ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন :

ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইনে কোনো কাজ করে তার বিনিময়ে অর্থ দাবী করাকেই বলে ফ্রিল্যান্সিং, আর যে এই কাজগুলো করে দিচ্ছে তাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।

এই ফ্রিল্যান্সিং কাজটাকে অনেকেই মুক্তপেশা বলে অভিহিত করে থাকেন, কারণ এই পেশাতে আপনি যখন খুশি কাজ করতে পারবেন, নিজের ইচ্ছেমত কাজ সিলেক্ট করতে পারবেন, আবার যখন খুশি কাজ ছেড়েও দিতে পারবেন।

এতোক্ষণ যা যা বললাম এগুলো সব আজ থেকে ৪-৫ বছর আগের কথা।

এখনকার ফ্রিল্যান্সিং যুগে আপনার স্কিল না থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে টিকতেও পারবেন না।

বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং বাজার এখন প্রতিযোগিতামূলক একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে রুপ লাভ করেছে।

এখানে এখন আয় করা তো দূর, কাজ পাওয়াটাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কারণ এখন প্রতিযোগিতার সাথে সাথে প্রতিযোগিদের সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে।    

একটি সাধারণ জব পোস্টের জন্য হাজার হাজার বিড পড়ে যার কারনে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা হুমরি খেয়ে পড়ে এবং অনেকেই ব্যর্থ হয়।

যারা ব্যর্থ হয় তাদের মধ্যে একটা কনফিউশন কাজ করে যে তারা কোন কাজের জন্য বিড করবেন বা কোন কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন যাতে তাদের চাহিদা বাড়ে।

আজকে আমি আপনাদের সামনে কিছু মার্কেটপ্লেসের চাহিদা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজের রিসার্চ নিয়ে হাজির হয়েছি যেগুলো আপনাদের বেশি টাকা আয় করতে সাহায্য করবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন সেই চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলোর রিসার্চ লিস্ট নিচে দেওয়া হলোঃ

(০১) সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট :

প্রোগ্রামিং এর কাজগুলো বিশেষ করে কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং মোবাইল অ্যাপ্স ডেভেলপমেন্টের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

কারণ এটা এমন একটি দক্ষতা সম্পন্ন কাজ যা সবার দ্বারা হয় না, যার ফলে এই কাজের পারিশ্রমিকও বেশি।

আপনি চাইলে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখে প্রতি ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ ডলার আয় করতে পারেন।    

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্য আপনি নিম্নোক্ত ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো আয়ত্ত করে ফেলতে পারেন :

জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)

সি প্লাস প্লাস (C++)

পাইথন (Python)

জাভা (Java)

সি (C)

সবচেয়ে বেশি আয়ের কাজগুলোর মধ্যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজটি অন্যতম।

আপনি যদি এই কাজটিই করবেন বলে ঠিক করে থাকেন তাহলে উপরের যে কোনো একটি ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে কাজ করা শুরু করতে পারেন।

তবে বলে রাখা ভালো, সবগুলো একসাথে শিখতে যাবেন না, তাহলে সব জটপাকিয়ে যাবে।

একটা একটা করে শিখে সেটাতে দক্ষ হয়ে তারপর আরেকটাতে যাবেন।

(০২) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট :

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের পরই আসে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ।

আপনি যদি একজন ভালো মানের ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে আপনাকে টাকার পিছনে ছুটতে হবে না, টাকাই আপনার পিছনে ছুটবে।

বর্তমানে সব ধরণের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডেভেলপারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

ওয়েব ডেভেলপারদের কাজ হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং তার সাথে সেই ওয়েবসাইটে একজন এডমিন কিভাবে ঢুকবে, এডমিন কিভাবে সেই ওয়েবসাইটের সেটিংস চেইঞ্জ করবে এবং সেই ওয়েবসাইট টাকে কিভাবে ডায়নামিক ভাবে উপস্থাপন করবে সহ আরোও সব রকমের সার্ভিস প্রদান করা।

এই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখে আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সাররাই বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে মাসে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করছে ঘরে বসেই।

তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, অনলাইনে কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে এই কাজগুলোর প্রতি !

এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ধাপ ২ টি। এই দুইটি ধাপের জন্য ল্যাঙ্গুয়েজও ব্যবহার করতে হয় আলাদা আলাদা।

ধাপগুলো হলোঃ

(০১) ফ্রন্ট এড, (০২) ব্যাক এড।

এখানে ফ্রন্ট এড ডেভেলপারের কাজ হলো ওয়েবসাইটের বাহ্যিক দিকগুলো দেখাশোনা করা, যেমন – ডিজাইন, ভিজ্যুয়াল, প্রিভিও ইত্যাদি।

আর ব্যাক এড ডেভেলপারের কাজ হলো ওয়েবসাইটের ভিতরের সেটিংস, মেইন্ট্যানেন্স এন্ড কাস্টমাইজেশন এর কাজ করা।

আর যে ডেভেলপার ফ্রন্ট ও ব্যাক উভয় এডের কাজই করতে পারে তাকে বলা হয় ফুল-স্ট্যাক। 

ফ্রন্ট এড এর জন্য যেসব ল্যাঙ্গুয়েজ জানা প্রয়োজন সেগুলো হলোঃ

CSS

HTML

Javascript ইত্যাদি।

এবং ব্যাক এড এর জন্য যেসব ল্যাঙ্গুয়েজ জানা প্রয়োজন সেগুলো হলোঃ 

PHP

MySQL

Node.js

Javascript ইত্যাদি।

এসব ল্যাঙ্গুয়েজ জানার সাথে সাথে ফ্রেমওয়ার্ক এর কাজও জানা থাকতে হবে।

তবেই আপনি প্রফেশনালভাবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারবেন।

যত বেশি কাজ করবেন ততো বেশি নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবেন এবং ততো বেশি অভিজ্ঞতাও বাড়বে।

(০৩) ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট :

নাম শুনেই অনেকটা আন্দাজ করা যায় যে ডেটা অ্যানালিটিক্স এর কাজটা ঠিক কি রকম হতে পারে।

ডেটা অ্যানালিটিক্সের কাজ হলো বিভিন্ন কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক ডেটাগুলোকে অ্যানালাইসিস করা।  

যদিও আমাদের দেশে কিংবা অন্যান্য যে কোনো দেশের কোম্পানীগুলোতে নিজস্ব ইন হাউজ ডেটা অ্যানালিটিক্স থাকে।

তারপরেও অনেক কোম্পানী বাইরে থেকে ডেটা অ্যানালিটিক্স হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকেন।

এই কাজে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন।

আর ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হলো কাউকে বা কোনো টীমকে তাদের কাজগুলো করে দিতে সাহায্য করা।

বর্তমানে অনলাইনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

গত (২০১৮ সালের) প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকম-এ এই পদের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯২৫ টি।

তার ঠিক এক বছরের ব্যবধানে (২০১৯ সালে) সেই পদের চাহিদা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৩২৯ টি।

এই পদে অনেক তাড়াতাড়ি ইনকামের সুযোগ থাকে বিধায় অনেকেই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের পদে চাকরী নিয়ে থাকেন।

এই পদে গ্রাহকসেবা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল অফিসে বাস্তব অফিসের সহকারীর মতো সব ধরণের কাজ করতে হয়।

মূলত ব্যস্ত ব্যবসায়ীগন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকেন, তখন এই ফ্রিল্যান্সাররা তার ক্লায়েন্টের পক্ষ হতে শপিং, রেস্টুরেন্ট রিজারবেশন, মেডিক্যাল এপয়েনমেন্ট, ইমেইল হ্যান্ডলিং সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকেন।

এই কাজে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় ১২ থেকে ২০ ডলার ইনকাম করে থাকেন।

(০৪) রাইটিং :

নিয়ম মাফিক রাইটিং বিষয়টিকে ১ নাম্বারে রাখা উচিত ছিল।

কেননা রাইটিং মানে কেবল লেখালিখি নয় – তার সাথে রয়েছে জ্ঞান, তথ্য এবং সৃজনশীলতা।

একটা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ থেকে শুরু করে পাঠকের চাহিদার দিকগুলোসহ সকল ধরণের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হয়।

এছাড়া যে কোম্পানির হয়ে লিখবেন সে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং এবং লেখাকে এসইও ফ্রেন্ডলিও করতে হয়।  

যদিও বর্তমানে রাইটিংয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং জব পাওয়া কিছুটা কঠিন।

তবে, ভাল লেখক হলে আপনাকে জব লেস থাকতে হবে না।

আপনি চাইলে নিজস্ব ব্লগে লিখেও মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।

রাইটিং এর সেক্টরটিকেও কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, সেগুলো হলোঃ

কপিরাইটার (Copywriter)

আর্টিকেল রাইটার (Article Writer)

টেকনিক্যাল রাইটার (Technical Writer)

কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) ইত্যাদি।

উপরোক্ত সেক্টরগুলোতে লিখালিখি করে আপনি ঘন্টায় ১৫ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

(০৫) গ্রাফিক্স ডিজাইন :

ডিজাইন একটি সৃজনশীল কাজ। এই পৃথিবীতে কেউ সৃজনশীল মনন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না, চেষ্টা পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে একজন সৃজনশীল শিল্পীর জন্ম হয়। 

এ ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেলায়ও একই নিয়ম। আপনি যত সুন্দর করে একটি ডিজাইন করবেন ততো আপনার কাজের প্রশংসা হবে এবং ততো বেশি আপনার কাজের চাহিদা বাড়বে।

আপওয়ার্কের সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজের তালিকার মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর স্থান দ্বিতীয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন সেগুলো হলোঃ

ইউআই/ইউএক্স, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং, ফটো এডিটিং, মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন।

দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের চাহিদা কেবল বেড়েই চলেছে।

আপনি চাইলে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করেই ঘন্টায় ৩০ থেকে ৩৫ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

(০৬) প্রোগ্রামার :

বর্তমানে বিশ্বে যতগুলো মার্কেটপ্লেস আছে তাদের অন্তর্ভুক্ত সকল কাজের মধ্য হতে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ হলো প্রোগ্রামিং।

এই সেক্টরে যেমন কাজের পরিমাণ ও চাহিদা অনেক বেশি ঠিক তেমনি দক্ষ ফ্রিল্যান্সারেরও অনেক অভাব। কারণ এই কাজটা অনেক জটিল প্রকৃতির।

তাই নিজেকে যদি সফল দেখাতে চান তাহলে সেই কাজটা করুন যেটার প্রতি অন্যরা কম আগ্রহ প্রকাশ করে, এতে করে আপনার প্রতিদ্বন্দী কম হবে এবং আপনার সফল হওয়ার আশংকাও বাড়বে।

প্রোগ্রামাররা বিভিন্ন ভাষায় যেমন “সি ++, জাভা, এইচটিএমএল, সি” ইত্যাদি ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কোডিং লিখে থাকে এবং কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড দিয়ে থাকে যা একটি এপ্লিক্যাশন কিংবা সফটওয়্যার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

এই প্রোগ্রামিং এর কাজে দক্ষতা আনতে পারলে আপনি ঘন্টায় ১০০ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত প্রফেশনাল পর্যায়ে ইনকাম করতে পারবেন।

(০৭) ডিজিটাল মার্কেটিং

মার্কেটিং বলতে এখানে দোকানে গিয়ে কিংবা বাজারে গিয়ে পন্য বিক্রি করাকে বুঝানো হয়নি।

এখন পন্যের মার্কেটিং এর জন্য কিংবা কোনো কিছু প্রচারণা করার জন্য বাজারে বাজারে গিয়ে ঘুরতে হয়না।

এ গুলো এখন ঘরে বসেই করা যায়, আর এটাকেই বলে ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত অনেকগুলো কাজ রয়েছে যেগুলো করে আপনিও সফল একজন ফ্রিল্যান্সার কিংবা ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে উঠতে পারেন।

সেই কাজগুলো নিম্নরূপঃ

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

মার্কেটিং কনসালটেন্ট  

ইউটিউব মার্কেটিং

ই-মেইল মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিং

ব্রান্ড স্ট্রাটেজি

এসইও।

‘ফাইভার’ এবং ‘আপওয়ার্কের’ তথ্যানুসারে, একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন।  

(০৮) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানাজার :

আমরা অনেকেই কিন্তু প্রতিদিনই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সময় ব্যয় করে থাকি।

এই বিনোদনমূলক প্ল্যাটফর্মগুলোতে আমরা প্রায়ই অনেক বিজ্ঞাপন দেখতে পাই এবং সে গুলো অনেক সময় আমাদের উপকারেও আসে।

আপনিও কিন্তু চাইলেই এইভাবে যে কোনো কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের কাজের দায়িত্ব নিতে পারেন, আবার তাদের কোনো সোশ্যাল সাইট থাকলে সেটার মেইন্টেইনেন্সের দায়িত্বও নিতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে সাধারণত অডিয়েন্স এনালাইজড হয়ে থাকে, এখানে অডিয়েন্সরা কি পছন্দ করে না করে সেগুলো এনালাইজড করে তারপর তাদের পছন্দমতো কন্টেন্ট তৈরী করে তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে প্রতি ঘন্টায় ১৫ থেকে ৩৫ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

(০৯) এসইও এক্সপার্ট :

যারা ‘ব্লগার’ কিংবা ‘ওয়েবসাইট ওনার’ তারা এই ( এসইও ) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন নামটার সাথে সুপরিচিত।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ট্রেন্ডিং এবং চ্যালেঞ্জিং মার্কেটিং হলো এসইও মার্কেটিং।

একজন এসইও এক্সপার্ট যে অনলাইনে কতভাবে নিজের অধিপথ্য বজায় রেখে বিভিন্ন সেক্টর হতে ইনকাম করতে পারে তা বলে শেষ করা যাবেনা।

এসইও এক্সপার্ট হতে গেলে অনেক ধৈর্য ও পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় এবং দীর্ঘদিন যাবত কাজ করতে হয়।।

তাই একজন এসইও এক্সপার্টের দামও অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। 

তাই আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করার পাশাপাশি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করেও ইনকাম করতে পারেন।

একজন প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্টের ঘন্টা প্রতি ইনকাম ১০০ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

(১০) ভিডিও এডিটর :

বর্তমানে ভিডিও এডিটিং এর কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইউটিউব থেকে শুরু করে ফেসবুক, ট্যুইটার, পিন্টারেস্ট, ইন্সটাগ্রাম ও লিংকডইন সহ সব ধরণের প্ল্যাটফর্মেই ভিডিওর চাহিদা রয়েছে আর সেই ভিডিওকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য সেটাকে এডিট করারও প্রয়োজন পড়ে।

সে জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি তাদের ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য ভিডিও এডিটর খুঁজে থাকেন। 

এ ছাড়াও চলচ্চিত্র, মিউজিক ভিডিও এবং নাটক ও ছোট ছোট বিজ্ঞাপনের জন্য ভিডিও এডিটরদের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে তারা ফ্রিল্যান্সারদের ভাড়া করে থাকেন।

বিশ্বের সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ 

Adobe Premiere Pro

Wondershare Filmora

Magix Movie Edit Pro

Vegas Pro

Camtasia

আপনি চাইলে উপরোক্ত ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলোর ব্যবহার শিখে প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তো এই ছিলো আজকের আর্টিকেলের সমাচার। ‘ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন’ আশা করি আপনাদের খুব সহজ ভাষায় বুঝাতে পেরেছি।

আপনি যদি পুরো ব্লগটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন নেই।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *