সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায় কি ?ইহা ব্যবসা অথবা ক্যারিয়ারে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
Social Media মার্কেটিং বিভিন্ন উপায়ে করা যায়। তবে প্রথমে আপনাকে বাছাই করে নিতে হবে আপনি কিসের সার্ভিস দিচ্ছেন এবং কি রিলেটেড সার্ভিস দিচ্ছেন।
আপনার ব্যবসার ক্যাটেগরির উপর ডিপেন্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেইসব মানুষকে টার্গেট করতে হবে যারা আপনার সার্ভিস নিতে আগ্রহী।
মনে করুন – আপনার একটি নতুন ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে এবং আপনি সেখানে কম্পিউটার এক্সেসরিজ বা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট বিক্রি করেন।
আপনার ব্যবসা প্রসার করার জন্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া বাছাই করে নিবেন।
সেই সব Social Media গুলোতে আপনার ব্র্যান্ড বা কোম্পানির নামে একটি প্রফেশনাল মানের প্রোফাইল বা পেইজ খুলে নিবেন।
সেই একাউন্ট বা পেইজ থেকে আপনার ব্র্যান্ডের মার্কেটিং করতে পারবেন।
আমি এই ব্লগে জনপ্রিয় ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম এবং সেগুলোতে কিভাবে প্রোপার ওয়েতে মার্কেটিং করবেন সেগুলো শেয়ার করব। চলুন দেখে নেয়া
যাক –
১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম :
নিম্নের ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম এবং সেগুলোর মধ্যে কিভাবে মার্কেটিং করবেন সেসব বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তাই যদি একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়েন তবে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
০১. Facebook – ফেসবুক :
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য #১ বেস্ট প্লাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং।
পৃথিবী জুড়ে ফেসবুকের মাসিক ব্যবহারকারী প্রায় ২.৮৯ বিলিয়ন।
যেখানে ফেসবুকের বাংলাদেশী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৮ মিলিয়ন।
আর আপনি চাইলে সহজেই আপনার ব্যবসাকে ফেসবুকের মাধ্যমে বড় করে ফেলতে পারেন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং প্লাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক।
ফেসবুকে আপনি দুইভাবে মার্কেটিং করতে পারেন।
০১. পেইড মার্কেটিংঃ সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং
পেইড মার্কেটিং হচ্ছে আপনি আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডকে ফেসবুক এড এর মাধ্যমে সহজেই আপনার টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে পৌছাতে পারবেন।
এ জন্য আপনাকে আপনার ব্র্যান্ড এর যে কোন প্রডাক্ট এর বিবরণ দিয়ে একটি আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন তৈরি করতে হবে।
ফেসবুক এডস ম্যনেজার (Facebook Ads Manager) দিয়ে সহজেই আপনার বিজনেস ব্র্যান্ডের নামে একটি এড চালু করতে পারেন।
এতে সুবিধা হচ্ছে আপনি এই এড এর মাধ্যমে আপনার নির্দিষ্ট লোকেশন ভিত্তিক, নির্দিষ্ট টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে আপনার ব্র্যান্ড পৌঁছাতে পারবেন।
যেমন, কোন বয়সী মানুষেরা আপনার সার্ভিস নিবে, আপনার সার্ভিস কি শুধু ছেলেদের জন্য নাকি মেয়েদের জন্য এটা সিলেক্ট করে দিতে পারবেন এবং কোন অঞ্চলের মানুষের কাছে আপনার সার্ভিস পৌঁছাতে চান সেটাও সিলেক্ট করে দিতে পারবেন।
আবার আপনার বিজনেস এর ক্যাটেগরি ভিত্তিক মানুষের আগ্রহ(Interest) এর উপর নির্ভর করে আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারেন।
০২. ফ্রি মার্কেটিংঃ সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং
আপনি যদি নতুন স্টার্টআপ দিয়ে থাকেন বা অল্প পরিসরে কাজ শুরু করে থাকেন তবে আপনার জন্য ফ্রি মার্কেটিং করাটাই বেস্ট হবে বলে আমি মনে করি।
ফেসবুকে সহজেই ফ্রি মার্কেটিং করে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছাতে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
প্রথমতঃ
আপনার ব্র্যান্ড/ বিজনেস এর নামে একটা পেইজ খুলে নিবেন এবং সেখানে আপনার ব্র্যান্ড বা বিজনেস এর সকল সঠিক তথ্য দিয়ে আপডেট করে রাখবেন।
সেই পেইজে আপনার যাবতীয় সকল কন্টেন্ট, প্রোডাক্ট, আপডেট নিউজ পাবলিশ করবেন।
এবং পরচিত মানুষদের ফেসবুক পেইজে ইনভাইট দিয়ে ফলোয়ার এবং লাইক পূর্ণ করে ফেলতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে ফলোয়ার সংখ্যা যদি বেশ ভাল পরিমাণে বাড়াতে পারেন তবে বেশ ভাল পরিমাণে একটা সাড়া পাবেন।
দ্বিতীয়তঃ
আপনার যে কন্টেন্ট গুলো আছে সেগুলোর পরিপুর্ন তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, আপনি যে গ্রুপে পোস্ট করছেন সেটি যেন আপনার ব্র্যান্ড ক্যাটাগরি হয়।
যেমন, আপনি যদি ইলেক্ট্রনিক জিনিষ বিক্রি করতে চান। সেটির জন্য একটি পরিপূর্ন তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট কোন একটা সাহিত্যিক গ্রুপে পাবলিশ করেন তবে কিন্তু সেখানে আপনি সুবিধা করতে পারবেন না।
তাই আপনাকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বা আপনার বিজনেস ক্যাটেগরি রিলেটেড যে গ্রুপ গুলো আছে সেগুলোতে আপনি আপনার প্রডাক্ট শেয়ার করতে পারেন। এতে করে বেশ সাড়া পাবেন আশা করি।
০১. WhatsApp – হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
আপনি ইতিমধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং করেছেন। এবং সেখান থেকে বেশ কিছু মানুষের সাড়াও পেয়েছেন।
এবার তারা যদি আপনার সার্ভিস নিতে আগ্রহী হয় তবে তাদেরকে WhatsApp – হোয়াটসঅ্যাপে নিয়ে আসুন।
এতে করে তাদের সাথে কমিউনিকেশন করতে অনেক বেশী সুবিধা হবে।
WhatsApp Business হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ব্যবসা ম্যানেজ করার সব দারুণ ফিচার পেয়ে যাবেন।
০২. Instagram – ইন্সটাগ্রাম দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
ব্যবসার ব্র্যান্ড ভেল্যু বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে স্মার্ট মার্কেটিং প্লাটফর্ম হচ্ছে ইন্সটাগ্রাম।
ইনস্টগ্রাম ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ডকে সহজেই আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন।
ইনস্টাগ্রাম এর #হ্যাশট্যাগ অলগরিদম খুব স্পেশাল। আপনি চাইলে আপনার ব্যবসা, ব্র্যান্ড বা যা নিয়েই কাজ করেন না কেন সেটি নিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্স করে সহজেই আপনার ব্র্যান্ডকে সকলের নজরে নিয়ে আসতে পারেন।
আপনি চাইলে ইনস্টাগ্রামেও পেইড মার্কেটিং করতে পারেন। যেহেতু এটি মেটা (Meta) বা ফেসবুকের আন্ডারে তাই আপনি চাইলে ইন্সটাগ্রামেও এড চালু করে পেইড মার্কেটিং করতে পারেন।
০৩. Twitter – টুইটার দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং:
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য অন্যতম আরেকটি প্লাটফর্ম হচ্ছে টুইটার।
আপনি সহজেই টুইটারে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারেন।
এর জন্য আপনার প্রয়োজন টুইটার একাউন্ট এবং সঠিক অডিয়েন্স।
টুইটারেও আপনি স্মার্ট ভাবে #হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারেন।
০৪. LinkedIn – লিঙ্কডইন দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
আপনি যদি প্রফেশনাল মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চান তবে লিংকডইন হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট চয়েস।
লিংকডইন – LinkedIn এ আপনি সব প্রফেশনাল মানুষদের দেখা পাবেন।
এই প্লাটফর্মে আপনি একাউন্ট করে আপনার ব্র্যান্ডকে প্রফেশনাল এবং কর্পোরেট মানুষদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন এবং আপনার মার্কেটিং লেভেল কে নিয়ে যেতে পারেন এক অনন্য মাত্রায়।
০৫.Telegram – টেলিগ্রাম দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
টেলিগ্রামও হোয়াটসঅ্যাপ এর মতই ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য বেস্ট একটি প্লাটফর্ম।
তবে এখানে বেশ এক্সট্রা কিছু ফিচার রয়েছে। টেলিগ্রামের সাহায্যে আপনি চ্যানেল খুলতে পারবেন এবং আপনার সকল মার্কেটিং ওই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইভারদের সাথে করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে যদি আপনি টেলিগ্রামে বেশী সাবস্ক্রাইবার আর্ন করতে পারেন তবে বেশ ভাল প্রফিট পাবেন।
০৬. Tumblr – টাম্বলার দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তবে Tumblr – টাম্বলার আপনার জন্য বেস্ট অপশন গুলোর মধ্যে একটি।
এখানে আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে পারবেন এবং শেয়ার করতে পারবেন।
এখানে বড় সুবিধা হচ্ছে কিওয়ার্ড #হ্যাশট্যাগ সিমস্টেম করে পোস্ট করা যায়।
আপনি চাইলে আপনার ব্যবসা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে চাইলে এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারেন।
০৭. Reddit – রেডডিট দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
রেডডিট হচ্ছে একটি সামাজিক যোগাযোগ মেসেজিং মাধ্যম।
সাধারণত বিনোদন এবং বিভিন্ন ছবির সাথে লেখা যুক্ত করে পোস্ট করার সিস্টেম রয়েছে তবে ব্যবহার- কারিরা সেসব পোস্টে মন্তব্য এবং বোট করতে পারে।
০৮.Pinterest – পিন্টারেস্ট দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
পিন্টারেস্ট হচ্ছে একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক। যেখানে ইউজাররা মূলত তাদের শখের যে কোন মেমরি’স, আইডিয়া শেয়ার করে।
তবে আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তবে Pinterest-পিন্টারেস্ট একটি বেস্ট প্লাটফর্ম আপনার জন্য।
আপনি চাইলে সহজেই আপনার ব্লগের যে কোন কন্টেন্ট পিন্টারেস্টে আপলোড করে রাখতে পারেন।
বেসিক এসইও করলেই আপনার সেই কন্টেন্ট থেকে ভাল পরিমাণে ট্রাফিক পাবেন।
০ ৯.Snap Chat – স্নাপচ্যাট দিয়ে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
এটিও একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়স্বজন্দের সাথে যোগাযোগ, মেসেজিং, ছবি, ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন।
তবে এই অ্যাপ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য অতটা স্পেশাল না।
১০. Skype – স্কাইপ দিয়ে সোসাল মিডিয়া
মার্কেটিং :
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য একটি জন্যপ্রিয় অ্যাপ।
এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই, অডিও/ভিডিও কল, চ্যাট এবং স্কাইপ বিজনেস অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য একটি বেস্ট প্লাটফর্ম। তবে এটি মার্কেটিং করার জন্য না।
উপরিউক্ত মোট ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক এর মধ্যে প্রথম ০৫ টি আপনি মার্কেটিং এর জন্য স্পেশালি বেছে নিতে পারেন।
তা’ও যদি না হয় তবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফেসবুক এবং, ইন্সটাগ্রাম বেছে নিতে পারেন।
এবং আস্তে আস্তে আপনার মার্কেটিং পরিধি বাড়াতে পারেন।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক প্রফেশনালি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে কোথায় থেকে শিখবেন।
আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে পারেন।
অথবা আপনি চাইলে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাজেন্সি থেকে আপনার ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কেটিং করিয়ে নিতে পারেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আপনার ব্যবসা অথবা ক্যারিয়ারে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
০১) পরিচিতি বৃদ্ধি
যে কোন মার্কেটিং ক্যম্পেইন এর একটি মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে কোন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধি করা।
নতুন নতুন অফারগুলোকে প্রচার করা। সম্ভাব্য সব ক্ষেত্র থেকে ক্রেতা খুজে বের করা।
আপনার ব্যবসা ছোট হোক অথবা বড়, ব্যবসার সফলতা অনেকটা নির্ভর করবে আপনি কতটা পরিচিত।
আপনি যত বেশী পরিচিত, আপনার ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশী।
আর আপনি যদি পরিচিতি পেতে চান আপনাকে সেখানেই একটিভ থাকতে হবে যেখানে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতার উপস্থিতি রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টিভি, রেডিও এবং পত্রিকার পর সোস্যাল মিডিয়া বেশী জনপ্রিয়, এবং এর জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে খুব দ্রুত এটা অন্য সবগুলাকে ছাড়িয়ে যাবে অথবা আরো বেশী জনপ্রিয় হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
০২) যোগাযোগ তৈরী
আপনি অনেক পরিচিতি পেলেন, কিছু ক্রেতাও পেলেন, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনার কাজ শেষ বা আপনি সফল হয়ে গেলেন।
কাজের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলেও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আপনাকে এখনই করতে হবে।
আর তা হচ্ছে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। তারা আপনার পণ্য বা সেবাতে সন্তুষ্ট কিনা এর উত্তর বের করা।
তাদের কোন অভিযোগ অথবা পরামর্শ আছে কিনা তা জানতে চাওয়া।
অথবা আপনার পণ্য এবং সেবা সংক্রান্ত যে কোন ব্যাপারে তারা কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা এবং হয়ে থাকলে সেটা কি ধরনের।
এই উত্তর গুলো যদি আপনি বের করতে না পারেন এবং বের করার পর যদি এর সমাধান বের করতে না পারেন তাহলে আপনি যতই প্রচারনা চালান, আপনার ব্যবসা বেশীদিন টিকে থাকবে না।
আর এই উত্তর গুলো পাওয়ার সব চাইতে সহজ উপায় হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া।
কারন মানুষ ফোনে অথবা সামনা সামনি অভিযোগ দেয়ার চাইতে লিখতে বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করেন।
একই ঘটনা ঘটবে প্রশংশা করার বেলায়। আবার সোস্যাল মিডিয়াতে লিখার সময় মানুষ পর্যাপ্ত সময় নিতে পারে, যা অন্য মাধ্যমগুলাতে সম্ভব নয়।
তাই সোস্যাল মিডীয়াকে শুধু মাত্র প্রচারনার জন্য ব্যাবহার করা হলে তা ভুল হবে।
সোস্যাল মিডিয়াকে ক্রেতা অথবা সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করতে হবে।
০৩) ভাইরাল প্রমোশন
মানুষ শেয়ার করতে ভালোবাসে, সোস্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরো বেশী সত্য।
মানুষ সারাদিন কি করলো, কিভাবে করলো, কোথা থেকে করলো এই ধরনের ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি শেয়ার করে।
এই সুযোগটাই আপনাকে কাজে লাগাতে হবে। একটা উদাহরন দেই, পিজা হাটে এক রোযার মাসে ইফতারের সময় ৮০০ টাকায় এক জনের জন্য আনলিমিটেড পিজা এর ব্যাবস্থা করা হয়েছিল।
এই খবরটি হয়ত অনেকেই জানতেন না। একটা স্ট্যাটাস দিন, “আজ পিজা হাটে ৮০০ টাকায় ৪ টা পিজা খেয়েছি, হুররে!” আর কিছু লাগবে না, আপনার ফ্রেন্ডলিষ্ট থেকে কম করে হলেও ৩০-৪০ জন নতুন মানুষ এই তথ্যটা পেয়ে যাবে, তার মানে কোন খরচ ছাড়াই প্রচারনা।
আর এই ৩০-৪০ জন এর থেকে যদি একজনও যায় তাহলে এখানেও খরচ ছাড়াই কাষ্টমার।
এখন পিজা হাটের পরিবর্তে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভাবুন, আপনিও একই ভাবে সুবিধা পেয়ে যেতেন।
০৪) পণ্য অথবা সেবা বিক্রি করা :
প্রচারনা আর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই নয় আপনি চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমেও আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
শপিফাই ইতিমধ্যেই ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করার সুবিধা দিচ্ছে।
তাই একই মিডিয়াতে যদি প্রচারনা, যোগাযোগ এবং বিক্রি করা যায় তাহলে একে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে নিজের ব্যাবসার অনেকগুলো সুযোগ নিজ হাতে বন্ধ করে দেয়া।
একজন ব্যাবসায়ী হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে আপনার ক্রেতার সব চাওয়া, সব সুবিধা তাদের হাতের কাছেই রাখা, আর তা করতে হলে আপনাকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।
আপনাকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কৌশল গুলো জানতে হবে।
তাহলেই আপনি এই চ্যানেল থেকে পর্যাপ্ত সুবিধা নিতে পারবেন, আপনার ব্যাবসার প্রসার ঘটাতে পারবেন।