অনলাইনে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার ১৪ টি বাস্তবসম্মত উপায় :
প্রতিদিন কিভাবে ১০০০ টাকা ইনকাম করবেন ভাবছেন ?
চিন্তা করবেননা, কেননা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার কিছু বাস্তবসম্মত উপায় গুলোর বিষয়ে জানতে চলেছি।
আমরা সকলেই এখন প্রযুক্তির বিস্ময়কর যুগে বাস করছি।
এই প্রযুক্তি ঘরের বাইরে না গিয়েও, আমাদের জন্য অনেক সম্ভাবনা তৈরী করে দিয়েছে।
আমরা অনলাইন কেনাকাটা থেকে শুরু করে সিনেমা দেখা, নতুন দক্ষতা শেখা এবং ঘরে থেকেই বিশ্ব – বিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাওয়া পর্যন্ত অনেক কাজ আরামছেই করে নিতে পারি।
আর্, এই সবের পাশাপাশিই আমরা এখন বাইরে না গিয়েও অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারি।
আপনি যদি অফিসে যেতে পছন্দ না করেন, কিংবা বসের কাছে জবাবদিহি করতেও অপছন্দ করেন, তাহলে ইন্টারনেট আপনাকে করে দিতে পারে আয়ের ঝামেলা বিহীন দুর্দান্ত সুযোগ।
আপনি অনলাইনে বিভিন্ন মোটা বেতনের চাকরি থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দসই আরামের কাজ।
আর, আপনি যদি সামান্য প্রচেষ্টা করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে অনলাইন কাজগুলো থেকেই আপনি প্রতিদিন ন্যূনতম ১০০০ টাকা করে রোজগার করতে পারেন৷
আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন, প্রতিদিন হাজার টাকা ইনকাম করার সেরা ১৪ টি উপায় সম্পর্কে।
এই কাজগুলো আপনাকে বাড়ি থেকেই করে দিতে পারে আয়ের ব্যাপক সুযোগ।
অনলাইনে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার 14টি বাস্তবসম্মত উপায়:
১. ব্লগিং (Blogging):
ব্লগিং হল বাড়ি বসে ইনকামের অন্যতম সেরা মাধ্যম।
এই ট্রেন্ডিং অনলাইন পেশাটি ছোট-থেকে-বড় সকলের কাছেই বেশ জন প্রিয়।
ভারতের মতো দেশে ব্লগ থেকে আয় করা অনেকের কাছেই বেশ চাহিদাজনক মাধ্যম।
এখান থেকে আপনি যত খুশি পরিমাণ অর্থ রোজগার করতে পারবেন।
ব্লগিং শিখতে গেলে, আপনাকে লেখার ক্ষমতা থাকার পাশাপাশি কীওয়ার্ডের ব্যবহার এবং এসইও সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে।
ব্লগিং থেকে রোজগারের কোনো সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ সীমা নেই।
আপনি ব্লগে যে রকম এফোর্ট দেবেন, ঠিক তেমনই রিটার্ন আপনি ব্লগ থেকে পাবেন।
তবে, প্রাত্যহিকভাবে ব্লগে লেখা পাবলিশ করতে থাকলে, আপনি দিনে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতেই পারবেন।
ব্লগিং সাইট তৈরির কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট
হল :
Wix
Weebly
WordPress
Blogger
২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোনো কোম্পানির বিক্রয় বৃদ্ধির মাধ্যমে কমিশন আয়ের প্রক্রিয়া।
বিশ্বজুড়ে এই অনলাইন আয়ের উপায়টিও হল বেশ জনপ্রিয় এবং লাভজনক।
ধরুন, এই উপায়ের মাধ্যমে আপনি কোনো কোম্পানির প্রোডাক্টের ব্যক্তিগত রিভিউ দিয়ে সেই প্রোডাক্টের লিংক আপনার ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে শেয়ার করলেন।
এইবার যখনই কোনো ব্যক্তি আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে প্রোডাক্টটি কেনেন, তখনই সেই কোম্পানিটি প্রতিটা বিক্রিতে আপনাকে কমিশন দেয়।
এই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সব থেকে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল আমাজন ই-কমার্স সার্ভিস।
এছাড়াও, আপনি নানান হোস্টিং সার্ভিসের রিভিউ থেকেও ইনকাম করতে পারবেন।
তবে, এখান থেকে একটানা রোজগার সম্ভব নয়।
এখানে, আপনি কোম্পনীর প্রোডাক্ট সেল করাতে পারলে তবেই কমিশন পাবেন।
কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হল –
Flipkart Affiliate
Reseller Club
BigRock Affiliate
vCommission
Amazon Associates
০৩. কনটেন্ট রাইটিং:
কনটেন্ট রাইটিং মূলত হল কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু পরিকল্পনা, লেখা, ও সম্পাদনার পরিকল্পনার প্রক্রিয়া।
এই কনটেন্ট রাইটিং-এর মধ্যে পড়ে ইমেইল, ব্লগ পোস্ট, টুইটার পোস্ট কিংবা আরও নানান ধরণের লেখাগুলো।
একজন কনটেন্ট রাইটার প্রতি শব্দ বা ঘন্টার হারে অর্থ উপার্জন করে থাকেন।
এই কনটেন্ট রাইটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে ইংলিশ সহ যে কোনো আঞ্চলিক ভাষাতে যথেষ্ট দখল রাখতে হবে।
জনপ্রিয় ম্যাগাজিনে ও ব্লগে লেখার জন্যে আপনার দুর্দান্ত লেখার ক্ষমতা থাকতে হবে।
তবে, আপনি নানান কনটেন্ট রাইটিং বা কপিরাইটিং কোর্স করে আপনার দক্ষতা বাড়াতে পারেন।
অভিজ্ঞতা বাড়াতে আপনি নিজের ব্লগ কিংবা ফ্রিল্যান্সিং রাইটিং শুরু করতে পারেন।
শুধু ভাষায় দখল থাকলেই চলবে না, বরং আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস, এইচটিএমএল ও এসইও সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে।
এখানে কোনো রকম বিনিয়োগ ছাড়াই, আপনি ঘরে বসেই প্রতিদিন ১০০ থেকে ১০০০ টাকা বা তারও বেশি টাকা আয় করতে পারেন।
বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্স জব অথবা কনটেন্ট রাইটিং ওয়েবসাইট –
Guru
Fiverr
Upwork
Freelancer.com
People Per Hour
০৪. ফ্রীলান্সিং সাইট:
ফুল-টাইম পেশার তুলনায় এখন ফ্রিল্যান্সাররা অনেক বেশি রোজগার করে থাকেন।
তা কনটেন্ট রাইটিং হোক, কিংবা গ্রাফিক ডিজাইনিং বা কনসাল্টিং, অনেক বিষয়েই ফ্রিল্যান্সিং কাজ উপলব্ধ রয়েছে।
এই পেশার ক্ষেত্রে, আপনি যে কোনো সময়ে আপনার পছন্দমতো কাজ করতে পারবেন।
একজন সেল্ফ-এমপ্লয়েড মানুষ হিসেবে, আপনি বাড়ি বসেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন।
এখানে আপনি আপনার কাজের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার টাকা ইনকাম করতেই পারবেন।
এই ধরণের পেশাতে, মূলত আপনাকে টাকার বিনিময়ে অন্য ক্লায়েন্টদের হয়ে কাজ করে দিতে হয়।
তবে, ফ্রিল্যান্সিং কাজে আপনার কাজের মান ও সময়ানুবর্তীতাই আপনাকে প্রতিদিনের রোজগার এনে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে, বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনার নামের ভালো রিভিউও কিন্তু আপনাকে ভালো কাজ এনে দিতে পারে।
০৫. ডিজিটাল মার্কেটিং:
সব ধরণের ব্যবসার ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপক চাহিদা আছে।
সম্প্রতি, মার্কেটে ডিজিটাল মার্কেটারদের নিয়োগের হার দারুণভাবে বাড়ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং-এ দক্ষতা আপনাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যে কোনো কোম্পানিতেই কাজ পেতে সাহায্য করে।
আর, মার্কেটিং দক্ষতা সকলের জন্যই অপরিহার্য হয়ে উঠছে; তা নিজের ব্যবসা শুরু করুন কিংবা চাকরি – পেশাদারি প্রতিটা ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
প্রতিটা ব্যবসার জন্য এসইও বিশেষজ্ঞ ও সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্টরা ব্যাপকভাবে চাহিদাই রয়েছে।
কারণ, এই ব্যবসাগুলোর ওয়েবসাইট ও অনলাইন উপস্থিতির প্রচার করতে একজন এসইও বিশেষজ্ঞের অবশ্যভাবেই প্রয়োজন আছে।
তাছাড়াও, তারা ভিডিও এডিটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে অন্যান্য ইউটিউব ভ্লগারদের সাথেও কাজ করতে পারেন।
আপনি যে কোনো কোম্পানির এডভার্টাইসমেন্ট নেটওয়ার্ক পরিচালনা করার মাধ্যমে, তাদের বিক্রয় বাড়াতেও সাহায্য করতে পারেন।
০৬. ই-কমার্স শপিফাই স্টোর:
আপনি কি আপনার কাপড়, গয়না, জুতো ও অন্যান্য ব্র্যান্ডের জিনিসপত্রের দোকান খোলার স্বপ্ন দেখেছেন ?
কিন্তু, জমি বা আর্থিক সমস্যার কারণে, আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না ?
তাহলে, আপনি শপিফাই-এর মাধ্যমে আপনার এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।
এই প্ল্যাটফর্মটি আপনাকে অনলাইনে জিনিস বিক্রি করার জন্য নিজস্ব অনলাইন স্টোর তৈরি করতে দেয়।
আপনাকে এই অনলাইন শপিফাই স্টোর তৈরি করার জন্যে সাময়িক বিনিয়োগ করতে হয়।
শপিফাই থেকে আপনি যে কোনো প্ল্যান বেছে নিয়ে, সেরা থিম ব্যবহার করে এর ওয়েবসাইট থেকে পণ্যগুলো বেছে নিন ও সেগুলোকে আপনার অনলাইন দোকানে (ওয়েবসাইট) রাখুন।
যখনই কেউ আপনার সেই দোকান থেকে কেনাকাটা করবে, তখনই শপিফাই আপনার অর্ডার পরিচালনা করে তাকে পণ্যটি ডেলিভার করবে।
এখানে আপনাকে শুধুমাত্র ব্লগের প্রচার ও পরিচালনা করার পাশাপাশি কাস্টমার সাপোর্টও দিতে হবে।
তারপর, শপিফাই আপনার জন্য পেমেন্ট নেওয়া থেকে শুরু করে পণ্য শিপিং করার মতো বাকি কাজগুলো করে দেয়।
০৭. ফটো সেলিং :
বর্তমানে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অন্যতম সহজ উপায় হল নিজের তোলা ছবি বিক্রি করা।
আপনি যদি একজন ভালো ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন বা শখে ছবি তোলেন, তাহলে আপনি আপনার স্টক ইমেজ বিক্রি করেও প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনি নানান ছবি তুলে বিভিন্ন ফটোগ্রাফি বায়িং সেলিং ওয়েবসাইটগুলোতে আপলোড করে আপনার ছবিগুলোকে অনুমোদিত হওয়ার সময় দিন।
অনুমোদিত হলে আপনার ছবিগুলো সেইসব ওয়েবসাইটে বিশ্বব্যাপী লক্ষ-লক্ষ গ্রাহকদের কাছে উপলব্ধ হয়ে যায়।
এরপর, যখন তাদের গ্রাহকরা আপনার ছবি ডাউনলোড করে তখন আপনি তার বিনিময়ে অর্থ পান।
এর মধ্যে সৃজনশীলতা যোগ করে কিছু ছবি তুলে এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপলোড করে সক্রিয় থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের মধ্যে পড়ে একটা পেশাদারি DSLR ক্যামেরা কিংবা ভালোমানের স্মার্টফোন।
০৮. ইউটিউব চ্যানেল :
ইউটিউব চ্যানেল হল বিশ্বজুড়ে মানুষের আয়ের অন্যতম সেরা একটা মাধ্যম।
ইউটিউবে যেমন আপনি ভিডিও দেখতে পারবেন, ঠিক তেমনই আপনার নিজের তোলা ভিডিও আপলোডও করতে পারবেন।
এখন অর্থ উপার্জনের জন্য ইউটিউবের ভিডিও তৈরি করা অনেকটাই সস্তা ও সহজ হয়ে উঠেছে।
আপনি আপনার কোনো রান্নার ভিডিও বানিয়ে, যে কোনো বিনামূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা ইউটিউবে শেয়ার করতে পারেন।
আপনি অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে মনিটাইজ করতে পারেন।
যখন কেউ আপনার ইউটিউব ভিডিও চালায় আর অ্যাডসেন্স দ্বারা দেখানো বিজ্ঞাপনগুলো দেখে, তখন তার বিনিময়ে আপনি অর্থ রোজগার করতে পারেন।
আর, আপনি আপনার ভিডিওতে ১০০০ ভিউয়ের মাধ্যমে প্রায় $১০ থেকে $৩০ পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
এক্ষেত্রে, আপনাকে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে, সাইন আপ করে আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে৷
ইউটিউব আসলেই হল কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটা দারুণ মাধ্যম।
০৯. ওয়েবসাইট ও ডোমেইন ক্রয়-বিক্রয় করা :
এই ধরণের বিক্রয়যোগ্য ওয়েবসাইটগুলো ফ্লিপিং ওয়েবসাইট নামেও পরিচিত।
প্রথমে, এ রকম কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটিকে ইন্টারনেটে সুপরিচিত করতে হয়।
একবার পরিচিতি তৈরী হলে, আপনি সেটাকে বিক্রি করে দিতেও পারেন।
কেবলমাত্র, ওয়েবসাইটই নয়, আপনি কোনো ডোমেইন নেমও বিক্রি করতে পারেন।
একটা ডোমেইন কিনুন, যার মূল্য ভবিষ্যতে বাড়তে পারে ও পরে সেটার দাম বাড়লে বিক্রি করে দিন।
বর্তমানে, সাধারণ ডোমেইনের মূল্য ৪০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
তাই, ডোমেইন বা ওয়েবসাইট সেল করা হল ভারতে প্রতিদিন ৫০০-১০০০ টাকা উপার্জনের সেরা একটা উপায়।
১০. আর্টিকেল প্রুফরিডিং:
প্রুফরিডিং করার ক্ষেত্রে আপনি ঘন্টা প্রতি আয় করতে পারেন।
অনলাইন মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই কাজ করতে পারেন।
এখানে যে ভাষাতে আপনি পারদর্শী সেই ভাষাতে আপনাকে ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল কিংবা যে কোনো ইলেকট্রনিক কপিগুলোকে সম্পাদনা ও সংশোধন করতে হয়, আপনার ক্লায়েন্টের হয়ে।
ইংলিশ সব থেকে জনপ্রিয় ভাষা হলেও, আপনি অন্য আঞ্চলিক ভাষাতেও এই প্রুফরিডিং-এর কাজ করতে পারেন।
এই কাজগুলো আপনি আপওয়ার্ক, ফাইভার কিংবা যে কোনো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েব সাইটেই পেয়ে যেতে পারেন।
আর, এখান থেকেও প্রতিদিন কমেও ১০০০ টাকা আয় করা কোনো কঠিন কাজ নয়।
১১. ট্রান্সক্রিপটিং:
ট্রান্সক্রিপশনবিদ হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি অডিও বা ভিডিও রেকর্ডিং শুনে, তা লিখিত নথিতে রূপান্তরিত করেন।
আপনি যদি এই ট্রান্সক্রিপটিং-এর কাজ করতে চান, তবে আপনাকে বিশদে খুব মনোযোগ দিয়ে তা করতে হবে ও যথাযথ টাইপিংও জানতে হবে।
এই কাজ থেকে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার দক্ষতা ও আপনি কতটা সময় বিনিয়োগ করতে পারবেন- তার উপর।
১২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট :
অনলাইন উপস্থিতির মতোই, সোশ্যাল মিডিয়া প্রেসেন্সও যে কোনো ব্যবসার সাফল্যের জন্য জরুরি।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবসার ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরিতে দারুণ ভূমিকা পালন করে।
তাই, কোম্পানিগুলো তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা ও ব্র্যান্ড তৈরির জন্য সৃজনশীল ও কৌশলগত সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের হায়ার করে থাকেন।
আর, একজন ব্র্যান্ডের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসাবে আপনাকে অবশ্যই আকর্ষক কনটেন্ট তৈরি করতে, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা করতে ও কোম্পানির জন্য একটা সম্ভাব্য কাস্টমার বেস তৈরি করতে জানতে হবে।
এই পেশাতে ফটোশপ ও হাবস্পটের মতো অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার জানাটা জরুরি।
১৩. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট:
সাধারণত, একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হল স্ব-নিযুক্ত পেশাদার।
এরা উদ্যোক্তা বা ছোট ব্যবসাগুলোকে ভার্চুয়ালভাবে সহায়তা প্রদান করেন।
এখানে মূলত প্রযুক্তিগত, সৃজনশীল প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনাগত সহায়তা দিতে হতে পারে।
প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে, বর্তমানে এই চাকরিটির প্রাধান্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টকে ক্লায়েন্টের হয়ে মিটিং শিডিউল করতে, উপস্থাপনা করতে, কল গ্রহণ কিংবা ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে, এই পেশাতে সফল হতে গেলে ভালো যোগাযোগ দক্ষতা, এমএস অফিসের মত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের দক্ষতা ও ভালো সময় ব্যবস্থাপনার গুণ থাকতে হবে।
এখানে, মূলত আপনাকে প্রতি ঘন্টার হারে অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে।
১৪. অনলাইন টিউটর :
এখনকার সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই অনলাইনে পড়াশোনা করতে পছন্দ করে।
কারণ, এটি অনেক সুবিধাজনক ও তাদের যাতায়াতের সময় বাঁচায়।
এছাড়াও, অনলাইন কোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব গতিতে শেখার এবং তাদের ক্লাস ও মডিউলগুলো বাছার নমনীয়তাও দেয়।
অনলাইন শিক্ষা প্রাধান্য পাওয়ার পাশাপাশি, অনলাইন টিউটরদের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে।
আপনি যদি একজন প্রশিক্ষিত শিক্ষক কিংবা কোনো বিশেষ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তাহলে আপনি অনলাইনে শিক্ষার্থীদের টিউশন দিয়েও প্রচুর অর্থ আয় করতে পারেন।
এখানে আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বেতনের অর্থ নির্ধারণ করা হয়।
আমাদের শেষ কথা,,
আমাদের আজকের এই প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায় নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
লেখাটি পছন্দ হলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, সেটাও নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।