আইন স্টাইন
পৃথিবীর সফল মানুষের ব্যর্থতার কাহিনীঃ
তিনি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সফল বিজ্ঞানীদের একজন । তিনি এতটাই সফল যে, বেশিরভাগ মানুষ তাঁর কথা ভাবেন ‘বিজ্ঞানী’ শব্দটা মাথায় আসলেই । তাঁকে পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম সেরা মেধাবী বলা হয় । কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত গর্ধভ মনে করা হত ১৮৭৯ সালে জন্ম নেয়া এই জার্মান জিনিয়াসকে ।
তিনি ভালো ছিলেন না কিছুতেই । তাঁর ৪ বছর লেগেছিলো কথা বলা শিখতেই । পড়াশুনায় একদম কাঁচা ছিলেন। শোচনীয় ভাবে ফেল করেন ১৬ বছর বয়সে জুরিখের সুইস ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় ।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ে প্রতিটি বিষয়ে তিনি এতই বাজে রেজাল্ট করতেন যে, একাধিক বার পড়াশুনা বাদ দেয়ার চিন্তা করতে হয়েছিল। তাঁর বাবার একমাত্র দু:খ ছিল যে এই গর্ধভ ছেলে জীবনে কিছুই করতে পারবে না। বাবার এই কথায় আইন- স্টাইন বহুদিন ধরে মনে কষ্ট চেপে রেখেছিলেন।
কোন কাজ না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে ইন্সুরেন্স সেলস ম্যানের কাজ নেন। মানুষ এই ধরনের চাকরি করতো কোনও কাজ না পারলে । তিনি পেটেন্ট অফিসে কাজ পান ২ বছর পর । যেখানে পরীক্ষা করা হতো নতুন ডিভাইস পেটেন্ট করার আগে ।
কিন্তু এই মানুষটাই পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিয়েছেন একটা সময়ে । তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি মূল সূত্র সৃষ্টি করে গেছেন তাঁর সেই ‘ডাল ব্রেন’
নিয়ে । বিজ্ঞানে অবদানের জন্য নোবেল প্রাইজ জিতেছেন । প্রমাণ করেছেন যে, চেষ্টা করলে সবাইকে দিয়েই সবকিছু সম্ভব।
আলবার্ট আইনস্টাইন জীবনী | Albert Einstein Biography in Bengali
Albert Einstein আলবার্ট আইনস্টাইন মানব ইতিহাসের সব থেকে বুদ্ধিমান ব্যক্তি বলা হয়। আইনস্টাইন এতোটাই মহান ও লোকপ্রিয় ছিলেন যে, তিনি যখনি বাইরে বেরোতেন তার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করতেন মানুষ তাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ।
এই বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে তিনি একটি মজার সমাধান বের করে ছিলেন ; সকলকে আইনস্টাইন বলতেন, আপনি যার কথা বলছেন সবাই আমাকেই আইনস্টাইন মনে করে জিজ্ঞাসা করে সেই মানুষটি কিন্তু আমি নই ।
আপনাদের অবাক করে দিতে জানাতে চাই যে, Einstein জন্ম থেকে এতটা বুদ্ধিমান মানুষ ছিলো না, তার অল্প বুদ্ধির জন্য সবাই তাকে বুদ্ধিহীন বলে সম্বোধন করতো ।
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন-এর জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং মজার সব ঘটনা আপনাদের জানাবো, আশাকরি Albert Einstein biography in Bengali থেকে এই বিজ্ঞানীর সম্পর্কে আপনার জ্ঞান এবং জিজ্ঞাসা আরো সমৃদ্ধ হবে।
আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ হয়ে ছিলো । তাঁর পিতার নাম হেরমান আইনস্টাইন ও মাতার নাম পৌলিন আইনস্টাইন।
Albert Einstein Early Life – আইনস্টাইনের জীবনের প্রথমার্ধঃ
রহস্য ও অলৌকিকতায় আলবার্ট আইনস্টাইনের বাল্য জীবন ভরপুর, আর পাঁচটা বাচ্চার মতো স্বাভাবিক ছিলোনা তার বাল্যকাল ।
জন্মের সময় তার মধ্যে এমন একটি পার্থক্য ছিলো যা অন্য বাচ্চার থেকে তাকে আলাদা দেখাত। সেটি ছিলো তার মাথার আকৃতি, আইনস্টাইনের মাথার আকার অন্য বাচ্চাদের থেকে আকারে বড়ো ছিলো।
ডাক্তার আইনস্টাইনের কথা বলতে পারা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন কারণটি ছিলো তাঁর মাথার বড়ো আকৃতি, কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক রাতের খাবার খাওয়ার সময়ে চার বছর বয়সে বলে ওঠেন স্যুপটি খুব গরম। তার কণ্ঠস্বর শুনে তার পিতা মাতা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।
আইনস্টাইন ছোটবেলা থেকেই তার সম বয়সি বালকদের সাথে বেশি মিশতেন না এবং খেলতে পছন্দ করতেন না। সব সময় আশপাশের বিভিন্ন বস্তু ও বিশ্ব জগতের বিষয়ে চিন্তা করায় নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন।
আলবার্ট আইনস্টাইন সবসময় বলতেন যে, আমার মধ্যে এমন বিশেষ কোনো গুণ নেই যেটা আপনারা ভাবেন , আমিতো এমন একজন ব্যক্তি যার মনের মধ্যে জিজ্ঞাসা ও জানার ইচ্ছায় পরিপূর্ণ।
আইনস্টাইনের কিছু বিখ্যাত মজার ঘটনাঃ
১. একবার আইনস্টাইন ট্রেনে সফর করছিলেন, ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষন পরে টিটি এসে আইনস্টাইনের টিকিট দেখতে চাইলেন। আইনস্টাইন তাঁর টিকিট খুঁজতে থাকেন এবং সেটি খুঁজে না পাওয়া গেলে টিটি বলেন আমি নিশ্চিত যে , আইনস্টাইন টিকিট কেটেই ট্রেনে চড়েছেন আমি আইনস্টাইনকে চিনি, টিটি আইনস্টাইনকে কোন ফাইন না করেই চলে যান।
কিছুক্ষন পরে টিটি দেখেন আইনস্টাইন তখনো তার সিটের তলায় টিকিট টি খুজে যাচ্ছেন, টিকিট চেকার আবারও আইনস্টাইনের কাছে এসে বলেন আপনি বসুন, আপনার টিকিট দেখতে হবেনা ।
তখন আইনস্টাইন অবাক করে বলে ওঠেন টিকিটটা যদি আমি খুজে না পাই তাহলে আমি বুজবো কি করে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম, এই কথা শুনে সহ যাত্রী সকলেই অবাক হয়ে যান এবং এটি প্রচার হয়ে যায় অসাধারণ একটি মজার ঘটনা হিসেবে।
Albert Einstein Quotes –
আলবার্ট আইনস্টাইনের উক্তিঃ
আইনস্টাইন ভুল করতে কখনো ভয় পেতেন না, তার কথা ছিলো যে ব্যক্তি কখনও ভুল করেনি সে ব্যক্তি কখনো নতুন কিছু করার চেষ্টা করেনি।
আইনস্টাইন অনেক রকমের বৈজ্ঞানীক পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেন তার সকল পরীক্ষা এক টির থেকে আরেকটি সম্পূর্ণ ভিন্ন হতো, কারণ আইনস্টাইন মানতেন বার বার একই রকম পরীক্ষা করা আর আলাদা আলাদা ফলের আসা করা সব থেকে বড়ো পাগলামি।
“ছেলের মানসিক সমস্যার কারণে খুব কঠিন সময় পার করেছেন আইনস্টাইন,” বলেন জেভ রোজেনক্রান্স, আইনস্টাইন পেপার্স প্রজেক্টের একজন সম্পাদক এবং উপ-পরিচালক।
আলবার্ট আইনস্টাইনের কনিষ্ঠ সন্তানের নাম ছিল এডুয়ার্ড। তাকে আদর করে ডাকা হতো টেট।
শিশু কালেই তার স্বাস্থ্য নিয়ে পরিবারের ভেতরে উদ্বেগ ছিল। তবে তার মানসিক সমস্যার কথা জানা যায় আরো অনেক পরে। “তার জীবন ছিল অত্যন্ত করুণ,” বলেন রোজেনক্রান্স।
আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী এবং পদার্থবিজ্ঞানী মিলেভা মারিচের সংসারে ছিল তিনটি সন্তান। লিসেরেল ছিল তাদের সবচেয়ে বড় সন্তান। মেঝ সন্তান হান্স আলবার্ট তার জীবদ্দশাতেই বিজ্ঞানী হিসেবে সুনাম কুড়িয়ে ছিলেন। তবে পিতার মতো বিখ্যাত তিনি কখনোই হতে পারেন নি।
তাঁর মেঝ সন্তান হান্স আলবার্ট বলেন – ” আমার পিতার ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠার পেছনে কারণ হল তিনি খুব সহজে হাল ছাড়তেন না। কিছু কিছু সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিতেন। এমন কী কোন ভুল সমাধান হলেও। তিনি বারবার চেষ্টা করতেন। একবার না হলে আবার করতেন,” ।
আলবার্ট আইনস্টাইনের ছেলে হান্স আলবার্ট বলেন-
“একমাত্র যে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তিনি হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন সেটা হচ্ছে আমি। তিনি আমাকে উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু খুব শীঘ্রই তিনি বুঝতে পারেন যে , আমি আসলে একজন একরোখা মানুষ এবং আমার পেছনে সময় দিলে সেটা হবে অপচয়,” বলেন তিনি।
“আইনস্টাইন পেপার্স প্রজেক্ট তৈরিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন রোজেনক্রান্স। এই প্রকল্পের আওতায় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানীর শত শত দলিল ও কাগজপত্র সংগ্রহ করে সেগুলো অনুবাদ ও প্রকাশ করা হয়েছে।
আইনস্টাইনের যেসব চিঠিপত্র এবং দলিলপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো থেকে তার মানবিক দিক সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের নোটের দাম উঠলো কয়েক লাখ।
আইনস্টাইনের বয়স যখন ১৯ এবং মিলেভার বয়স ২৩ তখন তাদের মধ্যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল।
এই দুজন পদার্থবিদ জুরিখ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করতেন। সে সময় সেখানে মিলেভা ছিলেন একমাত্র নারী শিক্ষার্থী। এছাড়াও তিনি ছিলেন দ্বিতীয় নারী যিনি গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
আইনস্টাইন ১৯০৩ সালে বের্ন শহরে একটি ভাল চাকরি পান, মিলেভা ফিরে আসেন সার্বিয়া থেকে,
পরের বছর তাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। এই পুত্র সন্তানের নাম ছিল হান্স আলবার্ট। তাদের তৃতীয় ও শেষ সন্তান ছিল এডুয়ার্ড, তার জন্ম ১৯১০ সালে। পরিবারটি জুরিখে চলে যাওয়ার পর তার জন্ম।
এসব সত্ত্বেও “সে একজন দারুণ ছাত্র ছিল। শিল্পকলার ব্যাপারে তার বিশেষ আগ্রহ। সে কবিতা লিখে এবং পিয়ানো বাজায়,” আইনস্টাইনের ওপর এক গ্রন্থ ‘এন আইনস্টাইন এনসাইক্লোপিডিয়া’তে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এডুয়ার্ড তার পিতার সঙ্গে সঙ্গীত ও দর্শন বিষয়ে আলোচনা করতেন এবং আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন যে তার “ছেলে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করছে।”
আইনস্টাইন ১৯৩০ সালে তাকে লিখেছিলেন, “জীবন হচ্ছে একটা সাইকেল চালানোর মতো। ভারসাম্য রাখতে হলে সেটাকে চালাতে হবে।”
বড় ছেলে হান্স আলবার্টের সঙ্গে আইনস্টাইনের সম্পর্ক খুব বেশি গভীর ছিল না। হান্স ছিল অনেকটা মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষ, বলেন রোজেনক্রান্স।
“বিজ্ঞানের প্র্যাকটিক্যাল কাজ, উদ্ভাবন, কারিগরি – এসব বিষয়ে তার ঝোঁক ছিল,” তার পিতার সঙ্গে খেলা ধুলা থেকে এটা বোঝা যায়।
“আমার দুটো ছেলের মধ্যে সবচেয়ে পরিমার্জিত, যাকে আমার নিজের চরিত্রের মতো বলে মনে হয়, সে অনিরাময়যোগ্য এক মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে,” আইনস্টাইনের লেখা একটি চিঠিতে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জার্মানিতে নাৎসি বাহিনীর উত্থান ঘটে ১৯৩৩ সালে। তখন তিনি জার্মানি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে বাধ্য হন।
“জার্মানি ছেড়ে যাওয়ার সামান্য আগে আইনস্টাইন এডুয়ার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সম্ভবত সেটাই ছিল তাদের শেষ দেখা,” একথা উল্লেখ করা হয়েছে এক আইনস্টাইন এনসাইক্লোপিডিয়াতে, “এর পর পিতা ও পুত্রের আর কখনো দেখা হয়নি।”
আলবার্ট আইনস্টাইন (মার্চ ১৪, ১৮৭৯ – এপ্রিল ১৮, ১৯৫৫) ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই মার্চ আলবার্ট আইনস্টাইন জন্মগ্রহণ করেন জার্মানির এক ইহুদী পরিবারে। তিনি হলেন বিজ্ঞানের সব থেকে বিস্ময়কর প্রতিভা এবং বিশ্বের সর্বকালের জিনিয়াসদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি কেবলমাত্র বিজ্ঞানীই নন ,তিনি ছিলেন এক দার্শনিক। আইনস্টাইন থিওরি অব রিলেটিভিটির জনক। তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম তত্ত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ১৯২১ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে টাইম সাময়িকী আইনস্টাইনকে “শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি” হিসেবে ঘোষণা করে।
এছাড়া বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানীদের একটি ভোট গ্রহণের মাধ্যমে জানা গেছে, তাকে প্রায় সবাই সর্বকালের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আইনস্টাইনের প্রসঙ্গে একজন ভারতীয় বিজ্ঞানীর কথা বলা উচিত। তিনি হলেন আমাদের সত্যেন্দ্রনাথ বসু। আইনস্টাইন জীবনের শেষ তিরিশটি বছর কাটিয়ে ছিলেন একক ক্ষেত্র তত্ত্বের গবেষণায়, ইংরেজিতে একে বলে ইউনিফায়েড ফিল্ড থিওরি। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন সত্যেনবাবু। ১৮ই এপ্রিল, ১৯৫৫ সালে আইনস্টাইন নিউ জার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন হাসপাতালে চিরতরে পৃথিবীকে বিদায় জানান। মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর মগজটি সরিয়ে রাখা হয় বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য।
এই মহান বিজ্ঞানীর বিখ্যাত উক্তি ও বাণীগুলি যা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে পথ দেখাতে পারেঃ
শিক্ষা নিয়ে আলবার্ট আইনস্টাইন এর বিখ্যাত কয়টি বাণী-
১.”স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর যা অবশিষ্ট থাকে, তা-ই হলো প্রকৃত শিক্ষা।“- আলবার্ট আইনস্টাইন
২.”সৃষ্টিশীল প্রকাশ এবং জ্ঞানের মধ্যে আনন্দ জাগ্রত করা হলো শিক্ষকের সর্বপ্রধান শিল্প।“-আলবার্ট আইনস্টাইন
জ্ঞান ও কল্পনাশক্তি বিষয়ে আলবার্ট আইনস্টাইন এর বিখ্যাত উক্তি :
৩. “কল্পনাশক্তি জ্ঞানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জ্ঞান সীমিত। কিন্তু কল্পনা পৃথিবীটাকে প্রদক্ষিণ করে।“
৪.”একমাত্র মূল্যবান জিনিস হলো প্রজ্ঞা।“
৫.”তথ্য জ্ঞান নয়।“
৬.”প্রজ্ঞা বিদ্যালয়ের শিক্ষার পণ্য নয়, তবে এটি অর্জনের আজীবন প্রয়াস।“
৭.”বুদ্ধিমত্তার সত্যিকারের নিদর্শন জ্ঞান নয় কল্পনা শক্তি।”-আলবার্ট আইনস্টাইন
৮.”আপনি যদি চান আপনার বাচ্চারা বুদ্ধিমান হোক তবে তাদের রূপকথার গল্প পড়ান। আপনি যদি তাদের আরও বুদ্ধিমান হতে দেখতে চান তবে তাদের আরও রূপকথার গল্প পড়ান।“
বিজ্ঞান , মহাবিশ্ব নিয়ে আলবার্ট আইনস্টাইন এর বিখ্যাত উক্তি:-
৯.”ধর্ম ছাড়া যে বিজ্ঞান সেটা হল পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া যে ধর্ম সেটা হল অন্ধ ।“- আলবার্ট আইনস্টাইন
১০.”বাস্তবতা নিছক একটি বিভ্রম, যদিও এটি খুব স্থায়ী ”-অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
১১.”দুটো জিনিস অসীম- মহাবিশ্ব এবং মানুষের নির্বুদ্ধিতা। এবং মহাবিশ্বের ব্যাপারে আমি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত না।“– আলবার্ট আইনস্টাইন
১২.”বিজ্ঞান খুব সুন্দর জিনিস যদি এর থেকে কাউকে উপার্জন করতে না হয়।“
১৩.”সমস্ত ধর্ম, শিল্প এবং বিজ্ঞান একই গাছের শাখা।“
ভালোবাসা নিয়ে আলবার্ট আইনস্টাইন এর বিখ্যাত বাণী:
১৪.“ ভালোবাসায় পতনের জন্য কোনোভাবেই আমরা মহাকর্ষ-অভিকর্ষকে দায়ী করতে পারি না ”-অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
১৫.”পুরুষ নারীদের বিয়ে করে এই আশায় যে তারা কখনো বদলাবে না। নারী পুরুষকে এই আশায় বিয়ে করে যে তারা বদলাবে। স্বভাবতই তারা দুজনেই হতাশ হয়।‘
১৬.”যখন কোন কোন লোক সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে এক ঘণ্টা কাটায় তখন মনে হয় যেন এক মিনিট গেলো। কিন্তু সেই লোকটিকেই এক মিনিটের জন্যে গরম চুল্লির উপর বসিয়ে দিলে তার কাছে মনে হবে একঘণ্টারও বেশি সময় গেলো। এটিই আপেক্ষিক তত্ত্ব।“
সাফল্য নিয়ে আলবার্ট আইনস্টাইন এর বিখ্যাত উক্তি:-
১৭.”সাফল্যবান মানুষ না হয়ে বরং মূল্যবান মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।“- আলবার্ট আইনস্টাইন
আলবার্ট আইনস্টাইন এর অনুপ্রেরণামূলক কয়েকটি বিখ্যাত উক্তি:-
১৮.”প্রত্যেকেই প্রতিভাবান। কিন্তু যদি আপনি একটি মাছকে তার গাছে চড়ার সক্ষমতা দিয়ে যাচাই করেন, তাহলে সে সারাজীবন নিজেকে বোকা মনে করেই কাটিয়ে দিবে।“– আলবার্ট আইনস্টাইন
১৯.”এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না, যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও চুপ করে থাকে, তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে।“
২০.“ আমাদের রহস্যময়তার পরীক্ষণে প্রাপ্ত সবচেয়ে সৌন্দর্যময় জিনিসগুলো হলো শিল্প, বিজ্ঞান এবং বন্ধুত্ব।“
২১.”যারা আমাকে সাহায্য করতে না করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি ।“
২২.”যেকোন বুদ্ধিমান বোকা জিনিসকে বড় করতে পারে, আরো জটিল, এবং আরও তীব্র। এটি একটি প্রতিভাকে স্পর্শ করে, এবং সাহস অনেকটা বিপরীত দিকে অগ্রসর হয়। ”-অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
২৩.”যে ব্যক্তি কখনো ভুল করে নি, সে আসলে নতুন কিছু করার চেষ্টাই করে নি।“
২৪.”আমার কোন অসাধারণ গুণ নেই। আমি কেবলমাত্র আমার কৌতুহলকে অনুসরণ করি।“
২৫.”জীবন হলো সাইকেল চালানোর মত, ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে অবশ্যই সামনের দিকে চলতে হবে।“
২৬.”দুর্বল লোকেরা প্রতিশোধ নেয়, শক্তিশালী লোক ক্ষমা করে দেয় আর বুদ্ধিমান লোকেরা উপেক্ষা করে।“
২৭.”শক্তি দিয়ে শান্তি সাধন করা যায় না; এটি কেবলমাত্র সহমর্মিতা দিয়ে অর্জন করা যায়।” -আলবার্ট আইনস্টাইন
২৮.”আমাদের কাজ অবশ্যই হবে আমাদেরকে মুক্ত করা সমস্ত বসবাসরত সৃষ্টি এবং সমস্ত প্রকৃতি এবং এর সৌন্দর্যকে আলিঙ্গন করতে আমাদের সমবেদনার বৃত্তকে প্রসারিত করার মাধ্যমে।“
-আলবার্ট আইনস্টাইন
২৯.”গতকাল হতে শিক্ষা নাও, আজকের জন্য বসবাস করো, আগামীকালে জন্য আশা রাখো। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রশ্ন করা বন্ধ না করা।“-আলবার্ট আইনস্টাইন
৩০.”মহৎ ব্যক্তিরা সব সময় ভয়ানক বাধার সম্মুখীন হয় সংকীর্ণ চিন্তার মানুষদের কাছে থেকে।“
৩১.”উদাসীনতার থেকেও বিপজ্জনক বেপরোয়া মানসিকতা। “
৩২.”আপনি যদি এটি সহজভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারেন তার মানে আপনি এটি ভালোভাবে বুঝতে পারেন নি।“– আলবার্ট আইন্সটাইন
৩৩.”একটি প্রশ্ন যা আমাকে মাঝে মাঝে দুর্বোধ্য করে তোলে – আমি পাগল নাকি অন্যরা পাগল?“
৩৪.”মনোভাবের দুর্বলতা চরিত্রের দুর্বলতা হয়ে যায়।“
৩৫.”আমরা আমাদের সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারি না একই চিন্তাদ্বারা দিয়ে যা আমরা ব্যাবহার করেছিলাম যখন আমরা এইগুলি সৃষ্টি করেছিলাম।“ -আলবার্ট আইনস্টাইন
৩৬.” সমস্ত কঠিন আর সমস্যার মাঝেই লুকিয়ে থাকে সেরা সুযোগটি“।
৩৭.”একটি জাহাজ তীরে সর্বদা নিরাপদ তবে সর্বদা তীরে থাকার জন্য এটি নির্মিত নয়।“
৩৮.”আমি কখনোই ভবিষ্যত নিয়ে ভাবিনি, এটা যথেষ্ট দ্রুত চলে আসে।“
৩৯.”ঈশ্বরের আগে আমরা সবাই সমান বুদ্ধিমান এবং সমান নির্বোধ ছিলাম।“
৪০.”একটি টেবিল, চেয়ার, ফল ভরা পাত্র আর একটা বেহালা সুখী হওয়ার জন্য একটা মানুষের আর কী দরকার?“
৪১.”গণিতে আপনার সমস্যা নিয়ে চিন্তা করবেন না। নিশ্চিত থাকুন আমার সমস্যা আরও বেশি।“
৪২.”বিজ্ঞানী না হলে আমি একজন গায়ক হতাম।“
৪৩.”স্কুল আমার কাছে ব্যর্থ, আর আমি স্কুলের কাছে ব্যর্থ। কারণ যে বিষয়ে আমার আগ্রহ থাকে আমি তা শিখতে চাইতাম, অথচ আমার শিক্ষকরা পরীক্ষায় পাস করার জন্য যা দরকার কেবল তাই শিখাতেন।“