১০টি Powerful Instagram Marketing টিপস (যা আসলেই কার্যকর)

Instagram আসার পর থেকে আনলিমিটেডভাবে এর জনপ্রিয়তা আর প্রসারতা বেড়েই চলছে, আর তাও কি শুধু ছবি শেয়ার করার জন্যে।

এই সাইটে ৮০০ মিলিয়নের উপরে মাসিক ইউজার আছে।

আশ্চর্যের কথা কি জানেন!!! ৬০ মিলিয়নের উপরে মানুষ প্রতি দিন এখানে ছবি শেয়ার করে এবং প্রতিদিন ১.৬ বিলিয়নের উপর লাইক দেওয়া হয়।

তাহলে কি বুঝলেন Instagram marketing দরকার নাকি দরকার নেই?

আর এর উত্তর একটাই, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই যুগে Instagram marketing নিশ্চিত ভাবে প্রয়োজনীয়।

এই সাইটে বিপুল সংখ্যক ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছে এবং তাদের ফলোয়ারস এর সংখ্যাও কম নয় বরং অনেক ভালো সংখ্যকে রয়েছে।

আর সঠিক দিক নির্দেশনা ও কিছু টিপস অনুযায়ী চলার মাধ্যমে আপনিও একজন সফল Influential brand হতে পারবেন।

এখানে মূলত ১০টি শক্তিশালী Instagram marketing টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব যা আপনাকে সঠিক ইন্সটাগ্রাম স্ট্রাটেজী তৈরি করতে:

01. নতুন ব্যবসার প্রোফাইলে স্যুইচ করুনঃ

Instagram marketing plan এর ব্যাপারে মাথায় ভাবনা আসলে সবার আগে যেইটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে সেটা হলো, আপনার যেনো একটা Instagram Business Account থাকে।

আপনার Current profile থেকে সুইচ করে Business account এ প্রবেশ করাটা বেশ সহজ।

ঝটপট আপনার সেটিংস এ ঢুকে “Switch to Business Profile” এ ক্লিক করুন এবং শুরু করে দিন চমৎকার ভাবে Instagram marketing।

কিছু ব্যতিক্রমী সুবিধা রয়েছে একটি Business profile থাকার।

উদাহরণস্বরুপ, ফলোয়াররা আপনার Instagram পেজ থেকে সহজেই কন্টাক্ট বাটনে ক্লিক করে আপনার সাথে যোগযোগ রাখতে পারবে ।

বিভিন্ন ধরনের টিপস ও নিতে পারবেন যেমনটা আপনি ওয়েবসাইটে পারেন।

একটা Business profile আপনাকে Instagram ads তৈরি করার ও পাবলিশ করার অনুমতি দেয় তাও আবার Facebook’s advertising tools এর ব্যবহার ছাড়াই।

Insights নামক Instagram analytics tools ও ব্যবহার করতে পারবেন, যা আপনাকে নিজস্ব পোস্ট এর Impressions এবং Reach দেখতে সাহায্য করবে।

02.  ফ্রি Instagram tools ব্যবহার করুনঃ 

Instagram এর বিজনেস প্রোফাইল ফেসবুকের বিজনেস প্রোফাইল থেকে ভিন্ন না, বরং একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।

Insights এর মাধ্যমে আপনি ইম্প্রেশন, Engagement data এবং আরো বিভিন্ন কিছুর Statistics দেখতে পারবেন।

এমনকি আপনি আপনার অনুসরণকারীদের ডেমোগ্রাফিক তথ্য জানতে পারবেন।

আর তা হতে পারে তাদের বয়স, জেনডার, লোকেশন এবং সবচেয়ে বেশি এক্টিভ থাকার সময়।

আপনি একটি পোস্টের জন্যে স্পেসিফিক Insights দেখতে পাবেন, যে এক সপ্তাহে আপনি কি পরিমাণ ইম্প্রেশন অর্জন করেছেন এবং কোনটা আপনার টপ পোস্ট।

এই ফ্রি টুলসগুলো আসলেই অনেক মূল্যবান কারন এতে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার ইউজারদের কোন কন্টেন্ট এর সাথে ইন্টারেকশন বেশি, তারা কি চাচ্ছে।  

আপনি যত বেশি জানবেন, যে কোন কন্টেন্টগুলো আপনার ইউজারদের বেশি আকৃষ্ট করছে, ততবেশি আপনি আপনার কন্টেন্টকে বুস্ট Engagement এ সংযুক্ত করতে পারবেন।

Product teasers হচ্ছে অন্যতম একটি Attention-grabbing ক্যাটাগরি।

03. Product teasers পোস্ট করুন যা মানুষকে আপনার পণ্য ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করবেঃ  

কেমন হয় যদি আপনি Instagram এ শুধু Product teasers পোস্ট করে অনেক বেশি সেল করতে পারেন? আর হ্যা এটা আপনি পারবেন।

Instagram হচ্ছে অন্যতম একটি জায়গা আপনার প্রোডাক্টের Advertise করার জন্যে।

Product teaser পোস্টগুলো হচ্ছে মুলত সহজ ভাবে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বলা ও মানুষেকে জানানো। 

যেমন একটা ব্র্যান্ড তাদের প্রোডাক্টের উপর ৭০% অফার রেখেছে এবং সেই সব প্রোডাক্টের ছবি শেয়ার করেছে যেগুলো সেই মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে ও পোস্টটি হাজারের উপর লাইকও পেয়েছে।

এই এডটি কাজ করার কারন হচ্ছে এটি কাস্টমারদের কাছে বিরক্তিকর হিসেবে প্রতীয়মান হয় নি।

কারন এখানে সরাসরি কেনার জন্যে বলা হচ্ছে না। আপনি যখন শুধু মাত্র আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বলছেন তখন কাস্টমাররা এতে আরো বেশি আকর্ষিত হচ্ছে।

আপনার প্রডাক্ট কেনার জন্যে কোন চাপ দিবেননা। এতে দেখবেন তারা নিজ থেকে আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবে।

আর যদি নাও কিনে অন্তত পোস্টে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ারের মাধ্যমে আপনার engage কিন্তু হচ্ছে।

আর আপনার প্রোডাক্টের ছবি শেয়ারের মাধ্যমে একটু শো অফ দেখাতে কার্পন্য করবেনা কিন্তু।

04. Sponsored ads তৈরি করুনঃ 

Instagram প্লাটফর্ম, এড এর জন্যে খুবই Commonplace। আর এর সবচেয়ে বেস্ট পার্ট কি জানেন?

আপনি আপনার একটি নির্দিষ্ট এড এর জন্যে কত বাজেট এর মধ্যে খরচ করবেন, তা আপনি নিজেই কন্ট্রোল করতে পারবেন। 

এই পদ্ধতি আপনাকে একবারে নতুন ভাবে অডিয়ান্সদের টার্গেট করার ক্ষমতা দিবে।

Sponsored posts করার আগে, ইউজাররা যারা আপনাকে ফলো করে তারা শুধু আপনার একাউন্টের আপডেট এবং ছবি দেখতে পাবে। 

আর এখন ব্র্যান্ডরা তাদের প্রোডাক্টের ছবি যে কোনো মানুষের কাছে প্রোমোট করতে পারে, যারা কিনা তাদের টার্গেট অডিয়ান্স হিসেবে প্রতীয়মান হয়।

আপনি চাইলে আপনার আগের পোস্টগুলো Sponsored ads এ পরিণত করতে পারবেন। তাই আপনার টপ পোস্টের উপর চোখ রাখুন।

ভিন্ন ভিন্ন অডিয়ান্স এর জন্যে মাল্টিপল পোস্ট করুন যাতে বেশি engagement বাড়াতে পারেন।

মনে রাখবেন Sponsored ads পোস্ট করার ক্ষেত্রেও আপনি ভিন্ন ভিন্ন ফর্ম পাবেন, যেমনঃ 

●         ছবি

●         ভিডিও

●         Stories Canvas

●         Carousel/Dynamic Ads

●         গল্প

তাই এসব ফর্ম ব্যবহার করে আপনি যখন এড দিবেন, তখন দেখবেন মানুষ আরো বেশি আকৃষ্ট হবে এবং প্রচারণা বাড়বে।

05.  Instagram Stories ব্যবহার করুনঃ

আপনি কি Leads generate করতে চাচ্ছেন, তাহলে Instagram Stories আপনাকে এই কাজে সাহায্য করবে।

Instagram stories অবশ্যই আপনার দৈনন্দিন Instagram posts থেকে আলাদা কারণ এগুলো “Slideshow” format হিসেবে ইন্সটাগ্রামে দেখা যায়।

আর এই স্টোরি গুলো শুধু মাত্র ২৪ ঘন্টার জন্যেই থাকে।

কিন্তু আপনি এটা যে কোনো ডিভাইস এ সেভ করে রাখতে পারবেন এবং আপনার প্রয়োজনে পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন।

এই বৈশিষ্ট্যটি অনেকটা Snapchat Stories এর মতোই।

নিউজ ফিড এর মতো প্রতীয়মান না হয়ে বরং একটি ছোট্ট জায়গায় প্রতীয়মান হয়।

একবার যদি ইউজাররা আপনার ছবির উপর ক্লিক করে, তৎক্ষণাৎ একটি Pop up উইনডো আসবে যেখানে তারা আপনার স্টোরি দেখতে পাবে।

ব্র্যান্ডের জন্যে Instagram Stories এর সুযোগ সুবিধার আসলে কোনো অন্ত নেই। Starterদের জন্যে, Stories টপ ফলোয়ারদের টাইমলাইনেও শো করে, যদিও ইউজাররা ইতিমধ্যে প্রতিদিন দেখছে। 

Instagram আপনাদের জন্যে রেখেছে ভিন্ন ভিন্ন ধরেনের Stories feature, যেমন ছবি, ছোট্ট ভিডিও, Rewind video, লাইভ ভিডিও, অথবা Boomerangs।

আর আপনি আপনার ছবি বা ভিডিও কে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন Canva এবং InVideo।

Boomerangs হলো আসলে GIF-like images। আপনি আপনার স্টোরিতে অন্য কোন একাউন্টকেও ট্যাগ করতে পারেন।

এটা আপনার জন্যে অনেক কাজে লাগতে পারে যদি কিনা আপনি অন্য কোনো ব্র্যান্ড অথবা ইনফ্লুয়েন্সার সাথে কলাবরেট করে থাকেন। 

ফেস ফিল্টার, টেক্সট, এবং স্টিকার ইত্যাদি আপনার ছবি ইডিট করতে সাহায্য করে যা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।

আপনার আপ্লোড করা প্রত্যেকটি ছবি ও ভিডিও আপনি যেই সিরিয়ালে এড করেছেন সেই ভাবেই প্লে হবে।

আর আপনি আপনার স্টোরিতে অগণিত পোস্ট শেয়ার করতে পারবেন।

এই স্টোরি শুধুমাত্র মোবাইল ইন্সটাগ্রাম অ্যাপ এ পাবেন এবং Instagram Stories আপনি ডাইরেক্ট মেসেজ হিসেবে পাঠাতে পারবেন না।

আর এখন বেশির ভাগ ইন্সটাগ্রাম ইউজাররা এই সাইটটি মোবাইল এর মাধ্যমে চালিয়ে থাকে।

06. Wider reach এর জন্যে ইনফ্লুয়েন্সার সাথে পার্টনারশিপঃ

আপনি যদি আপনার সম্ভাব্য কাস্টমারদের কাছে ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে পৌছাতে চান ।

তাহলে আপনার জন্যে সবচেয়ে দ্রুত রাস্তা হচ্ছে একজন ইনফ্লুয়েন্সার, যার ইতিমধ্যে বড় রকমের অডিয়েন্স ফলোয়ার রয়েছে।

আর আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি কি সঠিক ইন্ডাস্ট্রি ইনফ্লুয়েন্সারের সাথে পার্টনারশিপ করেছেন কিনা।

কারণ যত ভালো ইনফ্লুয়েন্সার হবে আপনার ব্র্যান্ড ততবেশি মানুষের কাছে পৌছাবে।

প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো একজন ভালো মানের ইনফ্লুয়েন্সার খোঁজা যে কিনা আপনার ব্র্যান্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ।

ধরুন আপনার ব্র্যান্ড Weighted blankets সেল করে থাকে এবং আপনার ইন্সটাগ্রাম পেজ এর ফলোয়ার ১০,০০০।

কিন্তু ‘ক’ নামক ইনফ্লুয়েন্সারের ৪৯৩,০০০ জন ফলোয়ার রয়েছে এবং তার রিকমেন্ডেশন বেশি কার্যকর ফল দিবে।

এর মানে হচ্ছে আপনার ব্র্যান্ডকে আপনি আপনার ইনফ্লুয়েন্সারের একটি পোস্টের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌছাতে পারবেন।

তাই আপনি যত বেশি ইনফ্লুয়েন্সারদের সংযোগে থাকবেন আপনার অডিয়্যান্সও ততই বৃদ্ধি পাবে।

07. User-submitted ছবি সংগ্রহ করুনঃ

কেমন হয় যদি আপনি আপনার ইন্সটাগ্রামের জন্যে কোন কষ্ট করা ছাড়াই মাইন্ডব্লোয়িং কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।

আর এই পদ্ধতিটা হচ্ছে User-submitted photos। আপনার ইতিমধ্যে অবশ্যই Engaged audience রয়েছে।

সেটা হতে পারে শতকের উপর অথবা হাজারের উপর।

আর আপনি এই Engaged audience কে ব্যবহার করে আপনার প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।

এবং আপনার ফলোয়াররাও সম্ভবত খুশিই হবে যে আপনি User-generated content ব্যবহার করছেন, কারণ এটি দেখতে অনেক বেশি Authentic এবং Unpredictable দেখাবে।

আর আপনার অডিয়ান্সরাও চাবে তাদের ফলোয়িংও বাড়ুক।

আপনি যদি আপনার কোনো কাস্টমারের ছবি ব্যবহার করে থাকেন আপনার কন্টেন্ট এর জন্যে, তাহলে তাকে ট্যাগ করুন।

যেনো সে এই ব্যাপারে অবগত হয়। চাইলে আপনি সাপ্তাহিক একটা কম্পিটিশন রাখতে পারবেন।

এতে প্রাইজিং এর একটি ব্যবস্থা রাখবেন। এতে আপনার কাস্টমাররা অনেক বেশি ইচ্ছুক থাকবে অংশ গ্রহন করার জন্যে এবং তারা তাদের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করবে।

কিন্তু মনে রাখবেন আপনাকে নিজস্ব চিন্তা দিয়ে ছবি সিলেক্ট করতে হবে।

এটা কঠিন হতে পারে আপনার জন্যে, কিন্তু কিছু জিনিস কন্সিডার করবেন যখন উইনার বাছাই করে নিবেন,

যেমনঃ  

●  ছবিটি কি আপনার ব্র্যান্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, নাকি এর বিপরীত!

●  আপনি যার ছবি শেয়ার করতে যাচ্ছেন তার ফলোয়িং কেমন তা দেখে নিন।

●  আপনার সাম্প্রতিক অডিয়ান্সের জন্যে কি এই ছবি যথার্থ?

আপনি যখন একটা ব্যবসা করছেন তখন আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আপনার পোস্ট গুলো আপনার ব্র্যান্ডের গুনগান গাচ্ছে কিনা। এমনকি ইন্সটাগ্রামেও!

যদি কেউ User-generated image শেয়ার করে, যার কিনা বিশাল রকমের ফলোয়িং আছে, ভেবে নিবেন সে নিশ্চয়ই আপনার ব্র্যান্ড এর পেজ চেক করতে ইন্টারেস্টেড।

আপনার উচিত তাদেরকে আরো উৎসাহিত করা যাতে তারা আরো বেশি ইন্টারেক্টিভ থাকে আপনার কোম্পানির সাথে।

এ সবের মাধ্যমে মাঝে মাঝে ব্র্যান্ডের হ্যাস্ট্যাগও তৈরি হয়।

08.  Interactive branded হ্যাসট্যাগঃ

আপনি কি Instant engagement তৈরির চিন্তায় আছেন?

তাহলে Interactive hashtags হবে আপনার জন্যে একটি চমৎকার পথ!

এতে আপনার কাস্টমাররা ট্যাগ গুলো ব্যবহার করে User-generated content পোস্ট করতে পারবে।

আর এই হ্যাস্ট্যাগের মাধ্যমে ইউজাররা আপনার ব্র্যান্ড রিলেটেড পোস্ট গুলো সহজে খুঁজে পাবে।

একটি হ্যাসট্যাগ তৈরি করার মানেই হচ্ছে আপনার কোম্পানি, ইউজাররা সার্চ দিলেই পাবে, আর এটা হচ্ছে ফ্রিতে এডভারটাইজিং।

প্রত্যেক সময় কেউ একটা ছবি শেয়ার করছে সেই ট্যাগ ব্যবহার করে, এর মানে হচ্ছে ততবার আপনার কোম্পানির এডভারটাইজিং হচ্ছে। 

ইতিমধ্যে যদি আপনার ব্র্যান্ডের একটি জনপ্রিয় স্লোগান থেকে থাকে, তাহলে সেটাকে আপনার ব্র্যান্ডের হ্যাসট্যাগ বানিয়ে ফেলুন।

যেমন Coca-Cola ব্র্যান্ড তাদের হ্যাস্ট্যাগ হিসেবে #ShareACoke ব্যবহার করে থাকে।

এটা কোন বিষয় না যে আপনি কি পোস্ট করছেন, বিষয় এটা যে আপনি সঠিক সময়ে পোস্ট করছেন কিনা এবং চেস্টা করবেন ওভার পোস্টিং থেকে দূরে থাকার।

09. সঠিক সময়ে পোস্ট করুনঃ

ইন্সটাগ্রামে ওভার-পোস্টিং করা মানেই হচ্ছে নিশ্চিত আপনি আপনার ফলোয়ারদেরকে হারাতে চলেছেন।

আপনার কাস্টমারা যদি তাদের নিউজ ফিড এ শুধু আপনার ব্র্যান্ডের পোস্টই দেখে তখন নিশ্চিত খুব জলদি সে আপনাকে ফলো করা বন্ধ করে দিবে। 

কিন্তু আপনাকে একটা ধারা বজায় রেখে পোস্ট করতে হবে, যাতে প্রতিদিন সঠিক সময়ে আপনি আপনার কাস্টমারদের নিউজ ফিডে উপস্থিত থাকেন।

SimplyMeasured এর অনুযায়ী বুধবার এবং রবিবার হচ্ছে পোস্ট করার জন্যে সবচেয়ে অনুপযোগী সময়, যেখানে সোমবার এবং বৃহস্পতিবার হচ্ছে পোস্ট করার জন্যে সবচেয়ে উপযোগী সময়।

এবং এর সাথে সাথে CoSchedule এর রিসার্চ অনুযায়ী পোস্ট করা সবচেয়ে ভাল সময়টা হচ্ছে সকাল ৮টা থেকে সকাল ৯টা এবং রাত ২টায়। 

৮টা থেকে ৯টা সময়টাতে মানুষ রেডি হয়ে নিজ নিজ কাজে যায় এবং সোশ্যাল মিডিয়া চেক করে।

আর রাত ২টার সময় বেশিভাগ মানুষই তাদের ইন্সটাগ্রাম স্ক্রল করে।  

 তাই আপনি যখন ইন্সটাগ্রাম ইন্সাইটের মাধ্যমে দেখবেন যে কখন আপনার ফলোয়াররা সবচেয়ে বেশি এক্টিভ।

তখন আপনি সেই সময় অনুযায়ী পোস্ট করবেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি আপনার পোস্ট বেশি মানুষের কাছে রিচ হয়। 

সিডিউল তৈরি করুন যাতে এই উপযোগী সময় গুলোতে আপনি লাইভ করতে পারেন এবং Hootsuite, CoSchedule, অথবা Sprout Social এর মতো টুলস গুলোর সাহায্য নিন।

রিসার্চ এটাও বলে এই সময় গুলোর মধ্যে আপনার একবার থেকে দুবার পোস্ট করা উচিত কিন্তু এর বেশি নয়।

কিন্তু আপনি যদি চান যে আপনার একাধিক পোস্ট করতে হবে তাহলে আপনি Instagram’s carousel এ্যালবাম ফেচারটি ব্যবহার করুন।

এতে আপনি একাধিক ছবি একটি স্লাইড শো ফরম্যাটে পোস্ট করতে পারবেন।

ফলে আপনার পোষ্টও বেশি হবে না এবং আপনার ফলোয়াররাও বিরক্ত হবে না।

 এইসব কিছু করার পর আপনার কাজ হবে আপনার পোস্টের ম্যাট্রিক্সগুলো ট্র্যাকে রাখা এবং কোথায় আরেকটু ইম্প্রুভ করতে হবে তা চেক করা।

10.  নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক metrics track করছেনঃ

আপনি ততক্ষন পর্যন্ত আপনার Instagram performance উন্নত করতে পারবেন না, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি আপনার পোস্ট এর পারফম্যান্স অপ্টিমাইজ করছেন না, যে আপনার পোস্ট আদৌ ভালোভাবে পারফর্ম করছে কিনা।

যখন আপনার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ রেজাল্ট থাকবে তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার পেজ এর জন্যে আপনাকে সামনে কি করতে হবে এবং কি করতে হবে না।

প্রথমেই ফলোয়ার গ্রথ রেট দিয়ে আপনার ট্র্যাকীং এর কাজ শুরু করুন।

আপনি আপনার Vanity metric এর মাধ্যমে জানতে পারবেন যে, আপনার কি পরিমাণ ফলোয়ার আছে।

যখন আপনি আপনার ফলোয়ারদের গ্রোথ রেট এর উপর চোখ রাখবেন ।

তখন আপনি বুঝবেন যে আপনার কি পরিমাণ পোস্ট এর কারনে তা গ্রোথ রেটের উপর প্রভাব ফেলছে।

Influencer Dashboard এর মাধ্যমে আপনি ফলোয়ার গ্রোথ রেট ট্র্যাক করতে পারবেন।

এরপর আপনার Engagement rates দেখুন। এখানে আপনি লাইক, কমেন্ট ট্র্যাক করবেন।

অবশেষে আপনাকে আপনার URL click-through rate ট্র্যাক করতে হবে।

আপনার যদি ইতিমধ্যে কোন ওয়েবসাইট লিংক ইন্সটাগ্রামে এড না করা থাকে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এড করুন।

এড করা পর আপনার কাজ হচ্ছে এটা দেখা যে, কত মানুষ আপনার URL এ ক্লিক করছে।

Conversion XL এর অনুযায়ী ইন্সটাগ্রামের গড় CTR হচ্ছে ০.৯৪%।

আপনার Instagram marketing techniques যতবেশি ইফেক্টিভ হবে আপনার অডিয়ান্সের জন্যে, আপনার CTRও ততবেশি হবে।

Impressions এবং engagements এর তুলনায় কি পরিমাণ ক্লিক আপনি আপনার লিঙ্ক থেকে পাচ্ছেন তা Sprout Social টুল আপনাকে জানাবে।

পরিশেষে এই বলব যে Instagram marketing এখন সোশ্যাল মিডিয়াকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রন করছে।

প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এখানে পোস্ট হিসেবে ছবি শেয়ার করছে এবং লাইক কমেন্ট করছে।

ফলে আপনার ব্যবসাকে মানুষের সামনে ফুটিয়ে তোলার জন্যে এবং ব্যবসাকে জনপ্রিয় করার জন্যে এটি অন্যতম একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম।

তাই আজই আপনার Instagram marketing এর কাজ শুরু করে দিন এবং আপনার ব্যবসাকে একধাপ এগিয়ে নিন।   

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *