নতুন কোনো ব্লগ খুলে পোস্ট করার আগেই কি ব্লগের আনুষঙ্গিক সব কাজ করতে হয় ?

যেমন – সার্চ কনসোল, গুগল অ্যানালিটিক্স, গুগল ট্যাগ ম্যনেজার এবং প্রতিটি পোস্টের জন্য সাথে সাথে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে হবে কি?

Syed Manirul Islam

মনে করুন আপনি একটি দোকান দিলেন। সেই দোকানে কোন মালামাল নেই ৷

আর আপনার দোকান কাষ্টমারের হিসাব রাখার জন্য একজন ম্যানেজার রাখলেন ৷ আরো অনেক কিছুই করলেন ৷ কিন্তু মাল না থাকলে কি এই সব কাজে আসবে।

প্রথমে দোকানে মাল রাখা শুরু করেন ৷ কিছু গ্রাহক আসা শুরু করুক ৷ তারপর সবাইকে জানান , যে আপনি একটি দোকান দিয়েছেন ৷ এখানে এটা সেটা পাওয় যায় ৷

গুগল অনুবাদ ব্যবহার করে ব্লগ লিখে পোস্ট করলে কোনো সমস্যা হবে কি?

না সমস্যা হবে না; তবে আপনাকে ইংরেজির মৌলিক বিষয়সমূহ সম্পর্কে জানতে হবে।বাক্য গঠন,শব্দের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।

গুগলের অনুবাদে বেশকিছু হাস্যকর বিষয় দেখা
যায় ।

তারা নেটিভ বা গ্রামীণ, অপ্রচলিত শব্দের অনুবাদে প্রায়ই ভুল করে।

এজন্য এদের থেকে সাহায্য নিয়ে আপনি নিজের মতো করে অনুবাদ করা উচিত।

গুগল অনুবাদ ব্যবহার করে ব্লগ লিখে পোস্ট করলে কোনো সমস্যা হবে কি?

মনে করুন সমস্যা হয়না। তাও করবেন এইটা? এটা করে লাভ কি?

ট্রান্সলেট করা বাক্য পড়ে কেউ ফিল পায়না। সো, আপনি প্রথম কয়েকদিন ট্রাফিক পেলেও পরে চিরতরে হারাবেন।

এছাড়াও সেইম কন্টেক্ট যদি অন্য কেউ ট্রান্সলেট করে ইউজ করে, তখন?

তখন যে আগে ইউজ করলো তারটাই আগে শো করবে গুগল সার্চে। আবার কপিরাইট ও হতে পারে।

সো, যদি করেনও বা এমন কাজ, তবে ট্রান্সলেট করার পরে সুন্দর করে শব্দ গুলা আগে পরে নিয়ে লাইন পুর্ন করে পাবলিশ করবেন।

গুগল অনুবাদ ব্যবহার করে ব্লগ লিখে পোস্ট করলে কোনো সমস্যা হবে কি?

অবশ্যই সমস্যা হবে, কারণ Google translate একটি গুগলের প্রোডাক্ট এতে আপনার সব কাজগুলি গুগলের নজরে আসবে অর্থাৎ গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুবল পাবে না অন্যদিকে আপনার পোস্ট গুগলে রাঙ্ক করবে না ফলে আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে না ।

আর ভিজিটর না এলে আপনার সাইট ডাউন হয় যাবে ।

সুতরাং আপনি যতটা পারেন নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করবেন ।

ব্লগারে ব্লগ ওয়েবসাইট খুললে কি আগে থেকে কাস্টম ডোমেইন কিনে তারপর সাইট খোলা উচিত হবে, নাকি সাইট খোলার পরবর্তীতে কাস্টম ডোমেইন কিনে যুক্ত করা উচিত হবে?

আপনি যদি বিগিনার লেবেলের হোন তাহলে আগে কাস্টম ডোমেন দিয়ে শুরু করেন আর যদি আপনি কিছু বাড়তি জানেন তাহলে পরে কাস্টম ডোমেন কিনুন।

আপনার যদি কন্টেন্ট আগে থেকে রেডী থাকে তবে সেটাপ করতে বেশি সময় লাগে না।

আপনার ডোমেন কেনাটা নির্ভর করবে আপনার সেটাপ করার সময়ের উপর।

আমার ব্লগসাইট-এ ফেসবুক হ্যাকিং নিয়ে একটি প্রবন্ধ পোস্ট করেছি। এটার জন্য কি অ্যাডসেন্স পেতে সমস্যা হবে?

নতুন ব্লগাররা যখন তাদের প্রথম ব্লগার সাইট তৈরি করে,তাদের মনে যে বিষয়টি উঠে আসে তা হলো ব্লগিং ওয়েবসাইটকে গুগল এডসেন্সে আবেদন করে অনুমদোন করার মাধ্যমে অর্থোপার্জন করা।

পরবর্তিতে তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একটি এডসেন্স একাউন্ট খুলে থাকে যা থেকে তাদের একটি আয়ের উৎস প্রশস্ত হয়।

কিন্তু তারা জানে না যে গুগল এডসেন্স নীতি না মেনে নিলে তাদের এডসেন্স একাউন্ট চোখের পলকে ব্যানড বা নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

আপনিও কী আপনার এডসেন্স একাউন্ট ব্যানড করতে চান?

যদি আপনি না চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

ব্লগার ব্লগে একই দিনে কয়েকটি কন্টেন্ট পোস্ট করার কারণে ইন্ডেক্স না হলে সেগুলি ইন্ডেক্সে দেয়ার আলাদা কোনো নিয়ম মানতে হয় কি?

নাকি যেভাবে আছে সেভাবেই আবার ইন্ডেক্সে দিলে হবে?

আসলে সব সেটিং ঠিক থাকার পরেও কেন ব্লগের পোস্ট ইনডেক্স হয় না তা সঠিক করে কেউ বলতে পারবে না ।

তবে কিছু কিছু পোস্ট কিছু দিন পর এমনিতেই ইনডেক্স হয়ে যায় ।

আপনি গুগল Google Search Console এ ইনডেক্সের জন্য রিকুয়েস্ট করতে পারেন। এছাড়াও পিং করতে পারেন ।

ব্লগের সাইটে প্রতিবার পোস্ট করার পর কি সাইট ম্যাপ যুক্ত করতে হবে, নাকি একবার করলেই হবে?

প্রতিটি ব্লগ প্রথমবার দ্রুত ইনডেক্স হওয়ার জন্য গুগলের সার্চইঞ্জিনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়।

এরই একটা মাধ্যম হলো “সাইটম্যাপ”। এটি একবার সাবমিট করলেই চলে।

যখন একবার পরিচয় হয়ে যায় তখন আর পরিচয় করাতে হয় না, অটোমেটিক আপডেট হতে থাকে।

তাই যে কোনো ব্লগের জন্য উক্ত ব্লগের সাইটম্যাপ, সার্চ কনসোলে একবার সাবমিট করলেই চলে।

নিচের লিংকে স্টেপ বাই স্টেপ দেয়া আছে কিভাবে গুগল সার্চ কনসোলে ব্লগের সাইটম্যাপ সাবমিট করবেন।

বিনামূল্যে ব্লগ সাইট যেমন – ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ব্লগ খুলে আয় কেমন হয়? বাস্তবতা আসলে কী?

ব্লগিং করে কত আয় করা যায় এমন চিন্তাধারা নিয়ে যারা ব্লগিং পরিচালনা করে তারা কখনো এই প্লাটফর্মে বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। এখন কথা হচ্ছে কেন ?

দেখেন এই প্লাটফর্মে কাজ করতে হলে সর্ব প্রথম প্রয়োজন ধৈর্য।

আপনাকে দীর্ঘদিন ব্লগিং এ কাজ করার পর যদি এডসেন্স এর অনুমোদন পান তাহলে আপনি আপনার সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এখন এডসেন্স এর অনুমোদন নিতেই অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে।

কারণ তার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ইনকাম। সে যখন ইনকামের রাস্তাই খুঁজে পাচ্ছে না তখন সে এখান থেকে বেরিয়ে যায়।

আবার দেখা যায় এডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়ার পর ১/২ ডলার ইনকাম করতে অনেক সময় লেগে যায় । যার কারণে অনেকে তখন ব্লগিং করা থামিয়ে দেয়।

ব্লগার থেকে কোনো ব্লগপোস্টের লেখা আপডেট করার পর সেটিকে কি আবার ইনডেক্সিং-এর জন্য অনুরোধ করতে হবে?

আপনার ব্লগের সাইট ম্যাপটি যদি গুগল search console এ সাবমিট করা থাকে তাহলে আলাদা করে আর url indexing করার প্রয়োজন পড়ে না।

গুগল বোট অটোমেটিক আপনার নতুন পোস্ট crawling করে নেবে।

তাহাপিও আপনি আপনার নতুন পোস্টটি ইনডেক্স করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন Google search console এ গিয়ে।

URL Inspection নামে একটি অপশন আছে ঐখানে আপনার ব্লগের নতুন পোস্টটির লিং পেস্ট করুন তারপর দেখতে পাবেন যে আপনার ওই পোস্টটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে add আছে কি নেই আর নীচে দেখতে পাবেন লেখা আছে Request Indexing. এটায় ক্লিক করুন।

ব্লগিং এর অন্যতম একটি সুবিধা হচ্ছে সময় স্বাধীনতা।

ব্লগিং এ নিয়মিত পোস্ট করা উচিত। কিন্তু সেটার কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।

তবে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি নিয়মিত যত বেশি কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ করতে পারবেন।

সাইটের rank এর তত ভালো হবে। আপনার সাইটের ভিজিটরগণ নিয়মিত আর্টিকেল পড়বে।

এর ফলে আপনি আরও বেশি রেভিনিউ জেনারেট করতে পারবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *