মার্ক জুকারবার্গ
জুকারবার্গ ফেসবুকের উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন । মার্ক জুকারবার্গ সবচেয়ে কম বয়সে বিলিয়নিয়ার হওয়া মানুষ দের মধ্যে একজন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩০ বিলিয়ন ডলার।
ছোট পরিসরে তার কলেজের ক্যাম্পাসে তিনি ফেসবুক চালু করেন। এখন ফেসবুক বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হয়ে গিয়েছে।
Facebook CEO মার্ক জুকারবার্গ এর জীবনী – (Mark Zuckerberg Biography)
মার্ক জুকারবার্গ-এর জীবনী এবং সফল-
তার কাহিনী নিয়ে এমনিতে আমাদের আসে পাশে প্রচুর জ্ঞানী এবং বিজ্ঞ পন্ডিতেরা রয়েছে, যারা বলেন “জীবনে কিছু বড় করার জন্য আগে বয়সে বড় হতে হবে”।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা বাড়তে থাকবে, এই কথা কিন্তু একে বারেই সত্য।
কিন্তু মনে রাখবেন, ছোট বা কম বয়সে যে আপনার অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং শিক্ষা কম হয়ে থাকবে, এই কথাটাও কিন্তু মেনে
নেওয়া যায় না ।
অনেক জ্ঞানীরা রয়েছেন যারা অনেক ছোট বয়সেই অস্বাভাবিক এবং চমৎকার কিছু কাজ ও আবিষ্কার করে দেখিয়েছেন। কম বয়সের এই জ্ঞানী লোকেদের তালিকাতে সবচে প্রিয় লোক হলো “মার্কজুকেরবার্গ“.
মার্ক জুকারবার্গ -এর এতো কম বয়সে করা আবিষ্কার-এর ফলে, আজ দেশ বিদেশের যেকোনো জায়গাতে থাকা লোকেরা পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে থাকতে পারছেন।
Mark Zuckerberg হলো বিশ্বের সবচে জনপ্রিয় social networking platform এর CEO এবং founder. এবং, সেই জনপ্রিয় social network টির নাম হলো “Facebook“.এই Facebook social network টিতে বর্তমানে 1 billion থেকেও অধিক মাসিক একটিভ ইউজার রয়েছে।
মার্ক কে বিশ্বের কনিষ্ঠতম বিলিয়নেয়ার (youngest billionaire) বলে বলা হয়। আর তাই, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, “মার্ক জুকারবার্গ -এর জীবন কাহিনী এবং সফলতার বিষয়ে“.
টুইটার কি ? এর প্রতিষ্ঠাতা কে Mark Zuckerberg -এর ছোটবেলার জীবন Mark এর সম্পূর্ণ নাম হলো “Mark Elliot Zuckerberg” যার জন্ম হয়েছিল May 14, 1984 সালে New York এর Dobbs Ferry নামের জায়গাতে ।
মার্ক-এর বাবার নাম হলো “Edward Zuckerberg” এবং মার নাম “Karen Zuckerberg”.পেশাগত ভাবে মার্ক এর বাবা একজন “dentist” ছিলেন এবং মা ছিলেন একজন “psychiatrist”.
তাদের ঘরের সামনেই ছিল তার বাবা dentist- এর clinic যেখানে তিনি patients দের চিকিৎসা করতেন। তবে পরিবারে মার্ক কিন্তু একা ছিলেননা ।
মার্ক -এর সাথে তাঁর আরো তিন জন বোন ও ছিল। মার্ক- এর বোনদের নাম হলো – Arielle, Randi এবং Donna. অনেক কম বয়েস থেকেই computer এবং programming নিয়ে Zuckerberg এর প্রচুর রুচি ছিল।
প্রোগ্রামিং নিয়ে মার্ক-এর রুচি দেখে তাঁর বাবা তাঁকে Atari BASIC Programming শেখানোর কথা ভাবলেন ।
Computer এবং programming নিয়ে তার এতটাই আগ্রহ এবং রুচি ছিল যে, কেবল ১২ বছর বয়েসেই “Atari BASIC programming” এর ব্যবহার করে একটি “messaging program” তৈরি করলেন।
এবং, সেই messaging program টিকে তিনি নাম দিয়ে থাকেন “ZuckNet“.
Zucknet program টি, তাঁদের ঘরের এবং বাবার অফিসের প্রত্যেকটি কম্পিউটারকে একে আরেক টির সাথে সংযুক্ত করে পরস্পরে messages পাঠানোর সুবিধে করে দিলো ।
মার্ক -এর সেই ছোট বয়সে আবিষ্কার করা Zucknet messenger তাঁর পরিবারের প্রত্যেকজন সদস্যরা ব্যবহার করতেন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে।
তাছাড়া, মার্ক- এর বাবা তার dental office / clinic এর মধ্যেও এই ম্যাসেজিং- প্রোগ্রাম ব্যবহার করে receptionist এর সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন।
কেবল এটাতেই কিন্তু মার্ক সীমিত হয়ে থাকলেন না। সেই ছোট বয়সে নিজের বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন ধরণের computer games তৈরি করতেন।
এর বাইরেও, স্কুলে পড়তে থাকা সময়ে “Synapse নামের একটি artificially intelligent media player” তিনি তৈরি করেছিলেন । 7এ টা এমন একটা media player ছিল যেটা নিজে নিজেই পছন্দের হিসেবে music এর playlist তৈরি করে দিতো ।
বিভিন্ন বিখ্যাত এবং বড় IT software company গুলো যেমন “Microsoft” এবং “AOL” মার্ক- এর এই “Synapse” মিডিয়া প্লেয়ার -এর ওপরে ইন্টারেস্ট দেখালেন।
কিছু বিখ্যাত IT software company গুলো মার্কের তৈরি করা এই media player টি কিনে নিতে চাইলেন । তবে, company গুলোর এই offer মার্ক কখনোই মেনে নেননি।
মার্ক জুকারবার্গ এর শিক্ষা জীবন (education)
Mark Zuckerberg এর কম্পিউটার এবং প্রোগ্রামিং এর বিষয়ে থাকা সেই চমৎকার রুচি দেখে তার বাবা “David Newman” নামের একজন টিউশন শিক্ষকের কাছে দিলেন ।
David Newman, প্রত্যেক সপ্তায় মার্ক -এর ঘরে আসতেন এবং তাকে কম্পিউটার শেখাতেন। নিঃসন্দেহে জুকারবার্গ তার স্কুলের অনেক প্রতিভাশালী একজন ছাত্র ছিলেন। Phillips Exeter Academy নামের স্কুল টিতে মার্ক -এর এডমিশন করানো হয়।
যেখানে সে নিজের প্রতিভার দ্বারা school team -এর captain হয়ে দেখান । Zuckerberg, তাঁর শিক্ষা জীবনে আরো অন্যান্য বিষয় গুলোতে বেশ ভালোই ছিলেন । যেমন science, literature এবং classics ইত্যাদি।
তবে, কম্পিউটার নিয়ে থাকা তাঁর সেই রুচি বা মুগ্ধতা কখনোই কমে যায়নি এবং সময়ে সময়ে সে বিভিন্ন computer program গুলো develop করতেই থাকলেন । Synapse নামের music software টি তিনি high school পড়তে থাকা অবস্থায় তৈরি করেছিলন ।
2002 সালে Exeter থেকে তিনি graduation করে বের হন এবং তারপর উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে “Harvard university” তে ভর্তি হয়ে যান।
তবে সেই সময় তিনি ফেসবুকের প্রাথমিক অবস্থার কাজ করছিলেন । তিনি নিজের কাজ নিয়ে এতটা আগ্রহী এবং মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যে , এখন আর কলেজ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।
এর পর কলেজ ছেড়ে দিয়ে তিনি নিজের Facebook এর ওপরে সম্পূর্ণ ধ্যান ও মনোযোগ দেওয়া শুরু করলেন। Harvard university তে পড়তে মার্ক তৈরি করেন Course Match নামের একটি software program .
এর পর থেকেই college চাম্পুস- এর মধ্যে তাকে সবাই software developer হিসেবে জানতেন।
Face Mash develop করলেন মার্ক Harvard university তে থাকা সময়তেই Harvard dormitory রুম- এর মধ্যে একদিন হঠাৎ এক বিশেষ ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করার আইডিয়া মার্কের মাথায় চলে আসে।
এটা ছিল ২০০৩ সালের ঘটনা। যেই ওয়েবসাইটটি তিনি বানিয়ে ছিলেন সেটার নাম দিয়েছিলেন “Face Mash“. ওয়েব- সাইটটি তৈরি করার জন্য মার্ক -এর প্রয়োজন ছিল বিভিন্ন ছবির (profile pictures) এই কারণে মার্ক Harvard university র database hack করেন ।
ফলে, কলেজের প্রত্যেক students দের photos এবং profile picture গুলো চুরি করে মার্ক নিজের FaceMash ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারলেন । Face Mash আসলে এমন একটি program ছিল যেখানে নিজে নিজেই দুটি মেয়ের ছবি সিলেক্ট হয়ে ভিসিটর দের দেখানো হতো এবং জিজ্ঞেস করা হতো যে, “কোন ছবিটি সব থেকে সুন্দর”।
দেখানো দুটো ছবির মধ্যে সব থেকে সুন্দর ছবিতে ভোট (vote) করতে বলা হতো। যেহেতু, মার্ক Harvard university র database hack করে ছবি সংগ্রহ করেছিলেন তাই, Face Mash ওয়েবসাইটে কেবল Harvard -এর ছাত্রদের ছবি দেখানো হতো।
আর তাই, কেবল Harvard university ছাত্ররা এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করতেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই সম্পূর্ণ college campus -এর মধ্যে মার্ক-এর তৈরি করা FaceMash অনেক জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়ালো।
ওয়েবসাইটটি অধিক ব্যক্তিদের দ্বারা একসাথে ব্যবহার হওয়ার ফলে, university র server crash হয়ে গেলো।
এর পর, মার্ককে Harvard ইউনিভার্সিটির committee র সামনে ডাকা হলো এবং university server hack করার বিরুদ্ধে তাকে কঠোর ভাবে বলা হলো।
তবে, তৈরি করা ওয়েবসাইট Face Mash এর জন্য তার সুনাম সেখানে করা হয়নি। এর পর, Face Mash নামের ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হলো।
Facebook শুরু করলেন মার্ক জুকারবার্গ
FaceMash এর কাহিনীটি হওয়ার কিছু সময় আগেই Divya Narendra নামের Harvard এর একজন ছাত্র মার্কার কাছে এসেছিলেন ।
Divya Narendra, আগেই মার্ককে একটি social networking website তৈরি করার বুদ্ধি দিয়েছিলেন। তবে, Divya বলেছিলেন যে ওয়েবসাইট টি কেবল Harvard university র ছাত্রদের জন্য তৈরি করা
হবে ।
Divya বলেছিলেন যে, Harvard এর email id গুলোকে ওয়েবসাইট এর username হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া, Divya বলেছিলেন যে, ওয়েবসাইটটির নাম রাখা হবে “Harvard Connection” যেটাকে পরের সময়ে “ConnectU” করে দেওয়া হয়েছিল ।
দিব্যা বললেন যে, ওয়েবসাইট -এর সাথে সংযুক্ত ব্যক্তিরা (members) ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেখানে, photos, personal information এবং useful links post করতে পারবেন।
এই সম্পূর্ণ প্রজেক্ট টিতে মার্ক -এর কাজ ছিল “সাইট টিকে প্রোগ্রামিং করা“. Narendra এবং তার দুজন পার্টনার -এর সাথে কথা বলার পর, মার্ক এই প্রজেক্ট – এর মধ্যে কাজ করার জন্য রাজি হয়ে গেলেন।
তবে, Harvard Connection -এর প্রজেক্ট টিতে কাজ করতে থাকা অবস্থায়, হটাৎ একদিন মার্ক এর মাথায় একটি আইডিয়া চলে আসে।
এবং সেই আইডিয়াটি ছিল, “তার নিজের একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট -এর”. মাথায় আইডিয়া চলে আসার সাথে সাথেই, মার্ক ঝট পট “February 04, 2004” সালে “TheFacebook.com” ডোমেইন রেজিস্টার করে ফেলেন।
এখন যেটাকে সম্পূর্ণ দুনিয়া আমি আপনি বা যেকোনো ব্যক্তি “Facebook. com” নামে চিনেন। তবে প্রথম অবস্থায় ফেসবুক- এর ব্যবহার কেবল Harvard university র ছাত্রদের জন্যই উপলব্ধ করা হয়েছিল।
কেবল কিছু সময়ের মধ্যেই ফেসবুক- এর মধ্যে ৪০০০ ইউজার রেজিস্টার করে নিয়ে ছিলেন। তাই, ফেসবুকের জনপ্রিয়তা দেখে মার্ক বুঝতে পারলেন যে, এখন এই প্রজেক্ট টিকে university র বাইরের audience এর জন্য উপলব্ধ করানো যাবে।
এর পর মার্ক এবং তার পার্টনার Eduardo Saverin চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলেন যে তারা এই প্রজেক্ট এ আরো programmer দের সংযুক্ত করবেন। তারপর, ধীরে ধীরে ২০০৫ সালে USA এর প্রত্যেক educational institutions এবং university র students দের জন্য ফেসবুক উপলব্ধ করে দেওয়া হলো ।
তাই বলতে গেলে, ফেসবুক সর্ব প্রথমে কেবল ছাত্রদেরকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি করা হয়েছিল। এর পরের সময়ে Facebook এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার এতটাই বাড়তে থাকলো যে, মার্ক সিদ্ধান্ত নিলেন যে, “কেবল ছাত্র নয়, তবে বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো ব্যক্তি নিজের একটি ফেসবুক আইডি খুলতে পারবেন”.
Facebook এর ওপরে যাতে সম্পূর্ণ মনোযোগ ও ধ্যান দিতে পারেন, তাই মার্ক নিজের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন।
ইন্টারনেটের নতুন নতুন প্রবণতা এবং এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে ইন্টার- নেটের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের যেকোনো ব্যক্তির সাথে অনলাইনে কথা বলতে পারি।
নতুন বন্ধু বানাতে পারি, নিজের একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারি, প্রত্যেকের জন্য একটি নতুন বিষয় ছিল।
আর তাই, অনেক কম সময়ের মধ্যেই ফেসবুকের ইউসার বাড়তেই থাকলো এবং আজ প্রায় 1 billion থেকেও অধিক।