ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা :

টেলিযােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানের প্রযুক্তিকে বলা হয় ইন্টারনেট।

এটি জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত এবং এখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডাটা আদান-প্রদান করা হয়।

ইন্টারনেট (Internet) হলাে International Network-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। কার্যত এটি হলাে নেটওয়ার্কসমূহের নেটওয়ার্ক।

১৯৯১ সালে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হলেও এর প্রকৃত যাত্রা আরম্ভ হয় ১৯৬৯ সালে।

আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তর সে বছর Advance Research Projects Agency Network (ARPAnet) চালু করে।

এটিই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক জগতের প্রথম পদক্ষেপ।

বর্তমানে আধুনিক বিশ্বে ইন্টারনেট হলাে যােগাযােগ ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম।

তথ্য আদান-প্রদান, সংবাদপত্র পড়া, সামাজিক যােগাযােগ, পড়াশােনা, গবেষণা, টেলিভিশন দেখা, রেডিও শোেনা, তথ্য সংগ্রহ, ব্যাংকিং সেবা, টিকিট সংগ্রহ, বিল পরিশােধ, চাকরির আবেদন ইত্যাদিসহ নানা কাজে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

ইন্টারনেট ভিত্তিক কম্পিউটার তথ্য ব্যবস্থা ইতােমধ্যে একটি Global Information Infrastructure (GII) গড়ে তুলেছে।

Web page, Gopher, FTP File ইত্যাদিকে ইন্টারনেট ডকুমেন্ট বলা হয়।

এ সমস্ত ডকুমেন্টের আলাদা আলাদা ঠিকানা রয়েছে।

ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টধারীদের নেটিজেনশিপ গ্রহণকারী বলা হয়।

পৃথিবীতে নেটিজেনদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বে সর্বাধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশ চীন।

এর পরের চারটি দেশ হলাে আমেরিকা, ভারত, জাপান ও ব্রাজিল ।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম।

ইন্টারনেট সংযােগ নিতে হলে বেশ কিছু সামগ্রীর প্রয়ােজন হয়।

যেমন-

১. কম্পিউটার,

২. মডেম,

৩. টেলিফোন লাইন,

৪. সফটওয়্যার,

৫. আইএসপি (Internet Service Provide)
এছাড়াও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

ব্রডব্যান্ড হলাে টেলিফোন বিহীন ইন্টারনেট সংযােগ প্রযুক্তি।

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাপক হারে মােবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে।

কোনাে মােবাইল সেট জিপিআরএস বা সিডিএমএ সমর্থিত হলে সেসব সেট দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

তাই এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযােগ পাচ্ছে।

ফলে পুরাে পৃথিবী ক্রমান্বয়ে পরিণত হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজে।

মানুষ ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে এর সুফল ভােগ করছে।

তাই আধুনিক জীবন যাত্রায় ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *