কেন আপনার শিশুকে পোলিও টিকা দিবেন
পোলিও একটি ভাইরাসবাহিত রোগ। তাই খুব দ্রুতই একজন থেকে অন্য জনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পোলিও রোগের কোন চিকিৎসা না থাকার কারনে সময়মত পোলিও টিকা দেওয়া ছাড়া পোলিও মুক্ত থাকার কিংবা পোলিও থেকে মুক্ত হওয়ার আর কোন উপায় নেই। দেশ থেকে পোলিও নির্মূল এবং সব শিশুর সুরক্ষার জন্য জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে পাঁচ বছরের নিচের সকল শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। আপনার শিশুর বয়স ৫ বছরের নিচে হলে অবশ্যই সময়মত পোলিও টিকা খাওয়ান।
সবার জন্য পোলিও টিকা
কখন পোলিও টিকা দিবেন?
পোলিও রোগ থেকে শিশুকে রক্ষার জন্য উন্নত প্রতিষেধক ব্যবস্থা রয়েছে। শিশুর বয়স ৬ সপ্তাহ হলে প্রতিবার ডিপিটির সঙ্গে দু’ফোঁটা করে পোলিও ভ্যাকসিন এক মাস পর পর তিন ডোজ শিশুকে খাওয়ানো হলে ও ৪র্থ ডোজ শিশুর ৯ মাস বয়সে হামের টিকার সাথে খাওয়ানো হলে তা শিশুকে পোলিওর হাত থেকে রক্ষা করে। আবার, সুযোগ থাকলে জন্মের পরপর এক ডোজ ও পি ভি অর্থাৎ ওরাল পোলিও নবজাতককে খাওয়ালে ভাল। তবে এটা অবশ্যই ৪ ডোজের মধ্যে গণ্য হবে না। তাকে ৪র্থ ডোজ অবশ্যই পরবর্তী সময়ে ৯ মাস বয়সে হামের টিকার সঙ্গে খাওয়াতে হবে।
চিকিৎসাঃ
পোলিও রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে কোন শিশু অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। আবার শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে মুখের ফেনা পরিষ্কার করা, সাকশান দিয়ে অক্সিজেন দেয়া ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। রোগীর রক্ত চাপ, হৃৎস্পন্দন সব সময় নজরে রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহ পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ হয়ে যাওয়া হাত, পা এবং অন্য অঙ্গ সমূহের ব্যায়াম করাতে হবে অথবা ফিজিও থেরাপি দিতে হবে। পোলিও আক্রান্ত শিশুর মলমূত্র ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত যথাযথভাবে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিতে হবে, কারন- পোলিও জীবাণু কোনভাবে খাবার কিংবা পানিতে মিশে গেলে তা থেকে পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ করে অন্য কোন শিশুর পোলিও হওয়ার আশঙ্কা থাকে।