ফাইবার ও আপওয়ার্ক-এর পার্থক্য এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলি কি ?

ফাইবার এবং আপওয়ার্ক দুটোই অনলাইন মার্কেটপ্লেস তবে ফাইবার এবং আপওয়ার্ক এর মধ্যে কিছু পার্থক্য অবশ্যই আছে।

ফাইবারে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনি যে সার্ভিসগুলো জানেন সেই সার্ভিসগুলো বিজ্ঞাপন আকারে আপনার প্রোফাইলে শো করতে পারবেন এখানে বিজ্ঞাপনের আরেক নাম “গিগ”।

আপনি যখন নতুন অ্যাকাউন্ট খুলবেন তখন এখানে সাতটি গিগ খুলতে পারবেন।

ফাইবারে যে কেউ যে কোনো সময় একাউন্ট খুলতে পারেন। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের তুলনায় ফাইবারের ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার বেশি।

ফাইবারে স্টার্টিং প্রাইস 5 ডলার এর জন্যই মূলত এর নাম হয়েছে ফাইবার যদিও এখন অনেক বেশি প্রাইজের কাজও হয়ে থাকে।

এখন আসি আপওয়ার্কে আমি মনে করি আপওয়ার্ক ফাইবারের তুলনায় একটু এডভান্স এবং ভালো মার্কেটপ্লেস ।

এখানে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে এপ্রুভ করাতে পারে না।

ফাইবারের মতো এখানেও আপনার সার্ভিস গুলো সাজিয়ে রাখতে পারবেন তবে এখানে ক্লায়েন্টকে সরাসরি প্রপোজাল পাঠাতে পারবেন।

যা ফাইভারে “বায়ার রিকোয়েস্ট” নামে পরিচিত।

আপওয়ার্কে সরাসরি বায়ার প্রপোজাল কে বলা হয় “কানেক্ট”।

আপওয়ার্ক প্রতি মাসে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কানেক্ট ফ্রী দিবে ।

আপনি যদি সে “কানেক্ট” প্রপোজাল লিমিট শেষ করে ফেলেন তাহলে আপনাকে কিনে নিতে হবে।

আপওয়ার্কে কম্পিটিশন কম তবে ওখানে যারা কাজ করে সবাই অনেক বেশি প্রফেশনাল।

আমি মনে করি নতুনদের জন্য ফাইবার বেস্ট ফাইবার থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে যাওয়া উচিত।

ফাইবার, আপওয়ার্ক-এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে গেলে কী করতে হবে ?

এটা ফ্রিল্যান্সিং জগৎ এর সবচেয়ে পরিচিত প্রশ্ন, এটার উত্তর হিসাবে অনেকেই অনেক মতামত পেশ করেন।

আমি খুব কাজ থেকে দেখা & শিখা, তাই জীবন থেকে নেওয়া কিছু পরামর্শ দিতে পারি, আশা করি কাজে দিবে।

প্রথমত আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কি হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং জগৎ এ কাজ করবেন ? অল্প দিনের জন্য নাকি পুরো বাকি সময় জুড়ে?

যদি আপনি অল্প সময়ের জন্য সিধান্ত নেন, তাহলে আমার পরামর্শ হলো ” আপনার সময় নষ্ট করার কোন দরকার নাই, তার চেয়ে বরং চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিন, কাজে দিবে।

আর যদি ফুল টাইম কাজ করার সিধান্ত নেন তাহলে নিচের পরামর্শ গুলো শুধু আপনার জন্যই।

ফাইবারে সুবিধা ও অসুবিধা কি?

বর্তমানে যে অবস্থা তাতে নতুন কিংবা পুরাতন সকলের জন্যেই ফাইবারে কাজ পাওয়া খুবই সমস্যা।

আর সব থেকে বড় সমস্যা আপনি অনেক কষ্ট করে একটি প্রোফাইল দাঁড় করালেন কিন্তু কয়েকদিন পরে দেখলেন আইডি নষ্ট হয়ে গেছে। তখন কি করবেন?

এর থেকে ভালো হয় আপনি বাহিরে সরাসরি ক্লায়েন্ট খোঁজ করেন।

ফাইভার এবং আপওয়ার্ক নিয়ে কি একটা পিসিতে কাজ করা যাবে ?

অবশ্যই যাবে। আমি নিজেই এক পিসিতে তিনটি মার্কেটপ্লেসে কাজ করি। কোনো সমস্যা হয় না।

ক্রোম ব্রাউজার থেকে ফেসবুক ব্যবহার করলে ফেসবুক অ্যাপ-এর তুলনায় বাড়তি কী কী সুবিধা এবং অসুবিধা পাবো?

ক্রোম ব্রাউজার থেকে ফেসবুক ব্যবহার করলে ফেসবুক অ্যাপ এর তুলনায় বাড়তি কী কী সুবিধা এবং অসুবিধা পাবো ?

প্রথমেই বলে নেই যদি সুবিধার কথা চিন্তা করেন তবে মোবাইল ফোনে অ্যাপ এবং ডেস্কটপের ক্ষেত্রে ব্রাউজার ব্যবহার করা উত্তম।

এখানে আমি মোবাইলের ক্ষেত্রে কোনটার অভিজ্ঞতা কি রকম সেটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করছি।

ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহার করাই উত্তম। ফেসবুক অ্যাপের ইউজার ইন্টারফেস খুবই চমৎকার। অনেক ফিচার সমৃদ্ধ।

ব্যাবহার করে একটা স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। তবে ফেসবুক অ্যাপের কিছু সীমাবদ্ধতা বা সমস্যা আছে। যেমন-

০১. অপ্রয়োজনীয়ভাবে শুধুমাত্র ব্যাবসায়ীক উদ্দেশ্যে মেসেঞ্জারকে আলাদা করা হয়েছে।

০২. ফেসবুক অ্যাপ আপনার ব্যক্তিগত সকল ধরণের তথ্য নিয়ে নেয় এবং আপনাকে ট্রাক করে।

০৩. ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অনেক বড় অ্যাপস।

কিভাবে ফাইবার থেকে বেশি কাজ পাওয়া যায়?

এমন গিগ সিলেক্ট করুন, যেখানে কম্পিটিটর ১৫০০ থেকে থেকে বেশি কিন্তু ১৫০০০ হাজারের নীচে।

১৫০০ থেকে কম কম্পিটিটর আছে মানে, এই গিগের বা সার্ভিসের তেমন চাহিদা নাই, তাই আপনি যদি ১ম পাতায়ও থাকেন , আপনি তেমন অর্ডার পাবেন না।

আবার ১৫০০০ হাজারের বেশি কম্পিটিটর মানে হচ্ছে এখানে কম্পিটিটর অনেক বেশি।

অর্থাৎ ১ম পেইজে আসাটা অনেক ডিফিকাল্ট। আবার আসলেও অন্য সবাই হয়তো এত বেশি সিনিওর সেলার হবে যে তাদের সাথে অর্ডার করে পারবেন না।

কেউ যদি আপনার সার্ভিস বা গিগের জন্যে মেসেজ দেয়, তাকে যেভাবেই হোক অর্ডার করানোর চেস্টা করুন।

আপনি কি আমাকে ফাইভার অথবা আপওয়ার্ক-এ কাজ পেতে সহায়তা করতে পারেন?

আপনি ফাইভার এবং আপওয়ার্কে কাজ পেতে সহায়তা চেয়েছেন। এক্ষেত্রে আমি আপনাকে যেসব বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারি তা হলো:-

০১. আপনার ফাইভার এবং আপওয়ার্ক একাউন্ট্ সঠিক ভাবে তৈরি করা এবং একাউন্ট্ সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য গুলি সঠিক ভাবে সম্পাদনের পরামর্শ দেয়া ।

০২. ফাইভারের ক্ষেত্রে গিগ মার্কেটিং ও আপওয়ার্কের ক্ষেত্রে পোর্টফোলিও তৈরি করতে সঠিক দিক নির্দেশনা ।

০৩. ফাইভারের ক্ষেত্রে বায়ার রিকোয়েস্ট এবং আপওয়ার্কের ক্ষেত্রে ইনভাইটেশন ।

তাছাড়া অন্যান্য বিষয় ও সহযোগিতা পেতে পারেন যা আপনাকে অডার পেতে সহায়তা করবে ।

ফাইবার, আপওয়ার্ক-এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে গেলে কী করতে হবে?

আগে ভালোভাবে কাজটা শিখুন।

নিজে নিজে প্রাকটিস করে কাজের একটা পোর্টফোলিও তৈরি করুন।

কেননা আপনার কাজের স্যাম্পল না দেখে কেউই আপনাকে হায়ার করবে না !

আপওয়ার্ক-এ কোনো জবের জন্যে এপলাই করার সময় অনেক ডিটেল কভার লেটার লিখবেন।

লক্ষ্য করবেন ক্লায়েন্ট তার জব পোস্টেই ইনডাইরেক্টলি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছে, প্রত্যেকটার উত্তর দিন|

কভার লেটার এমনভাবে লিখবেন যেন কাজের প্রতি আপনার ডেডিকেশন প্রকাশ পায় |

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *