বার্ধক্যের জ্বালা !
কতো মূল্যবান সময় পেরিয়ে যায়
খেয়ালে বেখেয়ালে বা অবহেলায়
শৈশব- কৈশোর-যৌবন ফুরিয়ে ও
বার্ধক্য জমে থাকে যত অবেলায়!
কত সাধ – আহ্লাদ মনের কোনে রয়
ক্রমে অস্পষ্ট হতে হতে অদৃশ্য হয়ে
রঙিন দুনিয়ার যতো তামাশা সমাপ্ত
আর বাঁচার আশাটি নিভে শেষ হয়!
খুব ঘনো কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে
দাওয়ায় বসে বসে ঝিমায় দু:খ কষ্ট
শরীরের ভাঁজে তার কখন যে বাসা
বেঁধেছে ক্রমান্বয়ে নিস্তেজ হয় গিয়ে!
বুঝা যায়নি সোনালী অতীতে কিছু
আজ তাই দাওয়ায় বসে বসে ভাবে
পোড় খাওয়া বার্ধক্যে বয়স অতীত
পেরিয়ে চলা আশি বছর নেয় পিছু!
হার মানেনা শত শীতও কষ্টের কাছে
তার অনিবার্য সীমাহীন যন্ত্রনা তবুও
এদিকে শীতে কাঁপছে ধরণীর বার্ধক্য
সে সংগে কাঁপছে যত বুড়িটাও পাছে!