ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি :
কাজী মামুন ঢাকা
Published: 19 Apr 2022, 11:00
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। এই মুক্ত পেশায় তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বেশি।
ঘরে বসে বিদেশের তথ্য প্রযুক্তির নানা কাজ করে আয় করেন ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীরা।
কিন্তু শুরুটা কীভাবে করতে হবে, ফ্রিল্যান্সার হতে কী জানতে হবে—এ নিয়ে দ্বিধা অনেকের। অনেকে সঠিক দিকনির্দেশনাও পান না।
ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে, এমন পাঠকদের জন্য শুরু হলো ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ ‘ফ্রিল্যান্সিং যেভাবে।’ আজ থাকছে ১৩তম পর্ব।
পর্ব-১৩
গত পর্বে আমরা ফাইভারে অ্যাকাউন্ট তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
আজকে আমরা শিখব কীভাবে ফাইভারে গিগ তৈরি করতে হয়।
প্রথম ধাপ :
ওভারভিউ বিভাগে প্রথমেই আপনাকে গিগের একটি শিরোনাম দিতে হবে। ফাইভারে সাধারণত ‘I will’ এই শব্দটি দিয়ে গিগ শুরু হয়।
যেমন আপনি যদি লোগো ডিজাইনার হন, তাহলে আপনার গিগটি হবে এমন ‘I will Design Logo for your company’।
অর্থাৎ আপনার গিগ সাজাতে হবে ‘I will’ শব্দটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাক্য দিয়ে। এরপর গিগটির বিভাগ এবং উপবিভাগ নির্বাচন করতে হবে।
সেবার ধরন বিভাগে আপনি কোন ধরনের সেবা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তা নির্বাচন করতে হবে।
এরপর গিগ মেটাডেটা বিভাগে গিগ-এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অপশনগুলো নির্বাচন করতে হবে।
এবার আপনার গিগের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ৬টি ট্যাগ দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে আপনি যে ধরনের গিগ তৈরি করবেন, সে ধরনের গিগ নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের দেওয়া ট্যাগগুলো দেখে ধারণা নিতে পারেন।
তবে কারও গিগ কখনোই নকল বা কপি করতে যাবেন না, এতে করে আপনার অ্যাকাউন্ট বাতিল হতে পারে।
এ অংশটি শেষ হলে সেভ করে কনটিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অ্যাকাউন্ট খুলবেন যেভাবে
ফাইভার (fiverr.com) মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করে প্রথমেই ওয়েবসাইটের ডান দিকের ওপরে থাকা ‘Become a Seller’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এখানে ই-মেইল ঠিকানা, ইউনিক ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে জয়েন বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এবার আপনার দেওয়া ই-মেইল ঠিকানা যাচাই করতে ফাইভার একটি ই-মেইল পাঠাবে।
পাঠানো ই-মেইল বার্তায় ক্লিক করলেই আপনার দেওয়া ই-মেইল ঠিকানা যাচাই হয়ে যাবে।
এবার ফাইবার প্রোফাইলের অ্যাকাউন্ট সেকশনে প্রবেশ করে আপনার নাম (জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নাম), টেলিফোন নম্বর দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
টেলিফোন নম্বর যাচাই হয়ে গেলে স্টার্ট সেলিং বাটনে ক্লিক করে নিচের তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে।
ব্যক্তিগত তথ্য :
ফাইভারের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ‘পার্সোনাল ইনফো’ বিভাগে নিজের নাম, প্রোফাইল ছবি, নিজের এবং কাজের বিস্তারিত বর্ণনা, ভাষা ও লেভেল নির্বাচন করে কনটিনিউ অপশন নির্বাচন করতে হবে।
ভাষা নির্বাচনের সময় অবশ্যই ইংরেজি নির্বাচন করতে হবে। চাইলে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাসহ একাধিক ভাষাও নির্বাচন করা যাবে।
ছবি :
পাসপোর্ট আকারের, সাধারণ ভঙ্গি ও বাঁকাভাবে দাঁড়ানো ছবি দেওয়ার বদলে ফ্রন্ট ফেসিং বা সামনে থেকে পুরো চেহারা ভালোভাবে দেখা যাওয়া ছবি দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ক্যামেরার দিকে সুন্দর করে তাকানো হালকা হাসিমুখের ছবি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
জীবনী :
ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জীবনী বিভাগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, ক্লায়েন্টরা আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করে আপনার সম্পর্কে কিছু জানতে এই বিভাগে প্রবেশ করবে।
আর তাই আপনার ব্যক্তিগত জীবন, কাজ ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সব তথ্য ভালোভাবে লিখতে হবে।
এ জন্য বিভাগটিতে আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি ক্লায়েন্টরা কেন আপনাকে কাজ দেবে, তার একটি বিবরণ লিখতে হবে।
আপনার করা কাজের উল্লেখ্যযোগ্য তথ্যও যুক্ত করতে পারেন।
জীবনী লেখার পরবর্তী ধাপে প্রফেশনাল ইনফো বিভাগে আপনার পেশা নির্বাচন করতে হবে।
আপনি কত বছর এই পেশায় কাজ করছেন, তা জানানোর পাশাপাশি পেশা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার দুই থেকে পাঁচটি দক্ষতা উল্লেখ করতে হবে।
এরপর স্কিলস বিভাগে আপনি কোন কোন বিষয়ে দক্ষ, তা উল্লেখ করে দক্ষতার লেভেলও জানাতে হবে।
বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্স কাজ শিখবেন যেভাবে :
শিক্ষা বিভাগে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। এ জন্য চাইলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জমা দিতে পারেন।
এবার কনটিনিউ বাটনে চাপ দিলেই আসবে লিংকড অ্যাকাউন্টস বিভাগ।
এখানে আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে পারবেন।
এরপর কনটিনিউ বাটনে চাপ দিলে দেখা যাবে অ্যাকাউন্ট সিকিউরিটি বিভাগ।
আপনার ই–মেইলে এবং টেলিফোন নম্বর যাচাই করা থাকায় এখানে আপনাকে আর বাড়তি কোনো তথ্য দিতে হবে না।
এবার কনটিনিউ এবং গিগ তৈরির বাটনে ক্লিক করলেই ফাইভারে অ্যাকাউন্ট তৈরির পাশাপাশি গিগ তৈরির পেজ চালু হবে।