০৩. বিল গেটস
পৃথিবীর সফল মানুষের ব্যর্থতার কাহিনীঃ
আজকের বিশ্বের কম্পিউটারের বিপ্লবের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যাদের, তাঁদের অন্যতম হলেন তিনি। এইযে লেখাটি পড়ছেন, এটিও লেখা হয়েছে তাঁর বানানো অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ কম্পিউটারে, তাঁর বানানো মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে। পৃথিবীর বেশিরভাগ কম্পিউটার এখনও তাঁর কোম্পানীর সফটঅয়্যারে চলে।
কিন্তু আপনি কি জানেন, বিল গেটসের প্রথম প্রজেক্ট অপমানজনক ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল? মাইক্রোসফট এর কো-ফাউন্ডার এবং বাল্যবন্ধু পল এ্যালেন আর বিল গেটস মিলে “Traf-O-Data” নামে একটি মেশিন তৈরী করেছিলেন যেটি ট্রাফিক কাউন্টার গুলো থেকে ডাটা সংগ্রহ করে সরকারি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারদের তা গুছিয়ে সরবরাহ করবে। এমনিতে কাজটি হাতে করতে হতো।
এই যন্ত্রটির ওপেনিং এ স্বয়ং শিয়াjটলের ট্রাফিক সুপারভাইজার এসেছিলেন। কিন্তু যন্ত্রটি চালু করার পর কোনওভাবেই কাজ করেছি। এমন লজ্জা আর অপমান গেটসের জীবনে আর আসেনি। কিন্তু তাঁরা থেমে যাননি। এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই বিল আর পল মিলে পরে মাইক্রোসফটকে সফল করেন।
আজকের বিশ্বের কম্পিউটারের বিপ্লবের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান যাদের, তাঁদের অন্যতম হলেন তিনি। এইযে লেখাটি পড়ছেন, এটিও লেখা হয়েছে তাঁর বানানো অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ কম্পিউটারে, তাঁর বানানো মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করে। পৃথিবীর বেশিরভাগ কম্পিউটার এখনও তাঁর কোম্পানীর সফটঅয়্যারে চলে।
কিন্তু আপনি কি জানেন, বিল গেটসের প্রথম প্রজেক্ট অপমানজনক ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল? মাইক্রোসফট এর কো-ফাউন্ডার এবং বাল্যবন্ধু পল এ্যালেন আর বিল গেটস মিলে “Traf-O-Data” নামে একটি মেশিন তৈরী করেছিলেন যেটি ট্রাফিক কাউন্টার গুলো থেকে ডাটা সংগ্রহ করে সরকারি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারদের তা গুছিয়ে সরবরাহ করবে। এমনিতে কাজটি হাতে করতে হতো।
এই যন্ত্রটির ওপেনিং এ স্বয়ং শিয়াটলের ট্রাফিক সুপারভাইজার এসেছিলেন। কিন্তু যন্ত্রটি চালু করার পর কোনওভাবেই কাজ করেছি। এমন লজ্জা আর অপমান গেটসের জীবনে আর আসেনি। কিন্তু তাঁরা থেমে যাননি। এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই বিল আর পল মিলে পরে মাইক্রোসফটকে সফল করেন।
১৯৭৫ সালে বিল গেটস ও পল এলেন মাইক্রোসফট শুরু করেন।
তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাইক্রোসফটের ম্যানাজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন। পরে তিনি একজন বোর্ড মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অনেক রকম সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত আছেন।
কিভাবে একটি সাধারণ ছেলে তার বন্ধু পল আলেনের সাথে মাইক্রোসফট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে হয়ে উঠলেন পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যাক্তিদের একজন।
বিল গেটস কে ? (Who is Bill gates) যাকে আমরা একডাকে বিল গেটস নামে চিনি, উইলিয়াম হেনরি গেটস তৃতীয় (থ্রি), তিনি আর কেউ নন বিখ্যাত কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফ্ট -এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
যে PC বা Personal Computer আমরা বর্তমানে ব্যবহার করছি সেটি তৈরী ও প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অমূল্য অবদান রয়েছে তার। সেজন্য তাকে “pioneers of the microcomputer revolution” বা “মাইক্রো কম্পিউটার বিপ্লবের জনক” নামেও বলা হয় ।
Born and Name জন্ম ও নাম :
উইলিয়াম হেনরি গেটস থ্রি মূলত একটি নাম। নামটি সেই ব্যক্তির যাকে আমরা বিল গেটস নামে জানি। মাইক্রোশফট কম্পিউটার বিপ্লবের জনক যিনি।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল (seatle) শহরে ২৮ অক্টোবর ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহন করেন । তার পিতা হলেন উইলিয়াম হেনরি।
শিক্ষা ( Education ) : Bill Gates পড়া লেখা করেন Lakeside স্কুলে । সেখান থেকে কম্পিউটারের প্রতি তার প্রীতি জন্মে।বেশিরভাগ সময় সেখানে তিনি কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকতেন ৷ কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি লেকসাইড স্কুলে বিশেষ কদর ছিল। সেখেনে বিল গেটস বেসিক লেংগুয়েজ ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন।
Gates লেকসাইড স্কুল থেকে ১৩ বছর বয়সে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। সবচেয়ে মাজার বিষয় হলো – ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৯০ নম্বর পেয়েছিলেন। সবার কাছে যেটা ছিল বিস্ময়ের ব্যাপার। বিস্ময়কর ফলাফলের দরুণ Bil Gates হার্ভার্ড কলেজে ১৯৭৩ সালে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান।
এখানে পড়তে এসে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসেন। আরো বিস্ময়কর লোকের সাথে পরিচিত হন । স্টীভ বালমার তাদেরই একজন। যিনি পরবর্তীতে মাইক্রোসফটের সিইও হন। তাকে তার পিতা মাতা আইনজীবি বানানোর স্বপ্ন দেখতেন।
কিন্তু তার competetive nature তাকে করেছে সবার চেয়ে ব্যাতিক্রম। হাভার্ডে পিতামাতার ইচ্ছানুযায়ী বেশি দিন থাকতে পারেন নি। তার কাছ অসহ্য মনে হলো আইন নিয়ে পড়া লেখা। তাই অচিরেই তিনি হাভার্ড থেকে ঝরে পড়েন।
বিল গেটস ১৯৯৪ সালে বিবাহ করেন। তার স্ত্রী হলেন মেলেন্ডা গেটস। ১৯৮০ সালে মেলিন্ডা মাইক্রোসাফটে জয়েন করেন।পরবর্তীতে পরিচয়, প্রণয়,অতঃপর বিয়ে। মেলিন্ডা মাইক্রোসফটের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে রয়েছেন। বিল গেটস এর এক ছেলে ও দুই মেয়ে।
MIST
একটি কম্পিউটারের নাম। MIST তাদের Altair 8800 বাজারে রিলিজ করে। Altair 8800 বিল গেটসের নজরে পড়ে। তিনি তা খতিয়ে দেখেন। যন্ত্রটিতে কিছু একটা অসম্পূর্ণ মনে করলেন তিনি । প্রেসিডেন্ট তা সম্পূর্ণ করার অনুমতি দেন। তিনি Demo এড করলে বিস্ময়কর ফলাফল দেখা দেয়।
Microsoft মাইক্রোসফটের সূচনা। বিল গেটস ও পল এল্যান কিছুদিন পর এক সাথে ব্যবসা করার প্লান করেন। তাই দেখা দেয় একটি অফিস খুলার প্রয়োজন । নিউ মেক্সিকোর এক এলাকায় প্রথম অফিস খুলেন। অফিসটির নাম দেন
Albuquerque।
১৯৭৬ সালের ২৬ নভেম্বরে MITS এর আওতায় আরো একটি প্রতিষ্ঠান খুলেন। আর এভাবেই Microsoft এর সূচনা হয়। এটিই
Micro soft এর ১ম অফিস।
Windows এর সূচনা
মাইক্রোসফট কোম্পানি ইতিমধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা আর্জন করেছে। সর্বত্র নিত্য নতুন সিস্টেম উদ্ভাবন করছে। ১৯৮৫ সালে এসে এ বিপ্লবে নতুন সংযোজন মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম। বাজারে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে অতি সল্প সময়ে ।
এর পিছনে মূল কারণ ছিলঃ
1. Esay to use ব্যবহার করতে সহজবোধ্যতা।
2. Esay Graphical User Interface।
3. এ অপেরেটিং সিস্টেম খুবিই Advance ছিল।
এ সুযোগ সুবিধা তখনকার অপারেটিং সিস্টেমে ছিল না।
Popular version of windows
উইন্ডোজ এর ভারশনসমূহ।
1. Windows NT
2. Windows XP
3. Windows 3.1
4.Windows 95
5. Windows 98
6.Windows milinium.
7. Windows 2000.
8. Windows Vista.
9. Windows 7
10. Windows 2007
11.Windows 8
12. Windows 8.1
13. Windows 10 “latest version ”
1. Microsoft word
2. Microsoft Excel
3. Microsoft power point
4. Microsoft team.
5. Microsoft out loock
6. Microsoft one Note
7. Microsoft one Drive
১৩ বছর ধরে ধনিদের তালিকায় প্রথম স্থান ধরে রাখা আমেরিকান business magnet বিল বহু বছর ধরে Microsoft কোম্পানীর chairman, chief executive officer, প্রধান software architect প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
যদিও এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আমাজনের জেফ বেজোস, কিন্তু এখনও অনেকে মনে করেন যে বিল গেটসই পৃথিবীর ধনীতম মানুষ। কারণ, এতদিন ধরে তিনি বিশ্বের এক নম্বর ধনী ছিলেন যে, অন্য কেউ তাঁর জায়গা দখল করেছে – এটাই অনেকে জানে না।
শীর্ষ ধনীর তালিকায় বিল গেটস চার নাম্বারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা । টেকনোলজি বিপ্লবের প্রথম দিকে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীর পদটি অনেক দিন দখল করে ছিলেন। এখনও সবচেয়ে ধনী মানুষের নাম আসলে সবার মুখে বিল গেটস এর নাম চলে আসে।
বিল গেটসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪৮ বিলিয়ন ডলার।
বিল গেটস এর জীবনী ও জীবন কাহিনী” (Bill Gates Biography in Bengali)
“ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে বিল গেটস পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যে ৪ নম্বর স্থানে রয়েছেন”।
আমাদের অবশ্যই জানতে ইচ্ছে করে যে-
Bill Gates Hometown এর বাড়িঃ
বিশ্বের শীর্ষস্হানীয় ধনকুবেরের অন্যতম বিল গেটস (Bill Gates) -এর বিলাসবহুল বাসস্হান নয় যেন প্রসাদ।
১. আয়তন ও ব্যয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের মেডিনায় লেকে এই বাড়িটি। লেকের কুল ঘেষে থাকায় সৌন্দর্যের যেন নতুন রূপ ধরেছে।বিলাসবহুল এই বাড়ি ওয়াশিংটনের পাশে ৬৬ হাজার বর্গফুট ভূমি নিয়ে তৈরি হয়েছে । ৭ বছরে ৬ কোটি ৩২ লাখ ডলার ব্যয়ে তৈরি হয়েছে বিল গেটসের এই জৌলুসপূর্ণ প্রাসাদ তুল্য বাড়ি।
২.বাড়ি চতুর্দিকের দেয়ালে রয়েছে স্কীন ।স্কীনের আলোক সজ্জা খোলস প্রতি মুহুর্তে পাল্টায়। বিশাল সুইমিং পুল বড়ির ভিতরে রয়েছে । তলদেশে রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম। প্রয়োজনে গানও শুনতে পারবেন যদি আপনার সুযোগ হয় সেখানে যাওয়ার, সাতারও কাটতে পারবেন।
৩. তাছাড়া আয়েশী জীবন যাপন করার জন্য রয়েছে সী বিচ। সী বিচটি বাড়ির সম্মুখ দিকে। অবসর সময় কাঠানোর এক উপযুক্ত জায়গা ।
৪. গাড়ি পার্কের জান্য বিশাল জায়গা রয়েছে। একসাথে বিশটি গাড়ি পার্ক করা যায় ।
৫. বিল গেটসের বাসস্হানে বা বিলাসবহুল বাড়িতে আছে” হোম থিয়েটার”। একসাথে ২০ জন বসতে পারবে বা ২০ টি সিট। এই থিয়েটার শৈল্পিকভাবে সাজানো ও নিজস্ব পপকর্ন মেশিন আছে।
৬. তার বাড়িতে ট্র্যাম্পোলন রয়েছে। (লাফানোর মঞ্চ)
উইলিয়াম হেনরি গেটস থ্রি মূলত একটি নাম। নামটি সেই ব্যক্তির যাকে আমরা বিল গেটস নামে জানি। যিনি মাইক্রোশফট কম্পিউটার বিপ্লবের জনক। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল (seatle) শহরে ২৮ অক্টোবর ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহন করেন Bil Gates। তার পিতা হলেন উইলিয়াম হেনরি।