প্রচারণার জন্য একটি কার্ড বা লিফলেট সবাইকে দেয়া হয়, যেখানে ব্যক্তির পরিচয় এবং তার ঠিকানা দেয়া থাকে।
নতুন কোনো সিনেমা বের হলে দেখা যায় এলাকায় এলাকায় পোস্টারিং করা হচ্ছে এবং খবরের কাগজেও এর পোস্টার ছাপা হচ্ছে। এগুলো সবই অ্যানালগ মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত।
মার্কেটিং এর জন্য ওয়ান টু ওয়ান সম্পর্কটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, ডিজিটাল মার্কেটিং কি অ্যানালগ মার্কেটিংকে সরিয়ে দিয়েছে? উত্তর হলো, না।
ডিজিটাল মার্কেটিং এসে অ্যানালগ মার্কেটিং এর কাজটি আরও সহজ করে দিয়েছে।
আগে যেখানে বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিজের প্রচারণা চালাতে হতো কিংবা লোকজনের কাছে নিজের পরিচয়ের একটি কার্ড বিলি করতে হতো প্রচারণার জন্য,
সেখানে আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো একটি পোস্ট কিংবা কোনো প্রকার অ্যাডভার্টাইজম্যান্টের মাধ্যমেই নিজের পরিচয় জানান দেয়া যায়।
বাংলাদেশে এখনও অনেক জায়গায় সাধারণ বিলবোর্ডের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে দেখা যায়। এটি কিন্তু এক প্রকার অ্যানালগ মার্কেটিং।
কিন্তু নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে কিংবা জাপানের টোকিও শহরে তো বিলবোর্ডের ছড়াছড়ি।
এতো আধুনিক দেশ কিন্তু এতো পুরনো পদ্ধতিতে মার্কেটিং করছে কেন?
আসলে তাদের সবকটি বিলবোর্ডে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া।
তারা তাদের প্রায় সবকটি বিলবোর্ডে ডিসপ্লে স্ক্রিন ব্যবহার করে, কেননা তারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব বুঝে।
মার্কেটিং সফল হওয়ার পিছনে মূলমন্ত্র হলো তুমি দর্শককে কতটুকু আকৃষ্ট করতে পারছো ।
তোমার অ্যাডভার্টাইজিং যতো বেশি জাঁকজমকপূর্ণ হবে, দর্শক ততো বেশি আকৃষ্ট হবে।
কখন প্রয়োজন ডিজিটাল মার্কেটিং ?
এখন কথা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং কি আমরা সবজায়গায় করে বেড়াবো?
আগেই বলেছি মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হল দর্শককে আকৃষ্ট করা।
দর্শকের চোখ যদি একবার তোমার অ্যাডের দিকে ঘুরানো যায়, তাহলে তুমি কী লিখেছ তা সে পড়ে দেখবেই।
ধরো তুমি মরুভূমির মাঝে কোনো এক রাস্তার পাশে একটি বিলবোর্ড বসিয়ে তোমার কোম্পানির প্রচারণা করতে চাচ্ছো।
এখন মরুভূমিতে মানুষজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য কি তুমি ডিসপ্লে বিলবোর্ড বসাবে ?
মরুভূমির রাস্তা দিয়ে যারা চলে তারা আশেপাশে মরুভূমি ছাড়া আর তেমন কিছুই লক্ষ্য করে না।
তাই তুমি যদি খুবই সাধারণ ধরণের একটি বিলবোর্ড বসিয়ে দাও, তাহলে সেটিও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
অর্থাৎ বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও মার্কেটিং বলতেই যে তা ডিজিটালই হওয়া লাগবে এমন কোনো কথা নেই।
অবস্থান ও পরিস্থিতি ভেদে তা পুরাতন নিয়মেও কার্যকরী করে তোলা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং -এর পদ্ধতিঃ
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) -এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংঃ
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?:
সার্চ ইঞ্জিন(যেমন: Google, Yahoo, Bing etc) গুলোর কাছে আপনার বা আপনার ক্লায়েন্টের যেকোন কিছু (ওয়েবসাইট/ব্লগ/ প্রোডাক্ট ইত্যাদি) জনপ্রিয় করে তোলাই হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কেন?:
আপনি যখন Google এ কোন কিছু লিখে সার্চ দেন তখন Google আপনার সামনে কিছু ওয়েবসাইটের লিস্ট সম্বলিত পেজ নিয়ে হাজির হয়।
একে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ বা সংক্ষেপে SERP বলা হয়। একটি পেজে সাধারণত দশটি রেজাল্ট থাকে।
দেখা যায় যে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরাই প্রথম পেজের দশটি রেজাল্টের মধ্যে তাদের কাঙ্খিত বিষয় খুঁজে না পেলে দ্বিতীয় পেজে না গিয়ে পুনরায় অন্য কিছু লিখে সার্চ করে।
তাই সবাই চায় তাদের ওয়েবসাইট/ ব্লগ/ প্রোডাক্ট যেন প্রথম পেজের দশটি রেজাল্টের মধ্যে থাকে।
সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইটের সাথে প্রতিযোগিতা করে এই দশটি রেজাল্টের মধ্যে থাকা অনেক কঠিন ব্যাপার। আর নতুন ব্লগ/ ওয়েবসাইট হলে তো কথাই নেই।
এজন্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হয় যাতে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ রেজাল্টের শুরুর দিকে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো বর্তমানে যে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media Marketing) রয়েছে সেখানে আপনার সার্ভিস বা পণ্যটাকে,
বিজ্ঞাপন বা শেয়ারিং এর মাধ্যমে প্রচার করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) বলে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের যে কোন পণ্য বা সার্ভিস খুব সহজেই কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে পারি।
এর জন্য আমাদের গাড়ি ভাড়া দিয়ে বা পায়ে হেঁটে কোথাও যেতে হয় না,
