দাঁতের রোগ ও চিকিৎসা

দাঁতের সাথে মুখের ভেতরের অনেক অসুখই হয়ে থাকে মানুষের।

মাড়ি এবং দাঁতের নানা সমস্যাই প্রায় প্রত্যেককে সহ্য করতে হয়।

সুন্দর হাসি ও আকর্ষণীয় ব্যাক্তিত্বের জন্য উজ্জ্বল,

রোগমুক্ত দাঁতের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক সময়ে ,

যত্নের অভাবে দাঁতে আক্রমণ করে রোগ-জীবানু ও বিভিন্ন রকমের অসুখ।

তখন অকালে দাঁত ও দাঁতের মাড়ি হয়ে ওঠে কালচে, ভঙ্গুর ও হলদে রংয়ের।

যা খুবই বিশ্রী দেখায়। একটু বাড়তি সচেতনতা৷,

ও যত্ন নিলে মুক্তি মেলে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থেকে।

দাঁতের সমস্যাঃ

মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া।

ঠান্ডা পানি খেলে শির শির করা।

মুখে দূর্গন্ধ হওয়া।

অকালে দাঁত পড়া।

দাঁতের ক্ষয় হওয়া।

আক্কেল দাঁত উঠা।

মাড়ি ফুলে যাওয়া।

দাতেঁর সামনে ও পেছনে দাগ পড়া।

দাঁতে পাথর হওয়া।

 সমাধানে করণীয়ঃ

উপরোক্ত সমস্যা দেখা দিলে দেরী না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া ভালো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ভালো করে ব্রাশ করা।

তিন মাসের বেশী টুথ ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত নয়।

মাঝে মাঝে টুথ পেস্ট পরিবর্তন করা ভালো।

আলপিন, সেপটিপিন বা এ জাতীয় শক্ত কোন কিছু দিয়ে ,

দাঁত বা মাড়ি খোঁচানো কোন ভাবেই ভালো নয়।

ধূমপান, পান এবং তামাক জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ রুপে পরিহার করা উচিত।

কারণ এতে করে মুখের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১০০% থেকে যায়।

যেকোন কিছু খাওয়ার পর ভালো করে কুলি করে মুখ পরিষ্কার করা উচিত।

এতে দাঁতের ফাঁকে খাদ্য কণা জমার আশংকাও থাকে না ,

এবং মুখের দূর্গন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

দাঁতের চিকিৎসাঃ

দাঁতের রুট ক্যানেল, সিলভার এলয় ফিলিং আলট্রা ,

ভায়ো লেট রশ্মির মাধ্যমে কম্পোটিক ফিলিং,

দাঁতের রং মিলিয়ে সিরামিক ফিলিং এবং দাঁতের পাথর ও দাগ সহ মাড়ির সব ধরনের চিকিৎসা।

অকালে পড়ে যাওয়া এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া দাঁত ,

ক্রাউন এবং ব্রীজের মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে লাগানো হয় ।

এছাড়াও পড়ে যাওয়া দাঁতের মাপে অস্থায়ী ডেনচার তৈরি করা হয়।

 দাঁত তোলার পর করণীয়ঃ

দাঁত তোলার পর ঐখানে তুলা বা গজ ১ ঘন্টা চেপে ধরে রাখতে হয়।

তুলা ফেলার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে কুলি করা ভালো।

দাঁত তোলার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে গরম দুধ, চা বা অন্য গরম কিছু না খাওয়া।

তরল ও ঠান্ডা খাবার খাওয়া।

২৪ ঘন্টা পর অল্প গরম পানিতে সামান্য লবন দিয়ে ১ সপ্তাহ ধরে দিনে ৩/৪ বার কুলি করা ভালো।

দাঁত ফিলিং করার পর করণীয়ঃ

অস্থায়ী ফিলিং করার পর ২ ঘন্টা শক্ত কিছু খাওয়া যাবে না।

ফিলিং করার পর দাঁতের মধ্যে উঁচু বোধ করলে ,

অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

লাইট কিউর বা অন্যান্য ফিলিং এর স্থানে টুথ পিক দিয়ে খোচানো যাবে না।

স্থায়ী ফিলিং করার পরবর্তী ১২ ঘন্টা খুব শক্ত,

খুব গরম এবং খুব ঠান্ডা খাবার না খাওয়াই ভালো।

 দাঁত বাঁধানোর পর করণীয়ঃ

দাঁত বাঁধানোর পর প্রথম কিছু দিন কথা বলতে বা খেতে সাময়িক ভাবে অসুবিধা হয়,

তাই বলে দাঁতের ব্যবহার বন্ধ না রাখাই ভালো।

নতুন দাঁত ব্যবহারে অনেক সময় ক্ষতের সৃষ্টি হয়,

এতে ডাক্তার দিয়ে দাঁত এডজাস্ট করিয়ে নিতে হয়।

রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই দাঁত খুলে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে,

এবং দাঁত ভালো করে পরিস্কার করে ব্যবহার করতে হবে।

স্থায়ী ভাবে দাঁত লাগিয়ে নিলে এই ঝামেলা থাকে না।

প্রতি ছয় মাস অন্তর একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জন দিয়ে ,

নিজের মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য চেক-আপ করানো ভালো।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *