উপায় নেই আর
অক্লান্ত পরিশ্রম করে কৃষক মজুর ভাই
প্রতিনিয়ত কাজ করেও খাদ্য পায় নাই।
সামন্তবাদ সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদ মিলে
লুটে নিলো দেশের সম্পদ তিনটি দলে।
কইতেও গেলে হক কথা জুলুমের ডর
পায়না রোগে ঔষধ ক্ষিধে ভাত কাপড়।
বিদ্যালয়ে ধনীর ছেলে কত পড়া পড়ে
গরিবের ছেলে মেয়েরা অনাহারে মরে।
চিকিৎসালয়ে ডাক্তাররা বসে দলে দলে
নিঃস্বও ঔষধ পায়না টাকা ছাড়া গেলে।
খোলা রয় কোর্ট-কাছারি হয় যত বিচার
দারিদ্ররা বিচার পায় না টাকা নাই যার।
হত দরিদ্র শোষিত যারা হলো নিরুপায়
শোষণের পালা শোষকের চলে সর্বদায়।
দুর্গতি দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির করে যতো কৌশল
আসে বৎসরে বৎসরে কত বন্যার জল।
ফসল নেয় বাড়ি ভাঙে বন্যা যেন আসে
সুদখোর জোতদার যারা সুযোগে হাসে।
অল্প দরে জমিজমা বাড়ি কিনে মহাজন
গলে বাধে সুদের বাধন নিঃস্ব কৃষকগণ।
চাপ দেয় খাজনা-ট্যাক্সের তহশিলদার
ঘরের সব ক্রোক হয় উপায় নেই আর।
দালান গড়তেও শোষক নেতারা পাগল
বের হয়েছে অনেক রঙের শিকারী দল।
জাগো বাঙালি বলে উড়াও জয় নিশান
ধর্ম গেল অনেকে বলে জাগো মুসলমান।
কত আছে কৃষক মজুরের গায় গুণগান
মূলত ধান্দাবাজি লুটে নেওয়ারই সন্ধান।