ডিজিটাল চ্যানেল অনুয়ায়ি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদঃ

ডিজিটাল মার্কেটিংকে আমরা মার্কেটিং চ্যানেল অনুয়ায়ি আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারি।       

০১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)

০২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)

০৩. ইমেইল মার্কেটিং (EM)

০৪. কনটেন্ট মার্কেটিং (CM)

০৫. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (IM)

এবার ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও তার প্রতিটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক- 

০১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন- যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম বা লিঙ্কডিন

যদি আপনার মার্কেটিং এর চ্যানেল হয়ে থাকে তাহলে এটাকে আমরা বলতে পারি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। 

০২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

আপনি যদি আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার প্রচারনার জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে বেঁছে নেন,

এবং সার্চ ইঞ্জিন নির্ভর মার্কেটিং করেন তাহলে তাকে আমরা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলতে পারি। 

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং আবার দুই ধরণের। সার্চ ইঞ্জিনে আপনি দুইভাবে মার্কেটিং করতে পারেন। 

০১. সার্চ ইঞ্জিন এডভারটাইজিং

০২. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

সার্চ ইঞ্জিন এডভারটাইজিংঃ

সার্চ ইঞ্জিনে আপনি যদি পেইড অ্যাড ক্যাম্পেইন করেন,

তাহলে তাকে বলে সার্চ ইঞ্জিন এডভার্টাইজিং। যেমন- গুগল সার্চ অ্যাড। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ

আপনার ওয়েবসাইটের কোন নির্দিষ্ট পেইজে সার্চ ইঞ্জিনের টপে সম্পূর্ণ অর্গানিকভাবে নিয়ে আসার জন্য,

আপনি যে যে কাজগুলো করছেন তাকে বলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ারঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি গ্রইং ইন্ডাস্ট্রি। সারা পৃথিবীতে ভাল মানের ডিজিটাল মার্কেটারের খুব অভাব। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তো অবস্থাটা আরও ভয়াবহ!

আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় who is the  Best Digital Marketer in Bangladesh. হাতে গোনা চারপাঁচটা নাম বারবার ঘুরে ফিরে আসবে। 

ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচুর সম্ভাবনাময়।

ডিজিটাল মার্কেটার অনেক আছে কিন্তু বেশিরভাগই বিগিনার লেভেলের।

আমাদের দেশে অ্যাডভান্স লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটারের খুব অভাব। 

যেখানে সমস্যা সেখানেই সম্ভাবনা। এই সমস্যাকেই আপনি সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন।

খুব ভাল করে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি অনেকদুর চলে যেতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কি কি করা যায়?

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার ৩ ধরণের হয়- 

০১. কর্পোরেট জবঃ 

০২. ফ্রিল্যান্সিং

০৩. ব্লগিং 

০৪. উদ্যোক্তা

০১. ডিজিটাল মার্কেটিং এ কর্পোরেট ক্যারিয়ারঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে চাকরি করতে চাইলে আপনাকে মোটামুটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন একটা পার্টিকুলার বিষয়ে,

এক্সপার্ট হওয়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আপনার ভাল ধরনা থাকতে হবে। 

একজন ডিজইটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সার চাইলে শুধু একটি বিষয় শিখে অনলাইন মার্কেটপ্লসে টপ রেটেট ফ্রিল্যান্সার হতে পারে।

তারমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একজন টপ রেটেট ফ্রিল্যান্সার যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মোটামুটি সবগুলো বিষয় জানেন- এমনটা নাও হতে পারে। 

একটা ছোট টপিক নিয়ে কাজ করে সে তার ফ্রিল্যাসিং পোর্টফলিও তৈরি করে ফেলতে পারে।

কিন্তু কর্পোরেট জবের ক্ষেত্রে আপনাকে মোটামুটি বলা চলে অলরাউন্ডার হতে হবে। 

সবগুলো বিষয়ে আপনার ভাল ধরনা থাকতে হবে বিশেষ করে-

ডেটা ড্রিভেন ডিজিটাল মার্কেটিং, কনভার্সন ট্রাকিং, কনভার্সন রেট অপ্টিমাজেশন, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি প্ল্যানিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন ইত্যাদি। 

০২. ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যাসিং

যে কয়টা স্কিল বর্তমানে সারা বিশ্বে অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন তার মধ্যে অন্যতম একটি স্কিল হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন- আপওয়ার্ক ও ফাইবারেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর রয়েছে আকাশ্চুম্বি চাহিদা। 

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং।

তবে বেসিক স্কিল শিখে ফ্রিল্যাইসিং মার্কেটপ্লেসে গিয়ে আপনাকে তুলনামুলকভাবে বেশি প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হবে। 

সেক্ষেত্রে আপনার উচিত একটু ইন্তারমেডিয়েট অথবা অ্যাডভান্সড ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে শুরুটা করা।

কারণ মার্কেটপ্লেসগুলতে এ্যাডভান্স কাজ জানা ফ্রিল্যাস্নারের অনেক বেশি অভাব।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যাসিং আপনি দুইভাবে করতে পারেন-

০১. অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা

০২. মার্কেটপ্লেসের বাইরে ডিজিটাল মার্কেটং সার্ভস দেওয়া

০৩. ডিজিটাল মার্কেটিং ব্লগিং ক্যারিয়ারঃ

আপনি হতে পারেন একজন প্রফেসশানল মানের ব্লগার।

ব্লগিং সারা বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পেশা। ব্লগিং করে প্রতি মাসে আপনি অন্তত ৫০০ ডলার করে ইনকাম করা সম্ভব।

ব্লগিং করার জন্য আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটমাজেশন স্কিল ভাল থাকা জরুরী।

ব্লগিং এ কি কি কাজ করতে হয়? 

প্রথমে যে কোন একটা টপিক রিসার্চ করে বের করতে হবে কাজ করার জন্য।

তারপর সেই টপিকের উপরে একটা ওয়েবসাইট করবেন।

এই ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর নিয়ে আসবেন। ভিজিটরকে মনিটাইজ করে ইনকাম করবেন।

একটা ওয়েবসাইটের ইনকাম নির্ভর করে ওয়েবসাইটের ভিজিটের উপর।

যত বেশি ভিজিটর থাকবে তত বেশি ইনকাম হবে ওয়েবসাইট থেকে। 

কীভাবে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম জেনারেট হয় জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। 

ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে প্রতি মাসে ইনকাম করাকে বলে প্যাসিভ ইনকাম। 

একটা ওয়েবসাইটকে আনুমানিক ৬ মাসে আপনি ৫০০ ডলার প্রতি মাসে ইনকামে নিয়ে যেতে পারেন।

একটা ওয়েবসাইট প্রতি মাসে ১০০০ ডলার করে ইনকাম করে,

এমন একটি ওয়েবসাইট চাইলে আপনি বিক্রিও করে দিতে পারেন বভিন্ন মার্কেটপ্লেসে। 

এক্ষেত্রে মাসে এভারেজ ইনকামের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ গুন দামে ওয়েবসাইট বিক্রি করা যায়। 

তারমানে একটা ওয়েবসাইট যদি প্রতি মাসে ১০০০ ডলার ইনকাম করে,

আমি চাইলে সেই ওয়েবসাইটকে ৩০০০০ ডলার থেকে শুরু করে ৪০০০০ ডলার দামে বিক্রি করতে পারি। 

এই ধরণের সাইটগুলোকে বলে নিস সাইট। নিস সাইট নিয়ে কাজ করাকে বলে নিস সাইট প্রোজেক্ট। 

০৪. ডিজিটাল মার্কেটিং উদ্যোক্তাঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং এ অভিজ্ঞ মানুষজন একটা সময় নিজেই হয়ে উঠে একজন উদ্যোক্তা।

দীর্ঘ দিনের মার্কেটিং অভিজ্ঞতা এবং অনেক প্রতিষ্ঠানকে গ্রো করার অভিজ্ঞতা,

একজন প্রকেশনাল ডিজিটাল মার্কেটারকে ডিজিটাল উদ্যোক্তাতে রূপান্তর করে। 

আপনি চাইলে একটা অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি দিয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে পারেন,

অথবা যে কোন অনলাইনে নির্ভর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং জানাটা খুব প্রয়োজন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়ঃ

বর্তমান যুগে যে কোন কিছু শেখার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হচ্ছে- গুগল ও ইউটিউব।

আপনি যে কোন স্কিল নিজে নিজে শিখে ফেলতে পারবেন যদি আপনি খুব ভাল করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে জানেন। 

সবার আগে জরুরী হচ্ছে আপনার ইচ্ছাশক্তি। আপনি যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কোন কিছু শিখতে শুরু করেন,

আমার বিশ্বাস আপনি নিজে নিজেই ইন্টারনেট ঘেটে শিখে ফেলতে পারবেন।

তবে তার জন্য থাকা চাই অনেক বেশি ধৈর্য। আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে। 

ধরলাম আপনি একটু অলস প্রকৃতির। আপনার ধৈর্য কম, সময় কম।

সে ক্ষেত্রে আপনাকে একজন খুব ভাল মানের মেন্টরের অধিনে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে। ট্রেইনার না বলে মেন্টর কেন বললাম জানেন? 

একজন ট্রেইনারের কাজ হচ্ছে কোন কিছু শিখিয়ে দেওয়া।

তারপর সেই শিক্ষা কতটা কাজে লাগলো সেটা তার দেখার বিষয় না।

কিন্তু একজন মেন্টর মানে সে আপনার অলটাইম গাইড।

আপনাকে শুধু শেখাবেই না, সে হাত ধরে ধরে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

আপনি ভুল পথে গেলে সে ধরিয়ে দিবে, আপনি সঠিক পথে এগুলো সে এপ্রিশিয়েট করবে।

আপনার সাথে তার সম্পর্ক একদিনের না, যতদিন এই সেক্টরে আপনি আছেন ততদিন তাকে ফলো করবেন।

এমন একজন মেন্টর পেলে আপনার জীবনে সফল না হয়ে ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগই নেই। 

অনলাইনে নিজে নিজে না শিখে একজন মেন্টরের কাছে শিখলে সবচেয়ে বেশি আপনি যে সুবিধা পাবেন তা হচ্ছে-

আপনি একা একা শিখতে গেলে অনেক সময় ভুল পথে হাটবেন, প্রচুর সময় নষ্ট করবেন। ঠেকে ঠেকে শিখবেন। 

কিন্তু একজন প্রফেশনাল মেন্ট্রের অধিনে থাকলে সেলফ লার্নিং করে আপনি যা ২ বছরে শিখতে পারবেন না তা হয়ত ২/৩ মাসেই শিখে যেতে পারবেন।

কারণ সে জানে আপনার পথ কি, কোন দিকে আপনার যাওয়া উচিত।

আপনি ভুল পথে না গিয়ে শুরু থেকেই সঠিক পথে এগুতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কোন কোন দক্ষতা লাগে?

একজন ভাল মানের ডিজিটাল মার্কেটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো থাকতে হয় সেগুলো হচ্ছে।

এগুলো না থাকলে যে আপনি ডিজিটাল মার্কেতার হতে পারবেন না, আমি তা বলছি না।

কিন্তু এই স্কিল্গুল থাকলে আপনি খুব অল্প সময়ে ক্যারিয়ারে অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবেন। আপনার পক্ষে সম্ভব লিডিং কোন পজেশনে যাওয়া। 

তাহলে দেখা যাক, সেই স্কিলগুলো কি কি? 

০১. এনালাইটিক্যাল এবিলিটিঃ

যে কোন কিছুকে সুন্দর করে ব্যখ্যা ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা।

০২. ক্রিয়েটিভিটিঃ

মানে শুধু টুলের ব্যবহার না। এর চেয়ে আরও ব্যাপক।

টুল নির্ভর মার্কেটাররা সারাজীবন একটা নির্দিষ্ট গণ্ডীর মধ্যে হাবুডুবু খেতে হয়।

কিন্তু একজন ক্রিয়েটিভ মার্কেটার সব সময় স্ট্রাটেজি নির্ভর হয়।

চমৎকার সব আইডিয়া দিয়ে একেকটা ক্যাম্পেইন করে প্রোডাক্টকে খুব সহজেই স্টান্ড আউট করতে পারে।

০৩. কমিউনিকেশনঃ

যে কোন মানুষের সাথে সহজে কমিউনিকেশন মেইনটেইন করতে পারার দক্ষতা।

০৪. টেকসেভিঃ

টেকনলজির ব্যবহারে পারদর্শিতা থাকতে হবে। 

০৫. ইংলিশঃ

ইংলিশ বেসিক লেখা, বোঝা ও পড়ার স্কিল থাকতে হবে। 

০৬. কোলাবোরেশনঃ

একসাথে টিমে যে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।  

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে কি কি লাগে?

০১. কম্পিউটার

০২. হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সঃ

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে যে কোন ভাল ইন্সটিটিউট থেকে শিখে নিতে পারেন।

অফলাইন এবং অনলাইনে দেশ বিদেশে এমন অসংখ্য কোর্স আছে যা দিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং হাতেখড়ি করতে পারেন।

কিছু কোর্স ফ্রি আবার কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং পেইড কোর্স আছে। এর মধ্যে কিছু ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করলে আপনি সার্টিফিকেট পাবেন।

যে সার্টিফিকেটগুল আপনাকে আপনার দক্ষতার একটা স্বীকৃতি দিবে। 

আমি এখানে সব ধরণের কিছু কিছু কোর্সে লিংক সহ উল্লেখ করলাম। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফ্রি কোর্স

কোর্সের নাম- Fundamentals of digital marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেসিক বিষয়গুলি নিয়ে এটা একটা ফ্রি কোর্স যা Interactive Advertising Bureau Europe এবং The Open University স্বীকৃত।

কোর্সে ২৬টি মডিউল আছে, যা গুগলের ট্রাইনারদের দিয়ে তৈরি এবং প্রচুর প্রাক্টিকাল উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে প্রতিটি টপিক যাতে আপনার এই শিক্ষাকে কাজে পরিণত করতে পারেন।

কোর্স শেষে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে, পরীক্ষায় ভাল করলে সার্টিফিকেট পাবেন। 

কোর্সের নাম – Digital Marketing Course: Get Certified in Digital Marketing

এই কোর্সটি মার্কেটিং ম্যানেজার, কন্টেন্ট মার্কেটার এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ছাত্রদের জন্য তৈরি- যারা তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা বাড়াতে চায়।

এই কোর্সে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, অর্গানিক মার্কেটিং, পেইড মার্কেটিং, পারফর্মেন্স ট্রাকিং,

কনভার্শন রেট অপটিমাইজেশন, ব্লগ কনটেন্ট, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি, ভিডিও মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়গুলো শিখতে পারবেন। 

এটি একটি ফ্রি কোর্স, কোর্স শেষে আছে সার্টিফিকেটের সুবিধা। 

কোর্সের নাম- Digital Marketing Courses

ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুবই জনপ্রিয় একটি টুল হচ্ছে SEMRush.

ওদের একটা ফ্রি লার্নিং হাব আছে। এখান থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং রিলেটেড যে কোন কোর্স ফ্রিতে করতে পারেন। 

কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পাবেন। 

কোর্সের নাম- Free Digital Marketing Basics Course

এটা জনপ্রিয় লার্নিং প্লাটফর্ম ইউডেমির একটি ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স।

এখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেসিক বিষয়গুলো জানতে পারবেন। 

কোর্স শেষে পাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং সার্টিফিকেট। 

কোর্সের নাম- Introduction to Digital Marketing Fundamentals Course

এটা জনপ্রিয় আরেকটা লার্নিং প্লাটফর্ম সিমপ্লিলার্ন এর একটি ২ ঘন্টার বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স।

৯০ দিনের জন্য ফ্রিতে এক্সেস পাবেন আপনি। কোর্স শেষে আছে সার্টিফিকেট। 

অনলাইনে ইংরেজি ভাষার ভাল কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

এখানে জনপ্রিয় কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং পেইড কোর্সের লিংক দেওয়া আছে। এখান থেকে যেকোন কোর্স করতে পারেন। 

০১. উডাসিটি নেনো ডিগ্রি কোর্স

০২. কোর্সেরা

০৩. সিমপ্লিলার্ন

০৪. ডিজিটাল মার্কেটার

বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সঃ

বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রতিষ্ঠান থেকে না, কোর্স করবেন মেন্টর দেখে।

কারণ বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোর্স কোন ইন্ডাস্ট্রি একপার্ট নেয় না,

এখানে বিগিনার লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটিং জানা মানুষগুলো দিয়ে কোর্স করানো হয়।

তাই আপনার উচিত কোন প্রতিষ্ঠান না, বরং কার কাছে শিখছেন সেটা কনফার্ম হওয়া।

আপনার মেন্টরের ইন্ডাস্ট্রি এক্সপেরিয়েন্স, রিয়েল কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি দেখেই কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। 

শেষ কথাঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z নিয়ে লিখতে গিয়ে লেখাটি বেশ বড় হয়ে গেছে।

এই লেখায় আমি চেষ্টা করেছি পরিপূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন নিয়ে আপনাদের শুরু থেকে শেষ পর্জন্ত প্রতিটা বিষয়ে ধারণা দেওয়ার অর্থাৎ digital marketing a to z Bangla গাইডলাইন।

আশা করি আপনারা মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়েছেন।

আমি এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটা বিষয় নিয়ে অল্প অল্প করে বলে সবগুলো টপিক কভার করেছি।

প্রতিটি বিষয় নিয়ে আবার আলাদা আলাদাভাবে লেখা আছে।

আপনারা সবগুলো একসাথে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *