ভিডিও ব্লগিং শুরু করবেন কিভাবে ? ব্লগিং করতে কি কি ভিডিও ব্লগিং শুরু করবেন কিভাবে ? ব্লগিং করতে কি কি প্রয়োজন ? ?
Anamika Chowdhury
দিন দিন আপনি আমার মত ভ্রমণ প্রেমিক হয়ে যাচ্ছেন ?
নানা জায়গায় যাচ্ছেন, নানা কিছু খাচ্ছেন আপনার বিচিত্র অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
মনে মনে ভাবছেন ইস এগুলো যদি ক্যামেরাবন্দি করে সবাইকে দেখাইতে পারতাম ?
যদি এমন ভাবনা চলে আসে তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।
নতুন নতুন জিনিস যেভাবে শিখছেন ঠিক ওইভাবে অন্যকে আবার শিখাতেও চাচ্ছেন ?
তাহলে আপনি আজকে থেকেই ভিডিও ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন।
বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অর্থ উপায়ের এই মাধ্যম টি।
আপনি যদি amazon লেভেলের ভিডিও ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হতে পারে কিছু প্রয়োজনীয় ডিভাইস বা গেম্বল।
তো চলুন আমরা এ পর্যায়ে দেখে আসি আমাদের ব্লগিং করতে ঠিক কি কি জিনিস প্রয়োজন হতে পারে।
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন রিসেন্টলি ইউটিউব কে ব্যবহার করে মানুষের নানা রকম ভাবে ইনকাম করার ট্রাই করছে আর সেই ট্রাই করার মধ্যে ব্লগিং অন্যতম লিস্ট রয়েছে।
তাই বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ইউটিউব এর মাধ্যমে অনেকের মত আপনিও ব্লগিংকে ইনকাম করার একটি সোর্স হিসাবে ধরে নিতে পারেন।
আর বর্তমানে ব্লগিংকে নেটিজেনরা কিন্তু অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের একটা কার্যকরী উপায় হিসেবে দেখছে।
আর সে ক্ষেত্রে সব চাইতে বড় ভুমিকা রাখছে প্রতিনিয়ত সেটি হল আপনার হাতের স্মার্টফোনটি।
আপনার এই হাতের স্মার্টফোনের সাথে আধুনিক কিছু ডিভাইস বা কিড সংযুক্ত করলে আপনার ব্লগটি হয়ে উঠবে আরও প্রফেশনাল।
মোবাইল কিংবা ডিএসএলআর ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে সবচাইতে জরুরী যে বিষয়বস্তু সেটি হলো একটি ট্রাইপড।
যার উপরে মোবাইলটি স্থির ভাবে রেখে আপনি শেকিং ছাড়াই একটি ভিডিও ক্লিপ ধারন করতে পারেন।
আর যারা সন্ধ্যায় বা রাতে ভিডিও ধারণ করতে যাবেন তখন মাঝে মাঝে আলো স্বল্পতার কারণে ভিডিও ফুটেজ মানসম্মত নাও হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে একটি বা দুইটি ফ্লাসলাইট বেশ প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে আপনার জন্য।
আবার যারা ইনডোরে ভিডিও শুট করতে চাচ্ছেন, তারা নানা রঙের আলোর ইফেক্ট ব্যবহার করতে পারেন চাইলেই।
নানা রঙের আলো প্রোভাইড করতে পারে এমন ফ্লাসলাইট ও বাজারে পেয়ে যাবেন।
মনে রাখবেন ভিডিওর জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো এর কালার ডিটেলস।
আরেকটি কথা ব্লগিং ভিডিওর জন্য শ্রোতা বা দর্শকের জন্য নয়েজ লেস ভিডিও রেকর্ড করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ একটা ভিডিও সাউন্ড কোয়ালিটি ভিডিওর ওপর অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
তো এই সমস্যার সমাধান করতে ভালো মানের একটা শর্ট গান মাইক্রোফোন নিতে পারেন, চাইলে বয়া বা ওয়ারলেস মাইক্রোফোনও নিতে পারেন।
যারা এক দমই নতুন ব্লগিং করবেন ভাবছেন তারা অবশ্য একটা কাজ করতে পারেন বেশি দামি প্রোডাক্ট না কিনে লো রেঞ্জের যে সব প্রোডাক্টগুলো আছে ওগুলো কিনে শুরু করুন।
আস্তে আস্তে আপনিও প্রফেশনাল হয়ে যাবেন।
এখন অবশ্য নেক্সট লেভেলের ভিডিও ব্লগিং এর জন্য খুব লো বাজেটেই পেয়ে যাবেন অ্যাকশন ক্যামেরাgimbles ,ড্রোন ইত্যাদি ইত্যাদি এর মতো আধুনিক সব ডিভাইস গুলো।
তো বন্ধু আর অপেক্ষা নয় যেন উপার্জন তো করতে হবে? আজকেই বেরিয়ে পড়ুন আর শুরু করে দিন আপনার ব্লগিং জার্নি।
আজই চেষ্টা করুন এখনই চেষ্টা করুন আর বানিয়ে ফেলুন আপনার প্রথম ব্লগিং ভিডিও। হ্যাপি ব্লগিং।
আশা করছি আজকের এই টিউন এর মাধ্যমে খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন ব্লগিং করতে ঠিক কি কি প্রয়োজন।
এগুলোর বাইরেও চাইলে আপনি ভিডিও করতে পারেন প্রথম অবস্থায় শুধুমাত্র মোবাইল দিয়েই কাজ চালানো যায় যদি আপনার ইচ্ছা থাকে।
তাই এগুলো যে কিনতেই হবে ব্লগিং করার জন্য এমন কোন কথা নেই।
তবে হ্যাঁ এগুলো থাকলে আপনি প্রফেশনাল মানের ভিডিও শুট করতে পারবেন বা হেল্প পাবেন এগুলোর মধ্য দিয়ে।
যাই হোক আর বেশি লম্বা করব না আজকের মত এখানেই শেষ করছি!
দেখা হবে খুব শীঘ্রই নতুন কিছু নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার প্রিয় ওয়েবসাইট পকোবিডির সাথেই থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।