ফাইবার ও আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ২টির মধ্যে কোনটিতে বেশি কাজ পাওয়া যায়?

Moinul Karim Labib
Freelance Writer.

Upwork এবং Fiverr দুটোই বেশ জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।

উভয় মার্কেটপ্লেসেই লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্ট রয়েছে।

তাহলে, কোন মার্কেটপ্লেসে আপনি বেশি ক্লায়েন্ট পাবেন?

এটি নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরনের উপর।

Upwork সাধারণত বড় প্রকল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির জন্য উপযুক্ত।

এই মার্কেটপ্লেসে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ পাবেন, যেমন- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।

Fiverr সাধারণত ছোট প্রকল্প এবং একক কাজের জন্য উপযুক্ত।

এই মার্কেটপ্লেসে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ পাবেন, যেমন- লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন,

কিভাবে ফাইবার থেকে বেশি কাজ পাওয়া যায়?

এমন গিগ সিলেক্ট করুন, যেখানে কম্পিটিটর ১৫০০ থেকে থেকে বেশি কিন্তু ১৫০০০ হাজারের নীচে।

১৫০০ থেকে কম কম্পিটিটর আছে মানে, এই গিগের বা সার্ভিসের তেমন চাহিদা নাই, তাই আপনি যদি ১ম পাতায়ও থাকেন , আপনি তেমন অর্ডার পাবেন না।

আবার ১৫০০০ হাজারের বেশি কম্পিটিটর মানে হচ্ছে এখানে কম্পিটিটর অনেক বেশি। অর্থাৎ ১ম পেইজে আসাটা অনেক ডিফিকাল্ট।

আবার আসলেও অন্য সবাই হয়তো এত বেশি সিনিওর সেলার হবে যে তাদের সাথে অর্ডার করে পারবেন না।

কেউ যদি আপনার সার্ভিস বা গিগের জন্যে মেসেজ দেয়, তাকে যেভাবেই হোক অর্ডার করানোর চেস্টা করুন।

ফাইভার যে বেশি কনভার্ট করতে পারে, তাকে আরো বেশি মেসেজ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় ।

কিন্তু অর্ডার নেয়ার ক্ষেত্রে একটা জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখবেন, কাজটা যেন আপনি ঠিকমত ডেলিভারি দিতে পারেন।

নাহলে অর্ডার ক্যান্সেল হবে, আর আপনি অর্ডার পাওয়ার চান্স আরো কমে আসবে।

আপনার কম্পিটিটরদের এনালাইজ করে তাদের চেয়ে দাম অনেকটা কম রাখার চেস্টা করুন।

যেমন যদি একটা গিগের জন্যে এভারেজ প্রাইস হয় ১৫ ডলার, আপনি ৫ ডলারে দিন শুরুতে।

আর যদি এভারেজ প্রাইস ৫ ডলার হয়, তাহলে চেস্টা করুন অন্যদের চাইতে বেশি ডেলিভার করার।
ইহাতে বায়াররা আপনাকে বেশি মেসেজ দিবে।

প্রত্যেকটা অর্ডার কমপ্লিট হয়ার পর ডেলিভারি দেয়ার আগে জিজ্ঞেস করুন, Are you really satisfied?

যদি হ্যা বলে তাহলে সে অবশ্যই আপনাকে ৫ স্টার রিভিউ দিবে, আর যদি না হয়, তাহলে অবশ্যই যে কারনে স্যাটিস্ফাইড না, সেটা সল্ভ করে তারপর ডেলিভারি দিন ।

আমি ওয়েব ডেভলপারের হয়ে কত দিন সময় লাগতে পারে ফাইভার বা আপওয়ার্কে কাজ পেতে?

ফাইভার, আপওয়ার্কে কাজ পেতে কত দিন লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। ১ দিনও লাগতে পারে বা ১ মাস/ ১ বছরও লাগতে পারে।

কিন্তু আপনাকে নিয়ম মেনে সুন্দর ভাবে নিজের প্রোফাইল সাজাতে হবে এবং প্রতিদিন অফার পাঠাতে হবে।

ফাইভারে গিগটা ভালোভাবে সাজাতে পারলে অফার পাঠানো ছাড়াও কাজ পাবেন।

আর আপওয়ার্কে কাজ পেতে হলে অফার লেটারটাই মেইন। অফার লেটার ভালো না হলে কাজ পাওয়া কঠিন।

তা ছাড়া যেসব কাজের স্কিল আপনার প্রোফাইলে দেওয়া স্কিল এর সাথে ম্যাচ করবে, সেসব কাজে বিড করলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

তাই কাজ না পেলে হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। অন্যরা যেহেতু পেরেছে, আপনিও পারবেন। ধন্যবাদ।

আমি কি আমার ফাইভার এবং আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে একসাথে একটি পেওনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারি?

হ্যাঁ আপনি অবশ্যই ব্যাবহার করতে পারবেন । যেহেতু ফাইভার এন্ড আপওয়ার্ক দুটি আলাদা আলাদা মার্কেটপ্লেস তাই তারা কখনো এটা নিয়ে কোনো সমস্যা করবে না ।

আপনি চাইলে আরো অন্য মার্কেটপ্লেস একই একাউন্ট যোগ করতে পারবেন কোনো সমস্যা
হবে না । 

ফাইবার, আপওয়ার্ক-এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে গেলে কী করতে হবে?

এটা ফ্রিল্যান্সিং জগৎ এর সবচেয়ে পরিচিত প্রশ্ন, এটার উত্তর হিসাবে অনেকেই অনেক মতামত পেশ করেন।

আমার কাজ থেকে দেখা & শিখা, তাই জীবন থেকে নেওয়া কিছু পরামর্শ দিতে পারি, আশা করি কাজে দিবে।

প্রথমত আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কি হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং জগৎ এ কাজ করবেন? অল্প দিনের জন্য নাকি পুরো বাকি সময় জুড়ে?

যদি আপনি অল্প সময়ের জন্য সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আমার পরামর্শ হলো :

” আপনার সময় নষ্ট করার কোন দরকার নাই, তার চেয়ে বরং চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিন, কাজে দিবে, আর যদি ফুল টাইম কাজ করার সিধান্ত নেন তাহলে নিচের পরামর্শ গুলো শুধু আপনার জন্যই।

আমার একজন ওয়েব ডেভলপার হতে ৬ মাস সময় লেগেছে। এখন ফাইভার বা আপওয়ার্ক-এ কাজ পেতে কতদিন সময় লাগতে পারে?

প্রথমেই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং জগতে স্বাগতম জানাচ্ছি।

আমি নিজেও ওয়েব ডিজাইন এবং মোশন গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করছি ফাইভারে।

শুরুতে তেমন বড় প্রোজেক্ট না পেলেও এখন আমি অনেক প্রোজেক্টই বাতিল করে দিতে হয়।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন শুধুমাত্র শুরুটা করতে পারলেই আর কাজ নিয়ে বা আয় নিয়ে আর চিন্তা করতে হবেনা ইনশাল্লাহ।

তাই ভালোভাবে প্রোফাইল তৈরি করার পর খুব ভালো করে গিগ মার্কেটিং করতে হবে।

গিগ মার্কেটিং করলে শতভাগ দ্রুত কাজ পাওয়া শুরু করবেন।

ফাইভার গিগের শেয়ারের জন্য লিংক তৈরি করে দেয়া থাকে যেটা আপনি বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন।

এছাড়া গিগে লাইক নিতে হবে প্রতিদিন। এজন্য ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে সে গুলোতে এড হয়ে যেতে পারেন।

আপওয়ার্ক বা ফাইভারে নিজের প্রথম কাজ পাওয়ার সহজ উপায় কী?

সহজ উপায় বলে কিছু নাই, কঠোর পরিশ্রম আর লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে ।

একটা কথা মনে রাখবেন জগতে কোন কিছু সহজ নয় আবার অসম্ভব ও নয়। তবে হ্যাঁ কিছু টেকনিক তো অবশ্যই আছে যা আপনি মেনে চললে কাজ পাবেন আশা করি।

আরেকটি বিষয় ফাইবার আর আপওয়ার্ক সম্পূর্ণ আলাদা মার্কেটপ্লেস।

আজ শুধু ফাইবার নিয়ে বলি।

০১. গিগ ইমেজ বোধগম্য ও মোটামুটি ডিজাইন করুন।

০২. গিগ ইমেজের কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত, সাইজ ১১০০ /৭৪০ নিতে পারেন।

০৩. খুবভালো ভাবে গিগ ইমেজ মার্কেটিং করা ইমপ্রেসন ভিউ বাড়াতে হবে।

০৪. টিম ওয়ার্ক কাজ করা।

০৫. প্রতিদিন ফাইবারে বায়ার রিকুয়েষ্ট দেয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কপাল ভালো হলে কাজ পেয়েও জেতে পার

ফাইবার ও আপওয়ার্ক দুটি মার্কেটপ্লেস সমৃদ্ধ এবং বিশাল কাজ সংক্রান্ত সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, কোনটিতে বেশি কাজ পাওয়া যাবে তা নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, বিষয়বস্তু এবং মার্কেট পরিচিতির উপর।

কিছু ক্ষেত্রে একটি মার্কেটপ্লেসে বেশি কাজ পাওয়া যায়, আর অন্যখানে অন্য মার্কেটপ্লেসে।

ফাইবার:

বিশেষজ্ঞতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে গভীর পর্যালোচনা এবং স্পেশালাইজেশনের দরকার।

গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, লেখালেখি ইত্যাদি এই ধরনের দক্ষতা বিষয়কে ফাইবারে বেশি কাজ পাওয়া যেতে পারে।

আপনার পেশাদার প্রোফাইল, প্রতিষ্ঠান মান এবং পূর্ববর্তী প্রজেক্টের বিশেষত্ব গুলি বিশ্লেষণ করা হয়।more https://www.profi

ফাইভার মার্কেট প্লেসের বাইরে কিভাবে কাজ পাওয়া যায়?

ফাইভারে আপনি যে ক্লায়েন্টের কাজ করবেন,তাদের ইউজার নেম দিয়ে গুগলে সার্চ করবেন,তাদের লিঙ্কডিন,টুইটার বা ফেসবুক এই ৩টা সাইটের একটাতে হলেও তাকে পাবেন।

এবার সেখানে তাকে ফলো করবেন,এভাবে কিছুদিন করলে সে আপনার ক্লায়েন্ট হবে।

এটা মার্কেটপ্লেসের বাইরে ক্লায়েন্ট খুজে বের করার উপায় বললাম।

আর মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করতে হলে আপনাকে ইংরেজি কমিনিকেশনে খুব দক্ষ হতে হবে।

আপনার একটা প্রফেশনাল ওয়েবসাইট থাকতে হবে,সোশ্যল মিডিয়াতে প্রচুর এনগেজ থাকতে হবে,গুগল সার্চে হিউজ ধারনা থাকতে হবে,কারন মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট ১হাজার পেলে,ফ্রিলান্সার সেখানে ১০হাজার।কিন্ত মার্কেটপ্লেসে বাইরে আপনি ফ্রিলান্সার পাবেন না।

ফাইবারে কোন কাজটি বেশি পাওয়া যায়?

ফাইভার অনেক বড় একটি মার্কেট প্লেইছ। আপনি চাইলে আপনার পছন্দ মত কাজ করতে পারবেন।

আর কোন কাজই সহজ না যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সে কাজে এক্সপার্ট হতে পারবেন।

আপনি যদি কোন কাজ না শিখেন না পারেন তাহলে সব থেকে সহজ কাজটা আপনার কাছে কঠিন মনে হবে। সুতরাং আপনাকে আগে কাজ শিখতে হবে।

ফাইবার ইতিমধ্য অনলাইনে খুব জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।

কিছু সঠিক নিয়ম জানা থাকলে খুব সহজে কিন্তু ফাইবার থেকে ভাল টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

এই ফাইবার সম্পর্কে এ টু জেট যদি হাতে কলমে শিখতে চান তা হলে MSB Academy ফাইবার সাকসেস কোর্সটি দেখতে পারেন। যেখানে কাজ পাওয়া সহ ১৮ ধরনের কাজ শিখনো হয়েছে।

ফাইবার মার্কেট প্লেসের বাইরে কিভাবে কাজ পাওয়া যায়?

আপনি যদি চান ফাইবার মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কাজ করবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি LinkedIn অথবা একটি টুইটার একাউন্ট করতে হবে।

সেখানে আপনার প্রোফাইল থেকে আপনার কাজ সম্পর্কিত কিছু কথা লিখে রাখুন।

যেমন আপনি লোগো ডিজাইন করতে পারলে আপনি লিখবেন এক্সপার্ট লোগো ডিজাইনার আপনার প্রোফাইলে এবং মাঝে মাঝে লোগো ডিজাইন সম্পর্কিত কিছু পোস্ট করবেন। সাথে কিছু হ্যাঁস ট্যাগ দিবেন।

এতে করে অনেক ক্লায়েন্ট আপনার কাজ দেখবে এবং আপনার কাছে যদি ভালো লাগে তাহলে আপনাকেও লিংকে গিয়ে সে আপনাকে কাজ দিতে পারে।

এভাবেই আপনি কাজ পেতে পারেন। আমি মনে করি শুধু ফাইভ এর উপর নির্ভর করে থাকলে কাজ পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।

ফাইভারে বেশি বেশি কাজ পেতে হলে –

★ অনলাইনে বেশি সময় একটিভ থাকতে হবে। বিশেষ করে রাতের বেলা একটিভ থাকার চেষ্টা করবেন।

★ গিগের ইমেজ, টাইটেল, ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ করা থাকতে হবে। টাইটেল, ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ড থাকতে হবে।

★ প্রতিদিন ১০ টা অফার পাঠানোর চেষ্টা করতে হবে।

★ বায়ার নক দিলে সাথে সাথে রেসপন্স করতে হবে এবং কিভাবে কাজ করবেন তা বুঝিয়ে বলতে হবে।

তাড়াহুড়া না করে বায়ার কি চায় সেটা বুঝে তারপর উত্তর করবেন।

★ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গিগ মার্কেটিং করতে হবে।

★ বিভিন্ন কাজের পোর্টফোলিও রেডি রাখতে হবে, যাতে বায়ার পূর্বের কাজের স্যাম্পল দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেন।

এগুলো করলেই আপনি ইনশাল্লাহ কাজ পাবেন। ধন্যবাদ।

ফাইভার নাকি আফ ওয়ার্ক (Fiverr vs Upwork) – কোনটা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব?

ফ্রিল্যান্সিং জগতে ফাইভার এবং আপওয়ার্ক – দুটি বহুল জনপ্রিয় নাম।

অসংখ্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মধ্যে নিজেদেরকে সেরার তালিকায় প্রতিষ্ঠিত করেছে ওয়েবসাইট দুটি।

ফাইভার এবং আপওয়ার্ক, উভয় সাইটই অনলাইন মার্কেটপ্লেস হলেও সাইটদুটি ফ্রিল্যান্সার বা গ্রাহকের জন্য অনেকটাই আলাদা অভিজ্ঞতা বহন করে।

ফাইভার ও আপওয়ার্ক কীভাবে কাজ করে?

ফাইভার এবং আপওয়ার্ক এর কার্যপদ্ধতির মধ্যে কিছু ভিন্নতা রয়েছে।

ফাইভার এর যে কোনো সেবার অফারকে গিগ বলা হয়। ফ্রিল্যান্সারগণ গিগ পোস্ট করেন এবং গ্রাহকগণ সেখান থেকে তাদের পছন্দনীয় গিগ বেছে নেন।

অর্থাৎ ফাইভারে গ্রাহকগণই তাদের ইচ্ছানুযায়ী ফ্রিল্যান্সার বেছে নেন।

দুইটা মার্কেটপ্লেস এ অনেক বেশি প্রতিযোগিতা হয়ে গেছে।

আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে লিংকডইন এবং টুইটারের মাধ্যমে এর চেয়ে বেশি কাজ পেতে পারেন।

তাই সেখানে মার্কেটিং করা সুদিন করতে থাকেন অনেক বায়ার আছে, আপনি যেই কাজ পারেন সেই কাজই মার্কেটিং করা শুরু করে দিন।

আপনি আপনার একাউন্টে সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করে কাজ পাওয়ার চেষ্টা করুন যাতে করে বায়ার আপনাকে হায়ার করে।

ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ করে আপওয়ার্ক থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাবেন না কারণ আপনি কতটা আয় করতে পারবেন ওয়ার্ডপ্রেসের কাজ করে সেটি নির্ভর করবে আপনার স্কিল, আপনার ক্লায়েন্ট আপনার কমিউনিকেশন, আপনার ভাগ্য এসব গুলোর উপর।

তবে এটুকু বলা যায় আপনি যত দক্ষ হবেন আপনার আয় তো বাড়বে। এমন অনেকেই আছেন এক বছরই 20,000 ডলার আয় করেছেন শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেসের কাজ করে।

আবার এমন অনেকেই আছেন এক বছরে 5 ডলার আর্ন করেছেন। তবে এটুকু বলা যায় 500 ডলার থেকে শুরু করে 5000 ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব মাসে।

তার জন্য আপনার এক থেকে দুই বছর শেখার পিছনের সময় ব্যয় করতে হবে।

ফ্রিলান্সিং মার্কেটগুলোর মধ্যে সবথেকে সহজ কাজ কোনটি বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর: কোন কাজই সহজ না যদি আপনি কাজটি ভালোভাবে না পারেন । 

আর আপনি মার্কেটপ্লেসের চাহিদা অনুযায়ী যে কোন একটি কাজ ভালভাবে শিখতে পারেন তাহলে সেটাই হবে আপনার জন্য সব থেকে সহজ কাজ ।

অতএব আপনার উচিত আপনি কোন কাজ সবথেকে বেশি পছন্দ করেন সেটাই খুঁজে বের করা ।

আমি আপনাকে কয়েকটি জনপ্রিয় কাজ সম্পর্কে লিখছি যেগুলোর চাহিদা বেশি ।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট :

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এই সময়ে বিশ্বের ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রায় সবাই ক্রমেই ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সবাই চাচ্ছে তার একটি ভার্চুয়াল ঠিকানা হোক।

ফাইভার কোন সেক্টরের কাজ করে বেশি আয় করা যায়?

আপনার যদি skill থেকে থাকে তাহলে আপনি ফাইবার যে কোন সেক্টর থেকেই মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

কারণ ফাইবার সম্পূর্ণভাবে ডিপেন্ড করে আপনার skill ও আপনি কতক্ষণ ধরে কাজ করতে পারবেন তার ওপর।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসগুলোতে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা কেমন?

সত্যি বলতে মার্কেটপ্লেসে এই মুহুর্তে প্রচুর ওয়েব ডিজাইন কাজের চাহিদা রয়েছে।

আপনি শুধু আপওয়ার্ক কিংবা ফাইবারে “web design” লিখে সার্চ করলেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন সহজেই।

একই সাথে বলে রাখি, টেকনোলজি দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে।

মানুষ গতানুগতিক Html, Css, Javascript দিয়ে ওয়েব পেজ তৈরি করার পরিবর্তে ফন্ট এন্ড ফ্রেমওয়ার্কের উপর ঝুকছে।

সে ক্ষেত্রে আপনার যদি এসব জানা থাকার পাশাপাশি Angular JS, Vue JS, React JS জানা থাকে, তবে অবশ্যই প্রতিযোগিতার বাজারে আপনি অন্যদের থেকে ১০০ গুণ এগিয়ে থাকবেন।

শেখার সময়টাতে প্রচুর প্রাকটিস করুন। এই সুফলটা পাবেন, প্রফেশনালি কাজ করার ক্ষেত্রে।

কিভাবে ফাইবার থেকে বেশি কাজ পাওয়া যায়?

বর্তমান সময় অনলাইনে অনেক একাডেমী আছে যারা ফ্রিলাসিং শিখিয়ে থাকেন।

আপনি চাইলে ঘরে বসে শিখতে পারেন। কিস্তু আপনি মোবাইল দিয়ে হয়ত দেখতে পারবেন কিন্তু কাজ শিখতে গেলে আপনার পিসি অথবা ল্যাপটপ লাগবে।

ফাইবার ইতিমধ্য অনলাইনে খুব জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।

কিছু সঠিক নিয়ম জানা থাকলে খুব সহজে কিন্তু ফাইবার থেকে ভাল টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

আপনি চাইলে অনলাইনে ফাইভার সাকসেস কোর্সটি দেখতে পারেন যেখানে ১৬ রকমের কাজ শিখানো হয়েছে ফাইভার নিয়ে আশা করি ভাল একটা ধারনা পাবেন।

এখানে তারা অনেক যত্ন সহকারে ও অনেক সহজ ভাবে ফাইভারের যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।

একটা জিমেইল দিয়ে কি ফাইবার এবং আপওয়ার্কে একাউন্ট করা যাবে?

হ্যাঁ যাবে। একটা জিমেইল দিয়ে ফাইবার এবং আপওয়ার্কে একাউন্ট করা যাবে।

কিভাবে একাউন্ট করতে হয় সে বিষয়ের উপর বিস্তারিত জ্ঞান থাকাটাও জরূরী।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *