দাঁতের চিকিৎসা
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
যেমন: মুখে দুর্গন্ধ, মাড়ি ফুলে যাওয়া, রক্ত পড়া, মাড়ি ও হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
দাঁতের শিকড় উন্মুক্ত হয়ে শিরশির অনুভূতি, ব্যথা, খাবারের স্বাদ নষ্ট, দাঁতের ফাঁকে পকেট তৈরি।
দাঁতের মজ্জা ক্ষতি গ্রস্ত, দাঁত নড়া, দাঁত পড়ে যাওয়া থেকে নানা জটিলতার তৈরি হয়।
দাঁতে গর্ত? হঠাৎ করেই ব্যথা হচ্ছে? অবহেলা করলে মহাবিপদ!
জেনে নিন বিশেষজ্ঞর পরামর্শঃ
সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে দাঁত ক্ষয়ে ফুটো হয়ে গেলে প্রথমেই সচেতন হোন।
না হলে তা বাড়তে বাড়তে ইনফেকশন দাঁতের মাড়ির ভিতরে চলে যায়।
তখন আরটিসি করা বা দাঁত তোলা ছাড়া কোনও উপায় নেই।
আর তখন আরটিসি করা বা দাঁত না তোলে ফেলে রাখলে,
সেখান থেকে সংক্রমণ মাড়ির হাড়ে চলে যায় এবং পুঁজ জমতে থাকে।
যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘পেরিয়াপিক্যাল অ্যাবসেস’।
এই সংক্রমণ যদি মারাত্মক আকার নেয় তখন হাড় ভেদ করে মুখের ত্বকেও চলে যায়।
আর এই অবস্থায় যদি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে বিশেষত;
ডায়াবেটিস, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইত্যাদি অসুখ থাকে বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খান ,
সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। সংক্রমণ মারাত্মক আকার রুপ নেয়।
মুখ ফুলতে থাকে। ফোলা জায়গা লাল হয়ে থাকে, অসম্ভব ব্যথা থাকে।
মুখ খুলতেও সমস্যা হয়। তখন ওরাল অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ হয় না। এই সমস্যাকেই বলা হয় স্পেস ইনফেকশন।
এমন হলে তখন রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিতে হয়।
মুখের সমস্যায় খেতে অসুবিধার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে।
তাই এই অবস্থাতেও ঠিকমতো খাবার বা পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বলা হয়।
তারপর অতিরিক্ত পুঁজ বাইরে থেকে ড্রেন করতে লাগে।
এইভাবে চিকিৎসা করে তবে রোগীর দাঁতের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
লুড উইগস অ্যাঞ্জিনা হল, সংক্রমণ অল্প থেকে বেশিমাত্রায় ছড়িয়ে গিয়ে তা দাঁত থেকে গলায় চলে যায়।
ফলে শ্বাস নিয়েও কষ্ট হয় অনেকেরই। এই অসুখ প্রাণসংশয়ও ডেকে আনতে পারে।
কাজেই দাঁতের সমস্যা অল্প বলে তা ফেলে রাখবেন না। কখন মারাত্মক হয়ে যাবে কেউ-ই বলতে পারে না।
মাঝে মধ্যেই ব্যথা হচ্ছে ! দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। ফেলে রাখলেই ছড়িয়ে যায় দাঁতে সংক্রমণ ।
যা প্রাণ সংশয়ও ডেকে আনতে পারে।
এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের সমস্যা আছে, ফেলে রাখলে অনেক বিপত্তি।
তাই যদি ডাক্তার বলেন, দাঁত তোলা কিংবা রুট ক্যানাল (Root Canal Treatment) করা ছাড়া কোনও উপায় নেই ,
তাহলে তো দেরি করা মানে জেনে বুঝে বিপদ ডেকে আনা।
এসব ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। আজ নয় কাল করতে করতে যারা দাঁতের সমস্যা ,
বিশেষতঃ স্পেশ ইনফেকশন, লু়ডউইংস অ্যাঞ্জিনার মতো রোগ ফেলে রেখেছেন খুব সাবধান।
দাঁত ও মাড়ির সমস্যা থেকে বাড়ছে হার্টের রোগ, সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস ও মানসিক সমস্যা।
দীর্ঘস্থায়ী দাঁতের রোগ অন্য ক্ষতি করে মানব দেহে।
হার্টের (Heart Disease) রোগ ও মানসিক (Mental Problems) সমস্যা দেখা দিচ্ছে মাড়ির সমস্যার জন্য।
গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক অজানা তথ্য।
জেনে নিন বিস্তারিতঃ
অতিরিক্ত চকোলেট (Chocolate), কোল্ড ড্রিংক্স (Cold Drinks) থেকে বাড়ে দাঁতের সমস্যা।
ছোট বয়সে অনেকেরই দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটেছে।
এই দাঁতের সমস্যায় ভুগেছেন অনেকেই। দাঁতে ক্যাবিটি, দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির সমস্যা- এসব নতুন কিছু নয়।
এমনকী, অনেকের মুখে গন্ধও হয় দাঁতের সমস্যার জন্য।
মাড়ি ও দাঁতের সমস্যা ( Gum and Dental Problems) সমাধানে ডাক্তারি পরামর্শ নেই সকলে।
কিন্তু, এতে সব যে সমাধান হয় এমন নয়। দাঁতে সমস্যা একবার দেখা দিলে, তা চলতেই থাকে।
কিন্তু জানেন কী দীর্ঘস্থায়ী দাঁতের রোগ অন্য ক্ষতি করে মানব দেহে।
হার্টের (Heart Disease) রোগ ও মানসিক (Mental Problems) সমস্যা দেখা দিচ্ছে মাড়ির সমস্যার জন্য।
বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি দ্বারা একটি গবেষণা (Research) করা হয়েছে। যেখানে উঠে এসেছে এমনই এক অজানা তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা ৫৪,৩৭৯ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করেন। যাদের পিরিয়ডোন্টার রোগ রয়েছে।
জিঞ্জিভাইটিস ও পিরিয়ডোনটাইটিস রোগে আক্রান্ত এই সকল ব্যক্তি।
গবেষণার পরই উঠে এসেছে তথ্য। জানা গিয়েছে, পিরিয়ডোন্টার রোগে আক্রান্ত ,
রোগীদের মধ্যে হার্ট ফেলিওর, স্ট্রোক
ভাস্কুলার ডিমেনশিয়ার মতো রোগ দেখা দিচ্ছে।
ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে।
এমনকী বিষণ্ণতা, মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয় মানসিক রোগের জন্য।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ডোন্টার রোগে যারা আক্রান্ত,
তাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানা রকম শারীরিক জটিলতা।
খারাপ মুখের স্বাস্থ্য খুবই সাধারণ বিষয়। আজকাল অনেকেরই এই সমস্যায় (Problems) ভুগছেন।
কিন্তু, এই সমস্যা যে শরীরে অন্য প্রভাব ফেলছে তা অবিশ্বাস্য ছিল।
মুখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মেনে চলুন এই কয়টি জিনিস –
প্রথমতঃ দিনে দুবার দাঁত মাজুন । প্রতিদিন সকালে ও রাতে দু’বার দাঁত মাজা উচিত।
খাবার পর ভালো করে মুখ ধোওয়া দরকার।
দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে থাকলে, তার থেকে সমস্যা তৈরি হয়।
দাঁতের ক্ষয়ের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাবে এই সমস্যা হয়।
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে লিকুইড টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া, রোজ মাছ, মাংস, ডিম খান। মিষ্টি ও অম্ল জাতীয় খাবার কম খাবেন।
বন্ধ করুন ধূমপান (Smoking)। এতে দাঁত ভালো থাকবে।