৬টি প্যাসিভ ইনকাম বিজনেস আইডিয়া, যা ঘরে বসেই শুরু করতে পারবেন !
By Muntaseer Rahman’ April 17, 2023
এখানে কিছু ইনকাম নিয়ে কথা বলা হলো, যে গুলো শতভাগ প্যাসিভ না হলেও আমরা প্যাসিভ ইনকাম হিসেবে ধরে নিচ্ছি ৷ এই পদ্ধতি গুলোকে সাধারণত leverage income বলা হয়। আমরা leverage income টাকেই passive income হিসেবে ধরে নিচ্ছি ।
এ গুলো আপনি ঘরে বসেই শুরু করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে ইনকাম ও বেশ ভালো করতে পারবেন।
Table of Contents
01.Dividend From Stock:
02.Content Creation :
03.Crypto Trading :
- Blogging :
05.Selling ebooks on Amazon :
- SAAS, Agency, Service, Course :
SAAS
Agency :
Service :
Course:
Recommendation:
01.Dividend From Stock:
প্রায় শতভাগ প্যাসিভ ইনকামের রাস্তা হিসেবে এটা বেশ ভালো একটা পথ।
এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে স্টক মার্কেটে এমন স্টক কিনতে হবে, যেসব কোম্পানি Dividend দেয়।
Dividend হলো— প্রতিটা কোম্পানি প্রতি বছরে ব্যবসা করে বার্ষিক যে প্রফিটটা পায়, ওই প্রফিটের একটা অংশ কোম্পানির যত Owner আছেন তাদের প্রত্যেকের মধ্যে ভাগ করে দেয়।
এই প্রফিটের অংশ ভাগ করে দেয়াটাকে Dividend বলে।
আপনি যখন কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনবেন, টেকনিক্যালি আপনি ওই কোম্পানির একজন Owner হয়ে যাবেন।
তখন আপনিও ওই Dividend এর একটা অংশ পাবেন, আপনার মালিকানার ভিত্তির ওপর নির্ভর করে।
অর্থাৎ, আপনার কত পার্সেন্ট শেয়ার কেনা আছে সেই অনুযায়ী নির্ধারণ হবে যে আপনি কত পার্সেন্ট প্রফিট পাবেন।
এই পদ্ধতির সুবিধাজনক ব্যাপার হলো— এটা অনেক বেশি প্যাসিভ এবং অনেকটা বিপদমুক্ত। আপনার স্টক কেনার পরে আর কোনো কাজ নেই ।
আর এই পদ্ধতির খারাপ ব্যাপার হলো— স্টক কেনার জন্য অবশ্যই আপনার স্টক কেনার টাকাটা থাকতে হবে।
যদি আপনার রেস্পেক্টেবল অ্যামাউন্ট অব স্টক না থাকে তাহলে পর্যাপ্ত Dividend পাবেন না ৷
রেসপেক্টেবল অ্যামাউন্ট হচ্ছে — যদি প্রতি মাসে অন্তত বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা Dividend পেতে চান তাহলে কোম্পানি ভেদে কমপক্ষে 20-30 lakh টাকার স্টক থাকতে হবে৷
এ ধরনের স্টক পেতে হলে DSEBD তে খোঁজ নিতে পারেন অথবা বিভিন্ন সাইটে খোঁজ খবর নিতে পারেন।
কোন কোন কোম্পানি Dividend দেয়— এটা খোঁজ নিয়ে তারপর যাদের অবস্থা বেশ ভালো, যারা ভালো মত ব্যবসা করছে তাদের স্টক কিনে এই পদ্ধতিতে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
02.Content Creation :
কন্টেন্ট ক্রিয়েশন বলতে অনেক কিছুকে বোঝায়। কন্টেন্ট তৈরী করে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম সমূহে পাবলিশ করা ।
কন্টেন্ট পাবলিশ করার জন্য অনেক ধরনের প্ল্যাটফর্ম আছে৷
কিন্তু এর মধ্যে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রাম বেশ জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ।
এদের মধ্যে আবার ইউটিউব সবচে বেশি জনপ্রিয়। বলতে গেলে, প্রত্যেকটা মানুষের হাতেই ইউটিউব আছে৷
একটা ই-মেইল একাউন্ট আছে,অথচ ইউটিউব নেই— এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর।
এ জন্য আপনার কোনে পছন্দের নিশ নিয়ে, যে নিশের ওপর আপনার অভিজ্ঞতা আছে— এমন নিশ নিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ইউটিউবে কাজ করতে পারেন।
কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ইনকাম করার অনেক অনেক উপায় আছে, যদি আপনার অডিয়েন্স থাকে, চ্যানেলে ভিউ আসে। অনেক উপায়ের মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে —
Ad দিয়ে ইনকাম করা।
এখানে আপনার নিজের তেমন কিছু করতে হবে না৷ ভিডিয়ো বানাবেন, অ্যাড এনাবল করবেন আর ইনকাম হতে থাকবে।
স্পন্সরশীপ নিয়ে ইনকাম করা ৷
বর্তমানে অনেক ইউটিউবার স্পন্সরশীপ নিয়ে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে ৷
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা :
এ ক্ষেত্রে সেসব জিনিসেরই মার্কেটিং করা উচিত, যে জিনিস গুলো সম্পর্কে আপনার ভালো জ্ঞান আছে এবং যে জিনিস গুলো বেশ ভালো।
র্যান্ডম কোনো প্রোডাক্ট আপনার অডিয়েন্সের সাথে শেয়ার করবেন না, যেটা ভালো না বা আপনার অভিজ্ঞতা নেই।
এমন প্রোডাক্ট শেয়ার করলে আপনার অডিয়েন্স হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে।
মার্চেন্ডাইজিং করা :
অর্থাৎ, নিজের চ্যানেলের থিমের ওপর ক্যাপ,
টি-শার্ট, হুডি ইত্যাদি বানিয়ে সেল করা।
এমন অনেক গুলো সিস্টেমে ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু, এজন্য আপনার অডিয়েন্স থাকতে হবে । শূণ্য মাঠে জমজমাট খেলাটা খেলতে পারবেন না ।
আরেকটা ব্যাপার হলো— এই ইনকামটা পুরোপুরি প্যাসিভ না। যেমন – আপনাকে প্রতিনিয়ত ভিডিয়ো দিতে হবে।
যদি কখনো মনে করেন যে টানা একমাস ভিডিয়ো দেবেন না— তাহলেও আপনার একটা প্যাসিভ ইনকাম হবে, আপনার Ad থেকে অথবা পুরোনো ভিডিয়ো থেকে ।
কিন্তু, সময়টা একমাস পেরিয়ে যদি তিন চার মাস ভিডিয়ো দেয়া বন্ধ রাখেন তাহলে একটা সময়ে গিয়ে আপনার চ্যানেলের কোয়ালিটি কমে যাবে, আপনার চ্যানেলকে ইউটিউব আর প্রোমোট করবে না।
ইউটিউবের কাছে চ্যানেলের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেলে ইনকামও কমে যাবে। এজন্য নিয়মিত কাজ করতে হবে।
ইউটিউবের পরে ইনস্টাগ্রামে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন নিয়ে যদি বলি— ইনস্টাগ্রামে ইউটিউবের মত করে Ad বা Affiliate দিয়ে তেমন ইনকাম করতে পারবেন না৷ ইনস্টাগ্রামে ইনকামের ভালো পথ হচ্ছে স্পন্সর করা।
03.Crypto Trading :
ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যাপারটা আমাদের দেশে- অর্থাৎ বাংলাদেশে এখনো বৈধ না।
তবুও চাইলে অনেক উপায়ে করা যায়। এটার জন্য একটু ঘাটাঘাটি করতে হবে আপনাকে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে এই কাজটা করতে পারবেন ।
এটার সুবিধাজনক ব্যাপার হলো- এটা সম্পূর্ণ প্যাসিভ একটা ইনকাম। এবং বিপজ্জনক ব্যাপার হলো- এটা প্রচন্ড রিস্কি একটা কাজ।
যেমন— আপনি দশ হাজার টাকা বা ৮০-৯০ ডলারের ইথারিয়াম কিনলেন। যেটা দু-তিন দিন পরে হয়তো কমে 50 ডলার হয়ে যেতে পারে অথবা বেড়ে 100-150 ডলার হয়ে যেতে পারে।
এর নিয়ন্ত্রণ কোনোমতেই আপনার হাতে না। এখানে সহজেই দাম বাড়ে এবং সহজেই দাম কমেও যায়।
এজন্য এত বিপজ্জনক একটা কাজে বিগিনারদের না যাওয়াই ভালো।
এছাড়াও খুব কৌতূহল হলে অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে দেখতে পারেন৷
কিন্তু কোনোমতেই ঘর-বাড়ি বিক্রি করে ক্রিপ্টোতে আসবেন না।
- Blogging :
ইনকাম করার বেলায় আপনারা অনেকেই এই মাধ্যমটা বেশি ব্যবহার করে থাকেন।
এই ব্লগিং শতভাগ প্যাসিভ ইনকাম না। একে Leverage Income বলা হয়ে থাকে।
যদি আপনি মনে করেন যে একটা ব্লগ লিখে ফেলে রাখবেন, পাঁচ বছর আর কোনো কাজ করবেন না তাহলে কোনো রিলায়েবল ইনকাম হবে না।
ব্লগিং করে ভালো ইনকাম করতে চাইলে নিয়মিত কাজ করতে হবে।
যদি নিয়মিত কাজ করতে পারেন তাহলে তার ফলাফল ও অসাধারণ পাবেন।
আপনার ব্লগটা বড় হলে Ad থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে Ad দেবেন, ইনকাম হতে থাকবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
লিড জেনারেশন করে ইনকাম করতে পারবেন।
এ রকম অসংখ্য উপায় আছে ইনকাম করার। এজন্য একটা ব্লগসাইট বানিয়ে তাতে ট্রাফিক আনতে হবে।
ট্রাফিকের ব্যাপারটা সামলাতে পারলে মনিটাই- জেশনের অনেক উপায় পাবেন।
এটার সুবিধা হলো— এই পদ্ধতিটা অনেক রিলায়েবল এবং স্কেলেবল। স্কেলেবল মানে হলো- আজ যদি আপনার ওয়েবসাইটটা 100 ডলার আয় করে প্রতিমাসে — এটাকে 1,000 ডলার ইনকামের পথে নিতে আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না।
শুধু আপনার কিছু প্রোসেস ফলো করতে হবে, কন্টেন্ট দিতে হবে নিয়মিত। তাহলেই ইনকাম বাড়বে।
কিন্তু, এটা করার জন্য আপনার কিছু টাকা খরচ করতে হবে৷ যেমন— ডোমেইন হোস্টিং কেনার জন্য কিছু টাকা লাগবে, এরপরে বড়সড় কিছু টাকা খরচ করতে হবে কন্টেন্টের পেছনে।
কন্টেন্ট যদি নিজে লিখতে পারেন তাহলে টাকা খরচ করতে হবে না।
কিন্তু যদি নিজে লিখতে না পারেন তাহলে কোনো এজেন্সি বা রাইটার হায়ার করতে হবে এবং সেখানে কিছু টাকা-পয়সা খরচ হবে।
টাকার পাশাপাশি প্রয়োজন — নলেজ। ব্লগিংয়ের ব্যাপারে অনেক টেকনিক্যাল কিছু ব্যাপার স্যাপার জানতে হয়৷
আজকে শুরু করে দুইদিন পরই ইনকাম করা যায় না। আপনাকে সময় দিতে হবে, শিখতে হবে। তারপরে ইনকাম করতে পারবেন।
05.Selling ebooks on Amazon :
এই মাধ্যমটা বর্তমানে খুব একটা ট্রেন্ডিংয়ে নেই। সাত-বছর আগে খুব সরব থাকলেও এখন মানুষজন খুব বেশি একটা ই-বুক পড়ে না।
তবুও এটা নিয়ে কাজ করতে চাইলে প্রথমত আপনাকে কোনো একটা টপিকের ওপর ই-বুক বানাতে হবে।
বিভিন্ন টপিক— হতে পারে ফ্যাশন, ক্যাম্পিং, ডায়েটসহ যে কোনো কিছু।
ই-বুকটা লেখার পরে অ্যামাজনে দিতে হবে। তারপর যদি এটার ভালো মার্কেটিং হয় তাহলে একটা ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
এই পদ্ধতিটা খুবই স্কেলেবল। কারণ একশো জন মানুষের জন্য বইটা লিখলেও যতটুকু পরিশ্রম দিতে হবে, এক হাজার জন মানুষের জন্য লেখা হলেও একই পরিশ্রম ই যাবে। কম-বেশি হবে না।
অর্থাৎ, বেশি মানুষজনের কাছে বিক্রি করার জন্য আলাদা করে বইটার ওপর কোনো কাজ করতে হবে না।
আপনাকে শুধু মার্কেটিং এবং অ্যাডভারটাইজিংয়ের পেছনে খরচ করতে হবে। এটা করতে পারলে ভালো একটা ইনকাম হতে পারে।
সমস্যা হলো, ই-বুক এখন তেমন চলে না৷ এ জন্য এটা নিয়ে কাজ করতে চাইলে অডিয়ো-বুক নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।
অর্থাৎ, একটা ই-বুক বানিয়ে সেটার অডিয়ো ভার্সন চালু করতে পারেন। কারণ, এখন অডিয়ো বুকের চাহিদা বেশ ভালো, বাজার রমরমা।
- SAAS, Agency, Service, Course :
SAAS
SAAS হলো—
Software As A Service এর শর্ট ফর্ম। যারা ব্লগিং করেন তারা অনেক ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। যেমন, কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল, ahrefs, Link Whisper ইত্যাদি।
এই সফটওয়্যার গুলো দিয়ে কাজ করে কম্পিউটারে কোনো কিছু ইনস্টল করতে হয়না।
একটা ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি ব্যবহার করা যায়। এ কারণে এটাকে SAAS বলা হয়।
আগে কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য সিডি ইনস্টল করতে হতো হার্ড ড্রাইভে, তারপর ব্যবহার করা যেতো।
কিন্তু, SAAS এর কারণে সেটা করার প্রয়োজন হয়না। ওদের Cloud এ সবকিছু আছে, শুধু লগইন করেই ব্যবহার করতে পারবেন।
Agency :
কয়েকজন মিলে একটা এজেন্সি খুলতে পারেন।
Service :
আপনার যে স্কিলটা আছে সেটার সার্ভিস দিতে পারেন।
আপনি যেটা জানেন সেটা সার্ভিস হিসেবে মানুষ- জনকে দিতে পারেন। হতে পারে কন্টেন্ট রাইটিং।
অন্যকে কন্টেন্ট লিখে দিলেন। আবার ওয়ার্ডপ্রেসের স্পিড অপটিমাইজেশন সার্ভিস।
Course:
এক্ষেত্রে আপনি কোনো একটা কোর্স বানিয়ে সেল করতে পারেন। যেমন – Writers Motion এর রয়েছে কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স!
এই প্রত্যেকটা ব্যাপার ই বেশ স্কেলেবল। যেমন, একবার একটা SAAS দাঁড়িয়ে গেলে আপনার আর পরিশ্রম করতে হবে না তেমন।
শুধু Advertising করতে হবে। আপনি যত Advertise করবেন তত মানুষজন আসবে।
তত আপনার প্রোডাক্ট গ্রো করবে। যদি আপনি ভালো ভাবে মার্কেট ফিট করে SAAS টা বানাতে পারেন।
আবার এজেন্সিও স্কেলেবল— এটার জন্য হয়ত আপনাকে বেশি মানুষ হায়ার করতে হবে, মার্কেটিং করতে হবে।
এরপর সার্ভিসটাও বেশ সহজ। কিন্তু এতটাও সহজ না যদি আপনি নিজে সার্ভিস দেন।
ধরুন, যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইটের স্পিড অপটিমাইজেশন সার্ভিস দেন তাহলে একসাথে ৫-১০ টা ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারবেন কিন্তু অনেক বেশি মানুষকে একসাথে সার্ভিস দিতে পারবেন না।
তবে সার্ভিসটাকে যদি এজেন্সি আকারে নিয়ে আসেন, যেখানে ১০-১৫ জন ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট হায়ার করা থাকবে আপনার। তখন এক সাথে অনেক মানুষকে সার্ভিস দিতে পারবেন।
সব চেয়ে স্কেলেবল হচ্ছে কোর্সটা। কারণ এটা একবার বানানোর পরে আর বানানোর ঝামেলা নেই।
কোর্সটা যখন একজন কিনবে সে-ও যে সার্ভিস পাবে, একশো জন কিনলেও একই সার্ভিস পাবে।
আপনাকে কষ্ট করে নতুন কিছু বানাতে হবেনা। তবে বছর খানেক পরে হয়ত কিছু ইনফরমেশন আপডেট করতে হবে, টুকটাক কাজ করতে হবে।
তবে প্রত্যেকটা জিনিসের কমন ঝামেলা হলো— টাকা লাগবে। যেমন,
SAAS ডেভলপ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়।
এজেন্সির ক্ষেত্রে মানুষজন হায়ার করতে টাকা প্রয়োজন হবে।
সার্ভিস দেয়ার বেলায় আপনার একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে।
কোর্স বানাতে হলে টাকা লাগবে৷ যদি আপনি ভিডিয়ো কোর্স বানাতে চান তাহলে প্রিমিয়াম ভিডিয়ো লাইব্রেরিতে হোস্ট করতে হবে৷
ওয়েবসাইট বানাতে হবে।
লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার কিনতে হবে৷ যেখানে কোর্সটা সাজাবেন৷
এরপরে লাগবে— নলেজ। এই যে এতগুলো কাজ আপনি করবেন, যদি নিজের জানা শোনা না থাকে তাহলে কিভাবে করবেন?
আরেকটা ব্যাপার, যেটা শতভাগ লাগবে- অডিয়েন্স।আপনি টাকা-পয়সা এবং নলেজ খরচ করে, পরিশ্রম করে এতগুলো কাজ করলেন কিন্তু কেউ দেখলো না, কেউ আপনার সার্ভিস নিলো না— তাহলে তো হবে না।
আপনার অডিয়েন্স থাকতে হবে। অডিয়েন্স না থাকলে আবার মার্কেটিংয়ের পেছনে অনেক খরচ করতে হবে।
এ জন্য সবচেয়ে ভালো হয়, এই কাজগুলো শুরু করার আগে অডিয়েন্স বিল্ডআপের জন্য কাজ করলে।
এই ব্যাপার গুলোর খারাপ দিক হচ্ছে, এগুলো শতভাগ প্যাসিভ ইনকাম না।
প্রতিদিন কিছু না কিছু কাজ করতে হবে৷ এজেন্সি বা সার্ভিসের ক্ষেত্রে প্রতিদিনই কাজ করতে হবে।
আবার কোর্সের ক্ষেত্রে বছর খানেক পরে হলেও কাজ করতে হবে দু’ এক বার ।
কিন্তু, এ গুলো করে অনেক ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
Recommendation:
এই ছয়টার ভেতরে কোনটা আপনার জন্য? কোনটা ভালো?
যদি আপনার ক্যামেরার মুখোমুখি হতে সমস্যা না হয়, ক্যামেরার সামনে কমফোর্টেবল হোন তাহলে আপনার উচিত ইউটিউবে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা।
কারণ ইউটিউব বেশ জমজমাট একটা প্ল্যাটফর্ম এখন।
এরপরে ইউটিউবের জন্য বানানো ভিডিয়ো শর্টস হিসেবে কেটে টিকটক, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে রিলস আকারে আপলোড করতে পারেন।
যদি আপনার ক্যামেরার সামনে যেতে সংকোচ হয় বা ভিডিয়ো বানাতে সমস্যা থাকে তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য বেস্ট অপশন।
তবে ব্লগিং করতে হলে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে, টেকনিক্যাল স্কিল শেখার আগ্রহ থাকতে হবে।
কারণ ব্লগিং করতে হলে আপনার জানতে হবে— হোস্টিং কিভাবে কিনতে হয়, ডোমেইন কিভাবে কিনতে হয়, ওয়ার্ডপ্রেসের সেটাপ কিভাবে করতে হয় ইত্যাদি।
ব্লগিং দিয়ে শুরু করলেও, কিছুদিন পরে হলেও আপনার ইউটিউবে যাওয়া উচিত।
যদিও আপনার ক্যামেরার সামনে সংকোচ হয়, তবুও।
কমফোর্ট জোন থেকে বের হতে না পারলে আপনার কাজ এগোতে পারবেন না।
যারা ইউটিউব দিয়ে শুরু করবেন তারা ব্লগিংয়ে আসেন এবং যারা ব্লগিং দিয়ে শুরু করবেন তারা ইউটিউবে যান।
এজন্য বলা যায়, ব্লগিং এবং ইউটিউবে কম্বিনেশন হচ্ছে কিলার কম্বিনেশন।
এই দু’টো মেলাতে পারলে আপনার ইনকামটা বহুগুণে বেড়ে যাবে।
এখানে শেয়ার করা পদ্ধতি গুলো শতভাগ প্যাসিভ না হলেও, আপনার ইনকাম বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট ।
যদিও একটিভ কাজ করতে হবে আপনাকে কিন্তু মাঝে মধ্যে দম ছেড়ে দিলে এরা প্যাসিভ ইনকামও এনে দেবে আপনাকে।
এ জন্য বেস্ট ইনকাম করার জন্য এগুলো ট্রাই করতে পারেন আপনিও!