জেফ বেজোস
বিশ্বের ২য় ধনী জেফ বেজোসঃ
বিশ্বের ধনী ব্যক্তির তালিকায় জেফ বেজোসকে পিছনে ফেলে কিছুদিন আগেই এক নাম্বারে উঠে এসেছেন ইলন মাস্ক। বিশ্বের ২য় ধনী জেফ বেজোস, বয়স ৫৮বছর , আমেরিকার সিএটেল এর বাসিন্দা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইকমার্স ওয়েবসাইট এ্যামাজনের উদ্যোক্তা ও সিইও জেফ বেজোস কিছুদিন আগেও ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার। ডলারের রেট অনুযায়ী ১ বিলিয়ন ডলার = প্রায় ৮৪,৭৩৭,৫১০,০০০.০০ টাকা।
জেফ এ্যামাজন শুরু করেন তার বেডরুমে। এ্যামাজন প্রথমে একটা অনলাইন ভিত্তিক বই বিক্রির দোকান ছিল। আজকে সেখান থেকেই জেফ পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মানুষে পরিনত হয়েছেন। এ্যামাজন ছাড়াও জেফ বেজোসের আয়ের উৎসের মধ্যে রয়েছে তার আরো দুইটি প্রতিষ্ঠান “ব্লু অরিজিন” এবং “দ্যা ওয়াশিংটন পোস্ট”। জেফ এর আয়ের শুরুটা যেমন হয়েছে অনলাইন শপিং সাইট থেকে, তেমনি বাংলাদেশের বিভিন্ন তরুণ উদ্যোক্তা শুরু করেছেন বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইট।
জেফ বেজোসের জীবনী : তাঁর জীবনী থেকে শেখার মত অনেক কিছুই আছে । সফল হওয়ার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তিনি ঝুঁকি নিয়ে । তিনি একজন আমেরিকান উদ্যোক্তা। বিশ্বের সেরা অনলাইন শপ আমাজন.কম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, এবং ওয়াশিংটন পোস্ট এর বর্তমান মালিক। ব্যবসায়িক সফলতার কারনে তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন।
পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমান প্রায় ১১,৮০০ কোটি ডলারের বেশি তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ – যা!রেকর্ড গুলোর একটি। জেফ বেজোস নিজে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার মালিক।
তার জন্ম হয়েছিল ১৯৬৪ সালে, তখনও তার বাবা-মার বয়েস ১৯ পেরোয় নি। খুব দ্রুতই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
এর পর তিনি বড় হন তার মা জ্যাকি আর দ্বিতীয় স্বামী মাইক বেজোসের ঘরে।
জেফ বেজোস ইঞ্জিনিয়ারিং আর কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়েন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার পর নিউ ইয়র্কে গিয়ে চাকরি করেন কয়েকটি ফিনান্স কোম্পানিতে।
স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সাথে জেফ বেজোস
আমাজনে যারা পণ্য বিক্রি করেন তাদের জন্য পণ্য আনা নেয়া, ঋণ, বিক্রির প্ল্যাটফর্ম দেয়া হচ্ছে, পাশাপাশি এর ‘ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ’ অসংখ্য বড় বড় কোম্পানির জন্য অনলাইন ডেটা স্টোরেজ সুবিধা দিচ্ছে – যা এখন পৃথিবীর বৃহত্তম।