শুধুমাত্র কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস এ ধরনের ডিভাইস দিয়ে কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই সফলভাবে করা সম্ভব।
সোজা ভাবে বললে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) হলো এমন এক টেকনিক বা প্রক্রিয়া,
যেখানে বিভিন্ন আলাদা আলাদা Social Media Platform যেমন, Facebook, YouTube, Instagram, LinkedIn এবং আরো অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলিতে সক্রিয় থাকা লোকেদের লক্ষ্য (target) করে,
পণ্যের গুণমান সচেতনতা (product brand awareness) ছড়ানো হয়,
বা বিভিন্ন product, service এবং business এর প্রচার (marketing) করা হয়।
কেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হয়? Why social media marketing?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন করতে হয়? বা বর্তমানে লোকাল মার্কেটিং (local marketing) আর সোশ্যাল মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য কতটুকু।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে কি লাভ হবে?
হ্যাঁ বন্ধুরা লাভ অবশ্যই হবে, কেননা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের দ্বারপ্রান্তে এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যেন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া মানুষ কিছুই বোঝে না।
তাইতো মানুষ সারাদিন পড়ে থাকে “Facebook“, “Twitter“, “Instagram“, “YouTube” এর মধ্যে।
যেহেতু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে পড়ে রয়েছে আর আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার পণ্য বা আপনার সার্ভিসটাকে শেয়ার করেন বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দেন,
তাহলে খুব দ্রুত কাস্টমাররা আপনার সার্ভিস সম্পর্কে এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে।
আজ অনেক ক্ষেত্রে, এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলি, “অনলাইন মার্কেটিং” (online marketing) এর এক অনেক শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এবং, products, brands, services এগুলির প্রোমোশনের জন্য এদের ব্যবহার হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোন গুলো?
সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে এমন কিছু ওয়েবসাইট যেখানে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ স্থাপন করে।
এবং সেখানে সময় কাটায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বিনোদন করে ভিডিও দেখে এবং গেমস খেলে।
জনপ্রিয় কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া হলোঃ
YouTube
কেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখব ? Why learn Social marketing ?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media marketing) হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) এর একটা পার্টি অংশ।
এবং এটাকে আমরা অনলাইন মার্কেটিং (online Marketing) এ বলতে পারি কেননা এর মাধ্যমে আমরা যে কাজটি করি সেটা হলো অনলাইনে সক্রিয় থাকা।
যে সমস্ত লোকজন বা কাস্টমার (customer) রয়েছে তাদের কাছে আমাদের পণ্য বা আমাদের ব্যবসা কে প্রচার প্রসার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইমেজ ভিডিও এবং অডিও আপলোড করে থাকি।
যাতে কাস্টমাররা এসমস্ত ভিডিও ইমেজ বা অডিও শুনে একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট (Product) ব্যবসা (business) সম্পর্কে ধারণা পায়।
এত করে একজনকে তা খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবে,
এতে আপনার সেল বেশি পরিমাণে জেনারেট হবে এবং আপনি খুব দ্রুত লাভবান হতে থাকবেন, এজন্য আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার করা উচিত।
আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখবো মূলত দুটি কারণে।
01। আমাদের নিজের পণ্য বা ব্যবসা কে প্রমোশন করার জন্যঃ
আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট বা কোন ব্যবসা থাকে তাহলে আপনার প্রোডাক্ট বা আপনার ব্যবসাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
আপনার ব্যবসা সম্পর্কে কিছু ডিজাইন করে বা কিছু ভিডিও তৈরি করে সেটাকে, “Facebook“, “Twitter“, “Instagram“, “YouTube” এর মত সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে যত বেশি শেয়ার করবেন,
আপনার ব্যবসা বা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ক্রেতারা তত বেশি ধারণা পাবে এবং আপনার তত বেশি পণ্য সেল হতে থাকবে।
02। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্যঃ
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) শেখার আরও একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে টাকা উপার্জন করার জন্য।
আপনি যদি একজন দক্ষ মার্কেটার হন তাহলে আপনী বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন হাজার হাজার ডলার।
তাও আবার ঘরে বসেই। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ প্রজেক্ট রয়েছে আপনি চাইলেই সেখান থেকে ফ্রিল্যন্সার হিসাবে কাজ নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ভ্যালু কেমন?
বর্তমান সময়ে এক কথায় বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাহিদা বা গুরুত্ব অনেক বেশি।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিনিয়ত কাজ করে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটার হিসেবে।
আপনি যদি একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটের হন তাহলে আপনিও কিন্তু খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লেস হলোঃ
Upwork
Freelancer
Fivrr
Peopleperhour
Guru
এছাড়াও আরও অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস (online Marketplace) রয়েছে,
যেখানে আপনি চাইলেই সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করে ফ্রিতে একজন ভাইয়ের কাছ থেকে কাজ নিয়ে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ কি কি শিখতে হবে?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) করতে হলে কি কি কাজ শিখতে হবে?
প্রথমেই বলে নিচ্ছি সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম করা যায় এবং সে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে বিনোদন এবং পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন সাপোর্ট করে।
সে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) করতে হলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অনুযায়ী কাজ থাকে।
যেমন,
Facebook:
ফেসবুকের ক্ষেত্রে ফেসবুকে আপনাকে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট করতে হবে এবং সেখানে আপনাকে আপনার পণ্যের ক্যাটাগরি হিসেবে একটি পেজ তৈরি করতে হবে।
এবং সেখানে আপনার পণ্যের সম্পূর্ণ ধারণা বিশদভাবে বর্ণনা করতে হবে।
এটিকে একটি যে সকল কাস্টমার বা ক্রেতার হয়েছে তাদের কাছে শেয়ার করতে হবে।
Twitter:
যদি কারো কথা বলা হয় তাহলে এটা কেউ সেই ফেসবুকের মত একই ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
Instagram:
ইনস্টাগ্রাম যেহেতু ছবি বা ইমেজ রিলেটেড একটি সোশ্যাল মিডিয়া,
তাই আপনার পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুব সুন্দর ভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আপনার প্রোডাক্ট
বা আপনার সার্ভিস বা আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে।
YouTube:
আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
আপনাকে অবশ্যই আপনার পণ্যের বা আপনার সার্ভিসের ক্যাটাগরি অনুযায়ী সকল বর্ণনা বিশদভাবে দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং ভিডিওতে খুব ভালো কোয়ালিটি মেইনটেইন সহ অডিও দিতে হবে।
যাতে করে আপনার কাস্টমার যারা তারা খুব সহজেই আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে বুঝতে পারে।
আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও মার্কেটিং (youtube video marketing) করেন তাহলে আপনি আপনার সেবা বা পণ্য সম্পর্কে একটি ভিডিও একবার আপলোড করলে,
যতদিন পর্যন্ত সেই ভিডিওটি ইউটিউবে থাকবে ততদিন পর্যন্ত কাস্টমাররা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে,
এবং ততদিন পর্যন্ত আপনি সেখান থেকে আপনার কাস্টমার জেনারেট করতে পারবেন।
এ ছাড়াও আরও অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে সেই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া তাদেরকে অনুযায়ী তাদের কাজের ধরন অনুযায়ী সেখানে আপনাকে কাজ শিখতে হবে এবং কাজ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া কোথায় থেকে শিখব?
আপনি যদি মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে এবং অনলাইন থেকে বিভিন্ন রিচার্জ করে সেখান থেকে শিখতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ কোন ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে কিন্তু আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে পারবেন।
এ জন্য আপনাকে প্রতি কোর্সের বিপরীতে 5 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ লাগতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কয়েকটি সুবিধা হলোঃ benifitsof social marketing
এক বার লক্ষ্য করে দেখুন বর্তমানে একজন ছাত্র থেকে শুরু করে একজন বয়স্ক বিজনেসম্যান পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে জড়িত।
আপনি যদি আপনার পণ্যের মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়ায় করেন তাহলে আপনার পণ্য কতটুকু পর্যন্ত দেয়া সম্ভব আপনি ভাবুন।
এক কথায় বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘরে বসেই লক্ষ-লক্ষ ক্রেতাদের কাছে আমাদের পণ্য বা বিজনেস সম্পর্কে মার্কেটিং করতে পারি মুহূর্তেই।
আমি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) এর সুবিধা সম্পর্কে বেশ কিছু সুবিধা আলোচনা করলামঃBenefits of social media advertisements or marketing