গুটি বসন্ত ও ব্ল্যাক ডেথ প্লেগ
১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে দেখা দেয় ব্ল্যাক ডেথ প্লেগ এবং তা বহাল থাকে ১৩৫৩ খ্রি. পর্যন্ত। ব্ল্যাক ডেথ প্লেগের কারণে ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ মানুষ মারা য়ায়।
এত মানুষ মারা যেত যে, কবর দেওয়ার মানুষ পাওয়া যেত না। তখন বাধ্য হয়ে গণ কবর দেওয়া হতো।
ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে ইহা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। প্লেগের পর ইউরোপে শ্রমিকের চাহিদা ও মজুরি বেড়ে যায় ।
তখন বিজ্ঞানীরা শ্রমিকের বিকল্প কী করা যায় সে দিকে লক্ষ্য রেখে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
১৪৯২ সালে কলম্বাস কর্তৃক আমেরিকা আবিষ্কারের পরে ষোলো শতকে ইউরো- পীয়রা আমেরিকার ক্যারিবীয় অঞ্চলে গুটি বসন্তের জীবাণু ছেড়ে দেয়। এতে আজটেক সভ্যতা, আজটেক জাতি ধ্বংস হয়ে যায়।
১৫০১ সালে হিস্পানীয় দ্বীপে লোক সংখ্যা ছিল ৬০০০০। ১৫৩৮ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫০০ জনে।
ইউরোপীয়ানরা নির্মমভাবে আমেরিকার আদিবাসীদের হত্যা করে তাদের দেশ, সম্পদ দখল করে। অথচ তারা আজ সাধু! নির্মম পরিহাস!
১৬৬৫-১৬৬৬ সালে লন্ডনে আবারও ব্ল্যাক ডেথের প্লেগ দেখা দেয়। তাতে লন্ডনের এক লক্ষ লোক মারা যায়, যা ছিল লন্ডনের মোট জন সংখ্যার ১৫ শতাংশ।
১৭২০-১৭২৩ সালে ফ্রান্সের মার্সাই বন্দর ও আশেপাশের এলাকায় প্লেগ রোগে এক লক্ষ লোক মৃত্যুবরণ করে।
১৭৫৭-১৭৭২ সময়ের রাশিয়ার রাজধানী মস্কো শহরে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে।
লৌহ মানবী দ্বিতীয় ক্যাথারিন তখন রাশি- য়ার সম্রাজ্ঞী। তিনি কঠোর কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারপরেও লক্ষাধিক লোক মারা যায়।