বাচ্চার কোন বয়সে কী টিকা

ডা. আবু সাঈদ শিমুল, রেজিস্ট্রার, শিশু বিভাগ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালঃ

রোগ প্রতিরোধের জন্য বাচ্চাকে টিকা দিতে হয়। তবে সব টিকা হয়তো সমানভাবে কার্যকরী নয়। কখনও একাধিক টিকা দিতে হয়। যেমন পোলিওর টিকা বার বার দিতে হয়।

ইহা অবশ্য সরকারি নীতির অংশ। অনেকে সামান্য জ্বর-কাশিতে বাচ্চাকে টিকা দিতে চান না। এটাও ঠিক নয়। আবার টিকা দিলেও জ্বর আসতে পারে। এতেও ঘাবড়ানোর কারণ নেই।

অবশ্য রোগ প্রতিরোধে সব মা-বাবাই সন্তানকে টিকা দিতে চান; কিন্তু কখন কোন টিকা দিতে হবে এ নিয়ে তারা থাকেন চিন্তিত।

সম্প্রতি সরকারি টিকাদান কর্মসূচিতে কিছু পরিবর্তন হওয়ায় মা-বাবারা কিছুটা বিভ্রা- ন্তিতে পড়ছেন । কয়েক বছর আগেও বাচ্চাকে জন্মের পর চার বার টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে গেলে হতো, এখন নিতে হয় ছয় বার।

নতুন সংযোজিত হয়েছে নিউমোনিয়ার টিকা (পিসিভি), হাম ও রুবেলার টিকা (এমআর) এবং পোলিওর ইনজেকশন টিকা (আইপিভি)।

সরকারি টিকার মধ্যে যক্ষ্মার টিকা দিতে হয় ছয় সপ্তাহ থেকে। আবার ছয়, দশ ও চৌদ্দ সপ্তাহ বাচ্চাকে পোলিও টিকা (মুখে খাওয়ার-ওপিভি), পেনটা ইনজেকশন (ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, টিটেনাস, হেপাটাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা_ এই পাঁচ রোগের সম্মিলিত টিকা) দিতে হবে। নিউমোনিয়ার টিকা (পিসিভি ইনজেকশন) দিতে হয় ছয়, দশ ও আঠারো সপ্তাহে। ইনজেকশন পোলিও টিকা দেওয়া হয় ১৪ সপ্তাহে। হাম ও রুবেলার টিকা (এমআর ইনজেকশন) দেওয়া হয় পূর্ণ নয় মাস এবং ১৫ মাসে।

চেম্বার বা বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে বাচ্চার বয়স দেড় মাস হলে কলেরার টিকা , ১২ মাস হলে চিকেন পক্স , ১৮ মাস হলে হেপাটাইটিস-এ আর দুই বছর হলে টাইফয়েডের (ইনজেকশন) টিকা দিতে পারেন।

প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে ইনফ্লুয়েঞ্জা, মেনিনজাইটিস ও কুকুর বা প্রাণী কামড়ানোর রেবিস টিকাও দেওয়া যাবে। এসব টিকা দেওয়ার আগে টিকা- গুলোর ডোজ, কার্যকারিতা ও পার্শ্ব প্রতি- ক্রিয়া সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *