কিভাবে একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে পারবেন

Elementor – ইহা হলো একটি পেজ বিল্ডার (page builder) প্লাগিন, যার মাধ্যমে আপনি নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের পেজ গুলি ডিজাইন (design) করতে পারবেন। তবে, ব্লগের landing page তৈরি করার জন্য, elementor সব থেকে সেরা।

Yoast SEO – Yoast SEO plugin, একটি ব্লগের আর্টিকেল গুলি সঠিক ভাবে on-page seo optimization করার জন্য লক্ষ লক্ষ লোকেরা ব্যবহার করেন।

Wordfence security – নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করার পর, সবচেয়ে আগেই আপনার এই “Wordfence security plugin” ইনস্টল এবং ব্যবহার করা উচিত।  

কারণ এর মাধ্যমে, আপনার ওয়েবসাইট অনেক ক্ষেত্রে, hack হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন। তাছাড়া, firewall এবং security scanner এর মাধ্যমে, নিজের ওয়েবসাইটটি “malware virus” থেকে মুক্ত রাখাটাও সম্ভব।

 Autoptimize – এই প্লাগিন এর মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইটটি অনেক সহজেই optimize করতে পারবেন। ওয়েবসাইটের database optimize করা, caching এর মাধ্যমে লোডিং স্পিড দ্রুত করা, css / JavaScript minify এবং optimize করা, lazy load images এবং আরো অন্যান্য features দেয়, যার ফলে আমাদের ব্লগ অনেক ফাস্ট (fast) হয়ে থাকতে পারে।

Broken link checker – এই প্লাগিন এর মাধ্যমে, আপনারা নিজের ব্লগ এবং ব্লগের আর্টিকেল গুলিতে থাকা broken link গুলির ব্যাপারে জেনে যেতে পারবেন।

Imagify – এই প্লাগিন এর মাধ্যমে আপনারা নিজের ব্লগে ব্যবহার করা ছবি গুলির সাইজ ছোট করে নিতে পারবেন।

তাহলে, মনে রাখবেন যে ওপরে দেওয়া প্লাগিন গুলি অনেক জরুরি এবং কাজের। তাই, প্রত্যেকটি প্লাগিন অবশই ব্যবহার করবেন।

যদি আপনারা জানেননা যে, কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিন ইনস্টল করতে হয়, তাহলে জেনে নিন।

নিজের WordPress dashboard এ যেতে হবে।
তারপর, “Plugins” এ ক্লিক করে “Add new” অপশনে ক্লিক করুন।

এবার, সার্চ বাক্সে plugin এর নাম লিখে সার্চ করুন।
এখন, যদি আপনি আপনার সার্চ করা প্লাগইনটি দেখতে পান, তাহলে সেখানে থাকা “Install” বাটনে ক্লিক করুন।

Plugin install হওয়ার পর, “Activate“ বাটনে ক্লিক করুন। এভাবে, আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিন ইনস্টল করতে পারবেন।

এখন আপনার ব্লগ সেটআপ (blog setup) নিয়ে সব রকমের কাজ হয়ে গেছে। আশা করছি এখন আপনার সম্পূর্ণ ব্লগের structure তৈরি হয়ে গেছে।

তবে, এখন আমাদের কাছে blogging এর সাথে জড়িত অনেক জরুরি বিষয়টি রয়ে গেছে। সেটা হলো, “নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখা“.

আপনার লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমেই ব্লগে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসবে। তাই, যেগুলি আর্টিকল আপনি লিখবেন সেগুলি সব ইউনিক (unique) এবং সম্পূর্ণ ডিটেল (details) সহ লিখতে হবে।

সোজা ভাবে বললে, আপনাকে একটি সেরা আর্টিকেল তৈরি করতে হবে, যেটা পড়ে লোকেরা রুচি পাবে।

তাছাড়া, ব্লগে আর্টিকেল লেখার বিষয়টি নিয়ে আপনার কিছু জরুরি তথ্য জেনে নিতে হবে।

Content should be unique : মনে রাখবেন, আপনার ব্লগের লেখা আর্টিকেল গুলি যতটা ইউনিক (UNIQUE) এবং অরিজিনাল (original) থাকবে, ততটাই ভালো হবে। কারণ, গুগল অরিজিনাল এবং ইউনিক কনটেন্ট অনেক পছন্দ করে।

Detailed in-dept articles : যেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত (detailed) আর্টিকেল লিখবেন। যাতে, আপনার ভিসিটর্সরা আপনার আর্টিকেলটি পড়ে, সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া, যত বেশি বিস্তারিত কনটেন্ট হবে, গুগল আপনার লেখার আর্টিকেল ততোটাই বেশি পছন্দ করবে।

Should use related images : আপনার লেখা আর্টিকেলের সাথে জড়িত ছবি (images) ব্লগে ব্যবহার করবেন। এতে, user-experience ভালো হওয়ার সাথে সাথে, SEO bounce rate নিয়ন্ত্রণ রাখা যেতে পারে।

Simple and readable content : ব্লগে আর্টিকেল এভাবে লিখবেন, যাতে সহজেই জেকেও পড়ে বুঝতে পারে। অনেক সহজ এবং সরল ভাবে লেখার চেষ্টা রাখবেন।

Short paragraphs : কনটেন্ট গুলি ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখবেন। এতে, ভিসিটর্সরা সহজে বিষয় গুলি বুঝতে পারবেন এবং আর্টিকেল পড়ে ভালো পাবেন।

Publish articles on a regular basis : ব্লগে সপ্তাহে ২ থেকে ৪ টি আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টা রাখবেন। রেগুলার আর্টিকেল পাবলিশ করা ব্লগ গুলি, গুগলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

Problem solving and user intend based articles : আর্টিকেল লিখার সময়, নিজেকে ইউসার বা ভিসিটর এর জায়গায় রেখে আর্টিকেল লিখতে হবে। ধ্যান দিতে হবে যে, আপনার ভিসিটর্স আপনার থেকে কোন সমস্যার সমাধান চাইছেন।

এবং, আপনি কি সোজা ভাবে তাদের সমস্যার সমাধান বলে দিতে পারছেন ? আপনার ইউসার আপনার থেকে কি জেনে নিতে চাচ্ছেন, সেটা বুঝে আর্টিকেল লিখতে হবে।

 ব্লগে আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় ?

তাহলে বন্ধুরা, ব্লগিং এ সফলতা পাওয়ার জন্য, ওপরে বলা content writing tips গুলি অবশই ধ্যান দিয়ে বুঝে নিতে হবে।

কারণ, আপনার লেখা আর্টিকেলের কোয়ালিটি এবং চাহিদার ওপরেই, ব্লগিং এর আপনার সফল হওয়া এবং না হওয়াটা নির্ভর করবে।

 Blog এবং ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলিতে SEO র ব্যবহার :

মনে রাখবেন, আপনার ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলি, Google search engine এ ভালো করে রাংক (rank) করানোর জন্য, SEO র জ্ঞান থাকাটা অনেক জরুরি।

SEO মানে কি ?

SEO র মাধ্যমে, আমরা আমাদের লেখা আর্টিকেলের  বিষয়, টপিক, কীওয়ার্ড (keyword) বা উদ্যেশ্য  গুগল সার্চ এলগোরিদম (google search algorithm) গুলিকে সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারি।

এতে, গুগল আমাদের কন্টেন্টের মূল keywords গুলির বিষয়ে জেনে নিতে পারে এবং ফলে, বিভিন্ন keywords বা search terms গুলির জন্য google তার SERP এ ব্লগের আর্টিকেল গুলি, ভালো অবস্থানে (position) রাংক (rank) করে।

তাই, একজন ব্লগার হিসেবে আপনার “seo র ব্যাপারে” জানাটা অনেক জরুরি।

তাছাড়া, SEO র ব্যবহার না করে, আপনারা গুগল থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পাওয়ার আশা করে কোনো লাভ নেই।

আর্টিকেলে SEO র ব্যবহার কিভাবে করবেন ?

ব্লগে SEO আবার দুই মাধ্যমে করা যেতে পারে।

On page SEO 

Off page SEO 

অন পেজ এসইও অপ্টিমাইজেশন কি ?

অফ পেজ এসইও কি ? কিভাবে করবেন 

যদি আপনি, ব্লগের SEO র ব্যাপারে কিছুই জানেননা, তাহলে সবচে আগেই এসইও নিয়ে জ্ঞান নিয়ে নেওয়াটা অনেক জরুরি।

 নিজের ব্লগটি google search console এ জমা দিন । এখন, আপনার ব্লগ সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে গেছে।

তবে, এখনো একটি জরুরি স্টেপ রয়ে গেছে। সেটা হলো, “নিজের ব্লগটি google search console এ জমা দেয়া“।

যদি আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটটি Google  search console এ জমা দিয়ে verify করেন, তাহলে তারপর থেকে আপনার ব্লগ এবং ব্লগের আর্টিকেল গুলি গুগল সার্চে এর মাধ্যমেই জমা দিতে পারবেন।

তাছাড়া, আপনার ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত আরো অন্যান্য তথ্য এখানে দেখতে পাবেন।

মনে রাখবেন, ব্লগে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলি সাথে সাথে গুগল সার্চে জমা দেওয়ার জন্য, এই Google search console ব্যবহার করতে হবে।

Blog থেকে টাকা আয় করুন :

এখন, আপনার একটি ব্লগ সঠিক ভাবে তৈরি হয়ে গেছে এবং ব্লগে লেখা আর্টিকেল গুলি গুগল সার্চে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও আপনি জেনে নিলেন।

তবে, রেগুলার কিছু মাস ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে ব্লগে পাবলিশ করার ফলে, গুগল সার্চ থেকে ভালো পরিমানে “organic search traffic” আপনার ব্লগে আশা শুরু হবে।

এবং, একবার আপনার ব্লগে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আশা শুরু হয়ে গেলেই, আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের ব্লগ থেকে অনলাইন টাকা আয় করতে পারবেন।

যেমন, গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, product promotion এবং আরো অন্যান্য কিছু উপায় ব্যবহার করে।

৩ মাধ্যমে গুগল থেকে টাকা আয় করুন 

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় 

ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় কিভাবে করবেন ?

বর্তমান সময়ে ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন (How To Start Blogging In 2023), এই ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নিলাম।

তবে এটা আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার এর কেবল আরম্ভ হওয়া এবং এখনো আপনার বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান নিতে হবে।

যেমন, SEO, branding, backlinks, affiliate marketing এবং আরো অনেক অনেক বিষয়ে।

একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য কিছু সময় অবশই লাগবে। তবে, আপনার নিজের থেকে নতুন নতুন জিনিস শিখে, সেগুলি নিজের ব্লগে এপ্লাই (apply) করে দেখতে হবে।

কেবল এভাবেই, আপনি বুঝতে পারবেন যে, কোন জিনিস গুলি আপনার ব্লগের ক্ষেত্রে কাজে আসছে।

তাছাড়া, অন্যান্য ব্লগিং টিউটোরিয়াল আর্টিকেল গুলি পড়তে থাকবেন এবং এভাবে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে নিজের জ্ঞান বাড়াতে থাকতে হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *