দাদ সারবে সহজ ঘরোয়া উপায়ে

অনেকেই দাদের সমস্যায় ভোগেন। ভীষণ ছোঁয়াচে এই দাদ ছড়িয়ে পড়ে এক জন থেকে অনেকের মধ্যে। আজকাল ডাক্তার দেখিয়ে দামি ঔষধ খেয়ে, নিয়মিত মলম লাগিয়েও দাদমুক্ত হওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত?

ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেহ কোষে এমন জিনঘটিত পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছে এই ছত্রাক যে, চালু ঔষধ- গুলো তো বটেই, সম গোত্রীয় বেশ কিছু কড়া ঔষধও কাজ করছে না। আর এ জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন পাড়ার দোকান থেকে আম জনতার ঔষধ কেনার বদভ্যাস- কেও।

জানেন কি দাদ নিরাময়ের কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় রয়েছে? লাইফস্টাইল সম্প- র্কিত ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডটকমের প্রতি- বেদন অনুযায়ী চলুন জেনে নেওয়া যায় সে উপায়গুলো।

সাবান-পানিঃ

লবণ পানি ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ হিসেবে কাজ করে যা ক্ষত স্থান দ্রুত সারিয়ে তোলে। প্রতি দিন আক্রান্ত স্থান পানি এবং অ্যান্টিব্যাকটে- রিয়াল সাবান দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করুন। তারপর জায়গাটা আলতো হাতে মুছে নিন।

নারকেল তেলঃ
 
নারকেল তেলে মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি- ফাঙ্গাল, উভয় বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান, যা দাদের সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। দাদ ছাড়াও ইহা ক্যান্ডিডা এবং অন্যান্য ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রেও কার্য- কর। এই প্রক্রিয়াটি করার জন্য, প্রথমে একটি পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিন। তার পর ওই হালকা গরম তেল সরাসরি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন। ইহা ত্বকে দ্রুত শোষিত হয়। অন্তত দিনে তিন বার এই প্রক্রিয়াটি করুন।

টি-ট্রি অয়েলঃ 

এতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটে- রিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইহা ছত্রাক জনিত ত্বকের ইনফেকশনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর।

এই প্রতিকারটি করার জন্য, প্রথমে একটি পরিষ্কার তুলোর বলে কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল নিয়ে সরাসরি সংক্রমিত স্থানে লাগিয়ে নিন ।

তবে আপনার যদি সংবেদন- শীল ত্বক হয় তবে, টি-ট্রি অয়েল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এই প্রক্রিয়াটি দিনে দুই থেকে তিনবার করা যেতেই পারে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ
 
অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকা ফাঙ্গাস- রোধী উপাদান ফাঙ্গাসঘটিত জটিলতা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে পারে। দিনে তিন থেকে পাঁচবার পরিষ্কার তুলায় অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে ডুবিয়ে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে। দাদ মিলিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে।

হলুদঃ 

হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা অসীম। হলুদে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যা- মেটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তা ছাড়া হলুদ কার্যকরী অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবেও কাজ করে। ইহা সংক্রমণের বৃদ্ধিকে রোধ করতে অত্যন্ত সহায়ক।

এই প্রতিকারটি করতে, প্রথমে তাজা হলুদ বাটা কিংবা হলুদ গুঁড়া নিয়ে, তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সংক্রমিত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে শুকিয়ে নিন।

অ্যালোভেরাঃ
 
দাদের সংক্রমণ রোধ করতে অ্যালোভেরাও দুর্দান্ত কার্যকর। অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান । অ্যালোভেরা দাদের চুলকানি, অস্বস্তি এবং প্রদাহের লক্ষণগুলোকে প্রশমিত করতে সহায়তা করে ।

এই প্রতিকারটি করতে, সংক্রমিত স্থানে সরাসরি অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করুন। ভালো ফল পেতে দিনে তিনবার এই প্রতি- কারটি করার চেষ্টা করুন।
 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *