ফ্যাকাশে মুখ !
আমি সন্ধ্যায় বাড়িরই বারান্দায় বসে
একদিন চিন্তা যা করেছিলাম শহরের
অলি গলিতে অব্যাহত জীবন-সংগ্রাম
নিয়ে ওরা কতো ঘন বসতি ভাবে বাস
করে একে অন্যে সকলে মিলে মিশে !
হকারদের আরোও চিৎকার চেঁচামেচি
পেয়েছিলাম যে শুনতে প্রত্যেকে হাঁক
ছাড়ছিল এরই মধ্যে দাঁড়িয়ে দৃষ্টিপাত
করে অনেক লোকের ভিড় শীঘ্র গিয়ে
দেখি সব বয়সের ছাড়াও আছে কচি!
সেথায় যেন একটি শিশু উপস্থিত রয়
একদম ঘেসে আমার কাছে বসে তার
বয়স মাত্র পাঁচ বছর গায়ে ছেঁড়াফাটা
কাপড় কাঁধে থালা একটা তাতে কটা
ফুলের তোড়া শরীরটাই খুব দুর্বল হয়!
দিয়েছিল স্বরকেই আরও ক্ষীণ করে
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া লাঞ্ছনা ও
বেদনা-ভরা অবজ্ঞা তবে বলল স্যার
ফুল একটা নেবেন আমি ওরই ছোট্ট
ফ্যাকাশে মুখটা দেখলাম নয়ন ভরে !
দুঃখ দারিদ্র্যের ছাপ দেখা গেল স্পষ্ট
চোখ দুটোয় ওর মুখটা একটু অল্প ই
ফাঁকা হয়ে আছে ব্যথিত বুকে যেনো
কোনো একটা গভীর ক্ষত সে নেহাত
দু:খি বুঝতেও আর থাকেনি অস্পষ্ট!
হাত দুটো দুর্বল আর কৃশকায় গাল
ছোট্ট এবং শীর্ণকায় দেহটাও ন্যুব্জে
আছে ফুলের থালাটার ভারেই তার
যেন সজীব ঘাসের মাঝে সে শুষ্ক ও
হলদে গোলাপের একটা ছোট্ট ডাল!