ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ২: ফাইভার (Fiverr)

অনলাইনে নানান কাজ করে অর্থ উপার্জন করার একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হলো ফাইভার।

লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিকেল লেখা, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এস.ই.ও, এন্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, গ্রাফিকস ডিজাইন ইত্যাদি কাজ এখানে করতে পারবেন।

এখানে যে কোনো কাজ করানোর জন্য সর্বনিম্ন ৫ ডলার পেমেন্ট করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সার কাজ সম্পন্ন করে জমা দেওয়ার পরে ফাইভার থেকে পেমেন্ট পেয়ে যাবে।

এর জন্য ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার নিয়ে থাকে।

প্রতিদিন হাজার হাজার বায়ার ফাইভারে তাদের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন।

আপনার যদি ভালো কিছু দক্ষতা থাকে এবং একাউন্টে ভালো রেটিং ও রিভিউ জমাতে পারেন তাহলে ফাইবারেই ক্যারিয়ার গড়া যুক্তি সঙ্গত।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত নাম ফাইভার (Fiverr)।

ধরুন, আপনি একদম নতুন। আপনি কিছু ছােটো ছোটো কাজ পারেন। হতে পারে শুধু আপনি ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) জানেন।

ফাইভারে আপনার জন্যেও কাজ আছে। ফাইভার হচ্ছে গিগ বেজড প্লাটফর্ম।

এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে গিগ বানাতে হবে।

ফাইভার -এর গিগ কী? (What is a Fiverr gig?)

আপনি যখন কোনাে দোকানে যান এবং দোকানে অনেক রকমের আইটেম সাজানাে দেখেন। তারপর সেখানকার পণ্য বা সার্ভিস পছন্দ হলে আপনি কেনেন।

ফাইভারের গিগ অনেকটা দোকানের মতোই। আপনাকে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে একটি গিগ বানাবেন।

সম্ভাব্য ক্রেতার যদি আপনার গিগ দেখে পছন্দ হয়, তবে তিনি আপনাকে কাজ দেবেন।

আপনি ইউটিউব দেখে খুব সহজেই গিগ বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

ফাইভার সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য

ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য গিগ এবং Buyer Request নামে দুইটি অপশন থাকে।

গিগ সম্পর্কে তো আগেই বলা হয়েছে। বায়ার রিকোয়েস্ট অপশনে বায়ার কী ধরনের কাজ প্রয়োজন সে সম্পর্কে লিখে দেয়, এই ব্রিফ পড়ে ফ্রিল্যান্সারকে কাজটির জন্য অ্যাপ্লাই করতে হয়।

কোনো বায়ার আপনাকে মেসেজ পাঠালে তা মেসেজ অপশন থেকে, অর্ডার করলে তা অর্ডার সেকশনে এবং আপনার পারফরম্যান্স মেট্রিকস অ্যানালিটিকস সেকশনে দেখতে পারবেন।

কমিউনিটিতে আপনি নানা রকমের তথ্য, ব্লগ এবং কোর্স দেখতে পাবেন।

গিগ বানানাের সময় মনে রাখতে হবে, কীওয়ার্ড ও কভার ইমেজ যাতে সুন্দর হয়। এতে করে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আপনি চাইলে আপনার গিগ এ আপনার পাের্টফলিও প্রােফাইল যোগ করে রাখতে পারেন।

যেমন, অনেক ডিজাইনার তাদের গিগে তাদের বিহ্যান্স প্রোফাইল লিংক করেন, অনেক কনটেন্ট রাইটার তাদের পোর্টফোলিও ব্লগ লিংক করে রাখেন।

কোনাে প্লাটফর্মেই আপনার ক্লায়েন্টকে প্ল্যাটফর্মের বাইরে যোগাযোগ করতে বলতে পারবেন না এবং যােগাযােগের কোনাে তথ্য শেয়ার করতে পারবেন না। তাহলে আপনি ব্যান হয়ে যেতে পারেন।

আপওয়ার্ক নাকি ফাইভার?

ফাইভার ও আপওয়ার্ক দুটোই ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস হলেও, দুইটার মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে।

এই পার্থক্যগুলোই আপনাকে বলে দিবে যে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার কোন মার্কেটপ্লেসে যাওয়া উচিত।

ফাইভার

আপওয়ার্ক 

পেমেন্ট অনুযায়ী কাজের ধরন 

ফিক্সড প্রাইস (Fixed Price) কাজ ঘণ্টা ভিত্তিক (Hourly) কাজ এবং ফিক্সড প্রাইস (Fixed Price) কাজ মেম্বারশিপ ফি ফ্রি বেসিক (ফ্রি) ও প্লাস (প্রতি মাসে ১৪.৯৯ ডলার)সার্ভিস চার্জ প্রতি ট্রানজিক- শনের জন্য ২০%লাইফটাইম বিল হিসেবে প্রতি ক্লায়েন্টের জন্য:

প্রথম ৫০০ ডলারে: ২০%

৫০০.০১ থেকে ১০,০০০ ডলারে: ১০%

১০,০০০ এর বেশি ডলারে: ৫%

আকর্ষণীয় ফিচার

ইন-হাউজ কোর্স এবং ব্যাজ

এডভান্সড অপশন

কাস্টমাইজেবল অতিরিক্ত গিগ

ওয়ার্ক ডায়েরি

প্রজেক্ট ক্যাটালগ

বিল্ট-ইন রেফারেল (বেটা ফিচার)

কাস্টমার সাপোর্ট 

কমিউনিটি ফোরাম

ইমেইল সাপোর্ট

কমিউনিটি ফোরাম (সাথে থাকবে আপওয়ার্ক মডারেটর)

ইমেইল সাপোর্ট

ফোন সাপোর্ট (এন্টারপ্রাইজ ক্লায়েন্টদের জন্য)

পেমেন্ট প্রটেকশন

চার্জব্যাক এবং সেলার প্রটেকশন

ঘন্টাপ্রতি এবং ফিক্সড প্রাইস পেমেন্ট প্রটেকশন

ফ্রিল্যান্সার প্রোগ্রাম

নতুন সেলার

লেভেল ১

লেভেল ২

টপ রেটেড সেলার

ফাইভার প্রো

রাইজিং ট্যালেন্ট

এক্সপার্ট-ভেটেড

টপ রেটেড

টপ রেটেড প্লাস

ট্যালেন্ট স্কাউট (নতুন)

যাদের জন্য ভালো যেসব ফ্রিল্যান্সাররা অন-ডিমান্ড সার্ভিস, ফিক্সড রেট পেমেন্ট এবং কাজের প্রতি সম্পূর্ণ দখল রাখতে চান।

যে সব ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক রাখতে চান, ঘন্টা এবং ফিক্সড রেট পেমেন্ট পেতে চান, ভালো ক্লায়েন্ট কোলাবোরেশান এবং রেসপন্সিভ কাস্টমার সাপোর্ট পেতে চান।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *