শীতে সূর্যালোকের অভাবে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দিতে পারে, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন
শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ সব সময়ে পর্যাপ্ত থাকে না। বিভিন্ন কারণে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হয়। শরীরের কোন লক্ষণগুলি থেকে তা জানবেন?
শীতকালে সূর্যের আলো খুব কম সময়ের জন্যই পাওয়া যায়। শীত পড়তে শুরু করেছে। বাতাসে ঠান্ডার আমেজ। শীতের মওসুমে দিন ছোট। আর রাত দীর্ঘ হয়।
ফলে এই সময় সূর্যের আলো খুব কম সময়ের জন্যই পাওয়া যায়। সূর্য থেকেই মেলে শরীরের জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, নানা মওসুমি সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায় ভিটামিন ডি।
শুধু তাই নয়, হাড় এবং দাঁত মজবুত রাখতে ভিটামিন ডি-র জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন ডি হাড়ের ত্বক সংক্রান্ত সংক্রমণ এমনকি ক্যান সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করতেও উপকারী । শরীরের পেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ সব সময়ে পর্যাপ্ত থাকে না। বিভিন্ন কারণে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হয়। শরীরের বেশ কয়েকটি লক্ষণ তা জানান দেয়।
ওজন বেড়ে যাওয়াঃ
হু হু করে ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ কিন্তু হতে পারে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। শরীরে পরিমাণ মতো ভিটামিন ডি-র অভাব ঘটলে বাড়তে পারে ওজন।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, নানা মওসুমি সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায় ভিটামিন ডি।
মূলতঃ পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেই চুল পড়ে। কিন্তু চুল পড়ার আরও একটি কারণ হল ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। ভিটমামিন ডি চুল ভাল রাখতে ব্যাপক সাহায্য করে। ফলে শরীরে ভিটামিন ডি যদি কোনও কারণে কমে যায়, তার একটি লক্ষণ হতে পারে চুল ঝরা।
ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়াঃ
ভিটামিন ডি শরীরের যে কোনও ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও ক্ষতস্থান না শুকায়, তা হলে ধরে নেওয়া যেতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
মানসিক অবসাদঃ
গবেষণা বলছে, ভিটামিন ডি শরীরের পাশাপাশি মনকেও নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে শীতকালে যখন সূর্যের আলো কম থাকে, তখন মানসিক অবসাদ যেন আরও চেপে বসে। এর কারণ সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি সরাসরি পাওয়া যায় না, বা খুবই কম পাওয়া যায়।
পিঠে ব্যথাঃ
শুধু বয়স্করা নন, পিঠের ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন নতুন প্রজন্মও। অনেকেই এর কারণ হিসাবে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে বসে কাজ করাকে ধরে নেন। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলেও হতে পারে পিঠে ব্যথা।