এলার্জিজনিত সমস্যা ও প্রতিরোধের উপায়
এলার্জি হচ্ছে ইমিউন সিস্টেমের একটা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা পরিবেশের কোনো এলার্জেনের কারণে শরীরে হাইপারসেনসিটিভিটি দেখায় কিংবা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখায় সেসব মানুষের জন্য এলার্জেন।
এলার্জিক রিয়েকশনঃ কোন অ্যালার্জেন শরীরের সংস্পর্শে এলে শরীরে যেসব অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় তাকে এলার্জিক রিঅ্যাকশন বলে। আবার এটাকে হাইপেরসেন্সিটিভিটি রিয়েকশনও বলা হয়। হাইপারসেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশন কে চার ভাগে ভাগ করা যায়, তবে চার প্রকারের মধ্যে টাইপ-১ হাইপারসেনসিটিভিটি নিয়ে এখানে আলোচনা করবো।
কোন অ্যালার্জেন দ্বারা শরীরের যেসব হাইপারসেনসিটিভিটি রিয়েকশন দেখা দেয় তাকে টাইপ ওয়ান হাইপারসেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশন বলা হয়। এলার্জি হিসেবে স্বাভাবিকভাবে আমরা যা বুঝে থাকি তা মূলত টাইপ ওয়ান হাইপারসেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশনকে বোঝায়।
এলার্জিক সাধারণ প্রতিক্রিয়া সমূহঃ
এলার্জিক রাইনাইটিসঃ অনেক সময় দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজলে, পুকুরে গোসল করলে, ধুলোবালিতে গেলে, একটু ঠান্ডা লাগলে বা কোনো ঠান্ডা পানীয় পান করলে কারো কারো সর্দি কাশি শুরু হয়। আবার একই কাজগুলো অন্যরা করলে তাদের কিছুই হয় না। তাহলে বোঝা গেল বৃষ্টির পানি, ধুলোবালি , পুকুরের পানি বা ঠান্ডা জলীয় বস্তু কারো জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে আর কারো কারো জন্য এটা স্বাভাবিক হিসেবে থাকে। এই স্বাভাবিক বস্তুগুলো যাদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে তাদের সর্দি কাশি শুরু হয়ে যায় তাকে এলার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
এলার্জিক রাইনাইটিস হলে সাধারণতঃ শ্বাসযন্ত্রের মিউকাস মেমব্রেন সমূহ আক্রান্ত হয় এবং হিস্টামিনের প্রভাবে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ মিউকাস তৈরি হয়। শ্বাসযন্ত্রে লুউকোট্রিন নামক এক প্রকার পদার্থ তৈরি হয় যা কাশি তৈরিতে শ্বাসযন্ত্র কে উত্তেজিত করে। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম, নাক দিয়ে পানি পড়া তথা সর্দি কাশি, সঙ্গে হালকা গায়ে গায়ে জ্বর থাকা এসব কিছু অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের কারণে হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় রাইনো ভাইরাস এলার্জি হিসেবে কাজ করে।
এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস বা চোখের এলার্জিঃ
এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস মূলত চোখের একটি এলার্জি জনিত রোগ। এ সময় চোখ লাল হয়ে থাকে। চোখ থেকে পানি পড়ে, ব্যথা করে। ৬ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা দেয়। যাদের শরীর কোনো নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখায় তাদের অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মত এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস হতে পারে। কিছু বাচ্চাদের দেখা যায়, পুকুরে গোসল করলে বা খেলাধুলা করলে কিংবা বাহিরে চলাফেরা করলে তাদের চোখ লাল হয়ে যায় চোখ থেকে পানি পড়ে এবং ব্যথা করে চোখ চুলকায়। এগুলো মূলত এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস-এর কারণে হয়ে থাকে।
ফুড অ্যালার্জিঃ অনেকের গোশত, বেগুন বা বাইরের খাবারে শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যায় ; বমি বমি ভাব হয়। এগুলো মূলতঃ এলার্জির কারণে হয়ে থাকে। তাদের শরীর ওই সমস্ত খাবারের জন্য উপযোগী নয় এবং ঐ সমস্ত খাবার গুলো যদিও অন্যদের জন্য স্বাভাবিক তবে তাদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। তাই তারা যখন ওই খাবারগুলো খায় তখন সারা শরীর চুলকাতে থাকে এবং লাল হয়ে যায়। তাহলে বুঝতে হবে গোশত তার জন্য অ্যালার্জেন।
ড্রাগ অ্যালার্জিঃ কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তারা কোনো এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করার পরে তাদের শরীর চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায়। তাহলে বুঝে নিতে হবে ওই এন্টিবায়োটিকের প্রতিও তার হাইপারসেনসিটিভিটি রয়েছে এবং ওই এন্টিবায়োটিক তার জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করছে। যদি কারো এমন হয়ে থাকে তাহলে সে ওই এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করে অন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। কোনো মেডিসিন ব্যবহারের ফলে যদি কোন হাইপেরসেন্সিটিভিটি রিয়েকশন শুরু হয় তবে সে প্রকার এলার্জিকে ড্রাগ এলার্জি বলা হয়ে থাকে।
এনাফাইলেক্টিক রিঅ্যাকশনঃ এনাফাইলেক্টিক রিঅ্যাকশন হচ্ছে এক প্রকার ইমারজেন্সি এলার্জিক কন্ডিশন। মনে করুণ কারো শরীরে একটি কীটপতঙ্গের সংস্পর্শ লেগেছে অথবা কোনো ছোট মশা কিংবা অন্যান্য কীটপতঙ্গ কামড় দিয়েছে এর কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল তার শরীরে লাল লাল চাকা হয়ে গেছে। শরীর প্রচণ্ড চুলকায়। সারা শরীর ব্যথা করছে। এই অবস্থা গুলোকে এনাফাইলেক্ট্রিক রিঅ্যাকশন বলে। যাদের শরীর হাইপারসেনসিটিভ তাদের ক্ষেত্রে মশার কামড়ে কিংবা ছারপোকার কামড়ে এনাফাইলেকটিক রিঅ্যাকশন দেখা দিতে পারে।
এটপিক একজিমাঃ একপ্রকার এলার্জিক স্কিন কন্ডিশন। যা, এলার্জিক রিয়েকশন-এর কারণে হয়ে থাকে।
চিকিৎসাঃ প্রথমে জেনে রাখা ভালো, এলার্জির স্থায়ী কোনো চিকিৎসা নেই। কারণ এটার সম্পর্ক ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে। তাই যাদের যেসব বস্তু বা খাবারে এলার্জি রয়েছে তা পরিহার করে চলাই ভাল। আর অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরার কারণে যাদের এলার্জিক উপসর্গগুলো দেখা দেয় তারা মেডিসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।
মেডিকেশনঃ এলার্জিতে যেহেতু হিস্টামিন প্রচুর রিলিজ হয় তাই এলার্জি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে, হিস্টামিন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে আর সে জন্য এলার্জিক কন্ডিশনে এন্টিহিস্টামিন হচ্ছে এলার্জির মূল চিকিৎসা। তবে অবশ্যই এলার্জির চিকিৎসায় চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত কোন চিকিৎসা নেয়া কিংবা অল্টারনেটিভ চিকিৎসা নেয়া বিপদজনক হতে পারে। যে কোনো শারীরিক সমস্যায় নিকটস্থ চিকিৎসক কিংবা সরাসরি হাসপাতালে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে ভাল।
ঋতু বদলের এই সময়ে হাঁচি, কাশি, এলার্জিজনিত রোগ ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। ঋতু বদলের এই সময়ে অনেক দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আবহাওয়ায় দূষণ শুরু হয়। কারণ, শীতের প্রায় শেষে বাতাসে অনেক ধুলাবালি থাকে। এই ধুলাবালির সঙ্গে এলার্জেন মিশে থাকে। এই সময় এলার্জি হওয়ার বিভিন্ন উপাদান আমাদের শ্বাসনালির ভেতর ঢুকে যায় বা আমাদের ত্বকের ওপর বসে পড়ে। মোট কথা, বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার ফলে এলার্জির প্রকোপ বেড়ে যায়। আসলে হাঁচি, কাশি এসব কিছুই এলার্জি সংক্রান্ত রোগ। আবার সব হাঁচি যে এলার্জি সংক্রান্ত তা-ও নয়। এ সময় সকালের দিকে অনেকর হাঁচি হতে পারে। নাক দিয়ে হঠাৎ করে পানি পড়ে এবং কাশি হয়ে থাকে। অনেকের ত্বকে অযথাই চুলকানি শুরু হয়। এগুলো সবকিছুর উৎস একই, কেবল উপসর্গ ভিন্ন ।
এই এলার্জি যখন নাকে যায়, তখন নাকের ঝিল্লির ওপর বসে প্রতিক্রিয়া শুরু করে তখন হাঁচি শুরু হয়। যখন গলায় যায়, তখন কাশি হয় এবং যখন ত্বকে এলার্জি হয়, তখন এটি চুলকানি আকারে প্রকাশ পায়।
অতিসংবেদনশীলতা এলার্জির মূল কারণ। তবে এটি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন রকম হয়। এলার্জি শুধু যে, এই সংবেদনশীলতার ওপর নির্ভর করে তা নয়।
এ ছাড়া আরো কারণ আছে। যেমনঃ আবহাওয়ায় কত পরিমাণ এলার্জির উপাদানগুলো ছড়িয়ে আছে তার ওপরও এই সমস্যা নির্ভর করে। আবহাওয়ায় এলার্জির উপাদান যত বাড়তে থাকে এই রোগের প্রকোপও তত বাড়তে থাকে।একটি শহরে যত বেশি দূষণ হবে মানুষ তত এলার্জির সমস্যায় ভুগবে।
তা ছাড়া আমাদের অনেক খাদ্যের উপাদানের মধ্যেও এলার্জেন আছে। অনেক খাদ্যের উপাদান এই এলার্জির জন্য দায়ী। তবে এটি ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
এলার্জির কারণে ত্বকের সমস্যা হলে হঠাৎ ত্বক লাল চাকার মতো ফুলে উঠে। এর সাথে অতিরিক্ত চুলকানি হয়। অনেক জায়গায় একত্রে হতে পারে বা নিদির্ষ্ট জায়গায়ও হতে পারে। তবে এই সমস্যা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটা চলে যায়। ২৪ ঘণ্টার পর আবার ফিরে এসে ভিন্ন জায়গায় চুলকানি হয়। বেশি কাশি হলে গলা বসে যেতে পারে। কাশতে কাশতে অনেক সময় ফেরিনজাইটিস হয়ে যায়। ফেরিনজাইটিস হলে গলা ব্যথার সমস্যা হয়। আরো কিছু এলার্জি যেমন ঠাণ্ডা জনিত এলার্জি আছে, যেগুলো শীতে বা শীতের পর পর হয়। এ সময় শীত চলে গেছে ভেবে মানুষ অতটা গরম কাপড় পরে না। ফলে ঠাণ্ডা জনিত এলার্জি হয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার গরমের সময় গরম জনিত এলার্জি দেখা যায়। অতিরিক্ত গরম হলে ঘাম হয় শরীরে। ঘাম যদি তাড়াতাড়ি না শুকায় তাহলে একই ধরনের এলার্জি হয়। এ ক্ষেত্রেও রোগের উপসর্গ একই থাকে।
অনেকেই ভাবে খাবারের এলার্জি কেবল নির্দিষ্ট খাবারেই হয়। সাধারণতঃ ভাবা হয়, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ- এসব খাবার খেলে এলার্জি হয়। তবে এগুলো সঠিক নয়। ব্যক্তি বিশেষে নিদির্ষ্ট একটি খাবারে এলার্জির সমস্যা থাকতে পারে।এতগুলো উপাদানের ফলে সাধারণতঃ একজন মানুষের এলার্জির সমস্যা হয় না।
ইলিশ মাছ সরাসরি এলার্জির জন্য দায়ী নয়। তবে চিংড়ি মাছে এলার্জি হতে পারে। খোসা জাতীয় মাছ যেটাকে ইংরেজিতে শেল ফিস বলে এসবে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দুধে এলার্জি থাকে। বিশেষ করে গরুর দুধে। যখন গরুকে কোনো কারণে চিকিৎসা দিতে হয় তখন যে দুধ পাওয়া যায় সেখান থেকে এলার্জি হতে পারে। চিকিৎসা বলতে বোঝানো হচ্ছে, যদি গরুটিকে পেনিসিলন জাতীয় এন্টি বায়োটিক দিতে হয়, তখন এটির প্রভাব দুধে চলে আসে। যাদের এলার্জি আছে তারা ওই দুধ খেলে তার এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
এ ছাড়া লাল জাতীয় সবজি খেলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। যেমন : গাজর, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো- এ ধরনের রঙিন সবজিতে এলার্জির সমস্যা থাকে। তাই ব্যক্তি বিশেষে কোন খাবারে এলার্জির সমস্যা হচ্ছে, সেটি জানতে হবে এবং সেভাবেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে। এলার্জি খুব কমন একটা সমস্যা। শিশুদের এলার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে লক্ষণগুলো কমে যেতে পারে। আবার অনেকের ছোটোবেলায় এলার্জির সমস্যা না থাকলেও, পরবর্তীতে নতুন করে এলার্জি দেখা দিতে পারে। কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে এলার্জি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্ষতিকর জিনিস থেকে আমাদেরকে সুরক্ষা দেয়। তবে কখনো কখনো কিছু জিনিসকে এটি ভুলে ক্ষতিকর ভেবে বসে, যা আসলে ক্ষতিকর নয়। এসব জিনিসের বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ায় এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়। যেমনঃ চামড়া লাল হয়ে যাওয়া ও চুলকানি।
সাধারণতঃ যেসব জিনিসের সংস্পর্শে আসলে শরীরে এলার্জি দেখা দেয় তার মধ্যে রয়েছে—
নির্দিষ্ট কিছু খাবার।
ধুলাবালি।
গরম অথবা ঠান্ডা আবহাওয়া।
ঘাম।
গৃহপালিত পশু-পাখি।
পরাগ রেণু ও ফুলের রেণু।
সূর্যরশ্মি।
ডাস্ট মাইট।
মোল্ড বা ছত্রাক।
বিভিন্ন ঔষধ।
কীটনাশক।
ডিটার্জেন্ট ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ
ল্যাটেক্স বা বিশেষ ধরনের রাবারের তৈরি গ্লাভস ও কনডম।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ।
এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকাঃ
সচরাচর যেসব খাবারে এলার্জি হতে দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে—
চিংড়ি।
বেগুন।
ইলিশ মাছ।
গরুর মাংস।
বাদাম।
এ ছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে ডিম ও দুধেও এলার্জি হতে পারে।
একেকজন মানুষের একেক ধরনের জিনিস অথবা খাবারে এলার্জি থাকতে পারে। তাই কোন ধরনের জিনিসের সংস্পর্শে আসলে অথবা খাবার খেলে এলার্জির লক্ষণ দেখা দিচ্ছে সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। এটি খুঁজে বের করতে পারলে এলার্জি নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।
এলার্জির লক্ষণসমূহ
শরীর এলার্জিক উপাদানের সংস্পর্শে আসার পর খুব কম সময়ের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এলার্জির লক্ষণগুলো হলো—
চামড়ায় চুলকানি, র্যাশ বা ফুসকুড়ি হওয়া।
শরীরের কিছু অংশ চাকা চাকা হয়ে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া, ফোস্কা পড়া ও চামড়া ঝরে যাওয়া।
ঠোঁট, জিহ্বা, চোখ ও মুখ ফুলে যাওয়া।
চোখে চুলকানি, চোখ থেকে পানি পড়া, লাল হওয়া ও ফুলে যাওয়া।
শুকনো কাশি, হাঁচি, নাকে ও গলায় চুলকানি ও নাক বন্ধ হওয়া।
শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ চাপ লাগা ও শ্বাস নেওয়ার সময়ে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া।
বমি বমি ভাব, বমি, পেট ব্যথা, পেট কামড়ানো ও ডায়রিয়া।
নিচের তিনটি ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ—
ঔষধ খাওয়ার পরেও লক্ষণ দূর না হলে।
ডাক্তারের দেওয়া ঔষধ খাওয়ার পর নতুন লক্ষণ দেখা দিলে কিংবা সমস্যা আরও বেড়ে গেলে।
মারাত্মক এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে।
এলার্জিক উপাদানের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া থেকে খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রে অ্যানাফিল্যাক্সিস নামক একটি জরুরি অবস্থা তৈরি হতে পারে। এ অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এমন রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে। সময়মতো একটি ইনজেকশন দিলেই রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।
অ্যানাফিল্যাক্সিস হচ্ছে কি না যেভাবে বুঝবেন—
শ্বাসকষ্ট অথবা শ্বাস নেওয়ার সময়ে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া।
বুক-গলা আঁটসাঁট হয়ে আসছে বা আটকে আসছে বলে মনে হওয়া।
মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা অথবা গলা ফুলে যাওয়া।
ঠোঁট ও ত্বক নীল হয়ে যাওয়া।
জ্ঞান হারানোর মতো অনুভূতি হওয়া অথবা পুরোপুরি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
বিভ্রান্তি ও দুশ্চিন্তা।
মাথা ঘুরানো অথবা ভারসাম্য হারিয়ে
ফেলা।
বুক ধড়ফড় করা কিংবা শরীর ঘামে ভিজে যাওয়া।
চামড়ায় চুলকানিসহ লাল লাল ফুসকুড়ি বা র্যাশ হওয়া অথবা চামড়া ফুলে ওঠা।
শরীরের কিছু জায়গা থেকে চামড়া উঠে আসা কিংবা ফোস্কা পড়া।
এলার্জি আছে এমন খাবার ও ঔষধ, ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহৃত কন্ট্রাস্ট বা ডাই অথবা পোকামাকড়ের কামড় থেকে অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে পারে।
এলার্জির চিকিৎসাঃ
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে এলার্জি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ঘরোয়া প্রতিকার ও জীবনযাত্রা।
যেসব খাবার ও ঔষধে এলার্জি হয় সেগুলো এড়িয়ে চলবেন। হাঁপানি অথবা শ্বাসনালীর অন্য কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মোকাবেলায় শারীরিক ব্যায়াম, যোগব্যায়াম ও শ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।
এলার্জির চিকিৎসায় প্রধানতঃ অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এগুলো এলার্জির লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে—এমনকি লক্ষণ দেখা দেওয়ার পূর্বেও সেবন করা যায়। যেমন, কারও যদি ধুলাবালিতে এলার্জি থাকে এবং বিশেষ প্রয়োজনে তার ধুলাবালি পরিষ্কার করতে হয়, সেক্ষেত্রে আগেই অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করা যায়।
এসব ঔষধ বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। যেমন: ট্যাবলেট, সিরাপ ও ড্রপ। উল্লেখ্য, এলার্জির কিছু ঔষধ সেবনের পরে ঘুম ঘুম লাগা ও মাথা ঝিম ঝিম করার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত ঔষধটি বেছে নিন।
নাক বন্ধের সমস্যায় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নাক বন্ধের ড্রপ ও স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই ড্রপ ও স্প্রেগুলো এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করবেন না। দীর্ঘ সময় ব্যবহারে এলার্জির লক্ষণ আবার ফিরে আসতে পারে। ত্বকের এলার্জিতে বিভিন্ন ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ও মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলকানির সমস্যায় ক্যালামাইন লোশন ও ১% মেন্থল ক্রিম খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়াও তোয়ালেতে বরফ পেঁচিয়ে চুলকানির স্থানে ঠান্ডা সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। গুরুতর এলার্জিতে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে। স্টেরয়েড খুবই শক্তিশালী ঔষধ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বেশি। তাই ফার্মেসি থেকে নিজে নিজে এসব ঔষধ কিনে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কেবল ডাক্তারের পরামর্শক্রমেই নিয়ম মেনে এই ধরনের ঔষধ সেবন করা উচিত।
ইমিউনোথেরাপিঃ
গুরুত্বর এলার্জির জন্য ইমিউনোথেরাপি একটি কার্যকরী চিকিৎসা। এই চিকিৎসায় রোগীকে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের উপস্থিতিতে অভ্যস্ত করে তোলা হয়। এর ফলে পরবর্তীতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সেই অ্যালার্জেনের প্রতি পূর্বের মতো তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় না। ফলে লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে আসে।
ওপরে আলোচিত মারাত্মক এলার্জিক প্রতিক্রিয়া বা অ্যানাফিল্যাক্সিস হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অ্যানাফিল্যাক্সিস-এর লক্ষণ দেখা দিলে রোগীর ঊরুর বাইরের দিকে তাৎক্ষণিক একটি ইনজেকশন দিতে হয়। এই ইনজেকশনে অ্যাড্রেনালিন নামক জীবন রক্ষাকারী একটা হরমোন থাকে। এটি মৃত্যুঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
এলার্জি প্রতিরোধঃ
এলার্জি থেকে মুক্ত থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যেসব বস্তুতে এলার্জি রয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চলা। এলার্জি প্রতিরোধে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলুন—
এলার্জি ঘটায় এমন খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।
গৃহপালিত পশু-পাখির বাসস্থান বাড়ির বাইরে তৈরি করুন এবং তাদের নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
ডাস্ট মাইট নামক এক প্রকার অতিক্ষুদ্র পোকা থেকে এলার্জি প্রতিরোধ করতে বাড়ির যে জায়গাগুলোতে বেশি সময় কাটানো হয় সেগুলো ধুলামুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন। বিছানার চাদর, কাঁথা, বালিশ ও লেপের কভার, জানালার পর্দা—এগুলো সপ্তাহে অন্তত একবার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। যেসব জিনিস নিয়মিত ধোয়া যায় না সেগুলো বাসায় যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। যেমন: কার্পেট।
এ ছাড়া বিছানা গোছানো ও ঝাড়া-মোছা করার সময়ে ভালো একটা মাস্ক পড়ুন। যেসব জিনিস ভেজা কাপড় দিয়ে মোছা যায় সেগুলো ভেজা কাপড় দিয়ে মুছুন। এতে ধুলা ছড়াবে না।
ডাস্ট মাইট এক ধরনের ছোটো ছোটো পোকা। এগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখলে সাদা রঙের আট পা-ওয়ালা পোকার মতো দেখা যায়। আমাদের চামড়া থেকে যে মৃত কোষগুলো প্রতিদিন বিছানায়, কার্পেটে কিংবা সোফায় ঝরে পরে, এরা সেগুলো খেয়ে বেঁচে থাকে।
ছত্রাক বা মোল্ড থেকে সুরক্ষার জন্য বাড়ির পরিবেশ শুষ্ক রাখুন। পাশাপাশি বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা রাখুন। ঘরের ভেতর কাপড় শুকানো থেকে বিরত থাকুন এবং গাছ থাকলে সেটি সরিয়ে ফেলুন।
গরম বা ঘাম থেকে এলার্জি হতে পারে। তাই খুব পরিশ্রম করার পর শরীর গরম হলে বা ঘেমে গেলে বাতাস চলাচল করছে এমন স্থানে থাকুন এবং ঢিলেঢালা কাপড় পরুন।
ঠান্ডা থেকেও এলার্জির সমস্যা হতে পারে। এমন হলে বৃষ্টিতে ভেজা ও পুকুরে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। গোসলের সময়ে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
নির্দিষ্ট কিছু ধাতুতে কারোর এলার্জি থাকতে পারে। এসব ধাতুর তৈরি আংটি, গয়না ও ঘড়ি পরলে এলার্জি হতে পারে। নির্দিষ্ট কোনো ধাতুতে আপনার এলার্জি থাকলে দৈনন্দিন জীবনে সেই ধাতুর তৈরি জিনিস ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
ফুলের পরাগ রেণুতে এলার্জি প্রতিরোধের জন্য ঋতু পরিবর্তনের সময়ে যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে থাকুন। বাইরে গেলেও ঘরে ফিরে কাপড় পাল্টে গোসল করে ফেলুন, যেন পরাগ রেণু ধুয়ে চলে যায়। সম্ভব হলে ঘরের ভেতরে জামা-কাপড় শুকোতে দিন। তবে ছত্রাক যেন না জন্মে যায় সেই বিষয়েও খেয়াল রাখবেন। এ ছাড়া যে স্থানে ঘাসের পরিমাণ বেশি সেখানে হাঁটা-চলা করা থেকে বিরত থাকুন। বিভিন্ন প্রসাধনীতে থাকা কেমিক্যালে এলার্জি থাকতে পারে। যেমনঃ সাবান, শ্যাম্পু, ফেইসওয়াশ ও সুগন্ধিতে থাকা কেমিক্যাল। যেসব পণ্যে এলার্জি হয় সেগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
বিশেষ তথ্যঃ এলার্জি প্রতিরোধে ছোটো শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর অনেক সুফল রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে কেবল বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, জন্মের পর অন্তত প্রথম চার মাস শিশুকে কোনো শক্ত খাবার না দিয়ে কেবল বুকের দুধ খাওয়ালে সেটি এলার্জি প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে।
পরীক্ষাসমূহ ও রোগনির্ণয়ঃ
এলার্জির কারণ খুঁজে বের করার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসক বিভিন্ন প্রশ্ন ও শারীরিক পরীক্ষা করেন। তা ছাড়া অন্য কোনো রোগের কারণে এলার্জির মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখেন। এলার্জি শনাক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো হলো—
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন
যেসব খাবারে সাধারণতঃ এলার্জি হয় সেগুলো খাদ্যাভ্যাস থেকে বাদ দিয়ে দেখা হয় যে, এলার্জি নিয়ন্ত্রণে আসে কি না। পরবর্তীতে আবার খাবারগুলো খেতে শুরু করলে এলার্জি ফিরে আসে কি না তাও দেখার চেষ্টা করা হয়। সাধারণতঃ রোগী কোন ধরনের খাবার খাওয়ায় এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয় সেটি একটি ডায়েরিতে লিখে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে করে কোন কোন খাবারে রোগীর এলার্জি হয় তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
ত্বকের পরীক্ষাঃ
যেসব পদার্থে এলার্জি হয় সেসবকে অ্যালার্জেন বলে। ত্বকের পরীক্ষাতে অ্যালার্জেন যুক্ত অল্প একটু তরল বাহুর ওপরে দেওয়া হয়। এরপর সুঁই দিয়ে সেই জায়গায় সামান্য একটু ছিদ্র করা হয়। এলার্জি থাকলে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঐ স্থানটি চুলকাতে শুরু করে এবং লাল হয়ে যায়। উল্লেখ্য, পরীক্ষার আগে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না।
রক্তের পরীক্ষাঃ
এই পরীক্ষাতে রক্তের নমুনা নিয়ে নির্দিষ্ট অ্যালার্জেন-এর বিপক্ষে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না সেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়।
প্যাচ পরীক্ষাঃ
এই পরীক্ষাতে শরীরে ‘কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস’ নামক এক ধরনের একজিমা বা এলার্জিজনিত চর্মরোগের উপস্থিতি পরীক্ষা করে দেখা হয়।
চ্যালেঞ্জ পরীক্ষাঃ
এই পরীক্ষাটি অল্প কিছু ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে। এমন জায়গায় পরীক্ষাটি করতে হয় যেখানে গুরুতর এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে জরুরি চিকিৎসা করানো সম্ভব। এই পরীক্ষায় নির্দিষ্ট কোনো খাবারে এলার্জি থাকলে সেই খাবারটি রোগীকে খাওয়ানোর মাধ্যমে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা হয়। খাবারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানোর মাধ্যমে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া বেড়ে যাচ্ছে কি না সেটিও দেখা হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
এলার্জি পরীক্ষায় এলার্জি কিট এর ব্যবহার নির্ভরযোগ্য নয়। তাই এই কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা এড়িয়ে চলাই ভালো।
জেনে রাখা ভালোঃ
অনেক সময় সেন্সিটিভিটি ও অসহনীয়তা বা ইনটলারেন্স-এর সমস্যাকে প্রাথমিকভাবে এলার্জির সমস্যা মনে হতে পারে। এলার্জি, সেন্সিটিভিটি ও অসহনীয়তার পার্থক্য জানা থাকলে চিকিৎসায় ত্রুটি এড়ানো সহজ হবে।
এলার্জিঃ সাধারণত ক্ষতি করে না এমন উপাদান শরীরে প্রবেশের পর প্রতিরোধ ব্যবস্থা থেকে তৈরি প্রতিক্রিয়ার নামই এলার্জি। যেমনঃ নাকে ধুলাবালি প্রবেশ করলে হাঁচি-কাশি হওয়া।
সেন্সিটিভিটিঃ কোনো উপাদান কারোর শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেললে তাকে সেই উপাদানের প্রতি সেন্সিটিভিটি বলা হয়ে থাকে। যেমন: এক কাপ কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করলে বুক ধড়ফড় করতে পারে এবং শরীরে কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।
অসহনীয়তাঃ কোনো উপাদানের প্রভাবে শরীরে অস্বস্তিকর লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঘটনাকে ইনটলারেন্স বা অসহনীয়তা বলা হয়। যেমনঃ দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরে ডায়রিয়া হওয়া। উল্লেখ্য, এই ধরনের প্রতিক্রিয়ার সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সম্পর্ক থাকে না।