স্ট্রোক কি স্ট্রোক কত প্রকার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সারা বিশ্বে স্ট্রোকে মৃত্যুর হার দ্বিতীয় ।
প্রতি ৬ জনে একজন স্ট্রোক করে । যে কোন বয়সে,
যে কেউ এই স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে । ল্যানসেটের
গবেষনা অনুযায়ী বাংলাদেশে মৃত্যুর অন্যতম কারণ স্ট্রোক ।
সব চেয়ে প্রতি বন্ধিতার কারণও স্ট্রোক ।
স্ট্রোক কিঃ
ব্রেইনের রক্ত সরবরাহ কোন কারনে বিঘ্নিত হলে রক্তের অভাবে কিছু ব্রেইন টিস্যু,
মারা যায়, এটাই হল স্ট্রোক । বিশেষ করে রক্ত নালী ব্লক হয়ে কিংবা রক্ত নালী ছিঁড়ে,
ব্রেইনের এই রক্ত সরবরাহ বিঘ্ন হয় । স্ট্রোক হয় ব্রেইনে ।
স্ট্রোক কত প্রকারঃ
সিডিসি (CDC= Center for Disease Control and prevention) এর মত অনুযায়ী স্ট্রোক তিন প্রকার ধরনের-
১। ইশকিমিক স্ট্রোক ( Ischemic stroke) : মস্তিষ্কের রক্তনালীর ভিতরে,
রক্ত জমাট বেঁধে (blood Clot) রক্ত সরবরাহ বিঘ্ন ঘটালে,
কিছু ব্রেইন টিস্যু মারা যায় , এটাই ইশকেমিক স্ট্রোক।
৮৫%স্ট্রোকই ইশকেমিক স্ট্রোক । উচ্চ রক্ত চাপ ইশকেমিক স্ট্রোকের বড় কারণ,
২। হেমো-রেজিক স্ট্রোক ( Hemorrhagic Stroke) :
মস্তিষ্কের ভিতরে কোন রক্ত নালী ছিঁড়ে গেলে হেমো-রেজিক স্ট্রোক হয় ।
এই ধরনের স্ট্রোকে তিন মাসের মধ্যে মৃত্যু ঝুকি অনেক অনেক বেশি ।
৩। খুব ছোট স্ট্রোক ( Mini Stroke or Transient Ischemic Attack- TIA)ঃ
মস্তিষ্কের রক্ত নালীতে অস্থায়ী ভাবে অল্প কিছু সময়ের জন্য,
রক্ত সরবরাহ বিঘ্ন হলে এই ধরনের স্ট্রোক হয় ! যেটা দ্রুতই আবার ভাল হয়ে যায়।
মিনি স্ট্রোক (TIA) হল বড় ধরনের স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষন ।
ছোট স্ট্রোক (TIA) হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৫%, এক সপ্তাহের মধ্যে ৮%,
এক মাসের মধ্যে ১২% এবং তিন মাসের মধ্যে ১৭% মানুষ বড় ধরনের স্ট্রোক করে ।
তাই এই ছোট স্ট্রোককে কোন ভাবেই অবহেলা করা উচিত না ।
আপনার নিকটবর্তী চিকিৎসক বা হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত ।
বিশেষ করে উচ্চ রক্ত চাপ সহ স্ট্রোকের রিস্ক ফ্যাক্টর গুলো,
জরুরি ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রন করা উচিত । নিয়মিত এক্সার সাইজ,
এবং সঠিক খাবারের মাধ্যমে স্ট্রোক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব ।
এছাড়া এক বার স্ট্রোক হলে পরবর্তীতে পুনরায় স্ট্রোকের ঝুকি ৪ গুন বেড়ে যায় ।