ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z গাইডলাইন: ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন (কমপ্লিট)
ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z গাইডলাইন: ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন (কমপ্লিট)
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে একটা বাজওয়ার্ড।
চারদিকে এই টার্মটি এতো বেশি শোনা যাচ্ছে, এতো বেশি মানুষ এ নিয়ে কথা বলছে,
এতো বেশি বিজ্ঞাপন দেখছি যে, ডিজিটাল মার্কেটিং কি- এই বিষয়টা আমার ধারণা এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই জানে।
তাই ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন নিয়েই আপনাদের জন্য এই লেখা।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z গাইডলাইন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি?
০১. ডিজিটাল মার্কেটিং এর খরচ ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে অনেক কম
০২. রিয়েল টাইম ডাটা
০৩. সুপার টার্গেট অডিয়েন্স
০৪. গ্লোবাল অডিয়েন্স
০৫. ইনস্ট্যান্ট ফিডব্যাক
০৬. অনলাইনে ব্যবসা
ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
অর্গানিক ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল চ্যানেল অনুয়ায়ি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদঃ
০১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
০২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
সার্চ ইঞ্জিন এডভারটাইজিং
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কি কি করা যায়?
০১. ডিজিটাল মার্কেটিং এ কর্পোরেট ক্যারিয়ার
০২. ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যাসিং
০৩. ডিজিটাল মার্কেটিং ব্লগিং ক্যারিয়ার
০৪. ডিজিটাল মার্কেটিং উদ্যোক্তা
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কোন কোন দক্ষতা লাগে?
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে কি কি লাগে?
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফ্রি কোর্স
অনলাইনে ইংরেজি ভাষার ভাল কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স
বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স
শেষ কথাঃ
বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বিশ্বায়ন ও নলেজ ইকোনমির এই যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে,
এমন একটি স্কিল যা শিখে একজন মানুষ একই সাথে অনেক কিছু করতে পারে।
সাধারণত অন্য সব স্কিল অর্জন করে আপনি যা করতে পারবেন,
ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়ার দরজা আরও অনেক বেশি খুলে দিবে।
এই লেখায় একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে আমি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আদ্যোপান্ত নিয়ে কথা বলবো-
এক লেখায় আপনি জেনে যাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত (ডিজিটাল মার্কেটিং a to z) আপনার যত প্রশ্ন।
শিখতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এই প্রশ্নে যাওয়ার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে মার্কেটিং আসলে কি?
মার্কেটিং এর অনেক রকম সংজ্ঞা আছে। চলুন, আমরা কঠিন ও বইয়ের সংজ্ঞা বাদ দিয়ে একেবারে নিজেদের মতো করে বোঝার চেষ্টা করি।
মার্কেটিং কি?
মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবার প্রতি কাস্টমার বা কনজুমারদের আগ্রহ তৈরি করার প্রক্রিয়া।
একটা পণ্য বা সেবার প্রতি যে যে উপায় বা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের ভেতর আগ্রহ তৈরি করা হয় সেই কাজগুলোকে মার্কেটিং বলে।
তাহলে এখন লক্ষ্য করুন আমরা কথা বলছি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? “ডিজিটাল মার্কেটিং” এখানে মার্কেটিং শব্দটির আগের শব্দটি হচ্ছে ডিজিটাল।
তারমানে ডিজিটাল মাধ্যম বা ডিভাইস ব্যবহার করে যখন কোন পণ্য বা সেবার প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি করা হয় তখন তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
ডিজিটাল মাধ্যম এবং ডিভাইস দুটি টার্ম বলেছি। ডিজিটাল মাধ্যম হতে পারে-
সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ওয়েবসাইট, ইমেইল বা যে কোন ধরণের কনটেন্ট,
যার মাধ্যমে একটা প্রতিষ্ঠান তার পন্যের ম্যাসেজ তার সম্ভাব্য কাস্টমার বা ক্রেতার কাছে পৌঁছায়।
ডিজিটাল ডিভাইসের বিষয়ে বলতে গেলে- ডিজিটাল ডিভাইস টার্গেট করে মার্কেটিং করলেই তাকে আমরা সব সময় ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে পারি না।
কারণ- কোন একটা মার্কেটিং প্রসেসকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে হলে তার ভেতর ৪টা R থাকতে হয়।
০১. R= Right People
০২. R= Right Time
০৩. R= Right Place
০৪. R= Right Content
Right People: ডিজিটাল মার্কেটিং সব সময় স্পেসিফিক বা টার্গেট মানুষের মাঝেই করতে হবে।
কোন ভুল মানুষ যে আমার পণ্য বা সেবার ভোক্তা বা ক্রেতা না, তার কাছে আমি কখনো মার্কেটিং করবো না।
Right Time: মার্কেটিং এমন সময়ে করতে হবে যে সময়টাতে আমার বেশিরভাগ টার্গেট কাস্টমার এভেইলেবল আছে।
Right Place: মার্কেটিং এমন স্থানে করতে হবে যেখানে আমার টার্গেট কাস্টমারদের সবচেয়ে বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে।
Right Content: আমি সেই ধরণের কনটেন্ট দিয়ে আমার পণ্য বা সেবার ম্যাসেজ কাস্টমারের কাছে ডেলিভার করবো,
যে ধরণের কনটেন্ট তারা পছন্দ করে, যে ধরণের কনটেন্ট দেখতে তারা অভ্যস্ত।
তার মানে এক কথায় যদি বলি, ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে?
কোন পণ্য বা সেবার প্রতি ডিজিটাল মাধ্যমে সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে,
সঠিক কনটেন্ট দিয়ে স্পেসিফিক কাস্টমারদের আগ্রহ তৈরি করার প্রসেসকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z গাইডলাইনঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা হয়েছে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিষয়- গুলোকে নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক,
যাতে আমরা digital marketing a to z Bangla একটা সম্পূর্ণ গাইডলাইন পেতে পারি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি?
ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর এপ্রোচ ভিন্ন হলেও কাজ কিন্তু একই। মানে কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
কাস্টমারকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে কানেক্ট করা।
একজন সাধারণ মানুষ এক দিনে বা একটা বিজ্ঞপন দেখে কাস্টমারে পরিণত হয় না।
তাকে ধাপে ধাপে সাইকোলজিক্যালি বিভিন্ন স্টেইজে এই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে তার মনের মধ্যে একটা অবস্থান তৈরি করতে হয়।
এই কাজটা আগে সম্পূর্ণই করা হত ট্রেডিশিনাল মার্কেটিং- যেমন- টিভি, রেডিও, নিউজ পেপার, লিফলেট ইত্যাদি মাধ্যমে।
কিন্তু এখন এই মাধ্যম আরও বিশাল ও ব্যাপক হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং আসার কারণে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি কাজ করে বিস্তারিত জানুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা যেমন আছে তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধাও আছে।
তবে অসুবিধার তুলনায় সুবিধা এতো বেশি যে আসুবিধা বা সীমাবদ্ধটা নিয়ে না ভেবে,
আমাদের উচিত প্রযুক্তির এই আশীর্বাদকে গ্রহণ করে এখান থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা নেওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা।
০১. খরচ কম
০২. রিয়েল টাইম ডাটা
০৩. সুপার টার্গেট অডিয়েন্স
০৪. গ্লোবাল অডিয়েন্স
০৫. ইনস্ট্যান্ট ফিডব্যাক
০৬. অনলাইনে ব্যবসা
নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলা হয়েছে।
১. ডিজিটাল মার্কেটিং এর খরচ ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে অনেক কম ।
ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর ক্যাম্পেইন করতে হলে বেশ বড়সড় একটা আয়োজন নিয়ে নামতে হয়। অনেকগুলো মানুষ, অনেক বড় বাজেট।
যা একটি খুবই ছোট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একবারেই সম্ভব নয়।
একারণে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ শুধু বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কেটিং করার সুযোগ পেত কিন্তু ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কেটিং করতে পারত না।
ডিজিটাল মার্কেটিং এখানে ছোট বা মাঝারি সাইজের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনি মাত্র ১০০০ টাকা বাজেট নিয়েও মার্কেটিং শুরু করতে পারেন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে- ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ একজন মানুষকে কাস্টমারে পরিণত করতে আপনার যে খরচ হত,
ডিজিটাল মার্কেটিং এ অন্তত তার চেয়ে দশ ভাগের একভাগ খরচ করেও ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়।
০২. রিয়েল টাইম ডাটাঃ
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন শুরু করার পর প্রতি মুহূর্তে আপনি ক্যাম্পেইনের ফলাফল দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
যা আপনাকে ক্যাম্পেইন অপটিমাইজ করে আরও ভাল রেজাল্ট কীভাবে আনা যেতে পারে সেই পথ দেখাবে।
এখানে ক্যাম্পেইনে রিয়েল টাইম ডাটা পাওয়া যায় বলে ইন্সট্যান্ড সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
ভাল রেজাল্ট না পেলে এমনকি আপনি ক্যাম্পেইন বন্ধ করে দিয়ে টাকা সেইভ করতে পারছেন।
নতুন করে আবার শুরু করার সুযোগ পাচ্ছেন। যেটা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ সম্ভব নয়।
০৩. সুপার টার্গেট অডিয়েন্স
আপনার মার্কেটিং তখনই ফল্প্রসু হবে যখন আপনি জানবেন আপনার কাস্টমাররা কোথায় সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুব ভাল একটা সুবিধা হল, এখানে আপনি ফোকাস টার্গেটিং করার সুযোগ পাচ্ছেন।
মানে কোন ভুল মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন যাচ্ছে না।
একেবারে শুধু যারা আপনার কাস্টমার হতে পারে তাদের কাছেই আপনার বিজ্ঞাপন যাবে।
০৪. গ্লোবাল অডিয়েন্স
আপনি কোথায় থাকেন কোথায় আপনার ব্যবসা ম্যাটার করে না, আপনি ঢাকায় না থেকেও ঢাকার মানুষের কাছে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করতে পারছেন।
এমন কি বাংলাদেশের অনেকেই দেশের আনাচে কানাচে থেকে আমেরিকার মানুষের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করছে। একবার ভাবুন এটা কি ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ কখনো সম্ভব ছিল?
০৫. ইনস্ট্যান্ট ফিডব্যাক
আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাস্টমারদের ফিডব্যাক ইনস্ট্যান্ট জানার সুযোগ পাচ্ছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এ।
ফলে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারছেন।
কারণ এখন আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে ওয়ান টু ওয়ান কমিউনিকেশন আপনার কনজুমারদের। যা আপনার ব্যবসাকে আরও গতিশীল করতে হেল্প করছে।
০৬. অনলাইনে ব্যবসা
ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনি খুব অল্প পুজি নিয়েও আপনার ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন অনলাইনে।
আপনার অফিসের প্রয়োজন নেই, টিমের প্রয়োজন নেই।
এমন অনেক ক্ষুদ্র অনলাইন ব্যবসা আছে যা প্রতি মাসে বেশ ভাল ইনকাম জেনারেট করছে,
কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করছে শুধুমাত্র একজন মানুষ।
আপনিও আপনার যাত্রাটা এভাবেই শুরু করতে পারেন।
পরবর্তীতে যখন ব্যবসার আয় বাড়বে তখন আপনি চাইলেই অফিস বা টিম রেডি করে ফেলতে পারছেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল কি?
অনলাইনে যে যে প্লাটফর্মে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করছেন, সেই একেকটা প্লাটফর্মকে বলে ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল।
আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করার জন্য প্লাটফর্ম হিসেবে ফেসবুককে বেছে নেন,
তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল হচ্ছে ফেসবুক।
আপনি যদি ইমেইলে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার মার্কেটিং চ্যানেল হচ্ছে ইমেইল।
আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন।
কোন চ্যানেলে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন বা কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে আপনার মার্কেটিং প্ল্যানের উপর।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রি। আপনি যদি একজন বিগিনার হয়ে থাকেন,
তাহলে আপনার উচিত সর্ব প্রথম বেসিক একটা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করা।
এই বেসিক কোর্সের মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে একটা ওভারঅল ধরনা পাবেন।
এর শাখা প্রকাশা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
যখন আপনি সবগুলো বিষয় জেনে যাবেন তারপর আপনাকে এর ভেতর থেকে যে কোন একটি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
পরবর্তী বছরগুলোতে যা শিখবেন বা যা নিয়ে কাজ করবেন সবই হবে এই নির্দিষ্ট টপিকের উপর।
এই টপিকের উপরে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে তৈরি করতে হবে।
তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং কত ধরণের ও কি কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
ডিজিটাল মার্কেটিংকে আমরা প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।
০১. অর্গানিক মার্কেটিং
০২. পেইড মার্কেটিং
অর্গানিক ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
অর্গানিক মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন এক প্রসেস,
যেখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলকে কোন টাকা পে না করেই সম্পূর্ণ অর্গানিকভাবে মার্কেটিং করছেন।
এখানে আপনি অনেক বেশি ফোকাস নিজের কনটেন্ট ক্রিয়েট করা নিয়ে।
এমন কনটেন্ট বেশি বেশি ক্রিয়েট করছেন যা আপনার টার্গেট গ্রুপের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েট করে আপনার কাজ হচ্ছে এই কনটেন্টগুলোকে বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলোতে অপটিমাইজেশনসহ ডিস্ট্রিবিউট করা।
এই পদ্ধতিতে আমরা মার্কেটিং চ্যানেলকে কোন ধরণের টাকা পে করি না।
উদাহরণ- আপনার একটা ফেসবুক পেইজ আছে যেখানে খুব হাই কোয়ালিটির একটা কনটেন্ট পাবলিশ করার পর অটোমেটিভাবে সেটা অসংখ্য মানুষের কাছে পৌছাচ্ছে।
আপনি ইউটিউবে একটা ভিডিও পাবলিশ করার পর সেটা ভাইরাল হয়ে গেল।
ফলে লাখ লাখ মানুষ আপনার ভিডিও দেখছে আর ফ্রিতে আপনার মার্কেটিং হয়ে যাচ্ছে।
পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
পেইড মার্কেটিং হচ্ছে অর্গানিক মার্কেটিং এর বিপরীত।
মানে এখানে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে তা বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়াতে পাবলিশ করার পর,
সেই কনটেন্টকে লাখ লাখ আমার টার্গেট মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য,
আমি যদি ডিজিটাল মিডিয়াকে টাকা পে করি, তখন তাকে পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
যেমন- আমি একটা ভিডিও ফেসবুক পেইজে পাবলিশ করে দেখলাম, সেটা খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় নাই।
এরপর আমি ফেসবুককে টাকা দিয়ে আমার টার্গেট অডিয়েন্স দিয়ে বলে দিলাম আমাকে ১ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দাও।
ফেসবুক আমার সেই অডিয়েন্সের কাছে আমাকে পৌঁছে দিল। এটাকে বলে পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং।