লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার পেতে জাস্ট মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
বিশ্বের জনপ্রিয়তম ভিডিয়ো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম YouTube। প্রায় সকলেই নিয়মিত এই অ্যাপ থেকে ভিডিয়ো দেখেন।
ইউটিউবে ভিডিয়ো আপলোড করে রোজগারের পথ বেছে নিয়েছেন অনেকেই।
অনেকেই নিজের ইউটিউব চ্যানেল খোলার কথা ভাবেন। কিন্তু শুরুতেই পরপর ভুলের কারণে মুখ থুবড়ে পরে চ্যানেল।
ভিডিয়ো আপলোড করে রোজগারের গোপন সিক্রেট কী? নতুন চ্যানেল শুরুর সময় কোন কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন? জেনে নিন:
চ্যানেলের বিষয় :
ইউটিউব চ্যানেল শুরুর সময় বিষয় বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয়ে ভিডিয়ো তৈরি করবেন তা ঠিক করে নিতে হবে শুরুতেই।
নির্দিষ্ট বিষয়ে ভিডিয়ো আপলোড করলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই বিষয়েই ভিডিয়ো তৈরি করুন যা নিয়ে আপনার আগ্রহ রয়েছে।
যে বিষয় নিজে ভালো বোঝেন সেই বিষয়ে ভিডিয়ো তৈরি করলে দর্শকের নজর কাড়তে পারবেন।
সঠিক পরিকল্পনা :
বিষয় বেছে নেওয়ার পরে চাই সঠিক পরিকল্পনা। কোন কোন টপিকের উপরে ভিডিয়ো বানাবেন তা আগে থেকে পরিকল্পনা করুন।
ভিডিয়ো তৈরির আগে সেখানে কী দেখাতে চান তা ঠিক করে নিন। প্রয়োজনে ভিডিয়ো রেকর্ড করার আগে তৈরি করে নিন স্ক্রিপ্ট।
মনে রাখবেন ভিডিয়োর বিষয় বস্তুর উপরেই নির্ভর করে সাফল্য। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া ভালো ভিডিয়ো তৈরি সম্ভব নয়।
নির্দিষ্ট সময়ে আপলোড :
নিজের ইচ্ছা মতো ভিডিয়ো আপলোড করবেন না। আগে ঠিক করে নিন সপ্তাহে মোট কত ভিডিয়ো আপলোড করবেন।
আপলোডের দিন ও সময় নির্দিষ্ট করে নিন। প্রত্যেক দিন অথবা সপ্তাহে একই সময়ে ভিডিয়ো আপলোড করুন।
এই অভ্যাস থাকলে বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিডিয়ো তৈরি হয়ে গেলেই আপলোড করে দেবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে আপলোড করার জন্য ব্যবহার করুন ইউটিউব ক্রিয়েটর স্টুডিয়োর শিডিউল ফিচার।
লাইক, কমেন্টের গুরুত্ব :
যত বেশি মানুষ লাইক করবেন আপনার ভিডিয়ো তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে YouTube। দর্শকদের ভিডিয়োর নীচে কমেন্ট করতে অনুরোধ করুন।
ভিডিয়োর মধ্যে কোনও বিষয়ে মতামত জানতে চান। দর্শকদের কমেন্টের রিপ্লাই করুন ইউটিউবে।
এই ভাবে আপনার চ্যানেলের উপরে নির্ভর করে একটি কমিউনিটি গড়ে উঠবে, যা আপনার চ্যানেলকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার :
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে নিজের চ্যানেল শেয়ার করুন।
চাইলে নিজের পোস্ট করা ভিডিয়োর লিঙ্কও শেয়ার করতে পারেন।
এ ছাড়াও আপনি যে বিষয়ে ভিডিয়ো তৈরি করছেন সেই সংক্রান্ত ফেসবুক ও অন্যান্য গ্রুপে লিঙ্ক পোস্ট করুন।
লিঙ্ক পোস্ট করার সঙ্গেই ভিডিয়ো সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লিখুন, যা পড়ে ভিডিয়ো সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি হবে।
অতিরিক্ত পোস্ট করলে অনেকেই আপনার ভিডিয়ো থেকে দূরে সরে আসতে পারেন।
তাই বুদ্ধি করে ধীরে ধীরে লিঙ্ক শেয়ার করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলের প্রচার করুন।
সঠিক কি ওয়ার্ড :
ভিডিয়ো আপলোডের সময় সঠিক কি ওয়ার্ড ব্যবহার করুন। অপ্রয়োজনীয় কি-ওয়ার্ড ব্যবহার না করে ভিডিয়োর বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করুন।
সঠিক কি ওয়ার্ড খুঁজতে তাড়াহুড়ো করবেন না। সঠিক কি ওয়ার্ড খুঁজতে সময় নিন।
এছাড়াও একটি আকর্ষণীয় টাইটেল দিয়ে সব ভিডিয়ো আপলোড করুন।
ডেসক্রিপশনে সেটাই লিখুন যা আপনার ভিডিয়োকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করুন
যে কোনও এক ধরনের ভিডিয়ো তৈরি না করে বিভিন্ন ধরনের ভিডিয়ো তৈরি করুন ভ্লগ, টিউটোরিয়াল সহ নানা ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট করুন নিজের চ্যানেলে।
দর্শক কোনটা বেশি পছন্দ করছেন সেদিকে খেয়াল রাখুন।
সঠিক সময় ও পরিশ্রমই সফল ইউটিউব চ্যানেলের চাবিকাঠি।
শুরুর দিকে বেশি ভিউ অথবা সাবস্ক্রাইবার না পেলে হতাশ হবেন না।
নিজের কাজ চালিয়ে যান। উপরের এই বিষয়গুলি সঠিকভাবে মেনে চলতে পারলে ইউটিউবে ভিডিয়ো আপলোড করে সাফল্য পেতে পারেন।