ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার হিসেবে কেমন হবে , ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কি কি করতে পারবেন

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন 2023 :

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন সম্পর্কে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং এর চাহিদা উচ্চহারে বাড়ছে।

বর্তমান সময় হল ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ। বর্তমানে যত রকমের কাজকর্ম হচ্ছে সবই প্রায় ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে।

আর সাধারনত এর পরিপ্রেক্ষিতে বড় বড় যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা তাদের পণ্য প্রোডাক্ট প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করছে।

কেননা আদিম যুগের সনাতন মার্কেটিং করার পদ্ধতির চেয়ে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তাই সাধারণত ব্যবসা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রচারণা এখন অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে।

তাছাড়া ক্যারিয়ার হিসেবে অনেকেই এই ডিজিটাল মার্কেটিং কে নিজের পেশা হিসেবে বেছেও নিচ্ছেন। অনেকে সফল হয়েছেন এর মাধ্যমে এবং নিজের সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন।

প্রতিদিন নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে, নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এই নতুন সবকিছু মানুষের কাছে জানানোর জন্য একজন মার্কেটার এর প্রয়োজন।

এছাড়া পুরাতন ব্যবসা গুলোতে বিভিন্ন ধরনের নতুন পণ্য আসে। তার জন্য ও মার্কেটিং প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ে ৮৬% কোম্পানি তাদের মার্কেটিং এর জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি কেই বেচে নিয়েছে। অন্যদিকে এই সেক্টরটা অনেক বড় সড়, তাই এতে কাজের কোন শেষ হবে না। এখন, আপনি নিজেই ভেবে দেখুন ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং কেমন হবে।

এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে,

যেমনঃ বিশ্বে শেরা একশটা চাকরির মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং ৩১ তম।

এ ছাড়া একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর বাৎসরিক আয় ৮৯ লক্ষ টাকা।

ডিজিটাল মার্কেটার এর বেকারত্বের হার ১.৮%।

ডিজিটাল মার্কটিং কিভাবে শিখবেন?

আপনি অনেকভাবেই শিখতে পারবেন। এখন কথা হল, কিভাবে শিখলে আপনি সহজেই শিখতে পারবেন। কয়েকটি প্রকার –

অনলাইনে কোর্স করা

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে সকল কিছু শিখতে পারবেন। আপনি ইউডেমি, কোর্সেরা, স্কিলশেয়ার এর মত প্রতিষ্ঠান গুলো থেমে অল্প টাকায় একদম প্রফেশনাল কোর্স গুলো করতে পারবেন।

এই কোর্সগুলো ইংরেজি ভাষায় তাই আপনাকে অল্প একটু হলেও ইংরেজি জানতে হবে।

গুগলের প্রফেশনাল ফ্রি কোর্সটি করতে পারেন।

ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিখা:

আপনার আশে পাশে অনেক ট্রেনিং সেন্টার পাবেন। যেখান থেকে আপনি কোর্স করে শিখে নিতে পারবেন।

ট্রেনিং সেন্টার এ শিখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক এবং ভালো মানের ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিখবেন। অন্যতায় আপনার সময় এবং টাকা দুইটাই বৃথা যাবে।

প্রাইভেট টিউটর এর কাছ থেকে শিখা :

একটু খোজ নিলেই আপনার আশেপাশে অনেক প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার পাবেন। যাদের কাছ থেকে আপনি প্রাইভেটলি শিখতে পারবেন।

শিখার ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে সেরা মাধ্যম। কারন, আপনি সবকিছু সঠিকভাবে বুঝতে এবং সহজ ভাষায় শিখতে পারবেন।

নিজে নিজে শিখা :

আপনি যদি উপরের কোন মাধ্যমেই নয় নিজে নিজে শিখবেন তাহলেও পারবেন। এর জন্য আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে।

নিজে নিজে শিখার জন্য আপনাকে গুগল এবং ইউটিউব থেকে একটা একটা সার্চ করে খুজে খুজে শিখতে হবে। আপনার অজানা সবকিছুই  গুগল  এবং ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারবেন।

নিজে নিজে শিখার ক্ষেত্রে –

তাদের জন্য আমার ছোট একটা টিপস, নিচে দেখেন প্রায় ৪০টা প্রশ্ন দিয়েছি। প্রশ্ন গুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে একটা একটা করে রিসার্চ করতে হবে, গুগল, ইউটিউবে।

উদাহরণ স্বরূপ –

=> What is Digital Marketing? এই কীওয়ার্ড টা প্রথমে নিবেন, তারপর গুগলে সার্চ দিবেন, যে ওয়েবসাইট গুলো আসবে, সেগুলো থেকে প্রথম ৫/৬ টা সাইটে ভিজিট করবেন এবং মনোযোগ সহকারে প্রতিটা কন্টেন্ট পড়ার চেষ্টা করবেন।

=> গুগলে রিসার্চ করার পর ইউটিউবে যাবেন, একই ভাবে সার্চ করবেন, ইউটিউব থেকেও ৫-৬ টা ভিডিও দেখার চেষ্টা করবেন। আশা করি, অনেকটা ধারণা পেয়ে যাবেন। অন্নত পক্ষে বেসিক একটা স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।

=> এইভাবে ৪০টা প্রশ্ন রিসার্চ করুন, ধাপে ধাপে।

  1. What is Digital Marketing?
  2. What is the difference between digital marketing and internet marketing?
  3. What is the difference between digital marketing and traditional marketing?
  4. What are the types of digital marketing?
  5. What are the benefits of digital marketing
  6. Why digital marketing is so important?
  7. Is Digital Marketing the future?
  8. What jobs are in digital marketing?
  9. What skills do you need for digital marketing?
  10. How to become a digital marketer?
  11. What is the Website?
  12. What are domain and hosting?
  13. How to buy domain and hosting?
  14. What is a niche?
  15. What is Blog?
  16. What is the difference between website and blog?

17 Blog or website which is better?

  1. What is the difference between blog and vlog?
  2. How to start an online blog?
  3. The free website creates the list.
  4. What is SEO?
  5. What is SEM?
  6. What is SMM?
  7. What is PPC?
  8. What is CPC?
  9. What is Email Marketing?
  10. What is Affiliate Marketing?
  11. What is CPA Marketing
  12. What is Content Marketing?
  13. What is Inbound Marketing?
  14. What is E-commerce marketing?
  15. What is the difference between SEO and SEM
  16. What is the difference between SEO and SMM
  17. What is the difference between SEO and PPC
  18. What is the difference between PPC and CPC
  19. Which is better SEO or SEM?
  20. Why SEO and SMM are more important?
  21. Digital Marketing glossary.
  22. Introduce Digital Marketing experts in the world.
  23. Some important websites for learning Digital Marketing update.

 অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা যে ওয়েবসাইট গুলো ফলো করবেন –

SmartBlogger.com

Copyblogger.com

https://neilpatel.com/
https://blog.hubspot.com/
https://moz.com/blog

http://www.seobook.com/blog

https://cognitiveseo.com/blog/
https://www.wordtracker.com/blog
https://yoast.com/seo-blog/
https://www.crazyegg.com/blog/
https://backlinko.com/blog
https://buffer.com/resources/
https://www.socialmediaexaminer.com/

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি কি কি করতে পারবেন?

প্রথমেই বলেছি, এই সেক্টরটা অনেক বড় এক্ষেত্রে আপনার কাজের কখনো অভাব হবে না। তারপরও কয়েকটা মাধ্যম সম্পর্কে জেনে নিই।

মার্কেটার হিসেবে কাজ করা :

প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানির প্রচারণা করার জন্য একজন মার্কেটার এর প্রয়োজন হয়। তারা প্রতিনিয়ত একজন প্রফেশনাল মার্কেটার খুঁজে থাকে।

এতে আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মার্কেটার হন তাহলে আপনি এদের হয়ে কাজ করতে পারবেন।

ফ্রিলান্সার হিসেবে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করা:

ফাইভার, আপওয়ার্ক এর মত ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আপনি একজন ফ্রিলান্সার হিসেবে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে পারবেন।

সার্ভিস দেওয়া :

আপনার যে দক্ষতা গুলো আছে সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন সার্ভিস দিতে পারেন। যেমন: এসইও সার্ভিস, মার্কেটিং সার্ভিস, কনটেন্ট তৈরি সার্ভিস ইত্যাদি। আপনি পার্টটাইম বা নির্দিষ্ট কাজের পরিমাণ অনুযায়ী পেমেন্ট ধার্য করে দিতে পারেন।

কোর্স করানো :

এই সেক্টর এ আপনি যখন একেবারে মাস্টার হয়ে যাবেন তখন আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে কোর্স করাতে পারেন। এতে নিজের ব্র্যান্ড ভালো বৃদ্ধি পাবে পাশা পাশি নিজের দক্ষতা আরো বাড়বে।

নিজে ব্যবসা করা :

আপনার যখন মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা থাকবে, আপনি নিজেই যখন মার্কেটিং করবেন তখন আপনি সহজেই সামান্য পুঁজি দিয়ে অনলাইন বা অফলাইনে যে কোন একটা ব্যবসা করতে পারবেন। এরপর আপনি নিজেই সঠিকভাবে প্রচারণা করে ব্যবসাটাকে আরো উন্নতি করে নিতে পােবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *