ইন্টারনেট পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানভাণ্ডার :

ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানভাণ্ডার।

ইন্টারনেট এখন শ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই অতি প্রয়োজন। ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞান ভাণ্ডার।

সে জন্যই শিশুদের ইন্টারনেটে আসতে বলছি, ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) কম্পিউটার কৌশল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সাইবার নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন ডাক টেলি যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী।

সেমিনারে জব্বার বলেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে সাইবার জগতের নিরাপত্তার বিষয়টি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ শুরু হয়েছে।

প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যেই ২০ হাজার পর্নোসাইট বন্ধ করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়টি আগামী দিনের বড় পেশায় রূপান্তরিত হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে প্রচুর গবেষণা, মেধা ও দক্ষ জন সম্পদ সৃষ্টি এবং সৃজনশীলতার ওপর গুরুত্ব দেয়ার জন্য প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দ্রুতগতির ইন্টারনেটের পাশাপাশি ইন্টারনেট নিরাপত্তা অপরিহার্য।

ইন্টারনেট এখন শ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই অতি প্রয়োজন।

শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে আমাদের সাইবার নিরাপত্তা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বিস্ময়কর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর বাংলাদেশ জিডিপিতে অব্যাহতভাবে শতকরা ৭ ভাগের বেশি অবদান রেখে চলেছে, এ নজির কারও নেই।

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রযুক্তির অত্যাশ্চর্য সংস্করণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগডাটা, ব্লকচেইন এবং আইওটি প্রযুক্তি বিশ্বকে পাল্টে দেবে।

এ প্রযুক্তির সঙ্গে টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত তবে এক্ষেত্রে আমাদের নতুন প্রজন্মকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জব্বার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণে গত এক বছরে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এক বছর আগেও আমাদের পাত্তা দিত না।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন আর আগের অবস্থায় নেই।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপ প্রয়োগ হতে পারেনি।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এবিএম আলিম আল ইসলাম এবং ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *